বড় আপুর বান্ধবী যখন বউ - boro apur bandhobi jokhon bow

বড় আপুর বান্ধবী যখন বউ

 লেখক লেখক: মোহাম্মদ রাকিব হাসান 

💗💗💗💗💗💗


ছেলে: আমি আপনাদের লেখকঃ মোঃ রাকিব হাসান আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব আমার বড় আপুর বান্ধবী যেভাবে শেষ পর্যন্ত আমার বউ হয়েছিল 


বড় আপুর বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে আজ আমি পার্কে।আসলে আমার বড় আপুর বান্ধবী নাম ছিল রিয়া সে আমাদের বাসায় যেত এবং এভাবে আমাদের পরিচয় হয়েছে এবং একটা সময় আমি আমার বড় আপুর বান্ধবী কে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলাম।কালকে রাত আমার বেস্ট ফ্রেন্ড রিয়া আমাকে ফোন দিয়েছিল ফোন দিয়ে বলল তার নাকি দরকার আছে সেজন্য দেখা করতে পার্কে যেতে।তাই আমি আজকে পার্কে এসেছি আমায় দেখে রিয়া বলল 


টেক বিষয়ে জানতে মোবাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে ভিজিট করুন BoyzTech.com



মেয়ে: তুমি তো দেখতেছি একটা কাজ ঠিক করে করতে পারো না তুমি আমাকে কথা দিয়েছিলে আসবে কখন আর আসলে কখন? তোমার সাথে আমি আর কোন কথা বলতেছি না তুমি ওই রকমি চুপ করে থাকো। 


ছেলে: আচ্ছা, আচ্ছা সরি আমার একটু দেরী হল কারণ রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিল তো সেজন্য আসতে দেরি হল। 


মেয়ে: তুমি কি মনে করেছ আমি কি বুঝতে পারি না কি জন্য তোমার এত দেরি হয়েছে আসলে রাস্তায় তো কোনা জ্যাম ছিল না? 


ছেলে: আচ্ছা রাস্তায় যদি জ্যাম না থাকে তাহলে তুমি বলো কি জন্য আমার এত দেরি হয়েছে 


মেয়ে: আমায় কি আবার নতুন করে বলতে হবে নাকি আমিতো জানি আমার গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে হয়তো পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলে? 


ছেলে: আসলে ঘুরতে না তার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। 


মেয়ে: কি বললে তুমি

 তোমার সত্যি কোন গার্লফ্রেন্ড আছে তাহলে আমাকে ছেড়ে তুমি অন্য কারো কাছে যাবে কেন?


ছেলে: আরে আমি যা বলতে চাচ্ছি তুমি তা বোঝো না আমি তোমাকে বোঝাতে চাইলাম আমি এখন কোথায় বলতো? 


মেয়ে; কোথায় আবার আমার সাথে দেখা করতে রমনা পার্কে? 


ছেলে: হ্যাঁ, আমি আসলেই এটাই বলতে চেয়েছি আমার গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে দেখা করতে আমি এই রমনা পার্কে এসেছি। 


মেয়ে: প্রথমত তুমি ফাজলামি টা একটু কম করো বুঝলে। আমি কি তোমার গার্লফ্রেন্ড নাকি কিসের জন্য তুমি এরকম কথা বলতেছো? 


ছেলে: তুমি আমার গার্লফ্রেন্ড না আর আমার গার্লফ্রেন্ড তুমি কখনো হতেই পারবে না এটা আমি বাজি ধরতে পারি। 


মেয়ে: দেখো প্রথমত তো তুমি দেরি করে এসেছে এসেই এসব কথা বলতেছ।  

আর কেন আমি কি তোমার গালফ্রেন্ড হতে পারি না গার্লফ্রেন্ড হলে সমস্যা কোথায় বলতো? 


