বেষ্ট ফেন্ড যখন বউ | Best Friend Jokhon Bow | BDStorybook.com

বেষ্ট ফেন্ড যখন বউ

পর্ব ০১

লেখকঃ মোঃ রাকিব হাসান। 

আমি: সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার বেস্ট ফ্রেন্ড রিয়া আমাকে বারে বার ফোন করেছে। আমার বেস্ট ফ্রেন্ড এর

 ফোনটা আমি ধরলাম বললাম।কি হয়েছে তোমার এতবার ফোন দিছিল কি জন্য কোন কি সমস্যা তোমার? আসলে আমি রিয়াকে তুমি করেই ডাকি রিয়া আমাকে প্রথম বেষ্ট ফেন্ড হিসেবে যখন বানাই ছিল তখনই বলেছিল যে বেস্ট ফ্রেন্ড এর মাঝে তুমি বললে সম্পর্কটা নাকি ভালো থাকে। এদিকে আর আমি কথা বাড়াবো না। আমি যখন রিয়াকে বললাম কি হয়েছে তোমার রিয়া তখন কিছুই বলল না। অবশেষে একটু কান্নার আওয়াজ বলতে লাগলো। 

রিয়া: আসলে দোস্ত হয়েছে কি জানিস? আমাকে আবার একটা ছেলে দেখতে আসবে। আকিকার ছেলেটাকে তো অনেক বুদ্ধি করে ভাগিয়ে দিয়েছে। তো এবার কিভাবে ভাগিয়ে দিব বুঝতে পারতেছি না। কই তুমি আছো তাড়াতাড়ি আমার বাসায় চলে আসো? বাবা বলেছে তারা নাকি আমায় দেখে বিয়ে করে নিয়ে যাবে। আসলে ছেলেটা তো একটা ভালো চাকরি করে সেজন্য বাবা বলতেছে। কি হল তোমার তুমি কি ঘুমিয়ে গেছো? তাহলে আমার কি হবে? আগেরবারের তো তুমি কত কিছু করে আমার বিয়েটা ভেঙ্গে দিয়েছো। কিন্তু এইবার কি করবে? 

আমি: আচ্ছা, দেখা যাক কি করা যায়। তুমি কোনো চিন্তা করিও না আচ্ছা। আমি একটু ফ্রেশ হয়ে ফ্রেশ হয়ে তোমাকে কল দিচ্ছি। আমি এখন একটু ফ্রেস হচ্ছি এখন আপনাদের সঙ্গে পরিচিত হওয়া যাক। রাকিব হাসান আমি লেখালেখি একটা গুরুত্বপূর্ণ শক মনে করি। তাই আমার লেখালেখিটা একটা নেশার বিষয় বলতে পারেন। ফ্রেশ হলাম ততক্ষণে ফ্রেশ হয়ে রিয়াকে ফোন দিলাম হ্যাঁ, আমার মাথায় একটা ভালো বুদ্ধি এসেছে। এই বুদ্ধিটা হলো আমি তোর বিএফ হিসাবে ওখানে যাব আয় বরপক্ষ রা বাড়িতে ঢোকার আগেই তাদেরকে আমি বলব যে আমি তোকে অনেক বেশি ভালোবাসি আর তুমি আমাকে অনেক বেশি ভালোবাসো।আর তুমি আর আমি যেগুলা ছবি তুলেছি সেদিন পার্কে পাগলা আমি ওদেরকে দেখাবো। আর আমার বিশ্বাস এই আইডিয়াটা আমাদের কাজে লাগবে। তুমি কোনো চিন্তা করিও না।আমি এখনই যাচ্ছি তোমাদের বাসার সামনে। 

রিয়া: যাক বাবা রাকিব যখন এসব কথা বলেছে তখন সে করতেই পারবে এইরিয়া অনেক কাছের বন্ধু আমি বিশ্বাস আমার ছিল। এক এক করে পাঁচটা বিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছে রাকিব আমার। রাকিবের প্রতি আমার বিশ্বাস টা ছিল একটু বেশি। রাকিব যখনই কথা আমাকে বললো তখন আমি বললাম। আমার প্রিয় বন্ধু টা তুমি আসলেই অনেক আমারে সত্যি অনেক সুন্দর সুন্দর বুদ্ধি দিয়ে থাকো এজন্য ধন্যবাদ তোমাকে। তো আচ্ছা তুমি তাড়াতাড়ি বের হয়ে আসো।আপনাদের সাথে তো আমার পরিচয় হয় নাই আমি রিয়া রাকিবের অনেক কাছের বন্ধু আমি। 

