আমার শহর তুমি ময়
পর্ব ৩
লেখা:Meherab Kabbo
কাব্য বললো স্যার ম্যাডাম অবাক হবেন আপনাদের ভালোবাসার সম্পর্কে জানার পর থেকে আপনাদের ফ্যান হয়ে গেছি। এখনো দুজনকে ভালোবাসেন কিন্তু বলতে পারছেন না। ইগোটা রয়ে গেলো। অথচ আপনারা কেউই বিয়ে করেন নি। আপনাদের ভালোবাসার জুটির প্রতি আমার শ্রদ্ধা বেড়ে যায়। আপনারা একজন ইগোটা সেক্রিফাইস করে ভালোবাসার পূর্ণতা তো দিতে পারেন । এভাবে আর কত দিন।
ম্যাডার জোড়ে বললো
- স্টপ। আর একটা কথা বলবে না কাব্য।
- কিন্তু ম্যাম।
- চুপ। কোনো কথা বলবে না। তুমি কি জানো না পাওয়ার ভেতর সুখটা কতটা।
কাব্য মাথা নিচু করে মাথা নাড়ালো। স্যার বললো
- কাব্য তুমি হয় তো পুরোটা জানো না। দেখো আমরা বিয়ে করিনি ঠিকি কিন্তু এখনো ভালোবাসাটা রয়ে গেছে। দুজনের প্রতি ভালোবাসাটা আরো বেশি রয়েছে।
ম্যাম বললো
- একটা কথা কি জানো যেটা পাওয়া হয়ে যায় তার প্রতি কোনো খেয়াল থাকে না। না পেলে ঠিক যতটা খেয়াল থাকে তা পাওয়ার পর থাকে না।
স্যার বললো
- কাব্য একটা কথা বলো তো। তুমি একটা নতুন শার্ট দেখে পছন্দ করলে ঐটা তুমি কিনতে পেলে না তোমার অনুভূতিটা তখন কেমন হবে। বা তুমি ঐটা কিনার পর কয়েকদিন পরে সেই পছন্দের শার্টটা ফেলে দিবে। কারণ ঐটার প্রতি তোমার কোনো খেয়াল থাকবে না।
- তাই বলে আপনারা এভাবে দূরত্ব থাকবেন। এটার সাথে বিয়ের কি সম্পর্ক।
- এটা বলো তুমি একটা পাখি নতুন পোষ মানাচ্ছো। নতুন অবস্থায় তোমার কদর ঠিক কেমন থাকবে?। তুমি কি পাখিটা খাঁচার বাহিরে রাখবে। যখন পোষ মেনে পুরানো হয়ে যাবে তখন পাখিটাকে কি করবে?
- প্রথমত কদরটা বেশি থাকবে। মনের আনন্দ পাখিকে পোষ মানাবো। নতুন অবস্থায় খাচার বাইরে রাখলে তো উড়ে চলে যাবে৷ আর যখন পোষ মেনে যাবে তখন তো ওকে ছেড়ে দিবো। ও তো আর চলে যাবে না।
- ঠিক বলছো। ঠিক তেমনি। নতুন নতুম প্রেম ভালোবাসার জন্য কতটা কদর করি। ভালোবাসা পাওয়ার জন্য কি না করি আমরা। যখন ভালোবাসা পাওয়া যায় তখন কদরটা কিছুটা কমে যায়। আর যখন বিয়ে করা হয় তখন আর কদর থাকে না। কারণ সে তো আর ছেড়ে চলে যেতে পারবে না।
ম্যাডাম বললো
- আমরা সামনের মাসেই বিয়ে করবো।
কাব্য শুনে হা হয়ে গেলো। কাব্য বললো
- দাওয়াত পাবো তো।
- হুম কলেজের সবাইকে দাওয়াত করবো।
ক্লাসে অন্য স্যার ক্লাস নিচ্ছেন। স্যার রাহাতকে বললো
- কাব্য কোথায়?
- বাহিরে গেছে।
- ওকে ডেকে নিয়ে আয়।
- কেন স্যার?
- আমাকে প্রশ্ন করছিস তোর তো সাহস কম না।
লিমা উঠে দাঁড়িয়ে
- নিশ্চয়ই কোনো আকাজ করছে কাব্য। তাই না স্যার।
- তুমি চুপ থাকো। তোমাদের আশকারায় আজ ওর এত সাহস।
রাহাত ক্লাস থেকে বেরিয় গেলো। কারিমা লিমাকে বললো
- কাব্য কে রে?
