বউ যখন অফিসের বস | Bow Jokhon Officer Boss


গল্প বউ যখন অফিসের বস

 লেখকঃ মোঃ রাকিব হাসান।



{এই লেখা কপি করা একদম যাবে নাহ কারণ এই লেখা একটি ইউটিউব চ্যানেলের কাছে দায়বদ্ধতা 
এই Web site লেখকের অনুমতিতে প্রকাশ করা হলো}

ছেলে:   আমি রাকিব আজকে আমার বিয়ে হয়েছে। আমি ঘরে ঢুকে খাটের উপর বসলাম। আসলে কার সাথে বিয়ে হয়েছে তা আমি নিজেও জানি না 
প্রেমে ছ্যাকা খাওয়ার পর বাবা-মা আমাকে এমনটাই ভাবে বিয়ে দিয়েছে।   আমি বসতেই নতুন বউ আমাকে বলল 
বউ যখন অফিসের বস | Bow Jokhon Officer Boss


মেয়ে:    আচ্ছা, তুমি কি এখনো দেরি করবে। সকল কাজই তো তুমি দেরি করে কমপ্লিট কই  করতে পারো  তাই বলে আজকেই এমন।

ছেলে:   কে আপনি?
জি আপনি মানে আমার অফিসের বস রিয়া না?  অফিসের বস আপনি কেন এখানে?
আমি কিছুই বুঝতে পারতেছি না। 

মেয়ে:   আমি আবার কিভাবে এখানে তুমি কি কিছুই বুঝতে পারো না। 
ব আমিতো তোমাকে তোমার সামনে কবুল বললেই চলে এলাম তুমি তো আমার দিকে একদমই তাকালে না। 

ছেলে:   অসম্ভব তা কি করে হয় আপনি আমার অফিসের বস আর আপনি আমার কিভাবে বউ হতে পারেন। 

মেয়ে:  শোনো  আমাদের মাঝে যদি ভালোবাসা থাকে তাহলে আমরা যেন পৃথিবীর সব কিছু জয় করতে পারি। তবে এমন বলছ কেন অফিসের বস হয়ে তোমাকে বিয়ে করতে পারবো না কি আমি?

ছেলে:   সবকিছু ঠিক আছে কিন্তু আপনি কিভাবে এটা করলেন। 

মেয়ে:   আমার পার্সনাল পিএস কে দিয়ে  আমি এ কাজটি করে নিয়েছি। আসলে আমিতো তোমাকে ভালবাসতাম কিন্তু তা কখনো বলতে পারিনি। 

ছেলে:   আপনি কি আমাকে সত্যিই ভালোবাসতেন তাহলে আমি কখনো বুঝতে পারিনি কেন বলেন তো। 

মেয়ে:   তোমার মনে সাহস থাকলে তো তুমি বুঝতে পারতে 
আসলে তুমি আমাকে অনেক ভয় করছে তাই তুমি কিছুই বোঝনি। মানে বলতে গেলে না বোঝোর ঢং করতে তুমি। 

ছেলে:  জি ভয় করতাম আপনাকে দেখে
 তা ম্যাডাম আপনি কিভাবে আপনার ps দ্বারা এই কাজ করালেন।

মেয়ে:   আমার পিএস ঘটকালি করতে আসে তোমার বাসায় বাবা মা যখন আমার কথা শুনে তখনিই রাজি হয়ে যাই। এবং আমি তাদেরকে নিষেধ করেছিলাম এই কথাটি গোপন রাখার জন্য। 

ছেলে:   আচ্ছা, আমি আমার বাবাকে বারবার বলেছিলাম যে কি করে মেয়ের নাম কি তার আমাকে কোন কিছু বলেছিল না? কেন চুপ করে থেকে ছিল তারা এখন বুঝতে পারলাম। 

মেয়ে:  হ্যাঁ, এখন বুঝতে পারলে তো ঠিক আছে 
তুমি কি আমাকে এখনো ম্যাডাম করেই ডাকবে কখনো কি তুমি  বলে ডাকতে পারবে না।  আমি কিন্তু তোমাকে বলতে গেলে জোর করেই বিয়ে করেছি। আমার ইচ্ছে ছিল আমি তোমাকে বিয়ে করব। 

