-এই মেয়ে তুই এখনি ডিভোর্স দিবি ওকে। যদি না দিস তোর হাত পা ভেঙ্গে দিবো।
- আপনি কে?- এই খচ্চর পোলা বলিস না ক্যা আমি কে। এই কাজী তুই না জেনে শুনে বিবাহ পড়ালি কেন? এখনি ডিভোর্স পেপারস্ বের করবি না হলে তোকে বেলকনিতে নিয়ে যেয়ে ফেলে দিবো। তোর আর বউ ছেলে মেয়ের চেহারা দেখা লাগবে না কখনো।
- এই তুমি চুপ করো। কি বলছো এসব?
- চুপ কর তুই। আমার জীবন টাকে তেজ পাতা বানিয়ে দিয়ে তুই ওকে বিয়ে করছিস । তোকে আমি।
( চলুন পরিচয় টা দেওয়া যাক। তারপর প্লাসব্যাকে যাওয়া যাবে। শুরুতে যে কথাটা বলছে ও কারিমা। যে বললো কে আপনি সে হচ্ছে অনিমা। যে চুপ করতে বললো সে হচ্ছে কাব্য ।)
বিয়ের কাজটা মাত্র শেষ হলো তার ভেতর কারিমা এসে গন্ডগোল পাকিয়ে দিলো। আজ থেকে ঠিক ৬ মাস আগের কথা কাব্য আর কারিমার ভেতর সুন্দর একটা রিলেশন গড়ে উঠেছিল। কারিমা এই শহরে ৯ মাস আগে এসেছে৷ বাবার ট্রান্সফার হয়েছে এই শহরে। শৈশবে কারিমা এই শহরে ছিলো। ৮ম শ্রেণিতে থাকা টাইম চলে গেছিলো। আজ ৫ বছর পর এই শহরে পা রাখলো কারিমা। কাব্য রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে হিজাব পরিহিত কারিমার চোখের দিকে তাকিয়ে ওর মায়ায় পড়ে গেছে । কাব্য কারিমার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। কারিমা আড়াল হতেই কাব্য চলে যায়। শৈশবে একজনকেই ভালো লেগেছিলো। তা বুঝতে পারে যখন নিজের ভেতর বুঝটা আসে। কিন্তু এই কয়েক বছরে কোনো মেয়েকে ভালো লাগেনি কিন্তু এই কারিমাকে দেখে ভালো মায়ায় পড়ে গেলো।
পরেরদিনে কাব্য কলেজে গেলো। ক্যাম্পাসের ভেতর দিয়ে যাওয়ার পথে কাব্য কারিমা কে দেখতে পেলো। কাব্য কারিমার চোখের দিকে তাকিয়ে রইলো। জেনো স্বপ্নের ঘরে ভাসছে। কাব্যের বন্ধু রাহাত কাব্যকে ডাক্কা দিয়ে
- কি রে কি দেখছিস এভাবে মাঝখানে দাঁড়িয়ে।
- দোস্ত আমি পেয়ে গেছি আমার মনের মানুষকে। এত বছর পর আমি কারো মায়ায় পড়ে গেলাম।
- কোন মেয়ে।
কাব্য রাহাতকে কারিমাকে দেখিয়ে দিলো আঙ্গুল দিয়ে। রাহাত বললো
- মেয়েটা দেখতে তো ভালো না।
- চুপ থাক। ওর চোখ দুটো দেখ টানা টানা। কাজল দিলে তো আমি তো পুরো ফিট।
- বাব্বাহ এত কনফিডেন্স।
- হ্যা। আমাদের কলেজে যখন এসেছে ঠিকি আমার করে নিবো। আমার শহরে তুমি ময় হয়ে গেছো।
(Waiting for next part)
_আমার _শহর_ তুমি _ময়__
ট্রেইলার পর্ব
লেখা:Meherab Kabboচলেবে কি গল্পটা।
Post a Comment