বেস্টফ্রেন্ডের ছোট বোন(best friend er choto bon) সামির আহমেদ রোহান পর্বঃ ১০

বেস্টফ্রেন্ডের ছোট বোন

পর্বঃ ১০ 

সামির আহমেদ রোহান 



নিরবঃ আমি তো আর আপনার মতো ভিতু না যে না করার পর চলে যাব আমি আবার ট্রায় করছি 

আমিঃ ট্রায় করছিস ভালো কথা,,,,। ভালো ভাবে বুঝালে হতো না 

নিরবঃ আমার যে ভাবে ইচ্ছা আমি বুঝাবো তাতে আপনার কেন এতো সমস্যা আপনার কি লাগে যদি রাজি হয়ে যায় 

তারপর আমি পিছন থেকে সাঈদকে ঈশারা দিলাম আর সাঈদ পিছন থেকে একটা লাফ মেরে মুখের মধ্যে একটা গুসি মারলো 

এটা দেখে ওর সাথের ছেলেরা সব ভয়ে দৌড় দিল

তারপর ওর কলার দরে বললাম

আমিঃ আমার লাগে তাই না, , , , , , । আমার পিছনে মেয়েদের লাইন লেগে থাকে তোর মত না আমি,, , , ,  আমি মেদের পিছনে গুরি না মেয়েরা আমার পিছনে গুরে

এটা বলে শরিরের সব শক্তি দিয়ে একটা থাপ্পড় দিলাম 

সবাই তাকিয়ে ছিক কিন্তু কিছুই বললো না কারণ সবাই যানে কি জন্য ওলে মারতেছি 

তারপর আমি খুশিকে বললাম 

আমিঃ কিরে কিছু বলবি? 

খুশিঃ যা সুন্দর করে মাফ চাবি আর বলবি আপনি আমার বোন হন, , , , , ,। 

নিরবঃ আচ্ছা 

খুশিঃ আর শোন ভুলেও ওরে বলবি না যে আমরা বলতে বলছি 

তারপর নিরব চলে গেল 

আমি,সাঈদ,খুশি ক্লাসে গেলাম 

সাঈদের মন ভরে নাই মেরে ও চাইছিল আরো মারবে 

ক্লাস করতেছি এমন সময় ক্লাসে পিওন আসলো 

সবাই বুঝে গেল কেন আসছে 

পিওনঃ সাঈদ, খুশি, সামির কে ( একটা কাগজ থেকে দেখে বললো ) 

আমি, সাঈদ আর খুশি দাড়ালাম 

পিওনঃ তোমাদের প্রিন্সিপাল স্যার ডাকছে,,,,,। তার রুমে যাও 

তারপর আমরা ৩ জন মিলে সেখানে গেলাম 

প্রিন্সিপাল স্যারঃ সামির তুই কিভাবে এটা করলি,,,,।  তুই তো কখনো মারামারি করিস না,,,,। আমি তোর থেকে এটা আশা করি নি।।

সাঈদঃ স্যার ওতো সেরে দিছে না হলে আমি তো কিছুক্ষন কেলাতাম 

আমি সাঈদকে চুপ করতে বলে স্যার কে বললাম 

আমিঃ স্যার ও কি করছে তা বলে নি

স্যারঃ এর জন্য ভালো ভাবে বুঝাবি মারা টা ঠিক হয়নি

আমিঃ স্যার আর কিভাবে বুঝাতাম , , ,  বুঝানো শেষ পর্যায় পর্যন্ত চলে গেছি তাও বুঝে নাই৷,।, ,  আর কি কি বলছে এগুলা আপনি অন্যান্য স্টুডেন্ট থেকে শুনে নেন,।,।,।,।আর এমন ও না যে কেউ দেখে নাই 

