পিচ্চি মামাতো বোন যখন আদুরে বউ
লেখক মোঃ রাকিব হাসান।
😛😛
ছেলে:: আমি আপনাদের লেখক রাকিব হাসান আজকে আমার বিয়ে তাই উপরের রুমে আসলাম আমার হবু বউ কে বিয়ের আসরে নিতে।।।
রিয়া এখানে তুমি কি করতেছ রুমে চলো আমাদের জন্য যে অপেক্ষায় আছে রিয়া,, রিয়া?
মেয়ে: তোমার কথা আমি এখনো বুঝতে পারিনি কে অপেক্ষা করে আছে বল একটু।
ছেলে: আচ্ছা, তোমার কি হয়েছে আজকে তো তোমার আমার সাথে বিয়ে হবে তাই না কিন্তু তুমি এমন করতেছ কেন আনমনে চিন্তা করতেছ
সবাই আমাদের জন্য অপেক্ষায় আছে আমি শেরওয়ানি পড়ে আর তুমি এইভাবে আনমনে চিন্তা করতেছো তুমি কি যাবে না বিয়ের আসরে।
মেয়ে: না, যাব না কেন অবশ্যই যাবো এইতো একটু ভাবছিলাম আমি অন্য কিছু।
ছেলে; শোনো রিয়া তোমার যদি কোন কিছু সমস্যা থাকে তাহলে আমাকে খুলে বলতে পারো আমি তোমাকে সাহায্য করবো। আর আমি চাইনা তোমার বিরুদ্ধে আমাদের বিয়েটা হোক, তোমার কি মত সত্যিই ছিল আমাদের এই বিয়েতে।
মেয়ে: মত কেন থাকবে না অবশ্যাই আছে আমি আসলে ভাবছিলাম যে তুমি আমার থেকে তো একটু বড় যদি কিছু সমস্যা হয়?
ছেলে: সমস্যা
সমস্যা কেন হবে আমি তো তোমার থেকে এত বরো না বাস্য তিন বছরের বড় হব।
মেয়ে: তা তো ঠিকই আছে কিন্তু আমিতো তোমাকে দেখে অনেক ভয় করি আসলে তোমার সাথে আমার বুঝতে পারছিনা কিভাবে সংসার হবে
। আমি তোমাকে বললাম এসব কথা তুমি কিন্তু কিছু মনে নিও না আসলে আমার যা চিন্তা আসে তাই আমি বলি বুঝলে।
ছেলে: আমি আবার কী মনে করবো আমি কোন কিছুই মনে করি না।আসলে যদি আমাদের মাঝে প্রেম থাকে তাহলে অবশ্যই তা কিছুই মনে হবে না তোমার। আমি তোমাকে সব কিছু নিয়ে ধীরে ভাবে বুঝিয়ে দেবো। ভালোবাসা মানে কি?ভালোবাসা কাকে বলে? বুঝতে পেরেছ। তুমি তো এত ছোট না তুমি তো সবকিছু বুঝতে পারো।
মেয়ে: তাতো অবশ্যই আমি সব কিছুই বুঝতে পারি তবে আমার একটু মনে কিরকম একটি প্রশ্ন যে আছে।
আচ্ছা, বিয়ের পরে কিন্তু তা তুমি আমাকে কি বলে ডাকবে।
ছেলে; তুমি কি ভয় পাচ্ছো যে আমি তোমাকে আবার ভালো করে রাখবো না
আমি কেন তোমাকে আপু বলে ডাকবো? আমি তোমাকে ডাকবো জান পাখি সোনা পাখি ময়না পাখি এসব। এবং তোমার নাম কি বলব লক্ষ্মীটি। তোমার কোন সমস্যা হবেনা তাই না?
মেয়ে: কেন আমি তা মনে করব? আসলে আমি দেখতে ছিলাম তুমি আমাকে সত্যি ভালবাসতে পারবে কি পারবে না?
ছেলে: কেন তোমার কি মনে হয়েছে আমি তোমাকে ভালবাসতে পারব না?
