বেস্ট ফ্রেন্ডের ছোট বোন
পর্বঃ ০৯
সামির আহমেদ রোহান
আমিঃ আমি আরো ১০ দিন থাকবো রে এখানে (মজা করে বলছি)
খুশিঃ যা তোর আর আসা লাগবে না
আমিঃ আচ্ছা তাহলে আমি আবার নানুর বাসায় চলে যাব সেখানে একটা কোচিংএ ভর্তি হয়ে যাব
খুশিঃ ভালো লাগে না কিন্তু , , , , , । কান্না করে দিব
আমিঃ আরে কুত্তি মজা করে বলছি
খুশিঃ খালি মজা করে 🥺 🥺 🥺
আমিঃ হুম
তারপর খুশির সাথে আরো কিছুক্ষণ কথা বলে ফোন রেখে দিয়ে ঘুমালাম।
সকালে ঘুম থেকে উঠার পর মাহিম বললো আজ নাকি নাইমের জন্মদিন তাই ওখানে যাবে আমিও গেলাম।পরে বললো ট্রিট দিবে।
তারপর আমি আর মাহিম গেলাম নাইমের কাছে মাহিম আর কয়েক জন মাথায় ডিম মারলো আমি দূরে বসে ছিলাম কারণ আজ বাসায় চলে যাব আর ডিম লেগে জামা নষ্ট হয়ে যাবে তাই
তারপর বাসায় চলে আসলাম (মানে মাহিমদের বাসায়)
বাসায় এসে মাহিম গোসল করে জামা কাপর চেঞ্জ করলো
তারপর গেলাম আবার নাইমের কাছে
নাইম নাকি আবার তিশা আর তিশার ২ টা বান্ধুবি কেও ট্রিট দিবে
তারপর সবাই মিলে গেলাম রেস্টুরেন্টে সেখান থেকে খেয়ে এসে আমি বাসায় চলে আসলাম
আমি আর খুশি কে বলি নাই যে বাসায় চলে আসছি সাঈদ কেও বলি নাই
বাসায় আসতে আসতে বিকেল হয়ে গেল
আমি এসে কিছুক্ষন রেস্ট নিলাম
রাতে খুশি মেছেজ দিল
খুশিঃ দোস্ত
আমিঃ হুম
খুশিঃ অনেক দিন তো হলো এখন তো চলে আয়
আমিঃ আর বেশি না ২ দিন, , ,, , , । তারপর ই চলে আসবো
খুশিঃ আরো ২ দিন
আমিঃ হুম
খুশিঃ আচ্ছা
আমিঃ হুম
আরো কিছু কথা বলে ঘুমিয়ে গেলাম
পরের দিন সকালে তারাতারি উঠে কলেজ গেলাম
কলেজ যাওয়ার আগে একটা দোকান থেকে কিছু চকলেট কিনে নিলাম খুশির জন্য
সাঈদের জন্য ও নিলাম
আমি জানি সালা চাইবেই তাই নিছি
তারপর কলেজ গেলাম
প্রথিমে আমি অন্য একটা যায়গায় যেয়ে বসলাম
দেখলাম একটু পর খুশি এসে আমাদের আড্ডার যায়গায় বসে আছে
আমি যেয়ে পিছন থেকে মাথার মধ্যে হালকা করে একটা থাপ্পড় দিলাম
তারপর খুশি পিছনে তাকিয়ে বললো যা বাল দিন দুপুরেও সপ্ন দেখি সামির তো ওর কাজিনের বাসায়
এটা বলে আবার পিছনে তাকিয়ে বললো
খুশিঃ কিরে কুত্তা তুই না ২ দিন পর আসবি
আমিঃ আরে আমি তো কাল ই চলে আসছি
খুশিঃ 😐 😐 😐 😐
আমিঃ দোস্ত নে (চকলেট দিয়ে)
এটা বলতে না বলতেই সাঈদ এসে হাজির
সাঈদঃ হ ওরেই দে
আমিঃ ও তো মেয়ে ও চকলেট খায় তুইও কি চকলেট খাবি?
সাঈদঃ দে চকলেট ই খাবো
আমি তারপর সাঈদের জন্য আনার চকলেট টা দিলাম(আমি জানতাম ও এটা বলবে তাই নিয়ে আসছি)
তারপর আমরা সবাই মিলে আড্ডা দিলাম
আড্ডা দিয়ে ক্লাসে চলে গেলাম অনেক দিন পরে ক্লাসে আসছি
ক্লাস থেকে বের হয়ে বসে আছি দেখি তানিয়া বের হলো
আমার দিকে কেমন করে যেন তাকালো
আর মনেই হচ্ছে ভালো নেই
মনে হয় খুশি ওর সাথে কথা বলে না
এটা মনে হলো কারণ আগে খুশি আর তানিয়া এক সাথে বাসায় যেত আর এখন একা একা যায়
তাই মনে হলো আর কি
তারপর আমি খুশি কে বললাম
আমিঃ কিরে তোর বোন বাসায় যাচ্ছে তুই যাবি না , , , , ?