ছেলে: এইটা নিশ্চিন্তে বাজি ধরতে পারি তুমি আমার গার্লফ্রেন্ড হতে পারবে না কারণ আমার বড় আপু আছে যে সে যদি একবার জানতে পারে যে তুমি আমার সাথে রিলেশন করতে চাও তাহলে তোমার একদিন খবর হবে আর আরেকদিন আমার। 


মেয়ে: তা তো অবশ্যই তোমার বড় আপু কেমন তা কলেজের সবাই জানে। তুমি জানো যেসব ছেলেরা তোমার আপুকে ইভটিজিং করে তাদেরকে সরাসরি গালে চড় মারতে দ্বিধা করে না। এজন্যই তোমার আপু আমাদের কলেজের সবার ক্যাপ্টেন নির্বাচিত হয়েছে। 


ছেলে; হ্যাঁ আমার আপু কি রকম? তা আমি ভাল করেই জানি আপু আসলে কোন মেয়েদেরকে রিলেশনে যেতে দেয় না। আর যদি কোন মেয়ে আপুকে না বলে রিলেশনে চায় 

তাহলে তার অবস্থার পুড়ে শেষ হয়ে যায়। 



মেয়ে: আচ্ছা, রাকিব তুমি বলতো তোমার আপু কেমন এরকম? যে মেয়েদেরকে রিলেশন করতে যায় না। 


ছেলে: আসলে আমি যতদূর জানি আবার আপূএকটা ছেলের সাথে রিলেশন করত কিন্তু ছেলেটা যখন আবার আমাকে ছেড়ে চলে গেল তখন থেকে আপু ওই রকম হলো। আর এজন্যই আপু চায়না কোন ছেলে কোন মেয়েকে ছেড়ে চলে যাক বিশেষ করে এই কারণটার জন্য আপু কোন মেয়েকে রিলেশনে যেতে দেয় না তবে যাদেরকে আপূ বোঝে যে তাদের ভালোবাসা সত্যি সরাসরি তাদেরকে রিলেশনে যেতে দেয়। আমার আপু ভাবে প্রেম একটা অনেক পবিত্র জিনিস বুঝলে।



মেয়ে: তাতো অবশ্যই প্রিয় মানুষটি যদি ভালবেসে ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে কি কখনো ভালোবেসা থাকে। তাহলে রাকিব বলতে পারবে এতদিন কেন প্রেম হয় কেন মিথ্যে ভালোবাসা হয়।


ছেলে: আসলে ঠিক আমিতো কারো সাথে জীবনে প্রেম করিনি তবে ভালোবাসা মানে কি তাই জানিনা। আমাকে একটু বোঝাতে পারবে যে ভালোবাসা কাকে বলে ভালোবাসা মানে কি? 



মেয়ে: কেন বোঝাতে পারবো না অবশ্যই বোঝাতে পারবো আসলে ভালোবাসা মানে হলো একজন আরেকজনের পাশে থেকে আজীবনের জন্য বলা যে ভালোবাসি।  

এমনকি প্রিয় মানুষের হাতে হাত ধরে বলতে পারো যে ভালোবাসি তোমাকে প্রিয়। 

এবং স্বর্গপুরী ভালোবাসা মানে হলো একজন আরেকজনকে নতুনভাবে জানা।

আমার কাছে তো ভালোবাসা মানে তাই মনে হয় তবে জানিনা তোমার কাছে কি মনে হয় একটু বলবে প্লিজ। 


ছেলে; আমি তো তোমার মত আর কাউকে কিছু বলতে পারবো না তবে আমার কাছে ভালোবাসার মানে হলো খুব বেশি মিস করা প্রিয় মানুষটি যখন আমাকে ছেড়ে চলে যাবে তখন যেন আমার প্রশ্নগুলো তার মাঝে অপেক্ষিত হিসেবে রয়ে যাবে আর তাকে ছাড়া আমি জীবনে চলতে পারব না। আমার কিছু ভালোবাসা মানেই হলো প্রিয় মানুষকে কাছে পাওয়ার আনন্দ উপভোগ করা। যখন সে আমার কাছে থাকবে তখন মনে হবেই এই পৃথিবীর সমস্ত স্বর্গসুখ জানো আমি পেয়েছি। যখন সে দূরে চলে যাবে তখন আমার মনে হবে এই পৃথিবীর সমস্ত কিছু অন্ধকার যেন আমি পেয়েছি। 