ছেলে;   একটু হলেও বুঝতাম কিন্তু কখনো তো আমি তোমার কাছে প্রকাশ করিনি। আর আমি যদি তোমার কাছে প্রকাশ করতাম তাহলে কি হতো বলতো তুমি যদি আমাকে চাকরি থেকে বের করে দিতে। 


মেয়ে:   না মহারাজ এমন কেন  হবে আমি কি এমন বলেছি নাকি? 
আসলে তুমি যদি আমাকে বলতে ভালোবাসি তাহলে আমি আরও খুশি হতাম। বাট তুমি বলতে পারলে না আমার  আগে থেকেই কিন্তু শখ ছিলো  যে যদি প্রেম করতে হয় তাহলে বিয়ের আগে আমি বেশি করে প্রেম করে তাকেই বিয়ে করবো। 
কিন্তু তুমি কি করলে আমার সঙ্গে প্রেমের কোন আলোচনা না করে পরে আমাকে দূরে ঠেলে দিতে লাগলে সেজন্য আমি এমন টা করেছি এমনটা ভাবে তোমাকে বিয়ে করেছি।

ছেলে:   আসলে বলতে গেলে কি তোমাকে আমার প্রথম দেখায় ভালো লেগেছিল। কিন্তু আসল ব্যাপার ওখানে না আসলে ব্যাপার হলো তোমাকে যারা যারা দেখে তাদের সবাই তোমার প্রতি ক্রাস খায়।কারণ তোমার উপমা যদি দিতে হয় তাহলে তোমার উপমা তুমি নিজেই হবে। 

মেয়ে;    আচ্ছা, তা না হয় আমি বুঝতে পারলাম কিন্তু আমার শখ গুলো 
বিয়ের আগে তো আমার প্রেম করার শখ ছিল সেটা কি হবে? সেটা তোমার জন্য পণ্য হলো না তুমি কি জন্য যে আগে বললে না ভালোবাসো আমায় তা হলে প্রেম করতে পারতাম।

ছেলে:   আচ্ছা, আমি কি তোমার নাম ধরে ডাকতে পারি। মানে তুমি তো এখন  আমার সেজন্য আর বললাম আর কি? অফিসে তোমাকে ম্যাডাম ম্যাডাম বলে ডাকতে ডাকতে আমি হাপিয়ে গেছি। 

মেয়ে:   আচ্ছা, তোমার কি সাধারণ কমনসেন্স নাই যে বউকে নিজের নাম ধরে ডাকা যায়। 

ছেলে:   আচ্ছা, ঠিক আছে ধন্যবাদ তোমাকে। আমি একটি কথা বলি তুমি কিন্তু কোনো মন খারাপ করিও না। আসলে বিয়ের আগে মেয়েদের বা ছেলেদের প্রেম হয় অস্থায়ী প্রেম। আসল প্রেম তো তখন হবে যখন বউকে সবাই নিজের ভাবে আপন করে নেবে। বীয়ের পরে যে  প্রেম হবে তাইতো হবে আসল প্রেম আমার কথার উদ্দেশ্য ছিল এইটা। 
বাট বলতে পারবো না তুমি কি মনে করো। 

মেয়ে:  তোমার কথার অবশ্যই যুক্তি আছে এখন যা ছেলেমেয়েদের প্রেম হয় তা আবেগের বয়সে আর বিয়ের পরে প্রেম টি হল স্থায়ী প্রেম।
 আর এই জন্যই তো আমি এতদিন ধরে অপেক্ষায় ছিলাম  বিয়ের পরে প্রিয় মানুষটির সাথে প্রেম করবো তাই না। 

    ছেলে:জ্বি ম্যাডাম আপনার ইচ্ছাই সেরা। 

মেয়ে:   আচ্ছা, তুমি আমাকে কেন বারেবারে ম্যাডাম বলে ডাকতেছি বই টা বলতো। 

ছেলে:   আচ্ছা, সরি পুরাতন অভ্যাস তো একটু তো পাল্টাতে কষ্ট হবেই। 

মেয়ে:  দেখো আমি কিন্তু তোমাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছি এজন্য তুমি আমাকে ভালোবেসে আমার নাম ধরে ডাকবে। 

ছেলে:  কি যে বলো না তুমি 
আমি কি তোমাকে ভালবাসতাম না অবশ্যই বাসতাম? 


