এক্স গার্লফ্রেন্ড যখন বউ | Ex Girlfriend Jokhon Bow | BDStoybook.com

 এক্স গার্লফ্রেন্ড যখন বউ। 

লেখকঃ মোঃ রাকিব হাসান। 

ছেলে: আমি আপনাদের পরিচিতি লেখক মোঃ রাকিব হাসান। পড়াশোনা শেষ করে একটি নতুন চাকরির খোঁজে আছি। একটা নতুন চাকরি জোগাড় করতে পারতেছিলাম না কারণ গ্রাজুয়েশন আমার কমপ্লিট হওয়ার ছয় মাস হল। আমি নিশ্চিন্তে এখন ঘুমিয়ে থাকলাম। নিশ্চিন্ত আর ঘুম আমার কিছুতেই আসতে লাগলো না আমার গার্লফ্রেন্ড আমাকে ফোন দিল ফোন দিয়ে বলল। 


মেয়ে: রাকিব শোনো আমার পক্ষে আর কোন কিছুই পসিবল হচ্ছে না আমার পরিবারের সবাই আমাকে বিয়ে দিতে চায়। কিন্তু তাদেরকে আমি আর কিভাবে বোঝাবো এতদিন তাদেরকে আমি অনেক বাহানা দিয়ে বুঝিয়েছি। প্রথমত তাদেরকে আমি বাহানা দিয়েছিলাম যে আমার পড়াশোনা কমপ্লিট করি কিন্তু এখন তো আমার পড়াশোনা প্রায় শেষের দিকে। আর এই দিকে আমার পরিবারের বর্তমান যে অবস্থা আমাকে মনে হয় তাহলে বিয়ে দিয়ে দিবে। আমি তোমাকে কতবার বললাম একটা জব করো একটা ভালো চাকরি খোঁজো কিন্তু তুমি কি একটা খুজতেছো কখনোই খোঁজ নাই। তুমিতো বর্তমান সকল পরিস্থিতি জানো বর্তমান পরিস্থিতি এরকম যে একটা ভালো চাকরি না হলে কেউ কারো মেয়েকে দিতে চায় না। আর তুমি তো এটাও জানো আমার পরিবারের অবস্থা আমার পরিবারের সবাই তো আমাকে সেই প্রথম থেকে বিয়ে করতে বলে। কিন্তু আমি তোমাকে ভালোবাসি বিধায় আমি কখনো রাজি হয়নি এই বিয়েতে বা কোন বিয়েতেই। এখন আমি তোমাকে কি বলব আমার পক্ষে আর কেউ নেই আর আমার পক্ষে রকম থাকাটা একদম সম্ভব হচ্ছে না কালকে আমাকে একজন দেখতে আসবে আমি ভেবে পাচ্ছি না যে আমি কি করবো? 


ছেলে: হ্যাঁ, আমি তোমার সমস্ত কথাগুলো বলছি এবং বুঝতে পারতেছি। কিন্তু আমি এখন কি করবো আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করা তো প্রায় ছয় মাস হল কিন্তু কোন চাকরি তো হচ্ছে না। কিন্তু অনেক জায়গায় আমি এপ্লাই করেছে খুব শীঘ্রই একটা ভালো চাকরি হয়ে যাবে তুমি টেনশন নিও না। আর যা হবে আমাদের ভালোর জন্যই হবে তুমি একটু অপেক্ষা করো। আর এভাবে তুমি চলে যেতে পারলেই তো চলে যাওয়া সম্ভব হবে না। তুমি বলছো তোমার পরিবারের সবাইকে বোঝাও তোমার ফ্যামিলির সবাইকে বোঝাচ্ছে তুমি এখন বিয়ে করতে ছো না। আর তুমি ভালো করে বোঝালে আমার বিশ্বাস তারা বুঝতে পারবে। 

