খালাতো বোন যখন অফিসের বস | Khalato Bon Jokhon Officer Boss | BDStoybook.com-Bangla Golpo, bangla story, bangla Romantic Love Story, Short story,

খালাতো বোন যখন অফিসের বস। 

রাকিব হাসান। 

গল্প নং :০৫ 


মেয়ে: একটি কাজও তুই ঠিক করে করতে পারিস না সব কাজে আমাকে দেখতে হয় কি জন্য বলতো। আমার মনে হয় আমার অফিসে তোর চাকরি দিয়ে ভুল হয়েছে এখন চুপ করে আছিস কেন বল কিছু বল। 


ছেলে: আসলে বস আমি বুঝতে পারিনি আমি তো ঠিক কাজ করেছিলাম কিন্তু কিভাবে কি হল তা তো বুঝতে পারলাম না একটু ফাইল হেরে গেল। 


মেয়ে: ভাই হেরে গেল মানে কি তুই জানিস এই ফাইলটা আমার কত কিছু প্রয়োজন ছিল হ্যাঁ, ওইটা আমার অফিসে কাজে লাগত না কিন্তু আমি ওখানে কত কিছু লিখতাম আমি কত গল্প লিখতাম কত কবিতা লিখতাম ওগুলো কিছু লিখতে পারবি। 


ছেলে: হ্যাঁ, আমি গল্প লিখতে পারবো না কিন্তু কবিতা লিখতে পারব তুই কি আমার কবিতা চাস বল তো আমি কিন্তু প্রেমের কবিতা অনেক ভালো লিখি। 


মেয়ে: তুই কি মনে করিস আমি জানি না তাই আমি অবশ্যই জানি আর তোর কবিতা আমি একদম নিচ্ছি না? কবিতা লিখবে তোর মাঝে কিছুকে রোমান্টিকতা আছে সেজন্য কি কবিতা লিখতে পারবি আমার তো মনে হয় না তুই তো একটা মিস্টার ক্ষ্যাত।


ছেলে:: দেখ রিয়া প্রথমত আমি তোর থেকে একটু বড় সেজন্য একটু তো সম্মান করবে আর এভাবে বলিস না আমি অনেক কবিতা লিখতে পারি সুন্দরভাবে। আর এই বিষয়টা তোর মাথায় রাখবে আমি তোর নিজের খালাতো ভাই আচ্ছা থাক তাহলে আমি অফিসের ভিতরে ঢুকলাম আমার কাজ আছে অনেক 


মেয়ে: এই কই তাছে এখানে বস এটা আমার আদেশ একজন অফিসের বস হিসেবে এই আদেশ তোকে পালন করতে হবেই আমার ভাই আর জানিসই তো আমার আদেশ যে পালন করে না তাকে আমি কি করি তার চাকরিটা আমি নষ্ট করে ফেলি তাই তো এখানে বসে থাকবি তুই এটাই হলো তোর কাজ। 


ছেলে: কালকে তো শুক্রবার জানিস আমি কালকে কি দোয়া করব আমি কালকেই দোয়া করব তোর থেকে জানো আমি বড় বস হতে পারি তারপর দেখবি তোকে আমি কি করি? সারাদিন চামচা গুলোর মত পিছন পিছন ঘুরে নিয়ে বেড়াবো তোকে যেমন তুই আমার থেকে করিস। 


মেয়ে: দূর ওইসব কি কেউ বলে নাকি আমিতো তোকে চামচা বলি না তুই তো আমার অনেক কাছের মানুষ। সন্ধ্যা মায়ের মাথাটা একটু ব্যাথা করতেছে একটু হাত বুলিয়ে দে না আমার মাথা টাতে। 