- স্যার যার চিঠি পড়েছিলো।
- ও ঐ বান্দরটার নাম কাব্য।
- হুম।
- প্রথম দিন এসে পারলাম না এতো কিছু।
- আরে ওর কথা ছাড় তো। তা এটা বল আমাদের ছাড়া এই ক বছর কেমন ছিলি।
- ভালোই। কিন্তু তোদের মতো করে আর কারো সাথে মিশি নি। ।
- কেন?
- তোদের মতো আমি আর কাউকে পায়নি। তাই মিশতে পারিনি। ।
কাব্য স্যারকে বললো
- স্যার আমরা প্রিয় মানুষটাকে পাওয়ার জন্য কি না করি। তাদের পিছু ঘুরাঘুরি করি। যতদিন না তাকে পাচ্ছি তাকে কিছুটা ডিস্টার্ব ও করে থাকি। যখন পেয়ে যায় প্রিয় মানুষটাকে তখনকার শুরুটা ভালো থাকে কিন্তু কিছুদিন পর যেতে না যেতে কেমন তেতো হয়ে যায়। তবে পাওয়ার পর হারালে তখম বোঝা যায় পেয়ে ও কেন হারালাম।
- হুম ঠিক বুঝছো। এটা বলো আমাদের কথা কিভাবে জানলে।
- ভাইয়া আর বড় আপুর মুখ থেকে।
- ওরা সব বলছে।
- হ্যা স্যার।
রাহাত এসে কাব্যকে বললো
- স্যার ডাকছে তোর কপালে খারাপ আছে আজ।
কাব্য অবাক হয়ে গেলো আর বুঝতে পারলো।
রাহাতের সাথে কাব্য চলে গেলো। দরজার সামনে দাঁড়িয়ে কাব্য ফিট হয়ে পড়লো। স্যার কাব্যের কাছে গেলেন। ক্লাসের সবাই উঠে দাড়িয়ে উঁকি দিচ্ছে। স্যার বললো
- এই রাহাত কি হয়েছে ওর?
- আপনি ডাকছেন শুনে। আসার সময় তিনবার ফিট হয়েছে আর এখন হলো।
- তোকে আমার মন টায় চায়। লিমা কারো থেকে পানির বোতল নিয়ে এসো।
সবাই দরজার কাছে এসে ভিড় জমালো। লিমা পানি। স্যার বললো
- কাব্য চোখটা খোল তোর জন্য ভালো সংবাদ আছে৷
কাব্য চোখটা মেলে
- আমি কোথায়? এই বুড়ো পাকনা দাঁড়ি কাক্কু কেডায়? বন্ধু রাহাত কই আনছিস আমাকে।
কাব্যের কথা শুনে ক্লাসের সবাই হেসে উঠলো। স্যার তো রাগে ফায়ার।
- এই আমার বেত টা নিয়ে আয় তো।
- কাক্কু বেত দিয়ে কি করবেন? আপনি না কত ভালো।
- তোর ভালো বের করছি৷ দাঁড়া ।
কাব্য দৌড়ে পালালো। স্যার বলতে লাগলো
- প্রিন্সিপালকে বলে তোকে কলেজ থেকে বের করবো।
ক্লাস শেষে সবাই বেরিয়ে পড়লো। কারিমা লিমা দুজনে কথা বলতে বলতে যেতে লাগলো। কাব্য ওদের পিছনে লাগলো। কারিমা ওর বাসায় চলে গেলো। কাব্য ও কারিমার বাসা পযর্ন্ত গেলো। রাহাতকে ফোন করে বললো
- বিকালে চলে আসিছ।
- পেয়েছিস।
- পাবো না মানে।
- ওকে মামা।
বিকালে রাহাত আর কাব্য কারিমাদের বাসার সামনে এসে আড্ডা দিচ্ছিলো। কারিমা কাব্যকে দেখে লিমাকে কল করলো। লিমা ফোনটা ধরতেই কারিমা বলতে লাগলো
- এই ছেলের খেয়ে কাজ নেই। আমার বাসার সামনে এসে আড্ডা মারছে।
- কে রে?
- ঐ যে কলেজের বান্দরটা।
- কি বলিস? তোর বাসার সামনে কাব্য
- হ্যা।
- একটা কাজ কর দোস্ত
- কি?
- তোদের ফ্লাটের নিচে একটা কুকুর বাধা আছে ওটাকে ছেড়ে গেইটের বাইরে বের করে দে
- কেন?
- দে না দেখতে পাবি।
- ঠিক আছে।
লিমার কথা মতো কারিমা কুকুরটাকে গেইটের বাইরে এনে ছেড়ে দিতেই কুকুরটা ঘেউ ঘেউঘেউ করতে শুরু করছে। ওমনি
( waiting for next part)
Post a Comment