লেডি কুইন (চ্যাপ্টার টু)
পর্ব ১১লেখা
Meherab Kabbo
#মি_টম
ডালিয়া চৌধুরী শুভ্র আর আশফাকে নিয়ে ঘরে চলে গেলো। রিমা আয়ানকে বললো
- আমাদের বাসা ফেরত দিয়ে দিছে। আর এখানে থাকতে হবে না। তুমি ও যাবে আমাদের সাথে।
আয়ান অবাক হয়ে
- মানে কি?
-তাসনিম নামের একটা মেয়ে আসছিলো। এই পেপারস্ গুলো দিয়ে গেলো আর বললো কাল বাড়িতে যেতে। তুমি যাও ফ্রেশ হয়ে নাও। খাবে।
আয়ান অবাক হয়ে দাড়িয়ে থাকলো।
-কি হলো দাঁড়িয়ে থাকবা।
আয়ান চলে গেলো।
ডালিয়া চৌধুরীর ফোনে ফোন আসলো রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে
- ওরা কি ঠিক মতো পৌঁছে গেছে।
- হ্যা। আপনি চিন্তা করবেন না। সব ঠিক আছে।
- হ্যা। শুভ্রকে সবটা বুঝিয়ে দিয়ো ও সব ঝামেলার মূল বের করবে। তোমাদের দিয়ে হবে না।
- ঠিক আছে।
ফোনটা কেটে গেলো। হৃদ বাসায় ঢুকলো ডালিয়া চৌধুরী বললো
- সারাদিন কই থাকিস। শুভ্র আসছে। ওকে তো আনতে যাবি। তা না যেয়ে কই গেছিলি।
- আমি কেন যাবো আনতে? লোকের কি অভাব পড়ছে। দেখছো না কত গুলো গার্ড ছিলো সাথে।
- ফরমালিটি মেইনটেইন করতে হয় ওকে।
- তুমি তোমার ফর্মালিটি মেইনটেইন করো। আমি এসব কিছু করার নেই।
হৃদ হনহন করে রুমে ঢুকে গেলো। ডালিয়া চৌধুরী অবাক হয়ে চেয়ে থাকলো।
বিকালে আকবর ডালিয়া চৌধুরীর বাসায় আসলো। ডালিয়া বললো
- কি ব্যাপার অফিসার আমার বাড়িতে হঠাৎ
-আসলাম মিল তাল করতে
-কিসের।
-দাড়িয়ে থাকবো বাহিরে নাকি ভেতরে যেতে বলবেন
-ওহ সরি। ভেতরে আসুন।
ডালিয়া চৌধুরী ভেতরে নিয়ে গেলো সোফায় বসতে বললো। আকবর সোফায় বসে
ডালিয়া চৌধুরীকে বললো
- আপনাকে সেই সুন্দর লাগছে।
-সত্যি।
-হ্যা। কিন্তু একটা জিনিসে অপূর্ণতা রয়ে গেছে।
- কিসে?
- একটা সঙ্গীর অভাব।
ডালিয়া চৌধুরী লজ্জা পেয়ে
- এই বয়সে সঙ্গী পাবো কই?
-খুজলে তো পেয়ে যাবেন।
ডালিয়া চৌধুরী মাথা নিচু করে নিলো। অনেক লজ্জা পাচ্ছা। ডালিয়া চৌধুরী বললো
-কি খাবেন?
- না কিছু খাবো না। কুইনের ছেলে আসছে বলে।
- হ্যা কেন?
- ওকে গ্রেফতার করার অনুমতি রয়েছে।
ডালিয়া চৌধুরী বড় বড় চোখ করে
- আপনি কি ভূলে গেছেন ওকে গ্রেফতার করলে কি হবে আপনার।
- হুম জানি। তবু ও আমার ডিউটি তো করতে হবে।
ডালিয়া চৌধুরী উঠে রুমে চলে গেলো। আকবর চেয়ে থাকলো। হৃদ উপর থেকে নিচে আকবরকে দেখে কিছুটা রাগ হলো। রাগ ভাব নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে গেলো। আকবর ব্যাপারটা আচ করতে পারলো।
আয়ান রিমার সাথে বের হলো। রিমা আয়ানকে বললো
- তোমাদের গ্রামে একদিন যাবো। নিয়ে যাবে তো।
- হ্যা আপু।
- তোমার কোনো অসুবিধা হবে না তো।
- না না। মা দেখলে বেশি খুশি হবে।
-সত্যি বলছো।
-হুম।
রিমা আপু আয়ানকে বললো
-একটা সত্যি কথা বলবা।
-কি আপু?