ছেলে: আমি জানিনা সপ্তাহের ভিতরে তোর তিনদিনই আমার মাথার পেছনে পুরো সময়টা কেটে যায় আর কি জন্য যে তোর অধীন আমি হয়েছি তা আল্লাই জানে ভালো আর তোমার তো এটা মাথা না তোমার তো এটা কচুর ক্ষেত যতই দিব ততই আরও বেশি হবে আর সারাটা ক্ষণ আমার এই কাজে ব্যস্ত রাখবি তুই।


মেয়ে: দারাতো কি বললি আমার মাথা না আমার মাথা কচুর খেত তাহলে তো তোর থেকে আজকে আমি ওভার ডিউটি টা এখানে পূর্ণ করে নিচ্ছি তার আগে যদি একটা তুই এইরম থেকে বের হইস তাহলে তোর অবস্থা তো বুঝতেই পারতেছিস কি হবে 


ছেলে: আচ্ছা, নেই ওইসব আর তোকে বলতে হবে না রে তোর মাথা দিচ্ছে তবে একটা কথা বলি কালকে কিন্তু আমি আল্লাহর কাছে সেই বড় দোয়া করব যাতে তোর থেকে আমি অনেক বড় কিছু হতে পারি। 


মেয়ে:: কখনোই হতে পারবিনা আর তোর দোয়া তো কবুল হবে না কারণ তুই তো একটা শকুনের বাচ্চা 8:30 মাস নামাজ পড়িস না শুধু সপ্তাহে চারদিন আসলে আল্লাহকে মনে পড়ে তাই না। আর তুই কি মনে করেছিস আল্লাহ তোকে এই চারদিনের কথাই শুনবে আর বাকি দিনের হিসাব তো দিতে পারবি না। 


ছেলে:: ও হ্যালো আমি শুধু চার দিনে মনে করি আর তুই তুই তো মনে হয় মাসে একদিন মনে করিস না কি করে যে তোকে মুসলমান বলি এটাই তো আমার সন্দেহ। 


মেয়ে: তুই কি বললি আমি মুসলমান না আমি প্রতিদিন রাতে কোরআন তেলোয়াত করি আমি তো তোমার মত না যে কোরআন শরীফ পড়তে পারি না? 


ছেলে: ও হ্যালো আমি কোরআন শরীফ পড়তে পারি না সেটা কি তোমাকে কেউ বলছে কে বলছে শুনে আমি কোরআন শরীফ পড়ার জন্য কোন এক সময় হাপেজ হয়েছিলাম।


মেয়ে:: তুই কি মনে করিস তোর ওইসব চাপাবাজি কথা আমি জানি না তুই তো অনেক ছোটবেলা থেকে কিছু একটা উপহার পাই ছিলিস তাও আবার গ্রামের মক্তব গুলাতে পড়াশোনা করে শোন তুই ওনাদের কাছে চাপাবাজি করতে পারিস কিন্তু আমার কাছে করিস না প্লিজ আমার হাসি পাচ্ছে। 


ছেলে: আমাকে এতটা অপমান করতেছিস তুই দাঁড়া তোর মজা দেখাচ্ছি। তারপরেও রিয়ার মাথায় একটা কিল মারলাম মানে বলতে গেলে কি জোরে ঘুসি মারলাম। 


মেয়ে: তোর তো আজ 13 টা বাজাবো আর আজকে তোর একদিন আর আমার 2 দিন তোকে তো আজকে আমি যেতে দেব না পুরো সময়টা তোকে এখানে বসে রাখবো। 


ছেলে: আচ্ছা, আমি বুঝিনি এজন্য এমনটা শাস্তি দিছ না এতক্ষণ ধরে অফিসে কি করবো বল আমার একজন বান্ধবী আসবে দেখা করতে। 


মেয়ে: আচ্ছা, তোর বান্ধবী আসবে দাঁড়া তোর মজা দেখাচ্ছি কিরে তোর বান্ধবী নাম কি শুনি একটু। 


