লেডি কুইন চ্যাপ্টার ০২ পর্ব ১০ | Leady Queen chapter two part 10 | bdstoryboo.com

লেডি কুইন চ্যাপ্টার ০২ পর্ব ১০ | Leady Queen chapter two part 10 | bdstoryboo.com     

পর্ব ১০

লেখাMeherab Kabbo

#মি_টম



তাসনিমের বন্ধুরা এসে
- কি রে তুই হঠাৎ এতো চেঞ্জ বুঝলাম না৷
- কোথায় চেঞ্জ হলাম?
- কোথায় চেঞ্জ মানে তুই ঐ ছেলের সাথে বন্ধুত্ব করার জন্য এমন করলি কেন?
- আমি নিজে ও জানি না। 
- এসব কি পাগলামি শুরু করছিস। 
তাসনিম হাতে তাকিয়ে
- কেমন একটা মায়ায় পড়ে গেছি। 
তাসনিমের সব বন্ধুরা অবাক হয়ে গেলো।  তাসনিম উঠে হাটা দিলো। 

শুভ্র চিরকুটের লেখাটা দেখে হা হয়ে আছে।  আশফার দিকে তাকালো আশফা বললো
- কি লেখা?
শুভ্র আশফার হাতে চিরকুট টা দিলো।  আশফা লেখাটা দেখে অবাক হয়ে।  (চিরকুটে লেখা ওয়েলকাম টু প্রাণের শহর)
- কে দিলো এটা?আর কেন বা দিলো সামনে না এসে?
- নিশ্চয়ই কোনো রহস্য আছে। খুজে বের করতে হবে। 
- হ্যা ঠিকি বলেছো। 
শুভ্র আশফা গাড়িতে উঠে চলে গেলো। 


থানার ভেতর রয় এসে আকবরকে বললো
- স্যার স্যার আপনি বলে পদক্ষেপে যাবেন এখনো বসে আসেন। 
আকবর উঠে দাঁড়িয়ে
- না যাবো না।  একটা কথা ভাবলাম  গতকাল থেকে
- কি স্যার ?
- ওদের সাথে হাত মিলাবো।  এত তাড়াতাড়ি তো মরলে তো হবে না।  বউ বাচ্চা পড়ে খাবে কি?
- হ্যাঁ স্যার আমি আপনাকে এটাই বোঝাতে চেয়েছিলাম।  ওদের সাথে লড়তে গেলে আমাদের এ প্রাণ টা যাবে। ।
- তুমি একটা কাজ করো৷
- কি স্যার ?
আকবর রয় কে সব কথা বললো।  রয় হেসে দিয়ে
- ওকে স্যার।  আপনি যেমনটা বলেন। 

রয় থানা থেকে বের হয়ে গেলো।  আকবর চেয়ারে বসে হেসে উঠলো।  আর বলছে সবে তো শুরু।  মূলটাকে কিভাবে টেনে আনা যায় এটা শুধুই আকবর জানে।  ফলটা তো হাতে আসুক আগে। 


হৃদ নদীর পাড়ে বসে আছে পাশে দাঁড়িয়ে আছে জেসি।  জেসি হৃদকে বললো
- কি সমস্যা কি তোমার?  কথা বলছো না কেন?
- আমাকে একটু একা থাকতে দাও। 
জেসি হৃদের পাশে বসে হৃদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে
- কি হয়েছে বাবুটার? মন খারাপ কেনো?
- ও আমাকে এত বড় কথা শোনালো।  এভাবে অপমান করলো। 
- কে?
- শুভ্র।
- কেন কি বলছে?
- আমি বলে কোনো কাজের না।  সারাদিন মেয়ে নিয়ে ফুর্তি করি।  শহরের অবস্থা আমাদের আয়ত্তে নেই। 
- কি এসব বলছে?  একদিন এসে পারলো না আর তোমাকে এসব বললো। 
- আমি ওকে দেখে ছাড়বো। 
- তুমি কি শুভ্র কে ভয় পাও?
- না পায় না। 
- তাহলে ওর সামনে মাথা নিচু করো কেন? এই শহরে তো তোমার অনেক নাম ডাক। তাহলে ওকে দেখে কেন ভয়তে মাথা নিচু করতে হবে।  ওকে দেখিয়ে দিতে হবে৷
- ঠিকি বলেছো ।  ওকে দেখিয়ে দিবো। 
হৃদ উঠে দাঁড়ালো।  জেসি ও উঠে দাঁড়ালো।  জেসি বললো
- তাহলে বাসায় যাও। 
- চলো তোমাকে আগে দিয়ে আছি। 
- না আমি চলে যেতে পারবো।  তুমি বাসায় যেয়ে আমাকে কল দিবা। 
- ঠিক আছে। 
হৃদ চলে গেলো৷  জেসি নদীর দিকে তাকিয়ে
- জোয়ার ভাটায় নাওয়ের টানে, হারিয়ে যাবে কতোকিছু।  সময়ের টান সময়ে না বুঝলে হারাবে যে কতকিছু। 

