বেষ্ট ফেন্ড যখন বউ পর্ব: ২ | Best Friend Jokhon Bow part: 2 | BDStorybook.com

বেস্ট ফ্রেন্ড যখন বউ 

পর্ব 02

লেখকঃ মোঃ রাকিব হাসান 


মেয়ে: রাকিবের এমন কথা শুনে আমাকে সত্যিই খারাপ লেগেছিল। তাই তখন আমি রাকিবকে বললাম আচ্ছা তুমি বলে দাও তোমার বাবাকে কেননা আমরা এখনো ভালোমতো পরিচিতি হয় নাই।আর রাকিব তুমিতো বুঝতে পারতেছ তাই না। তোমার সাথে আমাকে সারাটা জীবন কাটাতে হবে সেজন্য বললাম তোমাকে।


ছেলে: আসলে আমারও তাই মনে হয়েছিল কারণ আমরা আগেই পরিচিত হই তারপর দেখা যাবে। কারণ তখন আমি রীতিমত ভাবে আমার বিয়ের জন্য একদম প্রস্তুত ছিলাম না। তাই আমি আমার বাবাকে বললাম বাবা কয়দিন পর আমাদের বিয়ে দিও বাবা আমার কথায় রাজি হয়ে গেল বলল তোর ইচ্ছা এবং তোর ভালো মন্দ। আমি আর বাবার কথায় বিরোধিতা না করে আমার রুমে গেলাম এবং আবার রিয়াকে ফোন দিলাম। ফোনটা ধরল ফোন ধরে বলল। 


মেয়ে: রাকিব যখনই আমাকে ফোন দিল আমি সাথে সাথে ফোনটা ধরলাম ফোনটা ধরে আমি বললাম শোনো আমাদের বিয়ে কবে হবে ওইটা পরে দেখা যাবে কিন্তু কালকে আমরা ঘুরতে যাব আচ্ছা আমিতো ভাবছি কালকে আমি নদীর পাড়ে যাব একসাথে মনের কথাই বলব দুইজন। তুমি কালকে ঠিক দুপুর একটায় নদীর পাড়ে আসবে। আচ্ছা, দুপুর না তুমি বিকেলে আসো আচ্ছা আমি অপেক্ষায় থাকবো তোমার জন্য কিন্তু। 

বেষ্ট ফেন্ড যখন বউ পর্ব: ২ | Best Friend Jokhon Bow part: 2 | BDStorybook.com


ছেলে: রিয়া যখন আবার আমার সঙ্গে দেখা করতে চাইল তখন আমি কিভাবে না করি বললাম আচ্ছা। ফোনটা কেটে দিলাম তখনি তারপর আমি খাটে শুলাম শুয়ে শুয়ে ভাবতে লাগলাম আমি কি আমার বেস্ট ফ্রেন্ড রিয়াকে সত্যিই ভালোবাসি?নাকি রিয়া আমাকে একদমই ভালো বাসে না আর যদি আমায় ভালবাসত তবে আজকে অবশ্যই রাজি হতো। এমনই চিন্তা ভাবনা আমার মাথায় ঘুরপাক খেতে লাগল তখন কিন্তু কি আর করার সেই যেহেতু আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ছিল তাই একটু প্যারা তো সহ্য করতে হবে? তাই আমি অবশেষে অপেক্ষা করতে থাকলাম কালকের বিকেলের জন্য। সেদিন আর রাতে আমার কোনো ঘুম হলো না সারারাত শুধু চিন্তা করতে লাগলাম। অবশেষে সময় বলতে বলতেই চলে গেল সকাল হলো উচ্ছল সূর্যকিরণের মাঝে অল্প অল্প মেঘ রাঁধি গুলো কেমন যেন আমাকে সাহস দিচ্ছিল তারা একসাথে আমাকে বলেছিল যে রিয়া শুধু আমারই। অবশেষে আমি একটু হাত-মুখ ধুয়ে ফ্রেস হয়ে নিলাম। 