অবশেষে রাকিব যখন আমাকে একথা বলল তখন একে বারে নিশ্চিন্ত হয়ে গেলাম আমি। কারণ রাকিবের প্রতি আমার বিশ্বাস ছিল অনেক বেশি। 

আমি: রিয়ার কথামত আমি তাড়াতাড়ি তার বাসার সামনে চলে গেলাম। এবং গাছের আড়ালে থাকলাম কবে তার বরপক্ষ আসবে। অপেক্ষা করতে থাকলাম প্রায় এক ঘন্টার মতো। অবশেষে তার বরপক্ষ চলে এলো। তাদেরকে দেখে আমি দাঁড় করালাম এবং বললাম আচ্ছা, কাকে বিয়ে করে নিয়েছে তো এসেছেন জানেন সে কে সে আমার জিএফ হয়। এই দেখুন আমাদের কত ছবি? তো যে দিক থেকে এসেছেন ওই দিকে চলে যান। বরপক্ষ রা আমার কথা শুনে সঙ্গে সঙ্গে চলে গেল। আমি তো ইতিমধ্যেই অবাক কারন এত কষ্ট আমাকে করতেই হলো না। যাই হোক আমি তখন রিয়াকে ফোন দিলাম ফোন দিয়ে বললাম তোমার কাজটা কমপ্লিট হয়েছে। 

রিয়া: রাকিব যখনই আমাকে বলল তার কাজটা কমপ্লিট হয়েছে তখনই কেমন যেন আনন্দ লেগেছিল আমার মনে। তাই আমি রীতিমত অবাক হয়ে গিয়েছি এবং বললাম থ্যাংকস দোস্ত। আসলে বলতে কি আমি এখন বিয়ে করতে চাই না আমি জীবনে একটা প্রতিষ্ঠিত হতে চাই আগে। এখানে বেস্ট ফ্রেন্ড রাকিব এখনই জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কারন ও একটা বেসরকারি কোম্পানিতে ভালো জব করতে পারে এখন। এত কাজের মাঝেও সে যে আমাকে এত সময় দেয় জানিনা তা অন্য বন্ধুরা কি দেয় কি না। একটা মানুষ একটা মানুষের প্রতি তীব্র ভালোবাসাতে এমনটা কাজ করতে পারে সমস্ত বাধা বিপত্তি পার করেও তাকে নিয়ে যেতে পারে আপন করে। আসলে একটা সত্যি কথা আমি আপনাদের মাঝে বলি রাকিব আমার সত্যিই ক্রাশ ছিল। রাকিবকে না দেখে আমি একদমই থাকতে পারতাম না আর এখনো পারিনা। আমি এখনো কিছু বুঝিনা রাকিব আমার ভালোবাসা নাকি শুধু বেস্ট ফ্রেন্ড। আসলে আমার এতদিন যেগুলো লোক আমাকে দেখতে চেয়েছে আমি রাকিবের জন্যই সে গুলো ক্যানসেল করেছি। ভারানাসি রাকিবকে দিয়ে তা করে নিয়েছি আমি। বারবার রাকিবকে আমি বলতে চেয়েছি যে আমি রাকিবকে ভালবাসি কিন্তু বলতে পারি না যদি সে আমাকে ছেড়ে চলে যায় তবে আমার কি হবে এ ভাবনায় যাই হোক একটা কথা না রাকিবকে আমাকে আজকে হেল্প করলো এইটা আমার কাছে অনেক বড় বিষয় ছিল। তাই আবার বললাম ধন্যবাদ তোমাকে। তো শেষ পর্যন্ত আমি রাকিবকে বললাম একটি কথা বলি কালকে তাহলে আমরা দেখা করি। কোথায় দেখা করতে পারি বলতো? 