ছেলে: প্রথমত আমার বান্ধবীকে নিয়ে কোনো কটুক্তি করবিনা আর আমার বান্ধবীর নাম হল রাইসা আমরা একজন আরেকজনের বেস্ট ফ্রেন্ড তোর মত না বুঝলি। 


মেয়ে: আমার মত মানে আমি কি তোকে খুব বিরক্ত করি নাকি আমিতো তোকে কখনো বিরক্ত করি না আর এটা সত্য যে আমি তোকে মাঝে মাঝে একটু তো বিরক্ত করি কারণ তোকে বিরক্ত না করলে যে আমার পেট ভরে না তোকে বিরক্ত করলে আমার পেটটা পূর্ণ হয়ে যায়। 



ছেলে: এইজন্যেই এইজন্যে আমার খালা বলতো যে তুই অনেক বেশি খাদক আর সবকিছু একটু বেশি করে খেতে পছন্দ করিস যেমন আমাকে তুই খেয়েছিস পুরোটাই। 


মেয়ে: কি বললি তুই? তোকে আমি পুরোটা খেয়েছি ছি ছি তোকে কেন আমি পুরোটা খেতে যাব? আর তোর মাঝে তো কোন সাহস নেই তুই তো একটা গোমরা টাইপের বলতে গেলে যাইহোক তোরে গোমরাহীতে আমাকে খুব বেশি পছন্দ লাগে সেজন্য তোকে এরকম ভাবে আমি রাখি। 


ছেলে:: কেউ না আমি কখনো বোম্বাই থাকি না আমি আমার পরিবেশের উপর ভালোবেসে থাকি। যাই হোক আজকে আমি আমার বাসা থেকে বাইক নিয়ে এসেছি তুই কিভাবে যাবি রিকশা তে না আমার বাইকে বল। 


মেয়ে: অবশ্যই তোর বাইকে যাব কারণ আমার রিক্সা ভাড়া যে বাজবে আলা তুই তো জানিস আমি অনেক হিসাবি একটা মেয়ে আর একটা যদি লস হয় তাহলে তো আমার জীবন আর জীবন থাকে না। 


ছেলে: তোর কি মনে হয় আমি জানিনা তুই কতটা কিপটে স্বভাবে আর কিপটে স্বভাবের বলেই আজকে এতটা চাকরি পেয়েছিস? আমি তো তোকে আগেই বলেছি তুই অনেক কিপটে আর তুই কোন লস করবে এটা তো হতে পারে না আর যদি হয় তাহলে তো কিয়ামত চলে আসবে। 


মেয়ে:: হয়েছে তোকে আর আমাকে কোন প্রকার জ্ঞান দিতে হবে না আমি এমনি থেকেই অনেক জ্ঞান জানি আর তুই আমাকে কোন জ্ঞান না দিলে অনেক বেশি খুশি হব। আরেকটা কথা দেখতো এখন কয়টা বাজে? 


ছেলে:: এখন বাজে বিকেল চারটে কেন কিছু কি তোর প্ল্যান আছে এখনো তো অফিসের ছুটির সময় হয়নি অফিস তো ছুটি হবে সন্ধ্যা সাতটায়? 


মেয়ে: এইজন্যই তো তোকে আমার ভাল লাগে তুই আমার সমস্ত প্ল্যান গুলো আগে থেকেই বুঝে নিস আমি ভাবতেছি তোর বান্ধবীর সঙ্গে তোলার দেখা করার দরকার নেই তুই আমার সঙ্গে চল আমরা ফুচকা খেতে যাব এখন আরেকটি কথা তুই যদি এখন না বলিস তাহলে তোর কি করবো বুঝতে পারতেছি তো। 


ছেলে: তুই আমার কি করবি এটা কি আমি বুঝতে পারিনি তুই আমার চাকরিটা কে শুধু ভয় দেখাবি আসলে কে যে তোকে পাওয়ার দিল অন্যের চাকরি নষ্ট করার তা তো আমি বুঝতেই পারিনা? আচ্ছা, তুই নিচে নেমে আয় আমি আমার অফিসের রুম থেকে গাড়িটা বের করি। 