মেয়ে: রাকিবকে যখনই কথা বলেছিলাম তখন একটু হলেও খারাপ লেগেছিল হাজার হলেও রাকিব ছিল আমার মনের মানুষ। তবে আমি এইটা ভাবতেছিলাম যে রাকিবের সঙ্গে আমাকে সারাটা জীবন থাকতে হবে তাই একটু রাকিবের সঙ্গে আগে ভালোভাবে প্রেম করে নিই দেখি কেমন? কারণ এতদিন আমি রাকিবকে বেস্ট ফ্রেন্ড হিসেবেই চিনতাম। কিন্তু কখনো বি এফ হিসাবে একদমই চিনতাম না সেজন্য চেনার জন্যই এমনটা করেছি আমি। যাই হোক আজকে যখন সকাল হলো তখন আমি বিকেলের জন্য অপেক্ষা করলাম কখন রাকিবের সঙ্গে দেখা হবে কারণ আজকে দেখা হলে রাকিবের সাথে আমি প্রেম করবো। তাই আমি সকালে নাস্তা খাওয়ার জন্য ফ্রেশ হতে লাগলাম। এখন অপেক্ষা করলাম কখন বিকেল তিনটা হবে। 


ছেলে: আমি ফ্রেশ হয়ে নাস্তা খাবার খেতে লাগলাম এবং এক সময় দেখলাম ঠিক বিকেল তিনটে হয়ে গিয়েছে তাই আমি দেরি না করিয়া নদীর পাড়ে গেলাম এবং অপেক্ষা করলাম কখন রিয়া আসবে নদীর শীতের ঠান্ডা বাতাস এবং দেখি গুনগুনিয়ে শব্দ আমার মন হারিয়ে গেল প্রকৃতির মাঝে তখন। নিজেকে রচনা করলাম তখন আমি নতুনভাবে এবং আমার কল্পনায় শুধু রিয়াকে ভাবলাম আমার মনের মসজিদে।তবে এটা সত্যি যে প্রেম করার একটা উপযুক্ত জায়গা হল এই নদীর প্রাকৃতিক মাঝে প্রকৃতির আওবহার মাঝে 


মেয়ে: আমি নদীর পাড়ে গিয়ে দেখলাম আমার সত্যি অনেক বেশি দেরি হয়েছে। আমার দেরির কারণ আমি কিছুতেই বুঝতে পারলাম না একটু তাড়াতাড়ি বের হয়েছিলাম।যাইহোক যখন আমি নদীর পাড়ে আসলাম এসে দেখি রাকিব চোখ বন্ধ করে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির মাঝে ভালোবাসায় মনে হয় সে নিজেকে জড়িয়ে নিচ্ছে। আমি কিছুই না বলে শুধু অপেক্ষা করতে থাকলাম কখন রাকিব চোখ খুলবে। 


ছেলে: নদীর খেয়ে মাতাল হওয়া আমাকে যেন অন্যরকম অনুভূতি পেয়ে নিয়ে গেলো কিন্তু প্রিয় যখন ভালোলাগার ভালোবাসার মানুষটা কাছে এলো তখন ঠিক আমি বুঝতে পারলাম আমি অনুভব করতে লাগলাম প্রিয়া আমার ঠিক কাছে আছে তখন আমি চোখ খুলে রিয়াকে বললাম আমার সমস্ত অনুভব শুধু তুমি আর তুমি মনে করেছ তুমি আসবে বলে আমি কি দেখতে পাবো না আমি কি তোমাকে অনুভব করিনা আমি অবশ্যই তোমাকে অনুভব করি? আমার জীবনের সমস্ত কিছু শুধু তুমি আর তুমি আমি তোমার বেস্ট ফ্রেন্ড ঠিক আছে কিন্তু আমি তোমার একজন সত্তিকারের ভালোবাসার মানুষ চলো না আমাদের জগতটা একটু নতুনভাবে সাজিয়ে নেই। আমাদের মাঝে ভালোলাগাগুলো একটু বেশি হোক। আমি তোমাকে আবারো নতুনভাবে আবিষ্কার করি চলো না। দেখো এই নদী এই শীতল হাওয়া এবং শেষ বিকেলে এসে গোধূলি লগ্ন আমাকে বলে যে আমি শুধু তোমাকে ভালোবাসি দেখো এই শীতের মাঝে শিশিরবিন্দুর উপরে ছোট ছোট পাতার মাঝে কচি কচি দেয়ালের মাঝে কেন জানি বিধাতা নাম লিখেছে আমাদের? তুমি কি আমার সম্পূর্ণরূপে হয়ে যাবে আমাকে ভালবাসবে? এবং আমার মাঝে তুমি নিজেকে হারিয়ে ফেলবে রিয়া। 