আমি: আচ্ছা, ঠিক আছে কালকে তাহলে আমরা কোন একটা ভালো রেস্টুরেন্ট দেখা করি কি বল? তুমি যদি চাও তাহলে আমি তোমাকে ট্রিট দিবো। কারনটা হল তুমি আমার জীবনের প্রথম বেস্ট ফ্রেন্ড তাই। রিয়াকে যখন আমি এই কথা বললাম আমি তখন আমারই সব থেকে বেশি কেমন যেন একটা অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করলো। আসলে সত্যি কথা বলতে কি রিয়াকে আমি অনেক বেশি ভালোবাসি। কিন্তু কখনো আমি তা প্রকাশ করতে পারিনি। আমার মনের সমস্ত ভালোবাসা আর ভালোলাগা গুলো শুধু রিয়ার মাঝে ছিল। এতদিন আমি রিয়াকে বারবার বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু কখনও তা বলতে পারিনি। অবশেষে অনেক কষ্টে সিদ্ধান্ত নিলাম যে কালকে আমি আমার মনের কথা বলব তাকে। তাই শুধু অপেক্ষা করলাম কবে কালকে সকাল হবে এবং আমি রিয়াকে গিয়ে বলব যে আমি তাকে কতটা ভালবাসি। জানিনা রিয়া তখন কিভাবে আমার সম্পর্কে কিন্তু আসলে আমার পক্ষে আর সহ্য করা সম্ভব হচ্ছে না। ভালোবাসার ব্যথাটা এমনই যা মানুষকে সম্পূর্ণরূপে শেষ করে দেয়। অবশেষে আমি রিয়ার ওখান থেকে আমার নিজের বাসায় চলে গেলাম। এবং আমি আজকে আর অফিসে যাব না বলে সিদ্ধান্ত নিলাম।কারণ কালকে যে বলতে লাগবে ভালোবাসার মানুষকে যে আমি তাকে ভালোবাসি তাই গুগোল বলেন কিংবা ইউটিউব সবথেকে নিচ্ছিলাম কিভাবে প্রথম প্রপোজ করতে হয় প্রিয় মানুষ টাকে। 

রিয়া: আসলে রাকিব যদি কালকে আমাকে রেস্টুরেন্টে তার মনের কথা না বলে তবে আমি নিজেই বলে দিব। আমি একটা মেয়ে হয়েছি দেখে তাকে কি বলতে পারব না অবশ্যই পারবো। তাই আমি গুগল বলেন কিংবা ফেসবুক সব জায়গায় খুজতেছিলাম কিভাবে মেয়ে হয়ে ছেলেকে বলা যায় ভালোবাসি। অবশেষে একটা ভালো মাধ্যম থেকে সবকিছু জেনে রাখে তাকে বলার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম। সেদিন আর রাতে আমার ঘুম আসছে না। শুধু চারদিকে রাকিবের একটা কেমন যেন অনুভব করতেছি। মনে হচ্ছে রাকিব আমার পাশেই আছে। আর তা তো মনে হবেই কারণ রাকিব আমার সত্যিই ভালবাসার মানুষ।অতঃপর আমিও অপেক্ষায় থাকলাম কবে সকাল হবে আর কবে আমি আমার মনের মানুষকে বলতে পারব।এভাবে একটু এপাশ থেকে ওপাশ করে আমার রাতটা কাটিয়ে গেল। অবশেষে সকাল হলো। কিন্তু আজকের সকালটা যেন অন্যরকম একটা লাগলো। কারণ আজকে বর্ষার প্রথম দিন। আকাশটা কেমন জানি মেঘাচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে? কিন্তু সত্যিই আকাশটাকে তখন অনেক বেশি ভাল লেগেছিল আমায়। কারণটা হলো তখন আকাশের মাঝে সূর্যের একটু রষ্ণী আরো আমাকে রাকিবের প্রতি দুর্বল করে দিল। তাই আমি এখন ফ্রেশ হলাম ফ্রেশ হতে হতে একটু দেরি হল। তবুও প্রিয় মানুষটা যে আমার জন্য অপেক্ষায় আছে সেজন্য এত দেরি হল। কিন্তু গিয়ে দেখলাম রাকিব এখনো আসেনি। তাই আমি একা একা বসে থাকলাম। 

আমি: কালকে রাতে রিয়ার জন্য একদম দুচোখের পাতা বন্ধ হয়নি। সারা রাতটা কেটেছে আমার চিন্তা দুর্ভাবনায়। জানিনা রিয়া কি মনে করবে এই ভাবনায় তো আরো বেশি টেনশন এ ছিলাম। তবে যাই হোক আজকে সকালে একটু হলেও সাহস পেলাম। এবং তাড়াতাড়ি আমি দেরি না করে রেস্টুরেন্টে চলে গেলাম। একগুচ্ছ গোলাপ ফুল নিয়ে আমি রিয়ার সামনে দাঁড়ালাম। আসলে তখন ফুলটা আমার পিছনে ছিল হাতের তা রিয়া দেখতে পাইনি। অবশেষে আমি রিয়াকে বললাম রিয়া একটা কথা বলি তুমি তো আমার বেস্ট ফ্রেন্ড তাই না আমার কোন কথায় রাগ করবে নাতো। আসলে আমি তোমাকে একটা গল্প বলি আচ্ছা। গল্পটা হল এমন একটা ছেলে আর একটা মেয়ে দুইজন দুইজনকে ভালোবাসে কিন্তু ছেলেটা মেয়েটাকে কিছুতেই বলতে পারেনা। অনেকবার ছেলেটা চেষ্টা করেছে মেয়েটাকে কিছু বলার জন্য কিন্তু মেয়েটা কিছুতেই তা বুঝতে পারেনি। আর জানো ছেলেটা কে ছেলেটা হলো এই আমি রাকিব।আর মেয়েটা আমার রাজকন্যা তুমি 