খুশিঃ আমার কোন বোন নেই
আমিঃ থাপ্পড় চিনিস
খুশিঃ বেশি কথা বলবি না
আমিঃ আচ্ছা কথা বলিস না কেন
খুশিঃ যার আমাকে বোন মানতে সন্দেহ হয় তাকে বোন মানা আমার পক্ষে সম্ভব না
আমিঃ চুপ আবার এই কথা বলিস
খুশিঃ তো কি কথা বলবো
আমিঃ এগুলা বলা ভালো না
খুশিঃ ভালো মন্দ আমি কিছু যানি না
আমিঃ প্লিজ দোস্ত
খুশিঃ কুত্তা বেশি কথা বলবি তো তোর সাথেও কথা বলবো না
আমিঃ যা বাবা ভালো বললেও দোষ
খুশিঃ তোর ভালো বলা লাগবে না
আমিঃ হুম
সাঈদঃ বাল আয় তো এখানে না দাড়িয়ে থেকে বাসায় যাই
আমিঃ হুম চল
তারপর ৩ জন কলেজ গেট দিয়ে বের হয়ে যে যার বাসার দিকে হাটা সুরু করলাম
তারপর বাসায় চলে আসলাম
বাসায় এসে শুয়ে আছি এমন সময় আম্মু এসে বললো
আম্মুঃ আচ্ছা বাবা তোকে একটা কথা জিজ্ঞেস করি
আমিঃ হুম আম্মু বলো এতে বলার কি আছে
আম্মুঃ তোকে কিছু দিন যাবত অন্যমনস্ক লাগছে , , , , । আগে তোকে তোর নানু বাসার কথা বললে পারলে বাসায় ই আসতি না , , , , । আর তুই আবার গেলি নানু বাসায় , , ,। যেই তুই ১৪ বছর হলো মাহিমদের বাসায় যাস না সেখানেও গেলি , , , , কি হয়েছে বলবি ( কথায় বলে না মায়ের চোখ কখনো এরায় না)
আমিঃ আরে আম্মু কিছু হয় নাই , , , , । অনেক দিন হলো বাসায় থাকি কোথাও যাই না , , , তাই নানু বাসায় গেছি , , , , আর আসার আগের দিন রাতে মাহিম কল দিছে আমি বললাম আমি নানু বাসায় তখন বললো আমাদের এখানে আয় আমি যাইতে চাই নাই ও অনেক দিন দরে বলতেছিল যাইতে তাই গেছি , , , , , তেমন কিছু ই হয় নাই
আম্মুঃ ওহ আচ্ছা আমি তো তাহলে শুধু শুধু টেনশন করছিলাম, , , , । আর শোন যদি কিছু হয় তাহলে আম্মুর সাথে বলবি
আমিঃ আচ্ছা 🥰 🥰 🥰 🥰 🥰 🥰
তারপর আম্মু চল গেল
এভাবেই কিছু দিন চলতে লাগলো
খুশি তানিয়ার সাথে কোন কথাই বলতো না কোন কিছু জিজ্ঞেস করলে এক কথা বলে দিন জানি না
তারপর একদিন বসে আছি আমরা
তানিয়া কলেজ আসলো
তানিয়া গেট দিয়ে ডোকার পর একটা ছেলে তানিয়া কে প্রপোজ করলো
নিরবঃ i love you🌹🌹
তানিয়াঃ সরি আমি কোন রিলেশন করবো না ( এটা বলে চলে যাবে তখন )
নিরবঃ আরে শোনা কোথায় যাচ্ছো ( তানিয়ার হাত দরে )
তারপর তানিয়া আমাদের দিকে তাকালো মনে ভাবছিল খুশি কিছু বলবে কারণ খুশি ( মানে আমরা ) এই কলেজের সিনিয়র এখন
প্রথম আমি রেগে যাইতে চাইছিলাম সেখানে
কিন্তু খুশি আমাকে আটকে দিছে
পরে তানিয়া কান্না করে ক্লাসে চলে গেল
তারপর খুশি রাতুল নামের ওদের সাথের একটা ছেলেকে দিয়ে নিরবকে কলেজে পিছনে ওখানে একটা ছোট পুকুর আচগে বেশির ভাগ ছেলে মেয়ে সেখানে বসে আড্ডা দেয়
তারপর খুশি বললো
খুশিঃ আয়
তারপর আমরা ৩ জন পুকুর পার গেলাম
রাতুল নিরবকে নিয়ে আসলো
সাঈদ তো রেগে পুরা আগুন
সাঈদঃ সা** ( বলে যেই যাবে আমি আর খুশি মানা করলাম )
পরে ও সামনে আসলো
আমিঃ কিরে কি করতেছিলি ওখানে
নিরবঃ কেন ভাই দেখেন না নাকি,, , , , । প্রপোজ করছি,, , , ভাই এটা কি অন্যায় নাকি আপনি ও তো করছেন
আমিঃ দাড়া আমি এক বার ও বলছি প্রপোজ করা অন্যায়
নিরবঃ তাহলে এখানে ডেকে আনলেন কেন
আমিঃ প্রপোজ করা পর কি করছিস
নিরবঃ আমি তো আর আপনার মতো ভিতু না যে না করার পর চলে যাব আমি আবার ট্রায় করছি
আমিঃ ট্রায় করছিস ভালো কথা,,,,। ভালো ভাবে বুঝালে হতো না
নিরবঃ আমার যে ভাবে ইচ্ছা আমি বুঝাবো তাতে আপনার কেন এতো সমস্যা আপনার কি লাগে যদি রাজি হয়ে যায়
তারপর আমি পিছন থেকে সাঈদকে ঈশারা দিলাম আর সাঈদ পিছন থেকে একটা লাফ মেরে মুখের মধ্যে একটা গুসি মারলো এটা দেখে ওর সাথের ছেলেরা সব ভয়ে দৌড় দিল
Waiting for next part........
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🥰🥰
নামাজ পড়বেন 🤲🤲
আসসালামু আলাইকুম 🥰🥰
আল্লাহ হাফেজ 🤝🤝
Post a Comment