মেয়ে: রাকিবের এইসব কথা শুনে আমি সত্যিই আবেগী হারিয়ে গেলাম অতঃপর আমি রাকিবকে জড়িয়ে ধরে বললাম আমাকে একটা কথা দাও তুমি কখনো ছেড়ে যাবে নাতো আমাকে শুধু আমাকে ভালবাসবে। আমি তোমারি দু'চোখে চোখ রাখে হাজার বছর কাটতে চাই। তোমাকে ভালোবেসে অমর হতে চাই অমরতার শীর্ষ পাতায়। শোনো আমাকে ক্ষমা করে দাও আমি তোমাকে প্রথমেই বলেছি আমাদের বিয়ের কথা না, বলেছিলাম। কিন্তু রাকিব তুমিতো বুঝতে পারো তাই না আমাদের পরিচয়টা একটু আরেকটু ভালো হলে অনেক বেশি ভালো হতো। কারণ রাকিব আমি তোমাকে এতদিন বেস্ট ফ্রেন্ড হিসেবে চিনতাম কখনো প্রেমিক হিসেবে চিনি নাই। সেজন্য তোমাকে আমি এ কথা বলেছিলাম। তুমি এখন আমাকে ক্ষমা করে দাও রাকেপ আমি ক্ষমাপ্রার্থী তোমার থেকে। কারণ তুমি আমার সেই জীবনের মানুষ একমাত্র মানুষ জ্যাকি প্রথম দেখায় আমাকে ভাল লেগেছিল এবং তার প্রেমে পড়েছিলাম আমি বুঝতে পেরেছি তুমি আমাকে কতটা অনুভবে জড়িয়ে নাও। তোমার অন্তরের মাঝে শুধু আমি আছি তাছাড়া আর কেউ নাই এমন মানুষের সাথে হাজারো বছর কাটিয়ে দেওয়াই তো একটা ভাগ্যের ব্যাপার রাকিব। আমি সত্যিই তোমাকে একজন প্রেমিক হিসেবে পেয়ে অনেক ভাগ্যবতী। 

