স্কুল জীবনের প্রেম। School Jiboner Prem part-2

স্কুল জীবনের প্রেম পর্ব - 2 | School Jiboner Prem Part-2



মেঘলাঃ এইযে মিস্টার বান্দর, বাসায় যাবেন না
আমিঃ এই খানে বান্দর কে
মেঘলাঃ আন্টির ছেলে। 
চলো এখন
সোহানঃ যাও বন্ধু যাও, বিকালে দেখা হবে।
আমিঃ ওকে বাই।
বাসায় এসে,
মাঃ কি রে আজ মেঘলার সাথে
আমিঃ একই স্কুলে পড়ি তো তাই
মাঃ মেয়েটা এত পড়ালেখা করে, তবে কোন বাদর নাকি ওর জায়গায় ফার্স্ট হয়ে গেছে।
মেঘলাঃ আপনার সামনেই তো ঐ বাদর টা আন্টি
মাঃ মানে? প্রতীক ফার্স্ট হয়েছে। এই কথা জীবনেও বিশ্বাস করতে পারবো না
মেঘলাঃ আসলেই আন্টি
মাঃ কিভাবে সম্ভব এটা?
আমিঃ জীবনে প্রথমবার ভালো রেজাল্ট করে ভুল করে ফেলেছি।
মাঃ আচ্ছা মেঘলা আজকে তোমার মা বাবাকে আমাদের বাসায় আসতে বলো। তোমার আঙ্কেল আসবে।
আমিঃ আজকে আব্বু আসবে, আগে বলবা না। যাও রান্না করো। আমার আব্বু আসবে আর তুমি এখনও রান্না করতে যাওনি। তাড়াতাড়ি যাও।
বলে আমি নিজেই চলে এলাম।
মেঘলাঃ এইটা কি হলো
মাঃ ও নিজের বাবার ভক্ত। তাই ওর বাবা আসলেই এমন শুরু করবে। 
মেঘলাঃ আচ্ছা আন্টি গেলাম।
বিকালে,
সোহানঃ ভালোই তো মিস্টার বান্দর 
সিয়ামঃ গফ পেয়ে আমাদের ভুলে গেলি।
আমিঃ আজ আব্বু আসবে, আব্বুকে বলবো তোর আব্বুকে তোর রেজাল্ট বলতে।
সিয়ামঃ থাক, এতবড় উপকার না করলেও চলবে।
মেঘলার সাথে তো ভালোই চলে
আমিঃ খেলা শুরু কর।
সোহানঃ আজকে খেলবো না, চল ঘুরে আসি।
আমিঃ চল তাহলে।
সবাই মিলে ঘুরে ফিরে বাসায় এলাম
দেখি আব্ব চলে এসেছে,
আব্বুঃ আব্বাজান, সারাদিন কোথায় থাকেন?
আমিঃ এই একটু আকাশে একটু বাতাসে বাকিটা স্কুল আর প্রাইভেটে।
আব্বুঃ হয়েছে৷ এইযে ইনি হচ্ছে আমার কলিগ আর ভাড়াটিয়া বাবুল। 