স্যারঃ কিন্তু মারা ঠিক হয় নি আমার কাছে বলতি

তারপর আমি স্যারের what's app ২টা ভিডিও দিয়ে বললাম স্যার দেখে নিন আর যদি উপযুক্ত বিচার না হয় তাহলে স্কল স্টুডেন্ট কে নিয়ে বিচার চাইবো

ভিডিও গুলো ছিল একটা তানিয়াকে প্রপোজ করার সময় এর আরেকটা ওরে মারার সময় এর 

পরে আমি সাঈদ খুশি সেখান থেকে চলে গেলাম

আমি জানি এই কথা এখানেই শেষ আর নিরব TC  পাবে কারণ স্যার কথা গুলো বলছে সম্পূর্ণ কাহিনি না জেনে 

এখন কলেজের প্রায় সবাই জেনে গেছে এই বেপারে 

আমরা ক্লাসে যেতেই সবাই বলতেছিল কিছু বলছে নাকি বললে  আনআন্দোলন করবে 

আমিঃ আরে কিছুই বলে নাই বাদ দে এই সব 

সবাই কিছু হওয়ার আগেই আনন্দোলন করার জন্য রেডি হয়ে থাকে 

তারপর সবাই সবাই যায়গায় বসে ক্লাস করে 

ক্লাস শেষ করে আমরা বাহিরে এসে দাড়ালাম

খুশি সাঈদের কানে কানে কি যেন বললো

তারপর তানিয়া দৌড়ে এসে খুশির সামনে এসে দাঁড়ালো

তানিয়াঃ Thank you আপু (নিচের দিকে তাকিয়ে আছে) 

খুশিঃ Thank you বলার দরকার নেই যা সামনে থেকে 

তানিয়াঃ সরি আপু প্লিজ আর রাগ করে থেকো না 

সাঈদঃ তুমি না হলে অন্য কেউ হলেও আমরা এটাই করতাম, এটা আমাদের দ্বায়িত্ব ছিল  , so এখন এখান থেকে যাও

আবার তানিয়া মন খারাপ হয়ে গেল 

ও মন খারাপ করে সেখান থেকে চলে গেল 

চলে যাওয়ার পর আমি সাঈদকে বললাম 

আমিঃ তুই এগুলা বললি কেন 

সাঈদঃ খুশি বলছে এগুলা বললে আমাকে ট্রিট দিবে 

আমিঃ সালা আর কবে ভালো হবি বল তো

খুশিঃ ঠিকি করছে,, , , , , । তুই বেশি কথা বলবি না 

আর কিছুই বলার নাই 

চুপ করে দাঁড়িয়ে ছিলাম 

খুশিঃ সাঈদ আয় তোর ট্রিট দেই তোকে 

সাঈদঃ হুম চল

আমিঃ আমি

খুশিঃ প্রথমে ভাবছি তোকেও দিব কিন্তু তুই বেশি বুঝিস তোকে দেওয়া যাবে না 

আমিঃ আচ্ছা লাগবে না আমি বাসায় গেলাম (একটু মন খারাপ করার অভিনয় করে ) 

