#নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
পর্ব ৬
কলমে: আৃঁদ্রৃঁ আৃঁদৃিঁ (MK)#আদ্রআদি
কাব্য ব্লেড দিয়ে হাতে পোছ দিতে যাবে তখনি কাব্যের উপর এসে পানি পড়লো। হালকাভাবে হাতে পোছ লাগলো। কাব্য চমকে উঠলো এই সময় পানি কই থেকে আসলো। খোলা আকাশের নিচে নেই বৃষ্টি তাহলে পানি আসলো কই থেকে। কাব্য সামনের দিকে তাকাতেই অবাক হয়ে গেলো। দুটো মানুষ দাঁড়িয়ে আছে ওর সামনে। একজনের হাতে ঝাঁটা আরেকজনের হাতে বালতি। তারা আর কেউ না আদিবা আর তিথি। তিথি ঝাঁটা উচিয়ে কাব্যকে পিটানি দিবে আদিবা থামিয়ে দিলো। তিথি রাগে ক্ষোভে বলতে লাগলো
- কুত্তা তোর কত বড় সাহস। তুই সুসাইড করতে গেছিস। তোকে আমি
তিথি ঝাঁটা ফেলে দিয়ে কাব্যের চুল ধরে টানলো আর কাব্যের গালে চড় বসিয়ে দিলো। কাব্য উঠে দাঁড়িয়ে পড়লো। তিথির রাগ মোটে ও কমছে না। তিথি বলতে লাগলো
- কোথাকার কোন মেয়ের জন্য তোর মা বাবার সব স্বপ্ন এভাবে শেষ করে দিচ্ছিস।
কাব্য মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। তিথি কাব্যের চুল আবার টেনে ধরে
- তোরে ঐ মেয়েটাকে নিয়ে বলাতে তুই আর আমার সাথে কথা বলিস নি। আমাকে একা করে দিছিলি। এখন তোকে একা করে দিলো তো। তোকে যদি ইচ্ছা মতো মারতে মারতাম তাহলে গায়ের জ্বালাটা মিটতো।
কাব্য রাস্তায় লুটিয়ে পড়লো। তিথি আদিবা হা হয়ে গেলো। তিথি বসে পড়ে কাব্যের মাথা কোলের উপর নিয়ে মুখে হাত দিয়ে
- কাব্য এই কাব্য।
আদিবা বললো
- হাত থেকে রক্ত পড়ছে।
হঠাৎ করে চোখ পড়লো কাব্যের বসে থাকা জায়গা টাই। ওখানে কিছু ওষুধের খাপ পড়ে আছে। আদিবা পড়লো
- ওকে হাসপাতালে নিতে হবে।
তিথি আর আদিবা কাব্যকে নিয়ে হাসপাতালে চলে গেলো। তিথির চোখে পানি। তিথি আদিবাকে বললো
- কি করতে গেলো ও এটা?
- তোকে আমি আরো আগে বলছি। তুই যদি বিকালে এসে ওকে সংঙ্গ দিতিস। বোঝাতি তাহলে ও এই পদক্ষেপ নিতে পারতো না।
- আমি কি জানতাম ও এটা করবে।
- না করার কি আছে? যাকে এতো ভালোবাসলো মা বাবার থেকে মিথ্যে বলে টাকা এনে মন জোগাড় করলো সেই মানুষটা ওকে ঠকিয়েছে কেমন করে ও এটা মেনে নিবে। মানুষ কতটা আঘাত পেলে এমন করে জানিস।
- ও তো আমার কাছে আসতে পারতো কেন আসলো না।
- যে কষ্টটা পেয়েছে এতে ওকে একাকিত্ব টা ঘ্রাস করে নিয়েছে। ডিপ্রেশনে চলে গেছে। একটা মানুষ ডিপ্রেশনে গেলে কি করবে তখন তা খেয়ালে থাকে না।
কিছুক্ষণ পর ডাক্তার আসলো। আদিবা এগিয়ে যেয়ে
- কি অবস্থা এখন?