মেয়ে:  হ্যা আমায় যদি তুমি ভালবাসতে তাহলে অন্য মেয়েকে কেন বিয়ে করতে গেলে। 

ছেলে:  এখানে কোথায় অন্য মেয়ে  আমি তো তোমাকেই বিয়ে করতে গিয়েছিলাম। 

মেয়ে;   তুমি কি আগে জানতে ওইটা কে?
 তোমার অফিসের বস না অন্য কোন মেয়ে? 

ছেলে:   তা একটু জানতাম না কিন্তু আমি তোমাকে ভালবাসতাম। 
এবং ভয়ে তোমাকে কখনো আমি বলিনি। 

মেয়ে:  বলতে পারোনি কেন তুমি যদি বলতে তাহলে তোমার প্রমোশনটা আমি কতদুর করে দিতাম। 

ছেলে:  এখন তো আমরা হাজবেন্ড ওয়াইফ এখন তো তুমি আমাকে প্রমোশনটা করে দিতে পারবে। 

মেয়ে:  এত সোজা না  
তাড়াতাড়ি করলে তোমার প্রমোশনটা আমি কিছুতেই করতেছি না বুঝলে। 

ছেলে:   কেন গো তুমি যে আমার বউ  আমার সোনা বউ? 

মেয়ে:  দেখো রাকিব তুমি আমার সাথে আর কোন কাহিনী করবে না। তুমি এখনো আমাকে ম্যাডাম করে ডাকতে চাও। 

ছেলে:  কেন তোমাকে ম্যাডাম করে ডাকতে যাব তুমি তো আমার বউ একটু ভুল করে বলেছিলাম?
 আমি কি তোমাকে সারাজীবন ম্যাডাম করে ডাকবো নাকি আমিতো তোমাকে বউ সোনা বউ লক্ষ্মী টি জান পাখি ময়না পাখি আমার সোনা বউ বলে ডাকবো আমি কি ম্যাডাম বলে আর ডাকবো নাকি। 


মেয়ে:  আচ্ছা, ঠিক আছে তাহলে তুমি আমাকে এসব বলে ডাকবে। আর এই কথাটা তোমাকে মাথায় রাখা উচিত nxt time যেনো আর ভুল না হয়।

ছেলে;   কোন কথাটা মাথায় রাখবো একটু বুঝিয়ে বল তো। 

মেয়ে:   দেখলে এখনই তুমি ভুলে গেলে আমাকে যে তুমি জান পাখি করে ডাকতে চাইলে ওইটা মাথায় রাখতে বললাম। 
আসলে তুমি ঠিক হবে না আর এজন্য তোমার প্রমোশন আমি কখনো বেশি করে দেবো না। 

ছেলে:    আচ্ছা, তুমি আমার প্রমোশন  বেশি করে না দিলে তাহলে যে আমাদের লস হবে তাই না। এখন তো তোমার আর আমার সংসারটা একই হবে আমরা যত উপার্জন করতে পারব তত আমাদের বাচ্চাগুলো ভালো থাকবে। 


মেয়ে:  এত শখ তোমার তাই না এখন তো আমাদের বাসর হলো না তাতেই এত চিন্তা। আচ্ছা, তুমি যখন বলতেছ তোমার প্রমোশন টা বেশি করতে তাহলে না হয় করব। কিন্তু একটা সমস্যা আছে। 

ছেলে:   কই এখানে আবার কোন সমস্যা আমিতো   দেখতে পাচ্ছি না? 

মেয়ে:  তোমার চোখ থাকলে তো তুমি দেখতে পাবে। আচ্ছা, তোমার বেতন যদি আমি বেশি করে দেই তাহলে অন্য কোন মেয়ের সাথে ডেটিং করতে যাবে নাতো। 

ছেলে:   কি বলছো এসব আমি কি ডেটিং করতে জানি না কি?ডেটিং কাকে বলে ওইটাই জানিনা? 