রাকিবকে এই কথা বলে তার চোখের দিকে তাকাতেই রাকিব আমাকে বললো। 


ছেলে : আচ্ছা, এইভাবে আমাকে লজ্জায় ফেলবে না কিন্তু তুমি আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ছিল তাই এতদিন তোমাকে সাহায্য করেছি কিন্তু এখন তো তুমি আমার জিএফ আমাদের প্রেমের মাঝে তুমি এমন কথা কখনোই বলবে না যাতে আমি কষ্ট পাই সরি আমরা দুইজন কষ্ট পাই এমন কথা বলবে না। কারন আমি তোমাকে প্রত্যেকদিন নতুনভাবে আবিষ্কার করতে চাই একজন প্রেমিকা হিসেবে তোমার সাথে শেষ বিকেলে ছাদের উপর বসিয়ে দুইকাপ চা খাওয়ার মজা আমি পেতে চাই মনের মাঝে যত খোশগল্প আছে সবকিছু জানো বলে দিবো তখন। তোমায় বলতে বলতে কখন যে আমার ক্লান্তি সব দূর হবে সারাদিনের পরিশ্রম আমি বলতেই পারবোনা। আমি তোমাকে সত্যিই আপন করে নিতে চায়। এবং যখন একটু রাত হবে তখন আমরা আবারও ছাদে আসব ছাদে এসে তুমি আমার হাতে হাত রাখবে। আমরা দুইজন একে অপরকে জড়িয়ে ধরে তাদের সৌন্দর্য দেখব। এখনো যে আমাদের বাঁকে হাতে হাত রেখে হাঁটাচলা। এখনো আমাদের বাকি সূর্যের কিরণ স্পর্শ করা এখনো আমাদের বাকি ফুটপাতে বসিয়ে দাঁড়িয়ে তোমাকে দেখা। রাস্তার মোড়ে মোড়ে ফুচকা খাওয়া। বসন্তের রঙিন ছোয়ায় তোমাকে নিয়ে ঘুরতে বের হওয়া। এখনো বাকি আমাদের বৈশাখী তোমাকে নতুনভাবে আবিষ্কার করা। এখনো আমাদের বাকি প্রিয় রাস্তায় হাতে হাত রেখে ঘুরে বেড়া। এখনো আমাদের বাকি দুই জনের হাতে হাত রেখে রিকশায় চড়ে বেড়ানো। এখনো বাকি আমাদের মাঝে রাস্তার ল্যাম্পপোস্টের আলোয় মাঝে তোমাকে নিয়ে একটু রাস্তা পার হওয়া। এখনো বাকি আমাদের মনের সমস্ত কথা আবেগে বলা। ভালবাসি এই কথা উচ্চারিত করা এখনও আমাদের মাঝে বাকি ট্রেনের লম্বা সফরে করা তুমি যা বলেছ তা ঠিক আছে। আসলে আমার ইচ্ছে ছিল আমি তোমাকে আরো নতুন ভাবে চিনি তারপর বিয়ে হবে। 

মেয়ে: আমি রাকিবের কথা শুনে মনের মাঝে হারিয়ে গিয়ে এক পাল মুচকি হাসি হেসে তার কাঁধে কাঁধ রাখলাম। কিছুক্ষণ আমি এইভাবেই থাকলাম এবং তার কথা ভাবতে ভাবতে মনের গহীনে জী কখন সময় পার হলো দেখায় হলো না।তবে আমার ইচ্ছে ছিল আমি আরো রাকিবের সঙ্গে অনেক সময় কাটায় সারাটা জীবন সময় কাটায় চিন্তা ভেবে ছিলাম তখন আমি মনের গহিনে শুধু চোখ বন্ধ করতেই রাকিবের স্পর্শকতার কিছু কথা ছিল আমার মনে। বারবার শুধু নিজেকে দোষারোপ করতে লাগলাম কেন তখন হ্যাঁ বলিনি প্রথমে। আই হোক রাকিব যখন বলতেছে আমাদের মাঝে আর অনেক কিছু বাকি সেজন্য তার কথায় আমি হ্যাঁ বললাম। দেখতে দেখতে গোধূলি লগ্ন যেন বিকেল চলে এলো। সুন্দর্যের আবডালে যেন আমরা ২জন ২জনকে কিছু বলতে চাইলাম তখন। আসলে তখন আমি নিজেকে আবিষ্কার করে ফেললাম যে ভালোবাসার মাঝে কখনো পরিচয় এর প্রয়োজন পড়ে না জাকি সৃষ্টিকর্তা বানিয়েছেন একজন অপরজনের জন্য তাকে প্রথম দেখায় ভালো লেগে যায়। আমি আরেকটা বিষয় বুঝলাম বেস্ট ফ্রেন্ডের সঙ্গে প্রেম করা মানে সকল বিষয়ে সহযোগিতা পাওয়া। বলতে গেলে সারা টা জীবনের জন্য সহযোগিতা পাওয়া। রাকিবের কথাগুলো শুনে আনমনে যেন হারিয়ে গেলাম অতল সমুদ্রের ওপারে। তখন আমি রাকিবকে বললাম আচ্ছা, এখন তো গোধূলি লগ্ন এখন তো আমাদের চা খাওয়ার কথা এখানে কি তুমি চা খাবে। 


