সিনিয়র মামাতো বোন যখন বউ | Senior Mamato Bon Jokhon Bow | BDStoybook.com

 সিনিয়র মামাতো বোন যখন বউ

লেখকঃ মোঃ রাকিব হাসান। 


ছেলে: আমি আপনাদের লেখকঃ মোঃ রাকিব হাসান আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে এলাম আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ কিছু গল্পের কথা। আমার নিজের মামাতো বোন কিভাবে আমার বউ হলো? সেদিন সকালবেলা আমি তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠলাম কারন বাসায় একটু গোলমালটা বেশি মনে হল আমি ঘুম থেকে উঠে বাইরে বারান্দায় বের হলাম। বের হয়ে দেখি আমার নিজের মামাতো বোন দাড়িয়ে আছে। তারা নাকি কালকে রাতে এখানে আসছে। আমি একটু রাত করে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম আমার বন্ধুর বাসায়। আমার আসতে আসতে অনেক রাত হয়ে ছিল তাই কাউকে কিছু না বলে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। যখন আমি আমার মামাতো বোনকে দেখলাম তখন ফুল ক্রাশ খেয়ে গেলাম। বয়সে বলতে গেলে আপু একটু আমার থেকে সিনিয়ার। ঘটনাক্রমে জানতে পারি একদিনের বড় সে। আমার মামাতো বোন রিয়াকে দেখে আমি বললাম আরে রিয়া আপু তুমি কখন এসেছ আর কেমন আছো? 


সিনিয়র মামাতো বোন যখন বউ BDStoybook.com
সিনিয়র মামাতো বোন যখন বউ | Senior Mamato Bon Jokhon Bow | BDStoybook.com


মেয়ে: হ্যাঁ, আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি কিন্তু তোমার যা অবস্থা মনে হয় কোন কিছু রাত জেগেছ টেনসনে। প্রেমিকা বাঁশ দেয় নাই তো এমনটা তো হতেই পারে তোমার চেহারা দেখে মনে হচ্ছে।যাইহোক আমাকে তুমি আপু করে কেন বল আমার নাম রিয়া রিয়া বলবা।কারন তোর মুখ থেকে রিয়া নাম শুনলে ভালো লাগে আমায় আর শোন হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নে খাবারের টেবিলে আয়। আমি রাকিবকে একথা বলে আঙ্কেল আন্টির সঙ্গে খাবারের টেবিলে গেলাম অতঃপর জানতে চাইলাম রাকিব কি করে এখন সারারাত কি করে? তখন আন্টি আমাকে বলল সারারাত কার সাথে জানি কথা বলে সে আমি তো তখন রীতিমত ভাবে রাগে শেষ হয়ে আছি কখন সে খাবার টেবিলে আসে তার অপেক্ষায় থাকলাম কারণ সত্যি কথা বলতে কি রাকিব তো আমার থেকে একদিনের ছোট ছিল তাই আমি তাকে শাসন করতে কোন দ্বিধা করতাম না শুধু মনে মনে ভাবতে থাকলাম একবার খাবারের টেবিলে আসুক শালা তারপর দেখিয়ে দিব অপমান কাকে বলে। 



ছেলে : আমি তখন ফ্রেস হয়ে নিলাম আমার ফ্রেশ হওয়ার পর আমি খাবারের টেবিলে যেতেই দেখি। বাবা-মার সবার খাওয়া শেষ কিন্তু রিয়া বসেই আছে। তাকে দেখে আমি বললাম। এই সেরা কিনে কি হয়েছে তোমার। কেউ কি খাবার দেয় নাই তোমার না দিলে বল আমি দিচ্ছি? 

মেয়ে: রীতিমতো তো আমি তোমার প্রতি অনেক বেশি রেগে আছি আর এসব বলতেছ। আসলে আমি তোমার অপেক্ষা করতেছিলাম তুমি নাকি রাতে কার সঙ্গে কথা বল। চেকটা চাকরি পেয়েছে তার দেখো ফুটানি প্রেম করতে লাগবে এখনই। আমি যেমন তোর কাছে ভালো তেমনই কিন্তু আমি তোর কাছে খারাপও। আমি চাইনা এখন তুই প্রেম করে তবে জীবনটা শেষ করিস সরি তোমার জীবন। 


