লেডি কুইন (চ্যাপ্টার টু)
পর্ব ৭
লেখা: Meherab Kabbo
জেসিকে পুলিশ এসে ধরে গাড়িতে উঠাবে । ভার্সিটির সবাই অবাক হয়ে আছে। আয়ান এই দৃশ্যটা দেখে থ মেরে গেলো। এর ভেতর হৃদ এসে
-কি হচ্ছেটা কি এখানে? আপনারা ওকে গাড়িতে উঠাচ্ছেন কেন?
রয় বললো
-ওকে থানায় নিয়ে যাবো। কিছু জিঙ্গাসাবাদ করার আছে।
হৃদ হেসে উঠে
-আপনাদের তো দেখি সাহস কম না। আমার ভার্সিটিতে এসে তাও আমার ভার্সিটির স্টুডেন্ট কে তুলে নিয়ে যাবেন। ত কখনো সম্ভব না।
-এটা আমাদের ডিউটি। এই ওকে গাড়িতে তোলো।
হৃদ চোখ মুখে রাগি মুডে
-রয়। আপনি কিন্তু ভূল জায়গায় হাত দিয়েছেন। সম্মান নিয়ে ভার্সিটি থেকে চলে যান।
রয় ফোনটা বের করে আকবরকে ফোন দিয়ে সবটা জানালো তারপর জেসিকে রেখে চলে গেলো। হৃদ সবার উদ্দেশ্যে বললো
-সবাই হা করে কি দেখছো যে যার ক্লাসে যাও।
হৃদের কথা শুনে সবাই যে যার ক্লাসে চলে গেলো। হৃদ জেসির সামনে দাঁড়িয়ে
-পুলিশ কেন তোমাকে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো।
-জানি না। বললো তাদের সাথে থানায় যেতে হবে। আমাকে কিছু জিঙ্গেস করবে।
-এই শোনো এমন করে পুলিশ কখনো বললে যাবে না ওকে।
জেসি অবাক হয়ে
-কেন?
-তুমি ওদের চিনো না। আর একা কখনো যেতে রাজি হবে না।
হৃদ জেসির ব্যাগ থেকে ফোনটা বের করে
-লক কি
জেসি পুরো অবাক হয়ে
-কেন?
হৃদ ফোনটা হাতে দিয়ে
-লকটা খুলে দাও।
জেসি লকটা খুলতেই হৃদ ফোনটা নিয়ে নিজের নাম্বার বসিয়ে ডায়াল করে সেভ করে দিয়ে
-কোনো বিপদে পড়লে একটা কল বা ম্যাসেজ দিবে লোকেশন সহ।
কথাটা বলে হৃদ চলে গেলো। জেসি হৃদের এমন কান্ড দেখে অবাক হয়ে চেয়ে আছে।
ক্লাসের এক কোণে আয়ান বসে আছে। একটা মেয়ে এসে
-একটু সরে বসবেন?
আয়ান মেয়েটির দিকে তাকিয়ে কোনো কথা না বলে সরে বসলো। মেয়েটি আয়ানের পাশে বসে
-মন খারাপ আপনার।
-নাহ্ তো।
-তাহলে এমন চুপচাপ করে বসে থাকেন কেন?
-এমনি।
-এমনি কেন? আর এমন পোশাকে কেউ ভার্সিতে আসে।
-এর থেকে তো ভালো পোশাক পড়ার সামর্থ্য নেই।
মেয়েটি মাথাটা নিচু করে
-বন্ধু হবেন।
-না সরি। ।
আয়ান ব্যাগ কাধে নিয়ে ক্লাস থেকে বেরিয়ে গেলো। মেয়েটি অবাক হয়ে গেলো।
(মেয়েটির নাম তিথি। একই ভার্সিটিতে। তিথি কারো খারাপ পরিস্থিতিতে ছেড়ে যায় না। মন ভালোকরার চেষ্টা করে সর্বদা।
তিথি নিজেকে ধিক্কার দিতে লাগলো কেন আগ বাড়িয়ে আলগা পিরিত দেখাতে গেলো। তার জন্যই তো ছেলেটার ভাব বেড়ে গেলো। না এত ভালো হওয়া যাবে না। নিজের ভেতর ভাব নিয়ে থাকতে হবে।
ডালিয়া চৌধুরী আকবরকে ফোন দিয়ে
-কোনো তথ্য কি বের করতে পেরেছো?
