লেডি কুইন চ্যাপ্টার টু পর্ব ৬ | Leady Queen chapter 2 part 6 | bdstorybook.com

 লেডি কুইন (চ্যাপ্টর ২)

পর্ব ৬ 

লেখা: Meherab Kabbo 


রয় এসে আকবর কে বললো 

-স্যার গতকালকের যে পাঁচটা  ছেলে ইভটিজিং করছিলো মেয়েটাকে তাদের লাশ এখানে 

আকবর  অবাক হয়ে 

-হোয়াইট কি বলছেন আপনি 

-হ্যা স্যার ঠিকি কথা বলছি। আপনি দেখুন। 

আকবর লাশগুলো সামনে যেয়ে ওদের দেখে 

-হা ঠিকি বলছো। কিন্তু কে  মারলো।  

-মিডিয়া কে কি বলবেন?  

-চলো দেখি ওদের সামনে। 

মিডিয়ার লোকজন লাশগুলোর ছবি তুলে নিয়ে আকবরের সামনে এসে 

-স্যার স্যার এতোদিন তো ভালো মানুষগুলোকে মারা হতো কিন্তু খারাপ লোকগুলোকে কে মারছে? 

-এখনো ঠিক ধরতে পারিনি এদের পিছনে কারা রয়েছে আর কেন বা মারা হচ্ছে।  মাঠে যখন নেমেছি তখন সকল রহস্য উদঘাটন করে ছাড়বো।  আসামিদের কাঠগড়ায় এনে দাঁড় করাবো। 

-এরকম তো কতো অফিসাররা এসে বলে গেলো কিন্তু কোনো রহস্য বের করতে পারিনি। 

-আকবরের এটা কথা নয় এটা উত্তম মাধ্যম যা বলি মুখ দিয়ে নীতি কাজে দেখিয়ে দি।  

আকবর কথাটা বলে চলে গেলো গাড়িতে উঠিয়ে।  টিভির নিউজে অনেক অনেক ধরনের কথা বলে যাচ্ছে।  হঠাৎ করে ডালিয়া চৌধুরীর ফোন বাজতে লাগলো ডালিয়া চৌধুরী ফোনটা ধরতেই কর্কষ গলায় বলে উঠলো 

-কি হচ্ছেটা কি শহরে? কে কি করছে কোনো খোঁজ কি নিতে পারছিস না। 

ডালিয়া চৌধুরী  অবাক হয়ে থ ম খেয়ে 

-ক্যা ক্যা কেন? কি হয়েছে 

ওপাশ থেকে ঝাড়ি গলায় 

-আমি এখান থেকে খবর পেয়ে যাচ্ছি আর তুই কাছে থেকে ও খবর জানতে পারছি না।  ড্যামেট।  

ফোনটা টুং টুং করে কেটে গেলো।  ডালিয়া চৌধুরীর নাম্বারে আবার কল আসলো বেশ অবাক হয়ে ফোনটা রিসিভ করে 

-কি ব্যাপার অফিসার সাহেব হঠাৎ ফোন? 

-আপনার থেকে কিছু ইনফরমেশন নিতে ফোন দিছি 

ডালিয়া চৌধুরী অবাক হয়ে 

-কিসের ইনফরমেশন। 

-আজকে পাচটা ছেলের লাশ উদ্ধার করেছি।  এই খুনের পেছনে আপনার কোনো লোক থাকলে তাহলে কেসটা ক্লোজ করে দি।  না থাকলে আমি এ্যাকশন এ যাবো। 

ডালিয়া চৌধুরী এবার রীতিমতো অবাক হয়ে ভাবছে আমার শহরে খুন হলো আর আমিই জানি না।  ওপাশ থেকে আকবর আবার বলে উঠলো 

-কি ভাবছেন? ভয় নেই যদি থাকে তাহলে বলুন আমি শহজে সবকিছু ধামাচাপা দিয়ে দিবো৷  

-ন ন না আবার কোনো লোক মারেনি। যদি মারতো তাহলে আমাকে আগে বলতো। তারপর মারবে।  

-তাহলে বলতে চান এই শহরে আপনার থেকে বড় মাপের কেউ আছে।  কার এড়িয়া কতটুকু আমাকে বললে একটু ভালো হয়। 