মেয়ে: তুমি তো দেখতেছি অনেক সুন্দর প্রেমিক তোমার কথার মাঝেই যেন ভালোবাসার লাগিয়ে থাকে। প্লিজ আরেকটু বলো আমার আজকে শুনতে ইচ্ছে করতেছে। 



ছেলে: মোটেও না আমি অতটা প্রেমিক পুরুষ না তবে শোনো এটুকু তো বলতে পারি।ভালোবাসা মানে হলো জীবনে বেঁচে থাকার অক্সিজেন' যাকে ছাড়া এক মুহূর্ত বেঁচে থাকা সম্ভব না। 


মেয়ে: আমি তো মনে করেছিলাম তুমি প্রেম মানে কি তা বোঝো না দেখতেছি অনেক কিছুই বোঝো? তাহলে এতক্ষনে আমার সন্দেহটা ঠিক হল তুমি নিশ্চয়ই কারো সাথে প্রেম করো তাই না। 


ছেলে: হ্যাঁ, করি তো তার বর্ণনা শুনবে প্লিজ সোনা একটু। 


মেয়ে: তুমি যার সাথে প্রেম করো তার কাছে গিয়ে তোমার বর্ণনা দাও আমি তোমার কথা শুনতেছি না। আসলে আমার মনটা আজকে তুমি আরো খারাপ করে দিলে কোন কথা বলবো না তোমার সাথে। 



ছেলে; এভাবে বললে কি আর হয় তোমাকে যে শুনতে হবে তার বর্ণনা আচ্ছা আমি বলতেছি তুমি শোনো। তোমার সৌন্দর্যের বর্ণনা এমন যেমন তুমি নিজেই তৈরিকৃত এক মহা নারী। আমি তোমাকে জানিনা কলোনি প্রকাশ করতে পারব কি পারব না তবে তোমার মনের মুগ্ধতায় আমি আজও ভালবাসি তোমাকে। তোমার কি সুন্দর ওই দুচোখে যখন নীল আকাশের ছোঁয়া পড়ে তখন চোখদুটো আরো সুন্দর অংশীদারি হয়? এবং তোমার দুই ঠোঁটে যখন লাল লিপস্টিক এর ছোঁয়া পড়ে তখন সে তাহার বলার কোনো ভাষা রাখে না। এটুকু জানি তোমার হাতে আমার হাত রাখি তখনই যেন হারিয়ে যায় কারণ তোমার হাতে তখন কোমল হৃদয়ের অংশীদারি। 


মেয়ে: আমি কি তোমার গার্লফ্রেন্ড বার্ণনা শুনতে চেয়েছি নাকি আমাকে তুমি বলবে না ব্যস? আমি তোমার কোন কথাই শুনতে চাই না ভালো থেকো আমি বাসায় যাচ্ছি। কথা বলবা না আমার সাথে বাই।


    ছেলে; আচ্ছা, রিয়া তুমি রাগ করে চলে যাচ্ছ কেন আমি তো আসলে আমার গার্লফ্রেন্ডের বর্ণনা দিয়েছিলাম। আচ্ছা,দিব না আমার গার্লফ্রেন্ডের বর্ণনা তোমাকে আর আমি দিচ্ছি না কিন্তু কি জন্য আমাকে এখানে ডেকেছিলো সেটাতো একটু বল। 



মেয়ে: কচু বলবো তোমাকে আমি কিছু বলতে এখন চাচ্ছি না। আসলে যে কথা বলার জন্য এখানে একটু এনলাম তুমি তার আগে আমার কথাটা নষ্ট করে দিয়েছো এখন আর বলতে পারবোনা। 


ছেলে: কেন গো তুমি বলতে পারবেনা বললে তোমার কোথায় লাগবে বলো না একটু আমি একটু শুনি? 