মেয়ে:  শোনো মিথ্যা কথা আমাকে একদমই বলবে না আমি তোমার সম্পর্কে সবকিছু জানি বুঝছো। 


ছেলে:   কি বললে তুমি আমার সম্পর্কে সবকিছু জানো তাহলে বলতো? তুমি আমার সম্পর্কে কি কি জানো? 

মেয়ে:   কেন তোমার কি মনে হয় আমি কোন কিছুই জানি না আমি তোমার বিষয়ে বললামি তো সবই জানি?

 আসলে তুমি একটা মেয়ের সঙ্গে রিলেশন করতে একমাস তোমাদের প্রেম চলছিল কিন্তু তারপর মেয়েটা তোমাকে ছেড়ে চলে গেল। আর এজন্যই তুমি অন্য একটা মেয়েকে বিয়ে করার জন্য রাজি হলে। 


ছেলে:     আমার সম্পর্কে ইনফরমেশন কে দিচ্ছে তোমায়।
আর তুমি এই সময়ের সুযোগটা নিয়ে আমাকে বিয়ে করে নিয়েছো তাই না। 

মেয়ে:  এইতো এখন দেখতেছি তুমি সব কিছুই বোঝ সুধু না বোঝার ঢং করো। আর আমাকে এসব  ইনফরমেশন দিয়েছে আমার পার্সনাল পিএস। 

ছেলে:   আচ্ছা, সেটা তো ঠিক আছে কিন্তু বলো তোমার পার্সোনাল pc টা কে।
তাকে কি আমার পিছনে রাখার জন্যই তুমি চাকরি দিয়েছো? 

মেয়ে:: আমার পার্সোনালি পি  এস আর কেউ না তোমার বেস্ট ফ্রেন্ড মিথুন।  ওই আমাকে সবকিছু বলেছে তোমার ব্যাপারে এবং ওই ঘটকালি করেছে। 

ছেলে;   তুমি যা বলে তা কি সত্যি?

 মিথুন তো আমাকে কথা দিয়েছিল যে আমার কথা কাউকে বলবে না। 


মেয়ে:  হয়তো জানো না আজকালকের দুনিয়ায় সবাই সবাইকে কথা দেয় কিন্তু প্রেমের বিষয়ে সবাই সবাইকে হেল্প করে বুঝলে। 

ছেলে:   হ্যাঁ, এতক্ষণে আমি সবকিছু বুঝতে পেরেছি তাহলে। তুমি আমাকে ভালবাসতে কিন্তু কখনো বলতে পার নি ঠিক আমিও অমনি ভাবি তোমাকে ভালবেসেছি কিন্তু আমিও বলতে পারিনি। এরপর আমার একটা মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় একমাস প্রেম হলো কিন্তু সে যখন আমাকে ছেড়ে চলে গেল তখন তুমি সময়ের় সুযোগ ব্যবহারটা করে নিলে। তুমি তখন আমাকে বিয়ে করার জন্য মিথুনকে দিয়ে আমার বাসায় প্রস্তাব পাঠালে আর আমার বাসার সবাই রাজি হলো
 আমি এতক্ষণ যা বললাম তা কি সব সত্যি রিয়া। 


মেয়ে:   হ্যাঁ, এতক্ষণ তুমি যা বললে আমাকে তার সবই সত্য। 
এর মধ্যে কোন নির্ভেজাল নেই কোন প্রতারণা নয়। আমি তোমাকে ভালবাসতাম বলতে পারিনি অফিসের বস হিসাবে সেজন্য তুমি যখন প্রেমে ছ্যাকা খেলে তখনই আমি তোমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে তোমাকে বিয়ে করে নিলাম। 

ছেলে::   হায় হায় আমি তো মনে করেছিলাম তুমি অনেক রাগী মেয়্র্রে প্রেম-ভালোবাসা ওইসব তুমি কোন কিছুই একদমই বোঝনা। 

মেয়ে:   তুমি কি মনে করেছ আজ কালকের দুনিয়ায় প্রেম ভালোবাসা মানে মানুষ কি  কিছু বোঝে না? 