-আমরা তোমাকে বেশি কষ্ট দিয়ে ফেলছি। তুমি আমাদের ঠাঁই না দিলে কি যে হতো।
- আপু এসব বলে কষ্ট দিবেন না। খারাপ লাগে।
-আচ্ছা আর বলবো না।
*জেসি পার্কের একটা কোনার টেবিলে বসে অপেক্ষা করছে হৃদের জন্য। কিছুক্ষণ পর হৃদ হাতে ফুলের তোড়া নিয়ে জেসির সামনে এসে দাঁড়ালো। জেসি মুখটা ঘুরিয়ে নিলো। হৃদ বললো
-সরি সরি। ফুলটা কিনতে যেয়ে লেট হয়ে গেছে।
জেসি অভিমান সরে
- আমি সেই কখন থেকে বসে আছি।
- এই সরি আর লেট হবে না কখনো। এই কান ধরছি।
-সত্যি তো।
-হ্যা।
-মনে থাকে জানো।
জেসি ফুলটা হাতে নিলো৷ হৃদ জেসির পাশে বসে হাতটা ধরলো।
*ডালিয়া চৌধুরী একটা ব্যাগ নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে আকবরের সামনে দাঁড়ালো। আকবর ডালিয়া চৌধুরীর দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। পাতলা শাড়িতে ডালিয়া চৌধুরীকে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে। ডালিয়া চৌধুরী ব্যাগটা রেখে
-আপনার সব পাওনা এর ভেতর আছে।
আকবর কোনো কথা বলছে না তাকিয়ে আছে। ডালিয়া চৌধুরী আকবরকে নাড়া দিয়ে
- কি হলো? কি ভাবনায় ডুবছেন।
- এত সুন্দর একটা মানুষ দাঁড়িয়ে থাকলে আর কোনো কিছুতে খেয়াল থাকে না।
ডালিয়া চৌধুরী লজ্জা মাখা মুখে
-কি ব্যাপার অফিসার কি সব বলছো। আমি সুন্দর না।
-তুমি আমার চোখে দেখা সুন্দর নারী।
ডালিয়া চৌধুরী আকবরের মুখে তার রুপের প্রশংসা শুনে দিশেহারা। লজ্জায় মুখটা ঢেকে নিলো। আকবর ব্যাগটা হাতে নিয়ে ডালিয়া চৌধুরীর হাতটা ধরে ব্যাগটা দিয়ে
-আমি এটার জন্য আসিনি। তোমাকে দেখতে এসেছি।
আকবর চলে গেলো। ডালিয়া চৌধুরী হা হয়ে তাকিয়ে রইলো।
★আয়ান রিমা কিছুদূর যেতেই তাসনিমের সাথে দেখা পথা। তাসনিম রিমা আপুর সামনে দাঁড়িয়ে
-আপু এখানে যে।
-আসলাম ঘুরতে ভাইবোন মিলে। তুৃমি এখানে
-আমি তো এখানেই আড্ডা দি। ভালোই হলো দেখা হয়ে। কিছুক্ষণ গল্প করা যাবে।
- হ্যা।
আয়ান বললো
-আপু আমার একটু কাজ আছে যেতে হবে।
-মাত্রই তো আসলাম একটু বসে যায়
তাসনিম মুখটা বাঁকিয়ে
-তার ভাব বেশি আপু৷ ভাবে মাটিতে পা পড়ে না।
আয়ান তাসনিমের দিকে তাকিয়ে পড়লো। রিমা আপু বললো
-আয়ান ফুসকা খাওয়াবি। তুই যেয়ে নিয়ে আয় আমরা বসতে লাগি।
আয়ান মাথা নাড়িয়ে ফুসকার দোকানে গেলো।
তাসনিম আর রিমা বসলো। তাসনিম বললো
-তোমার ভাই গম্ভীর কেনো এতো।
-কোথায় গম্ভীর। ও খুব হাসিখুশি। ওর মনটা ও অনেক বড়।
- বড় না ছাই। অহংকার বেশি
-তুমি ভূল ভাবছো।
-কেনো?
-আসলে ও আমার আপন ভাই না। আমরা সবকিছু হারিয়ে যখন শুন্য হয়ে যায় তখন ও আমাদের ঠাঁই দিয়েছে।
তাসনিম অবাক হয়ে গেলো।
*জেসি হৃদকে বললো
-হাতটা সারাজীবনের জন্য ধরবে তো।
-কেন নয়? তোমার এই হাতটা আমি সারাজীবনের জন্য ধরে রাখবো
-যদি আমাকে ইউস করে ছেড়ে দাও।
-কি বলছো তুমি এসব?
-এই পর্যন্ত অনেক মেয়েকে ইউস করে ছেড়ে দিয়েছো।
-আমি বদলে গেছি বিশ্বাস করো।
জেসি হাতটা ছাড়িয়ে উঠে দাঁড়িয়ে
-আমি বিশ্বাস করি না।
হৃদ উঠে দাড়িয়ে জেসির হাতটা ধরে
-বিশ্বাস করো তোমার লাইফে পা দেওয়ার পর আমি তোমাকে ছাড়া আর কাউকে মনে ধরে না। আমি বদলে গেছি অনেক।
রাত দশটা
শুভ্র গাড়ি নিয়ে বের হলো। নির্জন রাস্তায় গাড়িটি চলতেছিলো। হঠাৎ করে একটা ঢিল এসে গাড়ির সামনের গ্লাসের উপর এসে পড়লো।
(Waiting for next part......)
লেডি কুইন চ্যাপ্টার টু পর্ব ১১ |
Post a Comment