লেডি কুইন চ্যাপ্টার টু পর্ব ০৯ | Leady queanchaptertwo part 09 | bdstoryboo.com

 লেডি কুইন (চ্যাপ্টার ০২)

পর্ব ০৯

লেখা:Meherab Kabbo
#মি.টম


ডালিয়া চৌধুরী হৃদকে পাশে নিয়ে
- তুমি এই মেয়েটাকে এখানে নিয়ে এসেছো কেন?
-মম আমি তোমাকে ওর সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো বলে নিয়ে এসেছি।
- তোমাকে দিয়ে একটা কাজ ঠিক মতো হয় না। হবে না।  এখানে আমাদের পারসোনাল কিছু কথা আছে।  ও থাকলে সমস্যা। 
- মম কোন সমস্যা হবে না।
- তুমি কি জানো কোনো সমস্যা হবে না।  ও যদি পুলিশকে ইনফর্ম করে। 
- মম ও তেমন মেয়ে না ওকে।   চলো সবাই অপেক্ষা করছে। 
ডালিয়া চৌধুরী সবার সামনে এসে দাঁড়ালো।  হৃদ জেসির পাশে যেয়ে দাঁড়ালো। ডালিয়া চৌধুরী প্ল্যানের সব কথা বলতে থাকতে।  সবাই খুব মনোযোগ দিয়ে শুনছে।  হঠাৎ করে জেসি বলে উঠলো
- এখানে একটু ভূল আছে।  আর এই ভূলের জন্য অনেক বড় বিপদ হতে পারে৷ 
- মানে তুমি কি বলতে চাচ্ছো। 
- আপনি যদি এখানটার জায়গায় এটা করেন তাহলে হবে না। 
- কেন?  তো কি করতে হবে। 
জেসি সবকিছু বললো।  ডালিয়া চৌধুরীর মুখে হাসি ফুটে উঠলো।  ডালিয়া চৌধুরী জেসিকে কাছে টেনে নিলো।  হৃদকে বললো
- এতোদিনে মনের মতো একটা কাজ করলা। 
- দেখতে হবে না ছেলেটা কার। 
- যা ওকে বাসায় দিয়ে আয়। 
হৃদ জেসিকে নিয়ে চলে গেলো।  ক্লাবের ভেতর থেকে সবাই চলে গেলো।  ইমন এসে
- ম্যাডাম মেয়েটা কে?
- আমার হবু বউমা। 
- ম্যাডাম আমার কাছে মেয়েটাকে সুবিধান মনে হচ্ছে না।
ডালিয়া চৌধুরী বললো
- কেন?  তোরা ভূলটা ধরিয়ে দিতে পারলি না ও ধরিয়ে দিলো বলে সুবিধান না।  আমি কতো বড়ো একটা বিপদ ডেকে আনতেছিলাম। 
- ম্যাডাম আমি তা বলতে চায়নি। 
- মেয়েটার মাথায় ভালো বুদ্ধি আছে।  সামনে আমার জায়গাটা ধরে রাখতে পারবে। 
- না জেনে শুনে এতো আশা করেন না। 
- তুই চুপ থাক যা কাজ কর।  আর একটা ও কথা বলবি না। 
- ঠিক আছে। 
ইমন চলে গেলো।  ডালিয়া চৌধুরী বাসায় চলে গেলো। 

পরের দিন সকালে ভার্সিটিতে ব্লাক কালারের কার এসে থামলো৷ সবাই অবাক হয়ে গেলো।  গাড়ি থেকে শুট প্যান্ট পড়া একটা লোক নামতেই হৃদ উঠে দাঁড়ালো।  সবাই মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে পড়লো।  জেসি পাশে বসে অবাক হয়ে গেলো।  হৃদ জেসির হাত ধরে টান মারছে কিন্তু জেসি উঠছে না।  লোকটা চারপাশ ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে নিলো।  মুখে হাসি ফুটে উঠলো। 
হৃদ জেসিকে ফিসফিস করে বলছে
- উঠে দাঁড়াও।
- কেন?
- বলছি তোমাকে।  আগে তো দাঁড়াও। 
জেসি উঠে দাঁড়ালো। 
শুট পড়া লোকটা গাড়ির দরজা খুলে হাতটা বাড়িয়ে দিলো।  জিন্স টপ  চোখে চশমা পড়া একটা মেয়ে বেরিয়ে আসলো।  সবার আকর্ষণ মুহুর্তের ভেতরেই কেরে নিলো। 

( কি ভাবছেন মেয়ে আর ছেলেটা কে? বলবো বলবো গল্পের আসল রুপে চলে এসেছি ☺☺)


শুট পড়া লোকটা আর কেউ নই শুভ্র।  আর মেয়েটি হচ্ছে আশফা।
জেসি হৃদকে বললো
- কে উনারা যে এতো রেসপেক্ট দিচ্ছো। 
- আরে ও হচ্ছে শুভ্র আর ও শুভ্রের ওয়াইফ আশফা। লেডি কুইনের ছেলে একমাত্র৷
- ও যদি লেডি কুইনের ছেলে হয় তাহলে তুমি কি?
- চুপ থাকো পড়ে বলছি সব। 