এক্স গার্লফ্রেন্ড যখন বউ BDStoybook.com

BoyzTech.com

মেয়ে: আচ্ছা, তুমি আমাকে কি মনে করেছ আমি কি তাদেরকে বুঝায় না। আমি যথাসম্ভব তাদেরকে বোঝায় কিন্তু তারা তো আর বুঝতে পারতেছে না। আর এভাবে আমার পক্ষে এ রিলেশন সম্পর্কটা প্রভা একদম পসিবল হচ্ছে না। আর ইদানিং তুমিতো জানতে পেরেছো আমার ফ্যামিলির সবাই তোমার বিষয়ে জেনেছে। আমি তাদের কে সব বিষয়ে বলতে পারতাম কিন্তু তাতো এখন সম্ভব হচ্ছে না কারণ এখন তোমার কাছে কোন চাকরি। 


ছেলে: দেখো তাহলে তুমি এখন কী চাও ব্রেকআপ।তোমার যদি ইচ্ছে হয় বেক আপ করার তাহলে বলবে আমি জোর করে তোমাকে রাখতে চাইনা। আসলে সত্যি কথা বলতে কি আমার প্রথমে কেমন যেন একটা লিগেছিল আমার বারবার মনে হচ্ছিল যে তুমি অন্য কারো সঙ্গে রিলেশন এই আছো। বারবার শুধু মনে হচ্ছিল যে তুমি আমাকে কি করে ভুলে গিয়েছো আরে কয়দিনে তো আরো বেশি মনে হচ্ছিল? গত একমাস ধরে তুমি আমার সাথে আর ঠিকমতো ভাবে কথা বলোনা। এমনকি অনেক রাত পর্যন্ত তোমার কল আমি ওয়েটিং লিস্টে পেয়েছে। আর তোমাকে আমি কি বলবো তোমার যা ইচ্ছা তুমি তাই করো। 

এক্স গার্লফ্রেন্ড যখন বউ | Ex Girlfriend Jokhon Bow | BDStoybook.com


মেয়ে: এই দেখো প্রথমত কিন্তু আমি এইরকম কথা একদমই বলিনি। আর তুমি এসব আজেবাজে কথা বলবে না আমি কখনো ব্রেকআপ চাইনি। আমি শুধু তোমাকে বললাম যে কি আমার পক্ষে রিলেশন করাটা সম্ভব হচ্ছে না আর এভাবে কতদিন তুমি আমাকে বিয়ে করো আমি এইটা বলেছিলাম। তুমি এসব আজেবাজে কথা শুরু করেছো। তুমি জানো কয়দিন ধরে আমার ফোন ওয়েটিং ছিল কারণ ফোন আমার কাছে ছিল না। আমার এক ফ্রেন্ডের কাছে ছিল ওর ফোন নষ্ট হয়েছে দেখে আমার ফোনটি নিয়েছিল। আচ্ছা, তুমি যদি গত এক মাস ধরে এই মিথ্যা কথা বল তবে কি হবে? আমাকে তো তুমি বলেছিলে যে তুমি দুইদিন ধরে এক্সামে ব্যস্ত থাকবে কিন্তু পরে কি হল তোমার এক্সাম এর কথা। আমি পরবর্তীতে জানতে পারলাম এই যে তুমি তোমার ফ্রেন্ড সার্কেল কে নিয়ে বাইরে ঘুরতে বেরিয়েছো দুই দিনের জন্য। আমি যখন তোমাকে বললাম এসব কথা তখন তুমি এসব কথা একদমই রাখলানা। বরং পল্লা ওইটা তোমার প্রয়োজন ছিল। যাই হোক আমি আর ওইসব কথা বাড়াতে চাইনা। ভালো থাকো তোমার ইচ্ছা যা আমার ইচ্ছা তাই। রাকিবকে একথা বলে আমি ফোনটা কেটে দিলাম। তখন অনেক বেশী নিজেকে খারাপ লেগেছিল কিন্তু তবুও তখন রাকিবকে আমাকে এসব কথা বলার দরকার ছিল। আর আমার তরকারি রকম যাতে রাখি কোনো ভালো চাকরি করতে পারে। আমি এতক্ষণ ফোনে কার আখিকে বললাম তা আমার একটা মনের কথা ছিল না। আমি শুধু চেয়েছি রাখিব একটা ভালো যোগ করুন এবং আমার পাশে এসে বলুক যে আমার সে ভালবাসে। কিন্তু কিভাবে যে কি হচ্ছে আমি কিছুই বুঝতে পারতেছিনা? রাকিবরে সঙ্গে কথা বলার পরপরই আমার রুমে কিছু বড় আপুরা এলো তাদের সাথে সময় কাটিয়ে আমি আমার সময়টা পার করে দিলাম। 