রিয়া: রাকিব এমন ভাবে আমাকে প্রপোজ করেছিল যে আমি আর কি করে না করব।তা বলার মতো কোন ভাষা ছিল না। তাই রাকিবের চোখে চোখ রেখে বললাম আচ্ছা ভালোবাসি তোমাকে খুশি হয়েছোএখন। 


আমি: আচ্ছা, এতদিন তো তুমি আমাকে ভালবাসতে তাইনা তবে আগে কেন বলনি? আচ্ছা, বুঝতে পেরেছি তুমি বললে আমি তোমাকে রাগ করে ছেড়ে চলে যেতাম তাই বলনি। আরেকটা কথা তার মানে তুমি এতদিন আমাকে ভালবাসতে তাই আমাকে দিয়ে তোমার সমস্ত বর়দের ভাগিয়ে দিয়েছো তাই না। আসলে বর বলা ঠিক হবে না কারণ আমি তো তোমার বর তারা ছিল ছেলে। আর তুমি আমাকে আগেই বলতে পারতে। তাহলে আমি এইসব বিষয়ে ওদেরকে এমন কথা বলতাম যে ওরা তোমাকে আর কেন তোমার বংশ কে দেখতে আসতো না। 

রিয়া: ও হ্যালো আমার বংশ অনেক ভালো বুঝছো। আর শোনো আমার পরিবারের যে অবস্থা তা হয়ত তারা আমাকে আর বেশি দিন রাখবে না। আমাকে অন্য জায়গায় তারা বিয়ে দিয়ে দিবে। আসলে আমিতো তোমাকে ভালোবাসি তোমাকে ছাড়া অন্য জায়গায় আমি কখনোই যাবো না। 

বেষ্ট ফেন্ড যখন বউ | Best Friend Jokhon Bow | BDStorybook.com


আমি: রিয়া যখন আমাকে একথা বলল যে তার পরিবার আর তাকে বেশি দিন রাখবে না। কখন আমারই যেন কেমন একটা খারাপ লেগেছিল? আসলে ওর পরিবারকে আমি ভাল করেই চিনি তারা যখন যা বলে তা করেই ছাড়ে।তারপরে রিয়াকে কে জানি ফোন দিল রিয়া ফোন ধরল? 

রিয়া: আমাকে রাকিবকে দেখে মনে হয়েছিল সে চিন্তায় আছে। ঠিক তখনই বাসা থেকে আমার বাবা ফোন দিল। বাবা ফোন দিয়ে জানালো তার অনেক অসুখ। এবং তাড়াতাড়ি আমাকে যেতে হবে। তখন আমি রাকিবকে বললাম রাকিব আমার বাবা অসুস্থ তুমিও চলো আমার সাথে। রাকিব আর কিছুতেই না করলো না আমরা দুইজন একসাথে রিক্সায় করে আমাদের বাসায় গেলাম। বাসায় গিয়ে দেখি সব মিথ্যা কথা বাবা অনেক ভালোই আছে। আর আমার বাসায় রাকিবের বাবা এসেছে তারা দুইজন আমাদের বিয়ের বিষয়ে যখনই আলোচনা করল নববধূর স্বপ্ন দেখে আমার একটু লজ্জা লেগে ছিল। আর যখন তারা আমাদের মতামত চাইলো তখন আমি এক বাক্যে বললাম আমার ইচ্ছে ছিল রাকিবকে ভালোবাসার। এবং তাকে বিয়ে করার আর এই জন্য আমরা এতদিন সমস্ত পাত্রদেরকে ভাগিয়ে দিয়েছিলাম। যাই হোক বাবা একথা শুনে বলল রাকিব যে ভাগিয়ে দিয়েছে তা আমরা আগেই জানি। এইজন্যই তো তোদের 2 জনকে দিয়ে আমরা বিয়ে দিচ্ছি। 