মেয়ে: কোথায় লাগবে বুঝতে পারতেছ না তুমি আমার মাথায় লাগবে? 

আজকে কত সুন্দর করে আমি সেজে এসেছি ওইটাতে একটু চোখে পড়লো না শুধু এসে গার্লফ্রেন্ডের গার্লফ্রেন্ড? আর তোমার মুখে শুধু গার্লফ্রেন্ডের এই বর্ণনা আছে আমার বর্ণনা তো তুমি কখনো দিতে পারলে না। 

বড় আপুর বান্ধবী যখন বউ - boro apur bandhobi jokhon bow
বড় আপুর বান্ধবী যখন বউ - boro apur bandhobi jokhon bow


ছেলে: হ্যাঁ, তোমার বর্ণনা তো আমি দিতে পারি কিন্তু ওইভাবে তো আর দিতে পারব না তুমি তো আমার বেস্ট ফ্রেন্ড তাই না। 


মেয়ে: ও এখন ফ্রেন্ডের দোহাই তো দিবেই তুমি আমি কি তোমাকে চিনি না তুমি কি রকম? আসলে মনের ইচ্ছা থাকে যদি তাহলে সমস্ত কিছু সম্ভব তুমি আমার বর্ণনা দিতে চাও না তা তো বললেই পারো এত কাহিনী করো কেন? 


ছেলে: আচ্ছা, তুমি এতো বলতেছ তাহলে তোমার একটা বর্ণনা দিচ্ছি আমি। আমার বেস্ট ফ্রেন্ড রিয়া সে দেখতে অনেক সুন্দর। এবং তার কথাগুলো অনেক মিষ্টি মিষ্টি টাইপের এবং আমাকে তার কথাগুলো অনেক বেশি ভালো লাগে আর এই জন্যই আমি তার বেস্ট ফ্রেন্ড। 



মেয়ে: হয়েছে আর মিথ্যা ভালোবাসার অভিনয় তোমাকে করতে লাগবেনা। আসলে কি কখনো তুমি বুঝেছ আমার মনের কথা আমার মনের আবেগ? আজকে তুমি তা কখনও বোঝনি আর তুমি বুঝতেও পারবেনা। তুমি আমার মনকে কখনোই ভালোভাবে একটু খেয়াল করনি। 


ছেলে: আসলে তুমি আমাকে কি বুঝাতে চাও একটু খুলে বলবে। আমি সত্যি তোমার কথাগুলো ওই ভাবে বুঝতে পারতেছি না একটু বলে না প্লিজ। জানতে চাই আমার খুব ইচ্ছে করে তোমার মনের কথাগুলো শোনার?💖


মেয়ে: আমি আসলে কখনো বলতে চাইনি এভাবে কিন্তু এখন তোমাকে বলতে হচ্ছে। আমি জানি আমার কথা গুলো বলার পর তুমি আর আমার ফ্রেন্ড থাকবে না কারণ আমি যা বলব তা তোমার গার্লফ্রেন্ডের একটু বিরোধিতা। 


ছেলে: তারপরও গার্লফ্রেন্ডের যদি বিরোধিতা হয় তাহলে হয়ে যাবে কিন্তু তুমি একবার বলো প্লিজ বলো। 


মেয়ে:: আসলে রাকিব যেদিন তোমাকে আমি প্রথম দেখেছিলাম সেই দিনি তোমায় প্রেমে পড়েছিলাম আমি। কিন্তু তোমাকে তো আমি কখনো বলতে পারিনি তোমার বড় আপুর জন্য তোমার বড় আপুর যদি কিছু বলতো। কিন্তু বলতে পারব আমি এখন তোমার বড় আপুর থেকে পারমিশন নিয়েছি আমি। 


ছেলে: তুমি কি এমন কথা বলতে চাচ্ছ যার ফলে আমার আপু তোমাকে পারমিশন দিয়েছে? 