লেডি কুইন চ্যাপ্টার ০২ পর্ব ১০ 




শুভ্রের গাড়ি যেয়ে ডালিয়া চৌধুরীর বাড়ির সামনে যেয়ে থামলো।  বাড়ির সামনে থেকে মেয়েরা থালা হাতে ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে শুভ্রদের বরণ করবে বলে৷ ডালিয়া চৌধুরী খুশিতে দৌড়ে আসলো৷   শুভ্র আশফা গাড়ি থেকে নামতেই ফুল এসে ওদের মাথায় ছিটাতে লাগলো।  ডালিয়া চৌধুরী আশফাকে জরিয়ে ধরে
- কোনো সমস্যা হয়নি তো আসতে মামনি।
-না খালামনি।  আর কে আমাদের সমস্যা করবে।  সেই কলিজা কারো আছে। 
ডালিয়া চৌধুরী হেসে উঠলো।  শুভ্র বললো
- সেই দুজন কই
- আছে বাসার ঐ পাশে।  আগে তোমরা ফ্রেশ হয়ে খেয়ে রেস্ট নাও।  পড়ে দেখো৷ 
- না এখন

শুভ্র আশফা ডালিয়া চৌধুরী, আশরাফ চৌধুরী ও মর্জিনা খানের সামনে যেয়ে দাড়ালো। 



আয়ান বসে আছে ইমনের সামনে।  আয়ানকে তুলে নিয়ে আসা হয়েছে।  তাসনিমের ঘটনাটা  ইমনের কানে গেছে তার জন্য আয়ানকে তুলে এনেছে।  আয়ান ইমনের দিকে তাকিয়ে আছে।  ইমন উঠে দাঁড়িয়ে
- কে তুই?  আর তোর এত ভাব কই থেকে পাস৷  তোর তো রাজকপাল রে আমার বোন তোর দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিছে।  কিন্তু তুই বন্ধুত্ব করতে চাসনি কেন?
আয়ান আমতা আমতা করে
- আ আ আমি কারো সাথেই বন্ধুত্ব করি না।
ইমন ধমক দিয়ে
- তুই আমার বোনকে কেন ফিরিয়ে দিলি?
- আমি গ্রামের ছেলে৷  আপনাদের নাম খ্যাতি অনেক।  আমার সাথে বন্ধুত্ব করলে সমাজে মাথা কাটা যাবে তাই করিনি।  আর আমি চাই না  কারো
আয়ান থেমে গেলো বললো না।  ইমন বললো
- থেমে গেলি কেন?  বল কি না চাই না কারো?
- না মানে ইয়ে
- সোজা কথায় বল। তোর ইয়ে না মানে
আয়ান উঠে দাঁড়িয়ে
- আমি চাই না পিছন থেকে কারো গালি খেতে।  আপনারা যে কাজ করেন তা কি আদৌ ঠিক কি না জানেন।  মানুষের সামনে গেলে মুখে বাহাবা দেয়।  সামনে থেকে সরে আসলে গালি দেয়।  আমি চাই না বন্ধুত্ব করে কোনো ঝামেলায় জড়াতে।  আমাকে যেতে দেন। 
ইমন রেগে আয়ানের দিকে তেড়ে যেয়ে
- তোর সাহস তো কম না। 
তখনি ইমনের ফোন বেজে উঠলো৷ ফোনটা রিসিভ করে আবার ফোনটা পকেটে ঢুকিয়ে রেখে
- ঐ ওকে ভালোভাবে বাসায় পৌঁছে দে। 
আয়ান পুরোই অবাক হয়ে গেলো মাত্র মারতে আসলো আবার থেমে যেয়ে এই কথা।   আয়ান ইমনের লোকের সাথে চলে গেলো। 



মর্জিনা খান আশরাফ চৌধুরী শুভ্র আর আশফার দিকে তাকালো৷  শুভ্র জোরে হেসে দিয়ে
- আহারে কি অবস্থা।  অনেক কষ্ট মনে তাই।  তোদের এই ভাবে তিলে তিলে মারবো৷  নাই তোদের ছেলে মেয়ের মতো পুড়িয়ে মারতাম।
- আসবে ওরা আসবে।  তোদের এই সব ক্ষমতা শেষ করে দিবে।  তুই মরবি।  তুই কাদবি। 
আশফা শুভ্র ডালিয়া চৌধুরী জোরে হেসে উঠলো
শুভ্র বললো
- আসবে না কখনোই আসবে না।   সেই স্বপ্ন আর দেখিস না। 

আয়ান বাসায় পৌঁছাতেই রিমা এসে সামনে দাঁড়ালো।  রিমা আয়ানকে যে কথা বললো তাতে পুরো থ হয়ে গেলো...........

(Waiting for next part) 

Post a Comment

Previous Post Next Post