আমি: রিয়ার বাবাকে বললাম। আচ্ছা, আঙ্কেল আপনি কি করে জানেন। আর কে বলেছে আপনাকে এসব? আমার কথা শুনে রিয়ার বাবা বলল আসলে তোমরা যাকে ভাগিয়ে দিয়েছো সে হলো আমার এক সম্পর্কের আত্মীয়। সে আমাকে বাসায় গিয়ে তোমার কথা রিয়ার কথা বলে দিলো আর আমি তোমাদের দুইজনের বিয়ের ব্যবস্থা টা করে দিলাম।আচ্ছা তোমরা এখন যাও দুইদিন পরে তোমাদের বিয়ে এই কথাটা মাথায় রেখো কিন্তু আমি রিয়ার দিকে তাকিয়ে আমার বাসায় চলে এলাম কিছু একটা কেমন জানি অদ্ভুত লেগেছিল তখন আমায়। এত তাড়াতাড়ি কি আমাদের বিয়ে হবে। এমন চিন্তা ভাবনা আমার মধ্যে অবিরামভাবে চলতে থাকলো। 

রিয়া: সব কিছু এমনভাবে হবে আমি কখনো কল্পনা করতে পারি নাই। বলতে গেলে সব কিছু জানো একটু তাড়াতাড়ি হচ্ছিল। তাই আমি অনেক বেশি ভাবতে থাকলাম যে রাকিবের সঙ্গে তো আমার প্রেম হলো মাত্র একদিন।একদিনের প্রেমে আমাদের বিয়ে হবে। এই রকম আমার মনে আসতে থাকলো হাজারো চিন্তা আমার কোনো আপত্তি ছিল না। কারণ রাকিব ছিল আমার জীবনের প্রথম বেস্ট ফ্রেন্ড পেয়েছিলাম 

কিন্তু তবুও কেমন জানি একটা হতাশা কাজ করলো আমারি মনে। তাই তখন বুঝতে পারলাম না কি করব? রাকিবের সাথে প্রেম হয়েছে আমার মাত্র একদিন হলো। এতদিন আমি ওর বেস্ট ফ্রেন্ড হিসেবেই ছিলাম। তবে এখন তো তার সাথে আমাকে সারা জীবনের জন্য থাকতে হবে তাই ভরসা পারছিলাম না। তাই যখন আমার ভাবনাগুলো এমন হলো তখন আমি রাকিবকে ফোন দিলাম। রাকিবকে ফোন দিলাম ফোন দিয়ে বললাম দেখো রাকিব তুমি তো আমার বেস্ট ফ্রেন্ড তাই না।আসলে এটা সত্যি যে আমি তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসি কিন্তু রাকিব সবকিছু জানা একটু তাড়াহুড়া করে হচ্ছে তাইনা। আসলে এতদিন তোমাকে আমি বেস্ট ফ্রেন্ড হিসেবে চিনতাম কিন্তু কখনো প্রেমিক হিসাবে চিনি নাই। তো আমার মনে হয় আমাদের আরও বেশি পরিচিত হওয়ার দরকার এখন। তো তুমি বলো এখন আমি কি করবো তোমার সঙ্গে কি এখন পরিচিত হবো না কি করব? 

আমি: রিয়া যখন আমাকে বারবার এইসব কথা বলতে ছিল তখন নিজেকে অনেক খারাপ লেগেছিল। কারণ আমি রিয়াকে নিয়ে এখনই অনেক স্বপ্ন বুনে ছিলাম। কিন্তু রিয়া যখন এসব বলতেছে তখন জানিনা তার মনে আসলেই কি ছিল? তাই আমি রিয়াকে বললাম আমি তোমাকে অনেক ভালো করে চিনি বলতে গেলে অনেক ভালো করেই চিনি তুমি কেমন? এখন তোমার ইচ্ছা কারণ জীবনটা তোমার ভালোবাসাটা তোমার ছিল। তবে একটা বিষয় আমি তোমাকে সাহায্য করতে পারি। আর বিষয়টা হলো আমি বাবাকে বলতে পারি যে তুমি এখন বিয়ে করতে চাওনা ব্যাস এতটাই।

বেষ্ট ফেন্ড যখন বউ | Best Friend Jokhon Bow | BDStorybook.com


Post a Comment

Previous Post Next Post