ছেলে: আমার গার্লফ্রেন্ড রিয়া যখন এইসব কথা বলে ফোনটা কেটে দিলো। তখন আমাকে অনেক বেশি খারাপ লেগেছিল। আর সেই সময়টাতে আমি নিজেকে পাল্টে ফেললাম নতুনভাবে। চাকরির জন্য আমার আকৃষ্ট আরো বেশী হতে লাগল আমার ইচ্ছে ছিল যেন আমি রিয়াকে দেখে দিতে পারি।যে আমি কতটা গুরুত্বপূর্ণ একজন অফিসার সেদিন রাতে ফোন কেটে দেওয়ার পরেও আমি যেন চাকরির প্রতি আরো বেশি আকৃষ্ট হয়েছি। আমি এপ্লাই করতে লাগ্লাম বাংলাদেশের যত সব বড় বড় প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাতে। অবশেষে এভাবে কাটতে থাকলো 15 টা দিন তখন একটু হলেও চাকরির প্রতি আমার দূর্বলতা কাজ করলো তখন শুধু প্রভুর কাছে চাইতে লাগলাম মনে প্রানে অবশেষে রিয়ার সাথে ব্রেকআপ হওয়ার 20 তম দিনে আমার একটা এসএমএস ঢুকলো এসএমএসে ছিল আমি বাংলাদেশের সব থেকে একটা ভালো প্রতিষ্ঠানে জব পেয়েছি এবং আমি সেখানকার অফিসার হিসেবে নিযুক্ত হয়েছে। তাই আমি সেখানে আর কোনদিনই না করে আমি অফিসে জয়েন করলাম সামনে মাসের 1 তারিখ থেকে। সবকিছু কাজের ব্যস্ততার মাঝে রিয়ার কথা আর কিছুতেই মনে পড়ল না এইভাবে আমার চাকরির এক সময় প্রমোশনের দিকে চলে গেল। এবং আমি নিজেকে সম্পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠা করলাম তখন। হঠাৎ বইয়ের পাতা উল্টালাম বাসায় এসে বইয়ের পাতা উল্টাতে দেখি রিয়ার সাথে সে খুনসুটি কিছু ছবি। জা দেখে আমি তখন অনেক অবাক হয়েছিলাম কারণ ছবিগুলো তোলা ছিল আমাদের প্রথম দিনের রিলেশনের প্রথম তারিখে এবং আজকে আমাদের রিলেশনের পণ্য হল তিনটি বছর। 


আমাদের রিলেশনের তিনটি বছর পূর্ণ হবে তার জন্য দুঃখ কষ্ট আরো বেশি বেড়ে গেল। আমি তখন আমার কল্পনায় শুধু আমি রিয়া কেই দেখলাম। আমি মনে মনে ভাবতে লাগলাম এতদিন হয়তো রিয়া এর বিয়ে হয়ে গিয়েছে। সেদিন আমার সঙ্গে যে ব্যবহার করেছিল তাতে আর তার থাকার কোন কথাই ছিল না। অবশেষে একটু হলেও আমার কষ্টটা বেশী হতে লাগল কারণ আমাদের সম্পর্ক ছিল প্রায় তিন বছর। যাই হোক আমাদের সম্পর্ক হচ্ছে হতে ছিল তিন বছর সেজন্য তার ফোন নাম্বারে আমি একটি ফোন কল দিলাম। ফোন দেয়ার সাথে সাথে রিয়া ফোন টি ধরল ধরে আমাকে বলল। 