ছেলে : রিয়ার এমন কথা শোনার সাথে সাথে আমি দেখলাম পাশে একজন চা নিয়ে বসে আছে আমি তাড়াতাড়ি গেলাম গিয়ে দুকাপ গরম গরম চা আনলাম এবং হালকা বৃষ্টির মাঝে এই চা খাওয়ার মজাটা ছিল অন্যরকম। আমি রিয়াকে বললাম যখন আমাদের বিয়ে হবে তখন এইভাবে প্রত্যেক বিকেলে তুমি আমাকে চা খাওয়াবে এবং তোমার সব থেকে ভালো লাগার কথাগুলো আবার মাঝে শেয়ার করবে আচ্ছা। 


মেয়ে : হ্যাঁ, অবশ্যই তোমার মাঝেই আমি তা শেয়ার করব কারণ তুমি হবে তখন আমার একমাত্র হাজবেন্ড। হাজবেন্ডকে তো সব কিছু বলতেই হবে আমার ভাললাগা গুলি কি কি? তাহলে শোনো আমার ভালো লাগা গুলো হল বাসের ভেতর তো পনের দিন শপিংয়ে নিয়ে যেতে হবেই। কিন্তু আমি 15 দিন কোন শপিং করব না শুধু ঘুরবো আর একদিন শপিং করব। কারণ অনেক ব্যস্ত আমাকে চয়েজ করে রাখতে হবে তাইনা। আর তুমি তো জানো আমাকে শপিংয়ে ঘুরতে সবথেকে বেশি ভালো লাগে। এইটা হল আমার এক নাম্বার ভালোলাগা আমার দ্বিতীয় ভালোলাগা হল তোমার ব্যাংক পাসওয়ার্ড তোমার বিকাশ পিন তোমার রকেট পিন তোমার যা কিছু আছে সব কিছু আমাকে শেয়ার করতে হবে। বিকাশ রকেট নগদ দেখলা না শেয়ার করলে হবে শুধু তুমি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড দিবা।আর আমার তিন নম্বর ভালোলাগা হল তোমাকে সবসময়ের জন্য কাছে পাওয়া। 


ছেলে: দাড়াও দাড়াও তুমি তো সবকিছু বলেই দিয়েছো। সবকিছু ঠিক আছে কিন্তু ব্যাংক পাসওয়ার্ড টা একটু ঠিক নেই। আমি একটু তখন ভয়ে ভয়ে বললাম। 


মেয়ে: আচ্ছা, তোমার কি আমাকে সন্দেহ 

করো যে তোমার ব্যাংক পাসওয়ার্ড থেকে আমি টাকা উঠাবো। হ্যাঁ, উঠাবো যখন আমার প্রয়োজন হবে মানে একদিন যেদিন শপিং করব সেই দিন। 


ছেলে : আচ্ছা, সমস্ত শর্ত তোমার আমি মেনে নিলাম কিন্তু আমার তো এটা সত্য আছে আমি বিয়ের পর দশ-বারোটা তো বাচ্চা নিয়ে বই নেব তার সাথে একটা বেশি নেব। 


মেয়ে: আচ্ছা, তোমার মতলবটা কি বলতো? 