ছেলে: আমি একটু রিয়েল মাথায় কিল মেরে বললাম। কি বলো এসব আজেবাজে কথা আমি আবার কার সঙ্গে কথা বলতে যাব? আসলে কয়দিন ধরে অফিসের কিছু কর্মচারীর আমাকে ফোন দিচ্ছে। আচ্ছা, আমি যদি প্রেম করি তাহলে তোমার প্রবলেম কোথায় বলতো? আমার তো মনে হচ্ছে না তোমার কোথাও সমস্যা আছে তাই না। একথা বলতেই রিয়াদ দিকে তাকালাম রিয়া একটু ফুলে উঠেছে তার রাগে।রাগটা কে একটু বেশি করার জন্য বললাম আমি প্রেম করি আচ্ছা ঠিক আছে কিন্তু তুমিও তো প্রেম করো? 


মেয়ে : তোর মাথা মুন্ডু তোকে আমি কি ভেবে বোঝাবো তা বুঝতে পারবে না কোনোদিন। আর আমি আবার কাকে ভালোবাসতো যাব আমার ভালোলাগার মানুষ তো একজনই। তবে এখন আমি আমার ভালোবাসার মানুষটি আমার মনের কথা বলবো না। যখন প্রিয় মানুষটা আমাকে বলবে তখনই আমি বলব। যাইহোক এতকিছু তোকে বলে আমার কোন কাজ নেই। আমি তোর থেকে একদিনের হলেও বড় আমার আগে প্রেম করবে না। আর যদি তুই প্রেম করিস তাহলে তোর বাড়িতে ভাত খাওয়া বন্ধ করব। 



ছেলে : কত সুন্দর তোর স্বপ্ন তাই না আমার বাড়িতে আমার এই ভাত খাওয়া বন্ধ করবে তাই না? আমি তো ইচ্ছে করলে তোকে না খেলে তোর বাড়িতে পাঠাতে পারব। কিন্তু তুই যেহেতু এসেছে সেহেতু একটু খাওয়াতে হয় একটু খা। আর শোন বেশি খাবি না কিন্তু আচ্ছা বেশি খেলে আবার মোটা দেখা যাবে তোকে। 


মেয়ে : ও আচ্ছা তোর বাড়িতে কী এরকম করলি তোর পেল্ট টা একটু উল্টা তো ভাত আছে কিনা দেখ। আসলে আমি করেছি কি আমার ভাগটা আমি আগে খেয়েছি আর তোর যেগুলো ছিল ওগুলা বাসার কুত্তাকে দিয়েছি। সরি কুকুরকে তারা এত সুন্দর ভাবে খাচ্ছিল তাই আমি সবটুকু তাদেরকে দিয়ে দিলাম। কিছু মনে করিস না আচ্ছা আমি কিন্তু তাদের কে দিয়েছি? আর শোন আঙ্কেল আন্টি আমার বাবা-মা সবাই বেড়াতে যাবে। সো বাড়িতে আর কেউ তোকে ভাত রান্না করে দিতে পারবে না বুঝলি। আরে বাসার কাজের মেয়েটাকে তো আমি কখন ছুটি দিয়েছি তা আমি বলতে পারব না। তো এখন আমি যেটা করতে বলব ওইটা যদি করতে পারিস তাহলে ভাত রান্না করে খাওয়াবো। 


ছেলে: কি বললে সব আমি কি ওই রকম নাকি আর তুই আমার খাবারের কুকুরকে কেন দিয়েছিস? আমি কি বাসার কুত্তা নাকি তাই আমার খাবার কুত্তা খাবে? প্রথমত আমি তোর কোন কথাই শুনবো না এখন ফ্রিজ আছে ফ্রিজ থেকে আমি খাব। আমি কি তোর জীবনের গোলাম নাকি যে তুই যেটা বলবি ওইটা শুনবো? 