মেয়ে: এখনো বুঝাতে পারতেছি না তোমায় আসলে আমি আমার মনের ভালোবাসার কথাগুলো বলতেছি।আসলে আমি তোমার আপুর থেকে পারমিশন নিয়েছি যে আমি তোমাকে ভালোবাসতে চাই। বলেছে যা করবি কর কিন্তু তোরা পড়াশোনা ঠিক করে যা। আর দেখো আজকে আমাদের নিয়তি আমি তোমাকে যে ভালোবাসার কথা বলতে এসেছি আর ঠিক তখনই তোমায় তোমার গার্লফ্রেন্ডের কথা আমাকে বললে আসলে সত্যি কথা এই যে তুমি আমাকে কখনো কল্পনা করো নি। আসলে আমারই ভুল হয়েছিল আমি সমস্ত কিছু একটু বেশি বুঝিয়েছি তুমি কিছু মনে করিও না আচ্ছা। 



ছেলে: না, না কি বলো তুমি আমি আবার কী মনে করবো আমিতো এটা আসলে কখনোই কল্পনা করতে পারিনি আর তুমি আমাকে ওভাবে কখনো বলোনি। এখন সত্যি কথা বলতে খারাপ লাগতেছে যে আমি তোমাকে কখনো ভালবাসার চোখে দেখিনি। 


মেয়ে; বাদ দাও না ওইসব তুমি ভালো থাকো তোমার ভালো থাকাটাই আমার ইচ্ছে। 


ছেলে: আসলে আমি এখন একটা সত্যি কথা বলি আমি যে আমার গার্লফ্রেন্ডের বর্ণনা দিয়েছি তার নাম জানো। 


মেয়ে: তোমার গার্লফ্রেন্ডের নাম জেনে আমি কি করবো আমাকে দরকার নেই তুমি তোমার মাঝে রেখ তাহলেই হবে। 


ছেলে; আরে কী বলো তোমাকে যদি আমি না বলি তাহলে তো আমি আর কাউকে বলতে পারব না আগে শুনোয় না নামটা। 


মেয়ে: আজকে তোমার গার্লফ্রেন্ডের নাম আমার শোনার কোন ইচ্ছে ছিল না তুমি যখন বলতে চাচ্ছ তাহলে বল। 


ছেলে: আমার গার্লফ্রেন্ডের নাম হলো রিয়া আমি এতক্ষণ ধরে তার বর্ণনায় দিচ্ছিলাম। 


মেয়ে: মানে কি রিয়া তো আমার নাম তাহলে কি তুমি এতক্ষণ ধরে আমার সাথে ফাইজলামি করতে ছিলে?


ছেলে: হ্যাঁ, আসলে আমি দেখতে ছিলাম আমার এই কথা বলার পর তুমি কেমন করে থাকতে পারো। 


মেয়ে; সব ফাজলামির একটা সীমা থাকে তুমি তার সীমা অতিক্রম করেছ তোমাকে তো আমি ছাড়তেছি না তোমার আজকে বারোটা বাজিয়ে দেবো। 


ছেলে: কি বললে আমার বারোটা বাজিয়ে দিবে তাহলে তো আমাদের বিয়ের রাতে তো কিছু করতেই পারব না?