ছেলে:   আমার কথা বলার ভাষা এমন ছিলনা। আচ্ছা, তুমি এখন ওসব বাদ দিবে এখন তো একটু প্রেমের গল্প বলি সবই তো হলো। 

মেয়ে:  কি বলো তুমি এখনো তো আমাদের মাঝে কিছুই হলো না তাতেই বলতেছে সব হলো? 

ছেলে:  এতকিছু তোমাকে চিন্তা করতে হবে না আমি তো তোমাকে দেখে এখনই ভয় পাচ্ছি। 

মেয়ে:  আমাকে দেখে কেন তোমাকে ভয় করতে হবে আমি কি রাক্ষস না ভাল্লুক। 

ছেলে:   তুমি কি রাক্ষস  হবে না কি?
তুমি হলে আমার আদরের একমাত্র বউ?  

মেয়ে:  আসলে জানি না তুমি কি আমাকে সত্যিই আপন করে নিতে পারবে 
আর কেন ভয় করতেছে আমাকে সব কিন্তু খুলে বলো আমি তোমাকে কিছু বলব না আমি প্রমিস করলাম তোমাকে আমি কিছুই বলবো না বল। 

ছেলে:  আচ্ছা, প্রমিস করেছ ওইটা জেনো তোমার মাথায় থাকে তাহলে আমি বলতে পারব। 


মেয়ে:   শোনো তুমি এত ন্যাকামি বন্ধ করে বলে দাও। আগে তুমি বলে দাও তারপর দেখা যাবে বাকিটা। 

ছেলে:   আসলে আমার ভয় হচ্ছে তুমি তো আমার অফিসের বস আজকে রাতে যদি আমি কিছু উল্টাপাল্টা কথা বলি তাহলে তুমি যদি রাগ কর সেজন্য বললাম এমন।

মেয়ে:   অফিসের বস হয়েছি তো কি হয়েছে আমি তো তোমার বাড়ির একমাত্র বউ হবো। 
আর তুমি কিন্তু আমাকে বারবার অফিসের বস বলে খোঁটা দিচ্ছো। 
আর এমন কথা যদি  বল তাহলে কিন্তু আমি তোমার সাথে আজকে কিছু করবোনা। 


ছেলে:   কেন কিছু করবে না কেন 
আর কি করতে চাচ্ছ তুমি? 

মেয়ে:    প্রথমত তোমার এত কেন কেন প্রশ্নের স্বভাবটা একটু পালটিয়ে ফেলো  এত প্রশ্ন করো কেন তুমি আমাকে কম প্রশ্ন করবা কারণ আমি তোমার যেহেতু অফিসের বস। 
তুমি আগেই আমাকে প্রশ্ন করে থামিয়ে দিচ্ছ তা কি হয়? 

ছেলে:   আচ্ছা, তোমাকে আমি কোন কিছু প্রশ্ন করবোনা এখন তুমি বল কি বলতে চাও। 

মেয়ে:   কি বলতে চাই মানে কি আমি কি বলবো তুমি কি তা বুঝতে পারতেছ না? 
হাতে তো তোমার অবশ্যই ঘড়ি আছে দেখো এখন কয়টা বাজে? 

ছেলে::   হ্যাঁ, এইমাত্র রাত দুইটা বাজে তা এখন কী করবে তুমি। 

মেয়ে:   কি করব অনেকক্ষণ ধরে তো গল্প বললাম এখন কি তোমাকে বুঝাতে  হবে আমার? বাসর ঘরে কি করে?  তোমাকে আবার প্র্যাকটিক্যালি ভাবে সব কিছু দেখাতে হবে না কি বল তো? 

ছেলে:  ওমা এ তো দেখতেছি  ট্রু লাভ
।  আই লাভ ইউ জানু কাছে এসো জানু তোমাকে এখন আদর করবো আমি। এইটা বললেই তো হয় এত পেচিয়ে না বলে?

মেয়ে:  তোমার আদর আর আমার সঙ্গে করতে হবে না তুমি বালিশের সঙ্গে করো। এই তোমাকে দিলাম আমি বালিশ যাও তাকে নিয়ে তুমি ঘুমাও যাও বলতেছি। 

ছেলে:  আমার অফিসের বস আমি কি কিছু ভুল করলাম আপনি রাগ করছেন কেন? 

