জীবিত লাশের রহস্য পর্ব ১, jibito lasher rohoshsbo part 1
পর্ব ১
লেখক সাদমান আদ্-দ্বীন প্রতীক
সকাল ৯ টা, চেয়ারে বসে পেপার পড়ায় ব্যস্ত আজাদ চৌধুরী, আজ চৌধুরী বাড়িতে উৎসব,
কারণ আজাদ সাহেবের ছেলে ও ছেলের পরিবার ১০ বছর পর আমেরিকা থেকে আসছে।
ঘড়িতে তখন ১১ টা বাজে, আজাদ সাহেবের বাসার গেটে দাড়িয়ে আছে তার ছেলে, বৌমা, নাতি ও নাতির বন্ধু।
আজাদ সাহেবঃ কি রে বাবা, এইটা কে?
রাসেল চৌধুরীঃ বাবা এইটা তোমার নাতির বন্ধু প্রতীক। আমাদের সাথে আমেরিকায় ছিলো, ওর বাবা মা মারা গেছে তাই ও আমাদের সাথে দেশে এসেছে।
আজাদ সাহেবঃ আচ্ছা সবাই বাড়ির ভিতরে আসো।
বাসার ভিতরে এসে,
বায়েজিদঃ দোস্ত তুই চুপচাপ
প্রতীকঃ ভাবছি তোর দাদার কথা
বায়েজিদঃ আমার না হেব্বি ভয় করে
প্রতীকঃ আমার তো হাসি লাগে, পাতলা গলা, জোর করে গম্ভীর হয়ে কথা বলতে হবে।
সবাই ভিতরে আসো
বায়েজিদঃ এইটুকু শুনেই বুঝে গেলি
প্রতীকঃ আরো আছে, তোর দাদার বাগানে গোলাপ ফুল শেষ।
বায়েজিদঃ এটা হতেই পারে না, দাদা গোলাপ সবচেয়ে বেশি লাগায় রেখেছে
প্রতীকঃ চেক করে দেখ
বায়েজিদঃ দাদু তোমার বাগানে গোলাপ নেই?
আজাদ সাহেবঃ না রে, তোর এইকথা মনে হওয়ার কারণ?
বায়েজিদঃ প্রতীক বললো
আজাদ সাহেবঃ তুমি জানলা কিভাবে?
প্রতীকঃ আমরা যখন আসলাম আপনি বাগান থেকে আসলেন, আপনার শরীর থেকে অনেক ফুলের গন্ধ আসলেও গোলাপের গন্ধ ছিলো না।
আজাদ সাহেবঃ বাহ্, ভালো পর্যবেক্ষণ করতে পারো যে
বায়েজিদঃ ও ছোট্ট খাটো একটা গোয়েন্দা।
আজাদ সাহেবঃ তাই, তাহলে তোমাকে আমার দরকার অনেক।
আচ্ছা সবাই ফ্রেশ হয়ে নাও।
সবাই ফ্রেশ হয়ে নিলাম, খাওয়া দাওয়া করে রাতের বেলা
আজাদ সাহেবঃ প্রতীক একটু আমার রুমে আসো তো
আমি ওনার রুমে যাওয়ার পরে,
আজাদ সাহেবঃ তোমাকে আমার একটা সাহায্য করতে হবে
আমিঃ কি সাহায্য?
আজাদ সাহেবঃ আসলে ******* গ্রামে আমার পৈতৃক নিবাস, ঐখানে গেছিলাম গত কয়েকদিন আগে, সেখানে আমার চোখের সামনে একজন খুন হয়, তবে পরেরদিন সেই লোকটাই আমার সামনে দিয়ে দিব্যি হেটে বেড়াচ্ছে।
জীবিত লাশের রহস্য পর্ব ১ |
কউ বিশ্বাস করছে না আসলেই খুন হয়েছে
প্রতীকঃ আমি কি করতে পারি?
আজাদ সাহেবঃ তুমি এই কেসটা সলভ্ করতে পারলে আমার অনেক উপকার হতো
প্রতীকঃ কাল সবাই আপনার পৈতৃক নিবাসে যাবো।
................................(চলবে)
Post a Comment