মেয়ে: এতক্ষণ ধরে কাহিনী করলে এখন আবার একটা কাহিনী করতেছ তোমার কিছুই করতে লাগবে না তুমি শুধু চুপ করে থাকবে আর বাকি কাজটা আমি তোমাকে কমপ্লিট করে দেবো ধীরে ধীরে। 


ছেলে: সবকিছু ঠিক আছে কিন্তু আমিতো ধীরে ধীরে পছন্দ করি না আমারতো ফাস্ট চাই তোমাকে ফার্স্ট হতে হবে। মানে বুঝতে পেরেছো তো কতটা দ্রুত হতে হবে তোমাকে 

দুর্বল হলে কিন্তু তোমাকে চলবে না। 

    

মেয়ে:: আমি কিন্তু কখনো দুর্বল না আমি সব সময় সবল। এখন কাহিনী ওইটা না কাহিনী হচ্ছে তুমি কি জন্য প্রথমে আমার সাথে এমন করলে যে তুমি আমাকে ভালোবাসো না। 


ছেলে;এমন বললাম নাকি আমি তোমাকে ভালোবাসি না আমি তো বলছিলাম আমার একটা আর কি আমার গার্লফ্রেন্ড টা কে তা তুমি শুনতে চেয়েছ? খেয়েছ তাতো কখনো শুনতে চাওনি অযথা তুমি একটু বেশি বেশি বললে। যাই হোক আমার কিন্তু তখনকার বিষয়টা অনেক ভালো লেগেছে। আমিতো এখনো তোমাকে প্রপোজ করলাম না আই লাভ ইউ জানু আই লাভ ইউ টু জানু। 


মেয়ে: আই লাভ ইউ টু মানে কি আই লাভ ইউ টু তো আমি বলব তুমি কেন বললা? 


ছেলে; তোমার কাজটা আমি একটু সোজা করে দিলাম তুমি যদি বলতে ভয় পাও এখন সেজন্য। 


মেয়ে: তুমি আমার সাথে এখন যা কাহিনী করে দিচ্ছ না তাতে মনে হচ্ছে আমি তোমাকে গলা টিপে মেরে ফেলি। 


ছেলে: ওমা তাহলে তো তুমি বিধবা হয়ে যাবে আর তুমি আমাকে নিয়ে বাসর ঘর যেতে পারবেনা। আমি কি চাই যে তুমি বাসর আমার সঙ্গে করো না 

অন্য কারো সঙ্গে করো? 


মেয়ে: আচ্ছা, হয়েছিলাম তোমাকে অত টেনশন করতে হবে না তোমাকে আমি মেরে ফেলবো না। 


ছেলে: এই তো এতক্ষণে দিখি আমার জান পাখি তো সবকিছু বুঝতে পেরেছে ও আমার জান পাখি তোমার কি এখন ইচ্ছে আছে আমরা বিয়ের আগে অন্য কিছু করে নেই। 


মেয়ে: আকাশেতে আমার কৈশোরের ইচ্ছে নাই তাকে বিয়ে হোক তারপর দেখা যাবে আর এখন যদি কিছু উল্টাপাল্টা করি তাহলে আপু আমাদের শেষ করে দেবে। 


ছেলে:তা তো অবশ্যই আপু আমাদের একে বার শেষ করবে? আচ্ছা, এখন তো একটা কিস দিবে। তুমি কি তা দিতে পারবে না? 


মেয়ে; হ্যাঁ, আমার গার্লফ্রেন্ড আমি এখন দিতে পারতাম কিন্তু পাবলিক প্লেসে দেবো না। আরে আমি যখন দিব তাহলে আমার বাসর ঘরে আর বাসরঘরে আমি দেবো তোমাকে এটা টেনশন করতে হবে না। 


ছেলে: আচ্ছা, ঠিক আছে তাহলে আমি অপেক্ষায় থাকলাম আমাদের বিয়ের দিন। 



সময় স্বল্পতার কারণে আমি আমার এই গল্পটা এখানেই শেষ করলাম পরবর্তীতে আমি আমার বড় আপুর সহযোগিতায় রিয়াকে বাড়ির বউ করে নিতে পেরেছিলাম আর এভাবে আমার এই গল্পে রিয়া হলো আমার বোনের একমাত্র বান্ধবী আর আমার হলো বউ। এতক্ষণ পাশে থাকার জন্য আপনাদের সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ধন্যবাদ আপনাদের। 


1 Comments

Post a Comment

Previous Post Next Post