- ভালোই। কিছু বাজে ওষুধ পাওয়ার বেশিটা খেয়েছিলো তাই সেন্সলেস হয়ে গেছে। ওয়াস করে দিয়েছি সকালে ঙ্গান ফিরে যাবে।
- ধন্যবাদ। আপনি যদি না আসতেন তাহলে কি যে হতো।
- তোমার ফোন পেয়ে চলে এসেছি। আর আমাদের তো একটা কর্তব্য আছে।
- ধন্যবাদ ডাক্তার।
ডাক্তার চলে গেলো। কাব্যকে বেডে দিলো। তিথি আর আদিবা বেডে গেলো। তিথি কাব্যের মাথার কাছে বসলো। আদিবা পাশে বসলো। তিথি বললো
- ফাস্ট যখন ভার্সিটিতে আসে তখন কত ভদ্র শান্ত ছিলো। বোকাসোকা ছিলো৷ ওর সাথে কেউ মিশতে চাইতো না। ওর সাথে আমার সুন্দর একটা বন্ধুত্ব গড়ে উঠে তার ভেতর। একটা বছর যেতে না যেতে বদলে গেলো সব।
- আমরা এক একটা সময় এক একটা ধাপ পার করি। শিশু কাল টা এক রকম থাকে। প্রাইমারি তে ভর্তি হলে আরেক রকম হয়ে যায়। কত হাসিখুশি। প্রাইমারি থেকে উচ্চমাধ্যমিকে উঠলে জীবনের আরেক নতুন ধাপের সাথে পরিচয় হয়। তখন আমরা বুঝতাম না। আগ্রহ থাকতো বেশি এর পরের ধাপে কেমন হবে। কেমন থাকতে হবে। মাধ্যমিক থেকে কলেজ লাইফ। কলেজ লাইফ থেকে অনেক ভার্সিটিতে পড়া মানুষদের থেকে শোনা যেতো ভার্সিটি লাইফ টা কেমন। তখন আগ্রহ বেড়ে যেতো সেখানে পড়ার। কিন্তু অনেকে এর ভেতর ভূল পথে পা বাড়ায়। যার ফলস্বরূপ শাস্তি ও পায়। কেউ প্রেমে ব্যর্থ হয়ে ডিপ্রেশনে যেয়ে আত্মহত্যা করে। কেউ খারাপ কাজে লিপ্ত হয়ে প্রশাসনের গুলিতে মরে। দুনিয়াটা বড়ই আজিব।
তিথি আর আদিবা দুজনে কথা বলতে থাকলো। কথা বলতে বলতে সকাল হয়ে গেলো। কাব্যের ঙ্গান ফিরলো আদিবা আর তিথিকে দেখে
- আমি এখানে কেনো? কি হয়েছিলো আমার? তোহামনি কোথায়?
তিথি কাব্যের দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে কাব্যের দিকে তাকিয়ে
- যে তোকে ঠকালো তার কথা বলছিস। তুই মরতিস ওটায় ভালো ছিলো।
নার্স এসে
- আপনারা উত্তেজিত হবেন না। তার মাত্র ঙ্গান ফিরছে কিছুক্ষণ পর সব ঠিক হয়ে যাবে। এখন উত্তেজিত হলে সমস্যা। আপনি চুপচাপ শুয়ে থাকুন।
আদিবা তিথি বাইরে চলে গেলো। কাব্যের চোখ বেয়ে পানি ঝরছে।
করিম মিয়া রেহানা বেগম সারারাত ঘুমায় নি ছেলের কথা চিন্তা করে। কিছু হয়ে গেলো না তো। রেহানা বেগম বলছে
- তুমি আরেকবার কল দাও।
- সারা রাত তো চেষ্টা করলাম।
- এখন আবার দাও।
করিম মিয়া ফোনটা নিয়ে আবার কল দিলো । রিং হচ্ছে। করিম মিয়া স্বস্তি পেলো । রেহানা বেগমকে বলছে রিং হচ্ছে। রেহানা বেগমের মুখে হাসি ফুটে উঠলো।
ফোনটা রিসিভ করে ওপাশ থেকে
- আসসালামু আলাইকুম আঙ্কল
- ওয়ালাইকুম আসসালাম। কাব্য কোথায়?
- আঙ্কেল কাল ও ফোনটা ভার্সিটিতে ফেলে গেছিলো। ফোনটা আমি পায়। ফোনে চার্জ ছিলো না।আমার কাজে চার্জার ও নেই। মাত্র চার্জার কিনে লাগিয়ে ফোন খুললাম।
- ও ভালো আছে
- হ্যা আঙ্কেল ভালো আছে।
- তুমি কে মা?
- আমি আদিবা। ওর ক্লাস মেট।
- ও আসলে বলো আমাদের ফোন দিতে।
- আচ্ছা। আসসালামু আলাইকুম।
- ওয়ালাইকুম আসসালাম।
ফোনটা কেটে দিলো।
তিথির কথার আওয়াজ শুনে কাব্য বাহিরে বের হয়ে এসে যা বললো তাতে হা হয়ে গেলো।
(Waiting for next part..........)
- তুমি আরেকবার কল দাও।
- সারা রাত তো চেষ্টা করলাম।
- এখন আবার দাও।
করিম মিয়া ফোনটা নিয়ে আবার কল দিলো । রিং হচ্ছে। করিম মিয়া স্বস্তি পেলো । রেহানা বেগমকে বলছে রিং হচ্ছে। রেহানা বেগমের মুখে হাসি ফুটে উঠলো।
ফোনটা রিসিভ করে ওপাশ থেকে
- আসসালামু আলাইকুম আঙ্কল
- ওয়ালাইকুম আসসালাম। কাব্য কোথায়?
- আঙ্কেল কাল ও ফোনটা ভার্সিটিতে ফেলে গেছিলো। ফোনটা আমি পায়। ফোনে চার্জ ছিলো না।আমার কাজে চার্জার ও নেই। মাত্র চার্জার কিনে লাগিয়ে ফোন খুললাম।
- ও ভালো আছে
- হ্যা আঙ্কেল ভালো আছে।
- তুমি কে মা?
- আমি আদিবা। ওর ক্লাস মেট।
- ও আসলে বলো আমাদের ফোন দিতে।
- আচ্ছা। আসসালামু আলাইকুম।
- ওয়ালাইকুম আসসালাম।
ফোনটা কেটে দিলো।
তিথির কথার আওয়াজ শুনে কাব্য বাহিরে বের হয়ে এসে যা বললো তাতে হা হয়ে গেলো।
(Waiting for next part..........)
Post a Comment