মেয়ে:: আচ্ছা, বের কর আমি নিচে গেলাম আর তুই যদি না আসিস তাহলে কি হবে বলতো আমি তো চাকরিটা তোর শেষ করে দেবো দেবো বরং ডিউটি আরো বেশি করে দেবো আচোদা তোর এই মাসের বেতন থেকে 50 পার্সেন্ট কম করিয়ে দিব তাই কোন দেরি করবি না শঅফিসের রুমে যাবি তোর গাড়িটা বের করে নিয়ে আসবি। 


ছেলে: তুই আমার খালাতোবোন না বুঝলি তুই আমার একটা জল্লাদ খালাতো বোন আর তোকে যে বিয়ে করবে তাই যে কিভাবে শান্তি পাবে তা তো আমি ভাবতেই পারি না আচ্ছা, যাচ্ছি আমি এতই নিচে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাক। আমার তো তখন ইচ্ছে হলো রিয়াকে অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে রাখি। কিন্তু তার সম্ভব হলো না কারণ সে যে আমার অফিসের বস় ছিল তাই আমি সোজা আমার রুমে গেলাম গিয়ে বাইক টা বের করে নিয়ে আসলাম।


মেয়ে: এতক্ষণ লাগে বুঝি একটা সাধারণ গাড়ি বের করতে আর তোর যে গাড়ির অবস্থা সময় তো লাগবেই কত বার বলছিলাম একটা নতুন গাড়ি কিনে নে কিন্তু আমার কথা তো আর তুই শুনলে না আচ্ছা, শুনিস নি ভালো হয়েছে না হলে তোর বান্ধবীর কে নিয়ে ঘুরে বেড়া তি তুই।


ছেলে: মোটেই না আমি এমনটা কখনই করতাম না তোর চিন্তা ভাবনা একটু অন্যরকম যাইহোক এখন কি গাড়িতে উঠবে নাকি আমি একাই চলে যাব সেটা তোর ইচ্ছা তোর ইচ্ছে হলে আমি একাই চলে যাচ্ছি। 


মেয়ে:: একাই চলে যাচ্ছে মানে কি আমি কি এখানে অযথাই এসেছি নাকি আর একাই তুমি চলে যেতে চাইলেও আমি চলে যেতে দেবো না তুমি যদি চলে যাও তাহলে তোমার বান্ধবীকে নিয়ে ঘুরে বেড়াবে আর আমি থাকতে তাতো কখনো সম্ভব হবে না। 


ছেলে: আমি জানিনা আমি অবশ্যই জানি কারণ এখন পর্যন্ত আমি যতটা যেতে চেয়েছি আমার বান্ধবী কে নিয়ে যেতে দেয়নি আর আমিও তোমাকে বহুৎ বলে ভুল করেছি 

    

কিন্তু এবার আমি একেবারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে কখনো আর কিছু কথা তোমাকে বলবো না। 


মেয়ে:: আচ্ছা, তোকে আর কোন কথা বলতে হবেনা কিন্তু এখানে আমি আর কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকব এখন কি আমি উঠবো। 

ছেলে: হ্যাঁ, অবশ্যই ওঠো তুমি না উঠলে আর কেউ উঠবে। তারপরে আমি আমার খালাতো বোনকে নিয়ে ফুচকা খাওয়ার জন্য রওনা দিলাম একটা ফুটপাতের মরে আমরা দুইজন দাঁড়ালাম এবং ফুচকার অর্ডার দেওয়ার পরে রিয়া বলল। 


মেয়ে: তুমি জানো না আমি এক পেল্ট ফুচকা খেতে পারিনা আমার অনেক লাগে আর তুমি এতটাই কিপটে কেন শুধুমাত্র একটা ফুচকার অর্ডার দিলে টাকা নাই টাকা না হলে বল আমি তোমাকে দিচ্ছি কিন্তু তোমার বেতন থেকে তা অবশ্যই কেটে নেব। 