মেয়ে:  এখান কি জন্য রাগ হচ্ছি তা কি তোমাকে আমার বলতে হবে নাকি? তোমাকে তো আমার সব কিছু বোঝাতে হবে কোন কিছু তো বুঝতে পারো না। সময় এর  তো একটু মূল্য দাও 
তা না হলে আরেকটু পড়  সকাল হবে তখন কি করব আমরা। 

ছেলে:    ওমা তাই বুঝি সকাল হলেই হবে 
আমি একটু সময় নিয়ে না হয় প্রেম করবো তোমার সাথে। 

মেয়ে:  তোমাকে তো আমি আগেই বলেছি তোমার আমার সাথে প্রেম করার দরকার নাই তুমি তোমার আদর প্রেম সব  বালিশের সঙ্গে করো। 

ছেলে:   কি বলছো তুমি বালিশের সঙ্গে কি আর প্রেম আদর করা যায় নাকি? তোমাকে যে আমি বিয়ে করেছি জড়িয়ে ধরার জন্য বালিশ কে জড়িয়ে ধরার জন্য নাকি। 

মেয়ে:   আচ্ছা, তাহলে তুমি তোমার বিজ্ঞানের  subject কি কেন কিভিবে প্রশ্ন এখনো ছাড়বে না। 

ছেলে:  আচ্ছা, তোমার ভালোবাসায় আমি সমস্ত কিছু ছেড়ে দেবো কিন্তু এখন তো একটু ফিজিক্স আর কেমিস্ট্রি এক জায়গায় করি।

মেয়ে:   ফিজিক্স কেমিস্ট্রি এক করে তুমি কি করবে আমাদের চাই বায়োলজি বিষয় কিছু বুঝতে পেরেছ কি আর তুমি তো একটা হাবা ছেলে কিছুই বুঝতে পারো না কোনো কথা 
সবকিছু তো তোমাকে বিস্তারিত বলতে হয় 

ছেলে:   হ্যাঁ, বুঝতে পেরেছি আমি
 আমাদের বায়োলজির সাবজেক্টে তো প্রেমের আলোচনা বেশি আছে সেজন্য তুমি বললে ।
বাবারে বাবা আমি তো মনে করেছিলাম তুমি ওইসব কোন কিছুই বোঝনা তুমি তো আমার থেকে অনেক ফাস্ট 

মেয়ে:   ফার্স্ট হবো না কেন আমি তোমার অফিসের বস না তোমার থেকেই সব বিষয় তো একটু বেশি জানবো আমি। আমি যেহেতু  তোমার থেকে সবকিছু একটু বেশি জানি তাই সকাল বেলা প্রত্যেকদিন আমাকে তুমি চা করে দেবে 


ছেলে:   আমাকে কি সব করতে হবে।

মেয়ে:   হ্যাঁ, তোমাকে সবকিছু করতে হবে সকালে উঠে ঘুম থেকে উঠেই তুমি আগে আমার জন্য নাস্তা করবে। তার পরে আমাদের বাসন সবগুলো ধীরে ধীরে পরিস্কার করবে। এবং আমাকে অফিসে রেখে আসবে আর এইটাই হবে তোমার প্রতিদিনের কাজ। মাসের স্যালারি দিবো চিন্তা করিও না। 


ছেলে:  তুমি এমন কথা বলতেছো তাতে মনে হচ্ছে আমি তোমার ঘরজামাই হয়ে থাকছি। 

মেয়ে:  হ্যাঁ, তা তো অবশ্যই তুমি আমার ঘরজামাই হয়ে থাকবে কারণ আমি থাকব অফিসে আর তুমি থাকবে আমার ঘরে। সবকিছু ঠিক আছে তো। 

ছেলে:  এখন আর না করি কিভাবে সবকিছু ঠিক আছে কিন্তু এখনতো কাছে এসো। 


এভাবে রিয়া আমার অফিসের বস থেকে হলো আমার ঘরের বউ। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।

Post a Comment

Previous Post Next Post