মেয়ে:: আমার x-bfরাকিব বলতেছেন। এতদিন কোনো যোগাযোগ হয়নি আজ হঠাৎ ও আমাকে মনে পড়ল। কোনো কারণবশত হয় না এমনি মনে করছেন। যাইহোক একটি কথা তো আপনাকে বলাই হল না। আজকে তো আমাদের রিলেশনের তিনটি বছর পূর্ণ হল। তাই বুঝি আপনি আমাকে স্মরণ করেছেন। আপনার তো অনেক কাজ অফিস আপনি কত কাজ করেন। আক্তারের কাজের প্রশংসা আমি সবার থেকে সরে যাই হোক জীবনে ভালো কিছু করুন এই আশা আমি রাখছি। 


ছেলে:: আমি তখন রিয়াকে বললাম আচ্ছা রিয়া তুমি যা বলছ তা কি একটু ঠিক বলছো। এখন আমি তোমার সাথে যোগাযোগ করতে চাইনি এমনটি না বল তুমি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করো নি। সেদিন তুমি আমার একটা চাকরির জন্য আমার সঙ্গে যা ব্যবহার করেছিলে তার জন্যই হয়তো বা তুমি আজকে আমাকে কিছু বোঝার চেষ্টা করতেছো।যাইহোক ওইসব আর আমি বুঝতেছি না যাইহোক তোমার হাজবেন্ডের কি খবর একে একে বিয়ে করলে আমাকে দাওয়াত দিলে না।


মেয়ে: এইতো এজন্যই তোমাকে আমি বলেছি তুমি আমার বিয়ে টাই পছন্দ করতে। আমি তো আসলে স্বপ্ন দেখেছিলাম তোমাকে নিয়ে বাঁচবার জন্য। তোমাকে দেখছি নতুন জীবনের জন্য আমার হৃদয়ের মাঝে আমি শুধু তোমাকে ভেবেছি আর আমি কাউকে জায়গা দেয়নি। শোনো আমার কোনো কিন্তু বিয়ে হয়নি। আসলে একটা সত্যি কথা বলি তোমায় আমি সেই দিন এই ব্যবহার তোমার চাকরির জন্য করেছিলাম। যদি তুমি তোমার জীবনকে একটি পূর্ণাঙ্গ ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারো তাহলে তো তুমি আমাকে বিয়ে করবে এর আশায় আমি এমনটা করেছিলাম। কিন্তু এর পরবর্তীতে কি হল তুমি আমাকে সম্পূর্ণভাবে ভুলে গেলে। তুমি তো কখনো এমন ছিলে না এমন কেন হলে? আগে কত সুন্দর ভাবে আমাকে মেসেজ দিতে? একদিন সত্যিই ফেসবুকের পারতাম না তবে তুমি ঠিক থাকবেনা। তুমি কিভাবে এতটা পরিবর্তন হয়েছ আমাকে বলতে পারো? 