খুশিঃ হইছে আয় বাল

আমিঃ আমি না থাক লাগবে না 

খুশিঃ না লাগলে তো ভালোই 

আমিঃ কি শয়তান রে 

তারপর গেলাম খুশি খাওয়ালো

খেয়ে ৩ জন ৩ জনের বাসায় চলে গেলাম

বাসায় যাওয়ার পর 

আম্মুঃ যা ফ্রেশ হয়ে খেতে আয় 

আমিঃ না আম্মু খুশি ট্রিট দিছে

আম্মুঃ ছি তোরা ছেলে হয়ে মেয়েদের থেকে ট্রিট নিস

আমি তো অভাক এটা কি আমার মা নাকি খুশির কি বলে এগুলা

তারপর আমি রুমে গেলাম

রুমে যেয়ে ফ্রেশ হয়ে রেস্ট করলাম 

বিকালে বের হলাম একটু হাটতে 

সাঈদকে ও আসতে বললাম

২ জন মিলে একটু ঘুরাঘুরি করে সন্ধ্যার পর বাসায় চলে গেলাম 

আর এই দিকে তানিয়া খুশির কাছে যেয়ে

তানিয়াঃ আপু  🥺 🥺 🥺 সরি আপু

খুশিঃ,,,,,,,,,,,,,,,, 

তানিয়াঃ আপু কথা বল প্লিজ  🥺 🥺 🥺

তাও খুশি কিছু বলে না 

তারপর তানিয়া খুশির পা দরে বসে পরছে 

খুশিঃ পা ছার 

তানিয়াঃ না তোমার রাগ না ভাঙ্গলে আমি পা ছারবো না 

খুশিঃ পা ছারতে বলছি না হলে লাথি দিব বলে দিলাম

তানিয়াঃ তাও ছারবো না,,,,,,। প্লিজ আপু  😭 😭 😭,,,,,।  আমি ওদের কাছেও মাফ চাবো 

খুশিঃ আচ্ছা যদি ওরা বলে যে মাফ করে দিছে তাহলে আমিও করে দিব 

তানিয়াঃ আচ্ছা 

তারপর তানিয়া একটু খুশি হলো কিন্তু তখন ই ভাবতে লাগলো  ( আমাকে কি মাফ করবে আমি কতো কিছু বলছি ওদের,,,,। মাফ না করলে ওর ও পায়ে দরবো তাও আমি এভাবে থাকতে পারবো না৷ ) 

আর আমি কিছুক্ষন Study  করে ঘুমিয়ে গেলাম 

সকালে ঘুন থেকে উঠে ফ্রেশ হলাম গোসল করলাম 

আজ শুক্রবার তাই কলেজ নেই 

গোসল করে মসজিদে যেয়ে নামাজ পরলাম 

তারপর বাসায় এসে খেয়ে কিছুক্ষন শুয়ে থেকে

তারপর বিকেলের দিকে একটু বের হলাম 

খুশি আর সাঈদকেও আসতে বললাম সবাই মিলে গেলাম লেকের পার 

সেখানে ঘুরে খেয়ে আড্ডা দিয়ে সন্ধ্যায় বাসায় চলে আসলাম 

বাসায় এসে কিছুক্ষন Biology বই পড়লাম  🙃 🙃 🙃

তারপর গ্রুপে মেছেজ দিলাম 

আমিঃ কেউ কি আছেন বাসায় 

খুশিঃ না বাসায় কেউ নাই পরে আইসেন এখন ভিক্ষা নাই 

আমিঃ আমাকে দেখে কি তোর ভিখারি মনে হয়

খুশিঃ ভিখারি না হলে ভিখারির মতো ডাক দিস কেন

আমিঃ তুই কি ভিক্ষা করি যে যানিস কিভাবে ভিখারি রা ডাক দেয়

খুশিঃ ভিখারিদের ডাক দেওয়া জন্য ভিক্ষা করা লাগে না ভাসায় আসলেই শোনা যায়

আফরাঃ এ ঝগড়া করে বাবুরা

খুশিঃ আমাদের দেখে কি বাবু মনে হয়   😡 😡

আমিঃ আরে বাল ঝগড়া করিস না ঠান্ডা হ

খুশিঃ বা* হব

আমিঃ কি হইছে এমন রেগে আছিস কেন

খুশিঃ ও আমাদের বাবু বলল কেন

আমিঃ ভুলে বলে ফেলছে

খুশিঃ ভুলে বলবে কেন 

আমিঃ খুশি চুপ করবি

তারপর সবাই মিলে আড্ডা দিয়ে ঘুমিয়ে গেলাম

সকালে ঘুম থেকে উঠে 

Waiting for next part......


সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🥰🥰

নামাজ পড়বেন 🤲🤲

আসসালামু আলাইকুম 🥰🥰

আল্লাহ হাফেজ 🤝🤝

Post a Comment

Previous Post Next Post