-না ম্যাডাম। তবে খুব শ্রীগ্রই উৎখাত করে ছাড়বো। তবে একটা ঝামেলা আছে,।
-কি ঝামেলা?
-আমরা একটা মেয়েকে টার্গেট করেছি তাকে আমার লোক ভার্সিটি থেকে আনতে গেছিলো কিন্তু
-কিন্তু কি অফিসার?
-আপনার ছেলে বাধা দেয়। যার জন্য মেয়েটাকে আনতে পারেনি।
ডালিয়া চৌধুরী অবাক হয়ে
-হোয়াইট কি বলছো কি তুমি? হৃদের এত বড় সাহস।
ডালিয়া চৌধুরী কলটা কেটে দিয়ে হৃদকে ফোন করে। ফোন সুইচটপ। ডালিয়া চৌধুরীর রাগ বেড়ে যায়। তার লোকজনকে ভার্সিটিতে পাঠিয়ে দেয় হৃদকে আনার জন্য।
তাসনিম ইমনকে বলতে লাগলো
-ভাইয়া আমার ঘরে বসে থাকতে ভালো লাগছে না। আমি ভার্সিটিতে যাবো
-এই অবস্থায় কোনোরকম ভাবে না।
-ভাইয়া ঘরে বসে থাকতে ভালো লাগে না।
-সুস্থ হয়ে নে তখন আর ঘরে থাকতে হবে না।
ইমন চলে গেলো। তাসনিম নিজের রাগকে কন্ট্রোল করতে লাগলো ঘরে বসে থাকার জন্য।
জেসি ভার্সিটির গেইট দিয়ে বেরিয়ে কিছুদূর যেতেই পুলিশের গাড়ি সামনে দাঁড়িয়ে পড়লো। জেসির আর বুঝতে বাকী নেই তাকে থানায় যেতে হবে
জেসি গাড়িতে উঠে থানায় চলে গেলো। আকবর সামনের চেয়ারে বসে হাতের ভেতর কলম নাড়ছে। জেসি মুখোমুখি বসে আছে । আকবর বাকা দৃষ্টিতে জেসির দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে
-ছেলে গুলোকে কেন মারলে?
জেসি অবাক হয়ে
-কি বলছেন আপনি স্যার? আমি ওদের কিভাবে মারবো।
-কে কে ছিলো তোমার সাথে?
-স্যার আপনি কিন্তু আমাকে খালি জায়গায় দোষারোপ করছেন। আমি কেন ওদের মারতে যাবো।
-তোমাকে টিজ করলো আর পরেরদিন ওদের লাশ পাওয়া গেলো। তোমাকে মারতে একজন দেখেছে।
জেসি এবার জোড়ে হেসে উঠলো
-হাহাহাহাহাহা। স্যার আপনার মেন্টালি প্রবলেম হয়েছে। আর আপনি আমাকে হেনস্তা করছেন। আমার সময় নষ্ট করছেন।
-হোয়াইট। আমার মেন্টালি প্রবলেম।
-তা নয় কি। আমি গতকাল সারাদিন ফ্রেন্ডসের বিয়েতে ছিলাম। আর আমি মারবো ওদের।
জেসি কথা গুলো বলে গেলো থানা থেকে। রয় এসে
-স্যার মেয়েটা কি বলে গেলো শুনছেন।
-হ্যা শুনলাম তো। গাড়ি বের করো একজায়গায় যেতে হবে।
-ওকে স্যার।
৭ দিন খুব স্বাভাবিক ভাবে কাটলে ও ৮ম দিন টা ছিলো
লেডি কুইন চ্যাপ্টার টু পর্ব ৭ | Leady Queen chapter two | bdstorybook.com
(waiting for next part)
Post a Comment