মেয়ে: এই যে মিস্টার তুমি কি মনে করেছ আমি কি কিছু কাচা কাজ করি। আমি বাসার ফ্রিজের থেকে শুরু করে যত খাবারের জায়গা সবার তালা রেখে দিয়েছি। সো এখন ভাব আমার শর্তে রাজি কি যদি রাজি হোস তাহলে আমি আমার সব কথা বলি। আর যদি তুই আমার শর্তে রাজি না হয় তাহলে ভাব তোর কি হবে আজকে কোন কিছুই খেতে পারবি না। এটা কিন্তু আমার ব্যর্থতা না তোর ব্যর্থতা হবে বুঝলি। 


ছেলে : দেখ ভালো মত বলতেছি তুই দিয়ে দে না হলে আমি কিন্তু থানায় থেকে পুরুষ নির্যাতনের মামলা করে আসবো তোর নামে। কারণ কতক্ষণ পর্যন্ত আমি অনাহারে থাকবো বলতো? আমি আর পারতেছিনা তুই আমাকে ফ্রিজের চাবিটা দিয়ে দে।আমি যখন একটু জোর করে ফ্রিজের চাবিটা নিতে গেলাম তখন রিয়া একবারে দৌড় দিল আমি পিছন দিক দিয়ে রিয়াকে ধরলাম একটা অচেনা অনুভূতি তখন শোনাও লাগলো আমার অন্তরে। রিয়ার হাত ধরতেই একটা অজানা অনুভূতির মাধ্যমে আমার বুকটা ধরফর করতে লাগলো। আর ঠিক যখন রিয়া পিছন দিক তাকিয়ে আমার চোখে চোখ দিল। আমি ছিলাম তার চোখের সৌন্দর্য মায়ায় সেখানে হারিয়ে গেলাম। 


মেয়ে: আসলে জানিনা আমি ভালোবাসা মানে কি কিন্তু সেদিন যেদিন আমার সে হাত ধরেছিল। চোখে পড়ার মতো সেদিনও অনুভব করতে লিখেছিলাম ভালোবাসা মানে কাকে বলে। একটা অচেনা এবং আলাদা অনুভুতি আমরা দুইজন দুইজনের মাঝে একেবারে হেরে গেলাম। আমি আর কোন কিছু না বলে আমার চোখের আকৃষ্ট তার থেকে সরিয়ে ফ্রিজের তালাটা তাকে দিয়ে দিলাম। রাকিব তখন মাথা নত করে তালাটা নিয়ে নিল একটি কথাও বলল না।আর ঠিক রাকিবের মাথানত করার অবস্থাতে আমি একটু তাকে বেশি পছন্দ করলাম কারণ তখন আমি বুঝলাম রাকিবের মাঝে অবশ্যই ভদ্রতা আছে। 

ছেলে : এমন সব কথায় তখন যেন আমি সত্যিই নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলাম। ডিআরএম আছে কারণ আমার অনুভবকে ছিল সম্পূর্ণ তখন রিয়াকে জুরে।অবশেষে আমি রিয়ার থেকে ফ্রিজের চাবিটা নিলাম নিয়ে ফ্রিজ খুলে খাওয়ার পরে। রিয়ার কাছে গিয়ে আমি বললাম আচ্ছা বাড়ির সবাই কখন আসবে? রিয়া আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলল।


মেয়ে: আরেকটু পরে তারা সবাই আসবে আমি তোমাকে কিছু কথা বলতে চাই শুনবে আচ্ছা, বলতেছি আমি আমার ইচ্ছে হয় দু-একজন আমাকে এসে বলবে। যে সে আমাকে অনেক বেশি ভালোবাসে। সমস্ত কিছু বাধা পার করিয়ে সে আমাকে বরন করে নিতে চাই। এমনটাই প্রত্যাশা আমার মনে সর্বদায় ছিল শুধু তার জন্য। আমার আরো কিছু ইচ্ছে আছে জানো সে আমাকে এসে তারাতারি বলুক যে ভালোবাসি। সত্যি কথা বলতে কি আমি তাকে ভালোবাসতাম অনেক ছোটবেলা থেকে কারন সে ছিল আমার একমাত্র খেলার সাথী আর তার জন্য আমি এতোদিন অপেক্ষায় ছিলাম কবে বলতে পারব তাকে আমি। কিন্তু কখনও তাকে বলতে পারিনি ভয় যদি সে কিছু মনে করতো। কিন্তু আজ যখন তা আমি সুযোগ পেয়েছি তখন আমি নিজেই কিছু বলতে চাই তাকে। আমারও তো ইচ্ছে হয় কেউ একজন এসে আমাকে বলবে যে ভালোবাসি। 


