জীবিত লাশের রহস্য
পর্ব ২
লেখক সাদমান আদ্-দ্বীন প্রতীক
আজাদ সাহেবঃ তুমি এই কেসটা সলভ্ করতে পারলে আমার অনেক উপকার হতো
প্রতীকঃ কাল সবাই আপনার পৈতৃক নিবাসে যাবো।
পরেরদিন, সবাই আজাদ সাহেবের পৈতৃক নিবাসে গেলো।
আজাদ সাহেব প্রতীকের সাথে বসেই এসেছেন।
আজাদ সাহেবঃ ঐ দেখো, ঐলোকটার খুন হতে আমি নিজে দেখেছি
প্রতীকঃ চলুন, একটু কথা বলে আসি। তবে আপনি নরমাল বিহেভ করবেন
ঐলোকের সামনে যাওয়ার পর,
আজাদ সাহেবঃ কি রে হনুমান কি খবর?
হনুমানঃ
আজাদ সাহেবঃ আরে হনুমান কেমন আছিস?
হনুমানঃ আরে আজাদ বাবু আপনি?
আজাদ সাহেবঃ আসলাম এইদিকে
হনুমানঃ ভালা হইছে বাবু
আজাদ সাহেবঃ আচ্ছা আমি বাড়িতে গেলাম।
প্রতীকের কাছে আসার পর,
আজাদ সাহেবঃ কিছু বুঝলে?
প্রতীকঃ হালকা হালকা
আজাদ সাহেবঃ কি বুঝলে
প্রতীকঃ এখনও অনেক কিছু বুঝতে হবে, আচ্ছা হনুমানের পুরো নাম কি?
আজাদ সাহেবঃ হনুমান সাহু
প্রতীকঃ বুঝেছি, বাড়িতে চলুন
আজাদ সাহেবের পৈতৃক নিবাস, ২ তলার প্রাচীন আমলের বাড়ি। অনেকটা রাজ প্রাসাদের মতো।
আজাদ সাহেবের পূর্বপুরুষেরা জমিদার ছিলেন, তাই তাদের জমি জমাও যথেষ্ট। আর বাড়িও অনেক বড়।
বাড়িতে ৪ জন থাকে সবসময় দেখাশোনা করার জন্য।
সুখলাল, আব্বাস, মন্টু, আর মিনা।
মিনা রান্না বান্না করার জন্য, সুখলাল বাগান দেখাশোনা করে, আব্বাস আর মন্টু বাড়ির বাকি সব কাজ করে।
রাতের বেলা, সবাই ঘুমাচ্ছে, কিন্তু আজাদ সাহেব ঘুমাননি।
কিন্তু প্রতীক আবার ঘুমায় খুব, সারারাত মরার মতো ঘুমায়।
পরেরদিন সকালে,
প্রতীক ঘুম ভাঙলো কারো দরজা জোরে জোরে ধাক্কানোয়।
বেড়িয়ে দেখে দরজায় পুলিশ দাড়ানো।
প্রতীকঃ জি স্যার? কোনো সমস্যা?
পুলিশ অফিসারঃ আরে দেখো, এই বাড়িতে ৩-৩ টা খুন হলো, আর এ টেরই পেলো না
প্রতীকঃ খুন?
পুলিশ অফিসারঃ হ্যা, চাকর মন্টু, আব্বাস,আর মিনা খুন হয়েছে
প্রতীকঃ কিহ্? কিভাবে?
পুলিশ অফিসারঃ আরো মজার কথা শুনবেন? আপনি ছাড়া বাড়ির সবাই আঘাত পেয়েছে, আর আজাদ সাহেব তো মৃত্যুর সাথে লড়ছেন।
প্রতীকঃ কিভাবে হলো এইসব?
পুলিশ অফিসারঃ সেইটা নিয়ে ইনভেস্টিগেশন চলছে, তবে আপনাকে সন্দেহ করা হচ্ছে।
প্রতীকঃ আচ্ছা আমি কি সব গুলো ঘর ঘুরে দেখতে পারি?
পুলিশ অফিসারঃ কেনো প্রমাণ লোপাট করবে?
প্রতীকঃ স্যার আমি অপরাধ করলে প্রমাণ লোপাট করেই ঘুমাতে আসতাম, আমি শুধু দেখতে চাই, এরপর যদি এরেস্ট ও করতে চান সমস্যা নেই।
পুলিশ অফিসারঃ আচ্ছা।
পুলিশ অফিসার আর প্রতীক ওদের লাশের সামনে গেলো।
প্রতীক দেখে সবাইকে খুন করা হয়েছে পেটে চাকু মেরে।
প্রতীকঃ আজাদ সাহেবকে কিভাবে আঘাত করা হয়েছে?
পুলিশ অফিসারঃ গলায় ছুড়ির আঘাত
তখন বায়েজিদ আসলো,
বায়েজিদঃ দোস্ত দাদা তোর সাথে কথা বলবে।
প্রতীকঃ তাড়াতাড়ি চল
বায়েজিদের সাথে প্রতীক তাড়াতাড়ি হাসপাতালে গেলো।
I.C.U এ,
আজাদ সাহেবঃ এই সব খুন হচ্ছে বা..বা...বা...বা...ঘ
বা....ঘ এর জন্য
আজাদ সাহেব মারা গেলেন।
এক সপ্তাহ পর,
প্রতীককে প্রমাণের অভাবে এরেস্ট করতে পারেনি পুলিশ, তবে ও এই কয়েকদিন ও ঘর থেকেও বের হয়নি।
এক সপ্তাহ পর,
আজাদ সাহেব ও বাকিদের আজ কবর দেওয়া হবে।
তাদের কবর হয়ে যাওয়ার পর,
বায়েজিদঃ দোস্ত এইসব কি হচ্ছে? আমি কিছুই বুঝতে পারছি না
প্রতীকঃ এইসব যত সহজ মনে হচ্ছে তত সহজ না
বায়েজিদঃ মানে?
প্রতীকঃ প্রথম থেকে বলি,
তোর দাদা কারো খুন হতে দেখেন, কিন্তু পরেরদিনই তাকে জীবিত দেখতে পান।
এরপর আমার এনট্রি হলে তিনি এইটা আমাকে দেখতে বলেন।
আমিও তাকে এইখানে আসতে বলি, এইখানে আসার পর আমাদের যেইদিন কাজ শুরু করার কথা সেদিনই সব হয়ে গেলো।
তুই তো জানিস, আমি ব্রেন ব্যবহার করার আগের রাতে খুব ঘুম ঘুমিয়ে নেই।
বায়েজিদঃ এতকিছু হয়ে গেলো তাহলে আমাকে বলতে পারতি তো।
প্রতীকঃ আমি ভাবছি বাঘ মানে টা কি?
বায়েজিদঃ এই এক সপ্তাহ কি করলি?
প্রতীকঃ ভবলাম, আর আরো কাজ করলাম
বায়েজিদঃ কি কাজ?
প্রতীকঃআরে ওয়েট কর, আরো কিছু বুঝতে হবে
কিছুক্ষণ পর,
পুলিশ অফিসারঃ তোমার কথা মতো পুরোনো সব কেছ এর ফাইল গুলো দেখলাম।
প্রতীকঃ তো মিস্টার
পুলিশ অফিসারঃ সিয়াম
প্রতীকঃ হ্যা, সিয়াম সাহেব, সব কেস রিসার্চ করে কিছু পাওয়া গেলো?
সিয়ামঃ হ্যা, অনেক কিছু পেয়েছি
প্রতীকঃ যেমন?
সিয়ামঃ................................................(চলবে)
Post a Comment