ছেলে: আসলে তুমি সমস্ত কিছু প্যারাটা আমার উপরেই দিচ্ছ প্রথমত এই ফুচকা খাওয়ার প্রতি আমার এত ইন্টারেস্ট নাই আর পরবর্তীতে আমার বেতন থেকে টাকা কেটে নিতে চাচ্ছো এইজন্য তোমাকে আমি এমনিতে বলি না তুমি একটি জল্লাদ। 

খালাতো বোন যখন অফিসের বস | Khalato Bon Jokhon Officer Boss | BDStoybook.com


মেয়ে: তুমি শুধু সব সময় একটু বেশি বেশি কথা বল আমি মোটেও ঐরকম না হ্যাঁ, এটা সত্য যে আমি ফুচকা খেতে পছন্দ করি একটু বেশি পছন্দ করি তাই বলে আমার অফিসের কর্মচারী হয়ে তুমি আমাকে একথা বলতে পারলে। যাও তোমার আর কোন প্রমোশন আমি করে দিচ্ছি না একেবারেই না। 


ছেলে: আরে না এমনটা কেন আমি তো তোমার সঙ্গে আমি ফাজলামি করলাম আর তুমি এসব আজেবাজে কথা বলা শুরু করে দিয়েছো কত প্লেট ফুচকা লাগবে বল?


মেয়ে::> আছে নাকি তুমি এসব কথা বাদ দাও তো তোমাকে একটা কথা বলি শুনবে তুমি কি কাউকে অনেক বেশি ভালোবাসো শোনো আমি তোমার অফিসের বস ঠিক আছে কিন্তু আমি তোমার খালাতো বোন আমার কাছে কিছু লুকাবে না। 


ছেলে: সত্যি কথা বলতে একজনকে মনে হয় আমি ভালোবাসি কিন্তু অতটা না এর কারণ তার আমার মাঝে সব সময় ঝগড়া তো লেগেই থাকে।


মেয়ে: আমি রাকিবের এইসব কথা শুনে একটু মন খারাপ হয়ে বললাম ও আচ্ছা তাহলে তোমার সেই ভালোবাসার মানুষের নামটা কি বলতে পারবে যদি তুমি কোন কিছু মনে না করো তবে বলি ও আচ্ছা।


ছেলে:> কেন বলতে পারবো না আসলে তার নাম শুনলে তুমি চমকে যাবে কারণ তার নামটি রয়েছে একটা ভালোবাসার সুর তার নাম শুনলে আমাকে যেন একটু ভয় লাগে। 


মেয়ে: ভয় কেন লাগবে তোমাকে সে কি তোমাকে অনেক বিরক্ত করে? 


ছেলে: হ্যাঁ, একটু তো বিরক্ত করেয় কিন্তু তার বিরক্ত গুলো আমাকে অনেক মিষ্টি লাগে এবং আজকে যেন সে আমার সঙ্গে কি বিরক্ত করেছে। 

মেয়ে; তা কি করে জানবো তুমি যদি না বল তাহলে তো আমি জানতে পারবো না? আসলে একটা কথা আমি যাকে জীবন একটু বেশী গুরুত্ব দিয়েছি তারা আমার থেকে চলে গিয়েছে জানো আমার জীবনে একজন ছিল জানিনা এখন আছে কি নেই? আমি তাকে অনেক বেশি ভালোবাসতাম কিন্তু কখনো তা প্রকাশ করিনি। 


ছেলে:: আচ্ছা, তাই বুঝি তাহলে আমাকে বলনি কেন আগে? আমি না হয় তোদের ব্যবস্থাটা করেই দিতাম রে একটু হলেও তো বলতেছি আর তোর বলা দরকার ছিল আচ্ছা, যাই হোক তখন তুমি বলোনি তাহলে শোনো সে আজকে আমাকে দিয়ে তার মাথা টিপে নিয়েছে। 