ছেলে: আমি তখন সমস্ত কিছু বুঝতে পেরেছিলাম রিয়া কি বলতে চাই তার মুখের চাহনি দেখে। আর এই বিষয়টা সত্যি ছিল যে রিয়া সত্যিই অনেক বেশি ভালোবাসতো কারণ আজ পর্যন্ত রিয়া আমাকে সমস্ত বিষয়ের উপরেই আমাকে বোঝা তো কোনটা ভাল ছিল আর কোনটা মন্দ। আমি তার কথা অবশ্যই বুঝতে পারতাম। অবশেষে আমি শক্তভাবে একটু ভয় ভয় রিয়াকে বললাম। জানো আমি একজনকে অনেক বেশি ভালোবাসি কিন্তু কখনও তাকে কোনো কিছুই বলতে পারিনি। ঠিক তোমার মত ভয় সে যদি রাগ করত রাগ করে যদি ছেড়ে চলে যেত তবে আমিতো তাকে ছাড়া একদমই বাঁচতাম না। একথা আমি যখনই বললাম তখন রিয়া জানিনা কি বুঝতে পেরেছি? তবে একটু কেমন জানি করে বলল 


মেয়ে : আচ্ছা, তাহলে তোমার জীবনে অন্য কেউ ছিল। আমাকে আগে বলতে পারতে তোমার জীবনে কে ছিল? আমি না হয় তাকে বলতাম। যে তুমি তাকে অনেক বেশি ভালবাসো। রাকিব যখন আমাকে একথা বলল তখন অনেক বেশি কষ্ট পেয়েছিলাম আমি কারণ আমার জীবনের ভালোবাসার আর ভালোলাগার মানুষটা একমাত্র রাকিবি ছিল। 


ছেলে: আমি কিছুতেই বুঝতে পারতেছিনা রিয়া তুমি কি বুঝাতে চাচ্ছ আমাকে। তবে আমি যে তোমাকে বোঝাতে চাচ্ছি তা হল আমি নিঃসন্দেহে তোমাকে ভালোবাসি। আমি জানি এভাবে বলা আমার ঠিক হচ্ছে না কিন্তু আমি বলছি আই লাভ ইউ জান আমি তোমাকে সত্যিই ভালোবাসি। আমার জীবনের হৃদয়ের অন্তরে অতৃপ্তি শুধু তুমি শুধু তুমি তুমি কি আমার হবে আমারও তো ইচ্ছে আসলে সত্যি কথা বলতে কি আমি অনেক ছোটবেলা থেকেই তোমাকে পছন্দ করতাম। কিন্তু কখনো তা বলে উঠতে পারিনি তোমাকে আমি। এই এই জন্য আমাকে তুমি ক্ষমা করে দিও প্লিজ। 


মেয়ে: তার মানে কি তুমি আমাকে আগে থেকে ভালবাসতে। কাকে বলোনি কেন ভয় কি আমি কি তোমাকে ভালোবাসতাম না। আমিও তোমাকে ছোট্টবেলা থেকেই ভালবাসতাম। আচ্ছা, ক্ষমা চাইবে না কিন্তু আমাদের মাঝে শুধু প্রেম হবে। আমি আমাদের ভালোবাসা হবে সীমাহেনা আকাশের মত। আমাদের মাঝে সমস্ত কিছু যা বাকী হিসেবে পড়ে আছে তা বন্ধ করে আদায় করে নেব। আমাদের মাঝে এখনো অনেক কিছু বাকি তোমার সঙ্গে ঘোড়াই হলো না। চলো আমরা কালকে ঘুরতে চাই আচ্ছা। 