আমিঃ আসসালামু আলাইকুম আঙ্কেল
আঙ্কেলঃ ওয়ালাইকুমুসসালাম। তুমি মেঘলার ক্লাসমেট তো, ঠিক না?
আমিঃ জি আঙ্কেল
আব্বুঃ মেঘলা তোমার মতো ফাকিবাজ না। পড়ালেখা করে আর ক্লাসে ফার্স্ট হয়।
আমিঃ এইবার সেকেন্ড হয়েছে
আব্বুঃ তা আপনি কি ফার্স্ট হয়েছেন আব্বা জান
আমিঃ কোনো সন্দেহ আছে।
আব্বুঃ সাদমানের মা, তোমার ছেলে বলে কি, ও নাকি ফার্স্ট হয়েছে
মাঃ হ্যা, 
আব্বুঃ জীবন ধন্য হয়ে গেছে, তোমার ছেলে ভালো রেজাল্ট করেছে। 
আমিঃ পি এস সি তে কে যেনো A+ করেছিলো
বলেই চলে আসলাম।
কিছুক্ষণ পর,
মেঘলাঃ আসতে পারি?
আমিঃ ও আসো
মেঘলাঃ সবাই বাইরে তুমি ঘরে কেনো?
আমিঃ এমনিই।
মেঘলাঃ আচ্ছা সারাদিন সয়তানি করে বেরাও কেনো?
আমিঃ এমনিই ভালো লাগে।
মেঘলাঃ এখন চলো বাইরে, সবাই অপেক্ষা করছে।
রাতে সবাই আড্ডা দিলাম। পরেরদিন সকালে।
প্রতীক ওঠো, আর কতক্ষণ ঘুমাবে
আমিঃ আর একটু
ওঠো বলছি 
আমিঃ আম্মু ঘুমাতে দিবা?
আম্মুর হাত ধরে আবার ঘুমালাম।
কিছুক্ষণ পর দেখি আমি মেঘলার হাত ধরে ঘুমাচ্ছি।
আমিঃ তুমি কখন আসলে। আর মা কই?
মেঘলাঃ তোমাকে ডাকতে আসলাম আর তুমি। 
এখনই আন্টির কাছে বলছি
আমিঃ প্লিজ না
মেঘলাঃ নাহ্, আমি বলবোই
আমিঃ প্লিজ, তুমি যা বলবা তাই করবো
মেঘলাঃ আচ্ছা স্কুলে যাওয়ার পথে বলবো। 
এখন রেডি হও।
রেডি হয়ে স্কুলে যাচ্ছি 
মেঘলাঃ মনে আছে তো, যা বলবো তাই করবা।
আমিঃ তুমি মনে রাখছো এখনও
মেঘলাঃ হ্যা, মনে রাখছি, এইবার শার্তের পালা।
আমিঃ কি শর্ত
মেঘলাঃ আমার সাথে রিলেশন করতে হবে
আমিঃ মানে, পাগল নাকি?
মেঘলাঃ না, আমার সব বান্ধবী করে, আমিও করবো৷ ওদের চেয়ে কিউট বয়ফ্রেন্ড পাবো।
আমিঃ দেখ বইন, আমার দারা এইসব প্রেম ভালোবাসা সম্ভব না।
মেঘলাঃ ঐ কে তোর বইন, আজ থেকে তুই আমার বয়ফ্রেন্ড। মনে থাকে যেনো।
আমিঃ এ কেমন গুন্ডামী? 
মেঘলাঃ ভালো আইডিয়া, আমার কথা না শুনলে আন্টিকে বলবো তুমি গুন্ডামী করো।
আর আন্টি আমার কথা অনেক বিশ্বাস করে।

আমিঃ আমাকে ভাবার সময় দাও। 
মেঘলাঃ পুরো ক্লাস টাইমে ভেবে স্কুল শেষে উত্তর দিবে।
এখন ক্লাসে যাও, আমি কমন রুমে গেলাম।

সোহানঃ ও হো, ভালোই তো
আমিঃ এমনিও প্যারায় প্যারায় জীবন শেষ, আর তুই। তোর সত্যিই খবর আছে।
সিয়ামঃ কি হলো
আমিঃ আজকে সকালে আমি ঘুমের ভিতর মা মনে করে মেঘলার হাত ধরেছিলাম। 
তাই এখন ব্লাকমেইল করছে

সোহানঃ তাতে তোমার তো সমস্যা হওয়ার কথা না, তোমার মা বাবা তো তোমাকে কম হাত খরচ দেয় না

আমিঃ সমস্যা তো টাকা নিয়ে না, আমার সাথে রিলেশন করতে চাই।
সোহানঃ ভালো তো। হ্যা? কি?
আমিঃ ভাই বাঁচা 
সোহানঃ ভাই আজকে অসুস্থতার নাম করে পালা।
আমিঃ এই না হলি আমার বন্ধু, ওকে বাই
সোহানঃ তাড়াতাড়ি ভাগ।

আমিঃ স্যার আসবো
স্যারঃ আরে আসো দ্বীন
আমিঃ স্যার আসলে আব্বুলে কল দিবো
স্যারঃ কেনো?
আমিঃ স্যার শরীর খারাপ, কিন্তু মা কে বললে মা মানবে না। তাই আব্বু কে বলবো।
 তুমি বাসায় যাও, আমি তোমার মা কে বুঝিয়ে বলবো।
যাও।
আমিও বাসায়
মাঃ কি রে, ক্লাস না করেই
আমিঃ ভালো লাগছে না। একটু ঘুমাবো।
ঘুমের ভিতরেও দেখি মেঘলা এসে হুমকি দিচ্ছে। 
আমি তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠলাম।
দেখি..............................................(চলবে)

Post a Comment

Previous Post Next Post