বেষ্ট ফেন্ড যখন বউ অন্তিম পর্ব | Best Friend Jokhon Bow last part | BDStorybook.com

 বেষ্ট ফেন্ড যখন বউ

লেখকঃ মোঃ রাকিব হাসান। 

পর্ব :সর্বশেষ 

মেয়ে:     বাসায় চলে আসার ঠিক দশ মিনিট পরে আমি ফোন দিলাম রাকিবকে কারণ আমাদের বাসা অনেক কাছেই ছিল বলতে গেলে 10 মিনিটের পথ। রাকিবকে ফোন দিয়ে আমি বললাম কি করো এখন কিন্তু আমি ফোন দিয়ে দেখলাম রাকিব আর কোন কথাই বলল না কিন্তু আমি বারবার বলতে লাগলাম কি করো এখন। অবশেষে রাকিব যখন কিছুই বলতে ছিল না আমার অনেক বেশি টেনশন হয়েছিল তাই আমি তার বাবাকে ফোন দিলাম। কিন্তু তার বাবাকে ফোন দিয়ে দেখলাম তারা কেউ ফোন রিসিভ করল না। অবশেষে আমি আরো একবার রাকিবকে ফোন দিলাম এবার সেই ফোন রিসিভ করল। ফোন রিসিভ করতেই আমি বলতে লাগলাম কি হয়েছে তোমার আজকে ফোন দিলাম কতবার ধরলে না কেন? চুপি চুপি কথা বিয়ে করতেছো নাকি সনাতা চিন্তা একদম করবেনা আমি আমাদের ব্যবস্থা করতেছি। 

ছেলে:   আসলে সত্যি কথা বলতে কি আমি ইচ্ছে করেই প্রিয়ার ফোনটি সেদিন ধরিনি কারণ আমার এই বিষয় ছিল যে যদি আমি তার ফোন ধরি তাহলে অবশ্যই সে উল্টাপাল্টা কিছু বলবে উল্টাপাল্টা মানে হলো আমাদের বিয়ের কথা একদম বলবে না। তাইতো ইচ্ছে করে ফোনটা আমি পাশে রেখে দিয়েছিলাম যাতে সে কিছু বুঝতে না পারে। এবং আমি ফোনে রিয়াকে বললাম তোমায় ছাড়া আমি আর কাউকে বিয়ে করতে যাব কি? তোমার কি মনে হয় আমি কি ওই রকম আমি কখনো এরকম না বুঝলে? আমি তোমাকে ভালবেসেছি আর তোমাকে বিয়ে করব। আর আমাদের মাঝে যে হাতে হাত রেখে রাস্তায় ঘোড়া বাকি তা পর্ণ করব। এবং একে অপরের মাঝে হাত ধরে বসন্তের রঙিন ছোয়ায় ওরা যে বাকি আমাদের  একে অপরের ভালোবাসায় আমরা তা পূর্ণ করে নেব। 

মেয়ে:   প্রথমত রাকিবের এসব কথা শুনে আমি থমকে গিয়েছিলাম। আমি কি নাকি? হয়েছিলাম তখন কোন কিছু বুঝতে পারলাম না। তবে রাকিবকে একথা বললাম কালকে আমি তোমার ঘরের বউ হিসেবে যাচ্ছি। এইকথা বলার যথেষ্ট কারণ ছিল আমার কারণ আমি আগে থেকেই বাবাকে বলে রেখেছিলাম যে আমার যখন ইচ্ছা হবে তখনি কিন্তু আমি রাকিবকে বিয়ে করব তারা হ্যাঁ বলেছিল। রাকিবকে একথা বলতেই দেখি বাবা  এল আসতেই আমি ফোনটা কেটে দিলাম।দাদা আমাকে বলল আমি রাকিবের বাবার সঙ্গে কথা বলেছি তারা রাজি আর কালকে তোদের বিয়ে হবে তুই শুধু মানসিকভাবে প্রস্তুত থাক আর রাকিবকে খবরটা জানিয়ে দে। বাবার একথা বলতেই আমি আর দেরী করলাম না সরাসরি রাকিবকে ফোন দিলাম।  রাকিবকে ফোন দিয়ে বললাম শোনো একটা সুখবর আছে আমাদের বিয়ে কালকেই এটাই ফাইনাল ডেট। কারন আমি আমার বাবাকে আমাদের কথা বলেছি বাবা রাজি হয়েছে কালকে আর তোমার বাবা রাজী তোমাকে জানিয়ে দিলাম। আচ্ছা, আর কথা হবেনা তাহলে কালকে আমাদের বিয়ে হচ্ছে কালকে কথা হবে ভালো থাকিও আর এখন ঘুমাও রাত জাগবে না। 

বেষ্ট ফেন্ড যখন বউ অন্তিম পর্ব | Best Friend Jokhon Bow last part | BDStorybook.com