ছেলে: আমি রিয়াকে আচ্ছা বলতে দেখি বাড়ির সবাই চলে এলো। কিন্তু এসে তারা যা বলল তার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। তোরে আসলে গিয়েছিল আমার বিয়ের মেয়ে দেখার জন্য। এবং দুইদিন পরে তারা নিজেরাই আমার বিয়ে ঠিক করে রেখেছে। কারণ এর আগে যতগুলো মেয়ে আমাকে দেখিয়েছে আমি একটা কেউ পছন্দ করি নাই। আর এই জন্য আমি তার থেকে আলাদা হয়েছি মানে বাসায় বলে দিয়েছি আমাকে আর কোন মেয়ে তোমরা দেখাবে না। আমার ভালোবাসার মানুষটা একমাত্র রিয়া তা ওদের কে বোঝাবে এখন। এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে আমি প্রচুর দুর্বল হয়ে পড়লাম জানো। তখন রিয়া আমার হাতে হাত রেখে বলল তুমি ভয় করিও না যা হবে আমাদের মঙ্গলের জন্যই হবে। কিন্তু আমি তখনই স্পষ্ট লক্ষ্য করলাম যে রিয়ার চোখের একগুচ্ছ জলরাশি পানি প্রবাহিত হয়েছিল। ছেলে : আমি তখন সমস্ত কিছু বুঝতে পেরে রিয়াকে বললাম। আচ্ছা, রিয়া কথা দাও আমাকে ছেড়ে কখনো চলে যাবে না তো তুমি। আমি কিন্তু তোমাকে ছাড়া আর একটি মুহূর্ত বেঁচে থাকতে পারবো না। আমি শুধু তোমাকে ভালোবাসি আর তোমাকে ভালবেসে যাব। একথা আমি যখনই বললাম তখনই পিছনের দিকে তাকিয়ে দেখি আমার মামা মামি আমার বাবা-মা সবাই আমাদের পিছনে এসে দাঁড়িয়ে ছিল। আমি যখনই রিয়ার হাত ধরে এসব কথা বলেছিলাম তখন তারা কিছু দেখে বললো আচ্ছা ঠিক আছে আমরা আসলে তোদের এটাই চেয়েছিলাম। আমরা আসলে কোন মেয়ে দেখতে যাইনি আমরা গিয়েছিলাম একটি আত্মীয়র বাড়িতে। আর তোদের থেকে একথা শুনার জন্যই এমনটা আমরা প্ল্যান করছিলাম। তোরা একে অপরকে ভালবাসিস তাহলে কাল কি তোদের বিয়ে দিতে চায়। আমরা একসঙ্গে রাজি হয়ে বললাম ঠিক আছে দিয়ে দিও। 

ছেলে: একথা বলে রিয়া আরেক রুমে গেল আমি আরেক রুমে গেলাম। সবকিছু এত তাড়াতাড়ি হবে কখনো কল্পনা করতেও পারিনি। আর পরের দিন সকালে কাজী সাহেব আসলো এসে আমাদের ২জনের শুভ বিবাহ সম্পন্ন করে দিল। আর ঠিক তখন আমি সবথেকে বেশি খুশি হলাম এত তাড়াতাড়ি হওয়ার জন্য। আমি রাতের বেলা আমি আমার বাসর ঘরে প্রবেশ করলাম রিয়াকে বললাম আচ্ছা আপু আমি কি আসতে পারি। 


মেয়ে: কি বললি তুই আমি এখন তোর আব্বু আমি এখন তোর ঘরের বউ বুঝলি? দাঁড়া তোর মজা দেখাচ্ছি আমার সঙ্গে আর কোনো কথা বলবে না। আর তুই আজকে ঘরে প্রবেশ করতে পারবে না সারারাত আর বারান্দায় বসে থাকবি। আর আসতে হবে না এখানে আমি একাই গল্প করে সময় কাটিয়ে দিব। 

ছেলে: আচ্ছা, আচ্ছা সরি। আর বলবো না তোমায় এখন থেকে তুমি আমার ঘরের বউ আচ্ছা। আর শোনো তুমি আমাকে এখন থেকে তুমি বলবে। আরে আমাদের ভালোবাসা হবে না এখন অবশ্যই হবে। 


মেয়ে: এত তাড়াতাড়ি করার কোন দরকার নাই বুঝছো সময় পড়ে আছে। এখন আমরা আমাদের মনের কথাগুলো বলব। আমি আগে বলবো তুমি সবকিছু শুনবে। 

আমি: আচ্ছা, আচ্ছা বলবে ঠিক আছে কিন্তু এখন আমাদের প্রেম হবে। এই কথা বলেই রিয়া মুচকি হাসি হেসে বাকিটা ইতিহাসের পাতায় রেখে দিল। আর আমি এভাবে রিয়াকে নিত্য নতুনভাবে আবিষ্কার করলাম। এবং আমার গল্পে সিনিয়র মামাতো বোন হলো আমার নিজের বউ।সবকিছু একটি ভালোবাসার মাঝে আমাদের তা সম্ভব হয়েছিল আসলে যদি ভালোবাসা থাকে তাহলে সবকিছু সম্ভব করা যায়। তার প্রমাণ আমি প্রেমে পেয়ে গেছি। সবাইকে ধন্যবাদ এতক্ষণ পাশে থাকার জন্য। সবাই ভাল থাকবেন

Post a Comment

Previous Post Next Post