-আমি আপনাকে একটু পর ফোন দিচ্ছি।  

ফোনটা কেটে দিলো।  

রয় আকবরকে বললো 

-স্যার আপনি কি ওদের দলে। 

-হ্যা কেন নয়?  তুমি না বলছো এই শহরে ভালোভাবে বেচে থাকতে হলে ওদের পক্ষে সাফাই গাইলে সুন্দর ভাবে বাচা যাবে।  

রয় চুপ হয়ে গেলো।   আকবর বলে উঠলো 

-একটা হিসাব মিলছে না ডালিয়া চৌধুরী কি আমাকে ভয়তে বলছে না। নাকি এই শহরে আরো একজন রয়েছে।  পেয়েছি 

-কি স্যার 

- ডালিয়া চৌধুরীর লোকজন না হলে তাহলে ঐ মেয়েটাকে ধরতে পারলে আসল রহস্য পাওয়া যাবে।  

-হ্যা স্যার ঠিকি বলছেন।

আয়ান ভার্সিটি যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হবে তখন রিমি এসে 

-না খেয়ে বের হয়ে যাচ্ছিস। 

-হ্যা আপু। এখন খেতে ভালো লাগছে না।  ভার্সিটি থেকে এসে খাবো। 

রিমি আয়ানের গালে কপালে হাত দিয়ে 

-কই গায়ে তো জ্বর নেই৷  চুপচাপ ওখানে বোস,একটু হলে ও খেয়ে যাবি।  

আয়ান বাধ্য ছেলের মতো যেয়ে বসে পড়লো।  রিমি খাবার এনে নিজ হাত দিয়ে খাইয়ে দিচ্ছে আর জিঙ্গেস করলো 

-যে এক্সিডেন্ট করছিলো কি অবস্থা এখন। 

-জানি না। 

-কেন?  খোঁজ নিস নি। 

-না।   

-কি বলিস কি? এটা তুই ঠিক করিসনি।  ভার্সিটি যাওয়ার পথে খোঁজ টা নিস।  কেমন আছে জেনে নিস।  

-ঠিক আছে।  

কথার তালে তালে পুরো খাবারটা শেষ হয়ে গেলো।  আয়ান পানি খেয়ে দাঁড়িয়ে 

-আপনার মতো একটা বোন থাকলে জীবনটা ধন্য হতো। 

রিমি অবাক হয়ে 

-কেন আমি বোন না…?

-তা কখন বললাম। আপনি তো আমার বড় আপু।  

-হুম এই তো ভালো ভাইটা আমার।  সাবধানে যাস। 

আয়ান চোখের কোণের পানিটা মুছে 

-ঠিক আছে আপু।  

আয়ান বের হয়ে গেলো 



ডালিয়া চৌধুরী ইমনকে ফোন দিয়ে 

-এত বড় একটা ঘটনা ঘটে গেলো আমাকে জানাসনি কেন? 

-ম্যাডাম আমি মাত্র নিউজটা দেখে আপনাকে ফোন দিতে গেছি। আপনি কল দিয়ে দিলেন। 

-রাবিশ। 

-সরি ম্যাডাম।  বোনকে বাসায় এনেছি তো ওর একটু খেয়াল রাখতে যেয়ে জানতে পারিনি। 

-ইট’স ওকে।  তুই কি জানিস এই মার্ডার এর রহস্য 

-না ম্যাডাম। 

-আমাদের কোনো লোকজন। 

-না ম্যাডাম।  যদি কেউ করতো আমাদের আগে জানাতো।  

-হুম কথাটা তো একই।  কিন্তু হিসাব মেলাতে পারছি না।  কে আছে এর পিছনে।  

বিরক্তি নিয়ে কল টা কেটে দিলো।  


ডালিয়া চৌধুরী আকবরকে ফোন দিয়ে সবটা বললো।  এর ভেতরে তার কোনো হাত নেই। 

-ধন্যবাদ ম্যাডাম।  

ফোনটা কেটে দিয়ে ভাবছে কে করছে এমনটা তাদের অগোচরে।  

Bdstorybook.com



আয়ান হাসপাতালে যেয়ে খোজ নিয়ে দেখলো কিন্তু তাসনিম নেই।  ওকে বাসায় নিয়ে গেছে। এখন সুস্থ আছে 

আয়ান হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে ভার্সিটিতে চলে গেলো৷  যেয়ে পুরো অবাক হয়ে গেলো 


(Waiting for next part)..........

Post a Comment

Previous Post Next Post