    মেয়ে> তাই বুঝি তুমি এসব কি আমাকে বলতেছ আমার কেন মনে হচ্ছে যে তুমি এসব আমাকে বলতেছো?আচ্ছা তুমি জানো আমি যা বলি খোলাখুলি বলে দেই আমার মাঝে কোনো ছলনা নেই রাকিব আমি তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসি জানিনা এটা সম্ভব কিনা কিন্তু আমি তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসি। 


ছেলে: আই লাভ ইউ টু আমি তোমাকে অনেক বেশি ভালবাসি রিয়া আমি জানি তুমি আমার খালাতো বোন সেজন্য তোমাকে ভয় বলতে পারিনি। আসলে আমি না হয় ভয়ে বলতে পারিনি কিন্তু তুমিও তো বলতে পারতে আর তোমার সাথে প্রেম করে আমার কিন্তু অনেক লাভই হবে। 



মেয়ে> লাভ হবে মানে কি তুমি কি আমাদের রিলেশনের লাভ লস হিসাব করবে আর যদি তুমি আমাদের রিলেশনের লাভ লস হিসাব করো তাহলে তো আর কিছুতে হবে না। 


ছেলে: আরে না এমনটা কেন হবে আমি তো এমনি বললাম আর তুমি যদি আমার বউ হও তাহলে তো আমার প্রমোশন এমনিতেই বেশি হবে আমি তো এটার জন্য বললাম আর কি। 


মেয়ে:: আচ্ছা, হয়েছে না এখন চলো তোমার খালাম্মার কাছে যাবে খালাম্মার কাছে গিয়ে সব কথা খুলে বলবে। 


ছেলে: এত তাড়াতাড়ি বলতে হবে একটু পরে বলি না, খালাম্মা কে? 


মেয়ে: আসলে শোনো আমি তোমার খালাম্মা না আর তোমার খালাম্মা কি তুমি বলবে বুঝতে পারছ। 


ছেলে: আচ্ছা, চলো খালাম্মাকে কেবলই একটু ফোন করে বলি আচ্ছা, আমি এখনই ফোন করতেছি তুমি ওয়েট করো আমার খালাম্মা ফোন ধরল ফোন ধরে আমি বললাম জী খালাম্মা আসলে একটা কথা বলতে ফোন দিয়েছি আপনাকে আপনার মেয়েকে আমি অনেক বেশি ভালোবাসি আর সেই কথাটা বলতে বলল আপনাকে আমার এই কথা শুনে খালাম্মা অনেক খুশি হল এবং বললো তোরা কালকে চলে আয়। 

তারপরে আমি রিয়াকে নিয়ে খালামনির বাসায় গেলাম খালামণিকে দেখে আমিতো একটু ভয় পেয়েছিলাম কিন্তু ওখানে গিয়ে দেখি আমাদের বাসার সবাই আছে অথবা তার একটু ছোট আয়োজন করে আমাদের বিবাহ টা ওখানেই সম্পন্ন করে দিল।আর এভাবে আমার খালাতো বোনকে নিজের বউ করে নিয়ে নিলাম 

খালাতো বোন যখন অফিসের বস | Khalato Bon Jokhon Officer Boss | BDStoybook.com

Tags: Bangla Golpo, bangla story, বাংলা গল্প,  bangla Love Story, বাংলা ভালোবাসার গল্প,  Horror story, ভুতের গল্প, LoveStory, বাংলা গল্প, প্রেমের কাহিনী, গল্প সাহিত্য,অনলাইন গল্প, বাংলা অসমাপ্ত গল্প, bangla story, online story,  thakurmar jhuli, kujo buri golpo, roopkatha golpo,

Post a Comment

Previous Post Next Post