ছেলে:   রিয়া যখন আমাকে কথা বলল তখন অদ্ভুত ভালোলাগার মাঝে আমি পড়ে গেলাম। সেদিন রাতে কিছুতে আমার চোখে ঘুম আসলো না ঘুম গুলো যেন অচেরি রয়ে গেল। তবে শুধু একটা স্বপ্ন আঁকলাম আর সেই স্বপ্নটা হলো আমাদের প্রেমের বাসর। এবং আমাদের কাটানো কিছু সময়। রিয়াকে বললাম আচ্ছা কেটে দিলাম কালকে তাহলে আমাদের দেখা হচ্ছে। অবশেষে একটু হলেও রাতে একটু ঘুমিয়ে নিলাম কারণ কালকে তো আর ঘুম হবেনা। কেন কালকে তো হবে শুধু কাছে আশা আর ভালোবাসা? এমিনই করে কখন যে সকাল হলো তা কল্পনা করতে পারি নাই।কল্পনার আবডালে যেন আমি নতুন ভাবে নিজেকে আবিষ্কার করলাম।

সকাল দশটায় আমাদের ফ্যামিলির একটা প্রাইভেটকারে রিয়াকে বিয়ে করতে আনতে গেলাম। রিয়ার বাসায় ঢুকে তার চোখে চোখ রাখতেই হারিয়ে গেলাম অতল দুনিয়ার গহীন বনে অতঃপর riay 111 করে তিনবার কবুল বলল তখন অবশ্যই নিজেকে নতুনভাবে তৈরি করলাম আমার সবথেকে একটা অদ্ভুত লেগেছিল রিয়া যখন সবকিছুতে তার পরিবারকে ছেড়ে আসলো এবং একটু কান্না করলো না। আসল হয়তো একটি মানুষের প্রতি তীব্র ভালোবাসা থেকেই এমন কিছু হতে পারে। আমি প্রাইভেট কারে করে রিয়াকে নিয়ে আমার বাসায় চলে এলাম। চলে এসেছে আমরা আমাদের ঘরে প্রবেশ করলাম। একটি নির্জন ঘর যেখানে শুধু ব্যক্তি পরিচিত মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে আমি। কিন্তু এই পরিচয় হয় আর সেই পরিচয় না এই পরিচয় হলো আমাদের একে অপরকে চেনার পরিচয়। আমি রিয়াকে বললাম আমার  জীবনে তুমি শেষ  এবং তুমি আমার জীবনের সমস্ত কিছু।তোমার সমস্ত কথাগুলো আমি মেনে নিয়ে তোমাকে বিয়ে করেছি আমার বিশ্বাস তুমি তা অনেক বেশি খুশি হয়েছ তাই না। 


মেয়ে:   সবকিছুর তাড়াতাড়ি কমপ্লিট হবে তা আমি কখনো ভাবতে পারিনি। অবশেষে আমি রাকিবকে বললাম হ্যাঁ আমার সমস্ত শর্ত কমপ্লিট করায় আমি অনেক বেশি খুশি হয়েছি। আসলে রাখিও আমি কখনো চিন্তা করিনি এভাবে তুমি আমার জীবনকে পাল্টিয়ে দিবে। 

ছেলে:   আচ্ছা, এভাবে বলে কিন্তু আমাকে তুমি পুরাই লজ্জাই ফেলেছ। আচ্ছা, এখন বাজে রাত 2:00 এখনতো আমাদের একটু প্রেম হোক। কেন আমাদেরকে যে বাচ্চা নিতে লাগবে অনেকগুলো তাই এখন থেকে শুরু করি। মানে এখন থেকে আমাদের প্র্যাকটিস করি। 



মেয়ে:   তাই না থাকিত এই ছিল তোমার এতদিন মনে। আমি যদি আগে জানতাম তাহলে করতাম না তোমার সাথে প্রেম। কারণ কত কষ্ট করতে হবে আমায়? কিন্তু তুমি যেহেতু আমার ভালোবাসার মানুষ তাই আর না করতে পারবোনা আচ্ছা। 


 ছেলে:    আর এইভাবে এই গল্প চলতে থাকে নতুনভাবে আমি রিয়াকে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড কে আবিষ্কার করতে থাকি তবে এ বিষয়টা সত্যি যে বেস্ট ফ্রেন্ডের সঙ্গে বিয়ে হওয়া অনেক বেশি ভাগ্যের ব্যাপার। কারণ বেস্ট ফ্রেন্ড বলতে পারে তার সমস্ত কিছু অনুভূতি অনুভব মনের সমস্ত অব্যক্ত কথা একমাত্র বেস্ট ফ্রেন্ডরাই আগে বুঝে কারণে এতদিন বিশ্বাস করতাম না কিন্তু রিয়াকে বেস্ট ফ্রেন্ড হিসেবে পেয়ে তা বিশ্বাস করেছি। আমি তোকে ভালোবাসি চির অমর হয়ে থাকে  আপনাদের থেকে কাম্য করে এখানে এই গল্প শেষ করতেছি। আপনারা সবাই এই করোনা সময় ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।

বেষ্ট ফেন্ড যখন বউ অন্তিম পর্ব | Best Friend Jokhon Bow last part | BDStorybook.com




Post a Comment

Previous Post Next Post