ছেলে: আসলে আমি কখনো পরিবর্তন হয়নি আসে পরিবর্তন হয়েছ তুমি। আমি না হয় তোমার সঙ্গে কোনো কথা বলিনি কিন্তু তুমি তো বলতে পারতে। মতো কোনো কথাই বলনি আমার সঙ্গে একেবারে নিশ্চুপ হয়ে রয়েছে। শারাদিয়া আজকে আমি আমার জীবনে প্রতিষ্টিত। তবে আমার চারপাশটা কেমন প্রতিষ্ঠিত।তুমি ছাড়া আমার জীবন কেন জোরে অফ ফ্রেন্ড মনে হয় তুমি কি আবার আমার হবে। তুমি কি আবার ও আমাকে ফোন আমাকে ভালবাসবে? আজকের এই দিনে আমাদের রিলেশনের তিন বছর পূর্ণ হল।


বল তুমি কি সম্পূর্ণভাবে আমার হতে পারবেনা।


মেয়ে: আমি সম্পূর্ণভাবে তোমার হবো কিন্তু তুমি কি আমার হবে আচ্ছা, আমার বিশ্বাস তুমি আমার হবে কারণ আমার না হলে এত দিন পর ফোন দিত না 


ছেলে:: আচ্ছা, ঠিক আছে তাহলে তোমার কি এখন নতুন করে কোন শর্ত আছে আমি তো মনে করি তোমার অনেক বেশি শর্ত আছে কারণ তুমি এমনি কখনও কিছু হলে অনেক বেশি শর্ত দাও আর তুমি তো আমায় এক্স হয়েছিল সেজন্য শর্ত বেশি দিবে।


মেয়ে: হ্যাঁ আমিতো শর্ত দিব আর আমার প্রথম শর্ত হলো সব সময় তুমি আমাকে তোমায় মাঝি পুরোপুরি নিহিত করবে। আমার দ্বিতীয় শর্ত হলো আমাকে প্রতিদিন শপিংয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমার তৃতীয় শর্ত হল আমাকে বেশি বেশি করে মেয়েদের যা যা লাগে ওইগুলো কিনে দিবে। 


ছেলে: তুমি সুখে আছো এটাতে যথেষ্ট আছে আর কোন শর্ত দিও না। আর তুমি তো সুখে থাকতে চাও প্রশ্ন তো আমার প্রথম সত্যটা মেনে নিয়েছি।তবে কি তোমাকে প্রতিদিন আমার শপিংয়ে নিয়ে যেতে হবে আচ্ছা, তোমার আমি দ্বিতীয় শর্ত মেনে নিলাম কিন্তু তৃতীয় শর্তটি আমি জানি না কি কি লাগে? 


মেয়ে: আচ্ছা, বুঝতে পেরেছি আমি বলতেছি দাঁড়াও কি কি লাগে? প্রথমত লাগছে লিপস্টিক এবং কাজল আইলাইনার। আর মাসে মাসে ব্যবহার করার জন্য কিছু দরকারি জিনিসপত্র বুঝলেন। 


ছেলে: আচ্ছা, তাই বুঝি দরকারি জিনিসপত্র তাহলে আমাকে একটু বলো না আচ্ছা থাক এখন তোমাকে কিছু বলতে হবেনা আমি সবকিছু বুঝিয়ে গিয়েছি তুমি শুধু একটা কথা বল কবে নিয়ে যাব আমার বাসা থেকে লোকজনকে। 


মেয়ে: তুমি যত তাড়াতাড়ি নিয়ে আসতে পারবা তত তাড়াতাড়ি শুনতে পারবে দরকারি জিনিসের নাম গুলো। আমি তোমাকে এখন আর কিছু বলছি না যা বলব পরে বলব। আমাদের বিয়ের পরে আমি তোমাকে সব কিছু বলবো এখন তো অনেক রাত হয়েছে এখন তুমি ঘুমিয়ে পড়ো। 


ছেলে: এখনই ঘুমাবো আর একটু পরে ঘুমায়। ট্রাক তো আরো অনেক বাকি আছে আমাদের রিলেশনের তিনটা বছর পূর্ণ হল। একটা কিস করি না আচ্ছা, আমি কিছু করবো না তুমি দিও। তুমি যদি এখন দিতে পারো তাহলে আমি ঘুমাবো তা না হলে ঘুমাবো না হ্যাঁ, আমি ঘুমাবো না কখনও ঘুমাবো না এইটা আমার আবদার। 