শুভ্র আর আশফা দুজনে দুজনের দিকে তাকালো।  হৃদ শুভ্রের সামনে যেয়ে দাঁড়ালো মাথা নিচু করে।  শুভ্র বললো
- শহরে এতো কিছু ঘটে গেলো কোনো খোঁজ রাখতে পারলি না।  কি জন্য রেখেছি তোদের।  কে কারা এসব কাজ করছে জানতে পারলি না।  যা সামনে থেকে।  সারাদিন শুধু মেয়ে নিয়ে ফুর্তি করবি। 

হৃদ চলে গেলো

আশফা শুভ্র কে বললো
- আমাদের অন্যের উপর ভরসা করা ঠিক হয়নি। 
- কি করবো বলো।  সবটুকু হাতের মুঠোয় তো আনতে হবে। 
- হুম এইবার ভালোভাবে রিল্যাক্স করা যাবে। 
- হ্যা। 

শুভ্র  আশফা সোজা প্রিন্সিপালের রুমে চলে গেলো। 

লেডি কুইন চ্যাপ্টার টু পর্ব ০৯ 







আয়ান তিথির দিকে তাকিয়ে
- কারা ছিলেন ওনারা। 
- লেডি কুইনের নাম শুনেছো
- কোন লেডি কুইন।  আগে তো শুনোনি
- ওহ তুমি আবার এসব জানবা কি করে?  ওরা মানুষটা খারাপ। 
- ওও।
আয়ান ক্লাসে চলে গেলো।  তিথি কান থেকে Bluetooth টা বের করে নিলো।  কিছুক্ষণ পর তাসনিম আসলো।  আয়ানের সামনে যেয়ে দাঁড়ালো।  আয়ান তাসনিমের দিকে তাকালো। তাসনিম বললো
- কি ভাবলি?
- না আমি বন্ধুত্ব করতে পারবো না। 
তাসনিম হা হয়ে গেলো।  তাসনিম আয়ানের কলার ধরে দাঁড় করালো।  তারপর বললো
- তুই আমাকে এভাবে রিজেক্ট করলি।  তুই জানিস তোর কি অবস্থা হবে। 
আয়ান কিছু বললো না।  তাসনিমের হাত থেকে কলারটা ছাড়িয়ে নিয়ে ক্লাস থেকে বের হয়ে গেলো।  তাসনিম রাগে বেঞ্চের উপর ঘুসি মারলো।  তাসনিমের হাত ফেটে রক্ত বের হচ্ছে।  তাসনিম ক্লাস থেকে বের হয়ে গেলো।   আয়ান গাছ তলায় বসে ছিলো।  তাসনিম আয়ানের সামনে আবার দাঁড়িয়ে
- তুই আমার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলি।   তোর অনেক ভাব তোকে আমি খুন করবো। 
আয়ানের চোখটা তাসনিমের হাতের দিকে গেলো। তাসনিমের অন্য হাত ধরে একটান মেরে পাশে বসালো।  তাসনিম পুরো থ হয়ে গেলো।  আয়ান ব্যাগ থেকে তুলো বের করে তাসনিমের হাত ধরে রক্ত পরিষ্কার করছে।  আয়ান বললো
- কিছুদিন হলেন হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরছেন।  এখন আবার রক্ত বের করলেন অসুস্থ হয়ে যাবেন তো আবার।  এমন পাগলামি করেন না। 
তাসনিম আয়ানের মুখের দিকে এক পলকে তাকিয়ে আছে।  আয়ানকে দেখছে তাসনিম। ।  আয়ান আবার বললো
- আমার মতো ক্ষ্যাত ছেলেকে বন্ধু বানালে আপনার সম্মান চলে যাবে।  আপনার বন্ধু মহলে আমাকে নিয়ে চলতে পারবেন না।  সবাই অনেক কথা শুনাবে। 

তাসনিমের হাতে ব্যান্ডেজ করে দিয়ে আয়ান উঠে চলে দাঁড়িয়ে
- আমার সাথে বন্ধুত্ব করলে আপনার এত সুন্দর লাইফটা থাকবে না।  যেমনটা আছে ওমনি থাকুন। 
আয়ান চলে গেলো।  তাসনিম এক পলকে চেয়ে আছে।  তাসনিমের বন্ধুরা এসে তাসনিমকে ঘিরে ধরলো । 


শুভ্র আর আশফা দুজনে প্রিন্সিপালের রুম থেকে বেরিয়ে গাড়ির কাছে যেতে একটা পিচ্ছি এসে শুভ্রের হাতে একটা কাগজ দিয়ে দৌড়ে চলে গেলো।  শুভ্র অবাক হয়ে কাগজটা খুলে কাগজের লেখা পড়ে চোখ বড় বড় হয়ে গেলো......


(Waiting for next part)

এসেছি যখন তখন শেষটা ও করে দিবো ☺☺☺

Post a Comment

Previous Post Next Post