ছেলে: আমার কি মতলব তুমি কি তা বোঝো না? আমার মতলবটা হলো যত বেশি ছেলে হবে ততো বেশী তুমি কাপড় মানে শপিং করতে কম যাবে। আর আমার ব্যাংকের যত টাকা আছে সমস্ত কিছু বেঁচে যাবে বুঝলা। আর আমাদের অনেক বেশি ভালো হবে প্রেম হবে বুঝতে পারছ। 



মেয়ে : কি বললে এইজন্য তুমি এমন করবে যাও তোমার সঙ্গে কথাই বলব না? আমি কি প্রত্যেকদিন শপিংয়ে যাব নাকি হ্যা প্রত্যেকদিন যাব কিন্তু প্রত্যেকদিন করবো না একদিন করব? আর এই জন্য তুমি আমাকে কার সঙ্গে তুলনা করলে। কোন কথা বলবে না আচ্ছা। 



ছেলে: আচ্ছা, তুমি রাগ করো না কোন কিছুই হবে না আচ্ছা। আমিতো তোমাকে এসব পাগলামি করে বললাম তুমি আবার এই মাইন্ড নিবে কে জানতো? তো যাই হোক এখন তো অনেক দেরি হয়েছে চলো বাসায় যাই। তারপর আমি একটা রিকশা ডাকলাম রিকশায় চড়ে আমি রিয়ার হাতটা একটু শক্ত করে ধরলাম। তখন আমি অন্যভাবে আবিষ্কার করলাম ভালোলাগা আর ভালোবাসার মানুষের সাথে কাটানো সেই সময়কে কবে পাবো আমি রিয়াকে আমার ঘরের বউ করে? রিয়াকে মুচকি হেসে বললাম আমার বউ হবে এখন। যদি তুমি আমার বউ হও তাহলে তোমাকে আমি স্বর্গের রাজকন্যা হিসেবে রাখব। এবং তোমাকে আমি সবথেকে বেশি ভালোবাসবো। 


মেয়ে : রাকিবের এমন কথা শুনে আমি সত্যিই পুরাই অবাক হয়েছি। তাই আমি আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি বললাম আচ্ছা তোমার বউ হব। কিন্তু তুমি কি আমার বর হবে। একদম দ্বিধাহীন প্রশ্ন এবং দ্বিধাহীন জবাব। 


ছেলে : ও আচ্ছা তাই আমি তো তোমার পর হয়ে যাচ্ছি হবু বর এখন থেকে তুমি আমাকে হবু বর করে ডাকবে আর আমি তোমাকে হবু বউ করে ডাকবো আচ্ছা। প্রিয়া শুধু বারেবারে মুচকি হেসে হাত ছিল তার টোল পড়া হাসি পেয়ে আমি যেন তার প্রেমে পড়ে গেলাম। এবং রিয়াকে বললাম জান তুমি আমাকে কাছে টানবে না। আমাদের মাঝে যে দূরত্ব তা কখন শেষ হবে। 


মেয়ে: একটু ধৈর্য ধরো সবকিছু সময় মতই হবে। এত অধৈর্য্য হবে না আচ্ছা। অবশেষে আমি রাকিব এর হাতে হাত রেখে বললাম আমাকে কখনো ভুলবে না তো। রাকিব আমাকে দেখে হেসে বলল না ভুলবো না তোমাকে। তখন আমি আমার বাসার সামনে ইতিমধ্যে চলে এসেছি আমি রিক্সা থেকে নামলাম এবং বললাম প্রিয় যদি বেঁচে থাকি তাহলে আবার দেখা হবে কিন্তু এবার দেখা না তোমার ঘরের বউ হিসাবে দেখা হবে আমার তো তুমি এখন সোজা তোমার বাসায় যাবে আর শোনো যাওয়ার দিকে কারো দিকে কিন্তু নজর দেবেনা আচ্ছা। 


ছেলে: এতটা সন্দেহ করো না আমি আরো কারো দিকে নজর দেবো না আমি শুধু তোমাকে ভাববার যাব। আর শোনো বাসায় গিয়ে তোমাকে ফোন দিচ্ছি। অবশেষে আমি রিয়াকে বিদায় জানিয়ে আমার বাসায় চলে এলাম। 

বেষ্ট ফেন্ড যখন বউ পর্ব: ২ | Best Friend Jokhon Bow part: 2 | BDStorybook.com

Post a Comment

Previous Post Next Post