মেয়ে: সব আবদারের একটা সময় সীমা আছে আমার লাগবে তো অনেক কষ্ট তুমি শুধু না ঘুমাও তাহলে আমার অনেক কষ্ট হবে। আর তোমার আব্বুর আমি এখন মানছি না আরেকটু পরে মানব আশা করি আমার সমস্ত কথা তুমি বুঝতে পেরেছ আর এই জন্য এখন দেরি না করে ঘুমাও কালকে যে তোমাকে অফিসে যেতে হবে তাই না। 

ছেলে: রিয়া একথা বলে আমার ফোনটি কেটে দিলো তারপরে আমি ঘুমিয়ে পড়লাম অবশেষে সকালবেলা আমি আমার মাকে রিয়ার কথা সমস্ত খুলে বললাম আমি রিয়ার কথা বললাম মাত্র মা অনেক খুশি হয়েছে এবং তারা আজকে রিয়াকে দেখতে যাবে এগুলো যদি রিয়াকে পছন্দ হয় তাহলে তারা রিয়াকে আজকে ঘরের বউ করে আনবে। আজকে আমি আর অফিসে গেলাম না আমি গেলাম জিয়াকে দেখতে সরি আমার এক্স গার্লফ্রেন্ডকে দেখতে গ্রিয়াতের বাসায় যাওয়ার পর পিয়াকে দেখে তারা সবাই পছন্দ করলো। এবং কিছুক্ষণ আলোচনার পর তারা আমাদের বিয়ের ওখানে দিবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল আমি তো তখন রীতিমত ভাবে অনেক অবাক ছিলাম। কিন্তু যখনই রিয়া পবিত্র মুখ দিয়ে বলল যে তিনটি শব্দ কবুল। আমি যেন তার নতুনভাবে প্রেমে পড়ে গেলাম। আমি তাকে আমার ঘরের বউ করে বাসায় আসলাম। বাসর ঘরে ঢুকে তাকে একটা লম্বা সালাম দিলাম দিয়ে বললাম আজকে তোমার মনে কি ইচ্ছা আছে বলে দাও। 


মেয়ে: শুধুমাত্র তোমাকে এভাবে পেয়ে আমি অনেক বেশি ইচ্ছের মাঝে পড়ে গিয়েছি এখন আবার ইচ্ছে হচ্ছে তোমাকে জড়িয়ে ধরি। 


ছেলে: তোমার সব ইচ্ছা আমি পূরণ করব তোমার স্বপ্নগুলো পূরণ করব। তোমার ওই দুটি লিপস্টিক লাগা ঠোটে আমি আমার ঠোঠ কে প্রতিস্থাপন করতে চাই তোমার হাসির মাঝে আমি হারিয়ে যেতে চাই। তারপর একটু অনুভব এর মাঝে রিয়ার ঠোটে আমার ঠোট স্পর্শ করতেই রিয়া বলল। 

মেয়ে:এতটা ভালবাসো কেন আমি কান্না করে দেবো এখন আমার কষ্ট হচ্ছে না বুঝি তোমাকে এভাবে বিয়ে করেসকেন আগে আমার জীবনে আসনি তুমি আর যখন এলে এত দেরি করে কেন? 


ছেলে: তুমি কি জানো না পৃথিবীটা একটি সবকিছু ধীরেই তৈরি হয় সেজন্য আমাদের প্রেম মনে হয় ধীরেই হল? তুমি চিন্তা করিও না আমাদের মাঝে যা হবে সব একটু ধীরেই হবে চিন্তা করিও না।

এইভাবে সময়টাকে ইতিহাসের পাতায় দিয়ে আমাদের প্রেম চলেই।

এক্স গার্লফ্রেন্ড যখন বউ | Ex Girlfriend Jokhon Bow | BDStoybook.com

Post a Comment

Previous Post Next Post