মেয়ে: এমনটা না আসলে আমার মনে হয়েছিল যে তুমি আমাকে ভালবাসতে পারবে কিন্তু কথা হলো তুমি একটু রাগী আমি জানতাম। তুমি একজন পেশায় শিক্ষক আর শিক্ষকের কাছে কোন ভুল করলে শিক্ষার্থীদের তো অবশ্যই গালি দেবে।
ছেলে; আচ্ছা, তুমি এই ভয় করতেছো
জান তুমি কোনো ভুল করলে আমি গালি দিব তা কী হয়? তুমি যে আমার সোনা বউ হবে। বউকে কি গালি দেওয়া যায় বউকে গালি দিলে অনেক রাগ হবে বউ? আর আমি চাইনা তোমার মত একটা পিচ্চি বউ আমার কোন প্রকার গালি শুনবে আমি তা কখনো চায় না
মেয়ে: কি যে বলো তুমি আমি কেন এরকম হব মানে আমি কেন রাগ করব?
মাঝে মাঝে একটু শাসন করতে হবেই তোমায় শাসন না করলে যে আমি খারাপ হব।
ছেলে: আমি তোমার সমস্ত কথাগুলো বুঝতে পেরেছি কিন্তু কোন ভয় করিও না তোমার কোন কিছুই হবে না। আমি তোমাকে অনেক বেশি ভালবাসবো ভালবাসার মাঝে আমাদের সময় গুলি পার করিয়ে নেব। তো তুমি তখন কোন কিছুই বুঝতেই পারবে না তোমার দু:খো বেদনা।
মেয়ে:: আসলে রাকিব তুমি ঠিক বলেছ।
আমার একটা বিষয়ে দুঃখ আছে একটু বলতো কোন বিষয়?
দেখি তুমি কিরকম আমার বিষয়ে বুঝতে পারো।
ছেলে: এইটা আবার এমন কি বিষয় এটাতো অনেক সোজা প্রত্যেকটা মেয়ে তার মা-বাবাকে ছেড়ে যাওয়ার জন্যই এমনটা দুঃখে ভোগে।
মেয়ে: রাকিব আমি একটা কথা বলি তোমায় আমি কিন্তু তোমাকে ছাড়া একদম থাকতে পারতেছি না জানিনা এটা কি তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা নাকি অন্য কিছু। আবার আমি আমার বাবা মাকে ছেড়ে যেতে পারতেছিনা এই ভেবে তাদেরকে কি সত্যিই আমাকে ছেড়ে যেতে হবে।
ছেলে; তোমার কথা বুঝতে পেরেছি তুমি এত টেনশন নিও না আমরা আসবোই মাসের ভেতর একবার।
আর তোমার আমার যখন বেশি ভালবাসা হবে তখন কিন্তু তুমি এসব কথা ভুলে যাবে সমস্ত কিছু।
মেয়ে: আসলে তাই না আমি সমস্ত কিছু ভুলে যাব আমার মনে হচ্ছে আমি সমস্ত কিছুই ভুলেই যাব।
কারণটা যানো তোমার মত একটা ভালোবাসার মানুষটিকে পাওয়া আমার বড় ভাগ্যের ব্যাপার ছিল।
ছেলে: বাবারে বাবা আমি তো ভেবেছিলাম যে তুমি এসব কথা কোন কিছুই বলতে পারো না।
মেয়ে: কেন বলতে পারবো না কেন? আমাকে তুমি পিচ্চি ভেবেছো নাকি আমি কিন্তু তোমার থেকেও বড়?
ছেলে: কিভাবে বলতো তুমি আমার থেকে অনেক বড় তুমি তো আমার থেকে অনেক ছোট?
মেয়ে: আমি তোমার থেকে ছোট বয়সে কিন্তু বয়সে মানুষকে বিচার করতে হয় না বয়সে। অভিজ্ঞতায় বিচার করতে হয়। উদাহরন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কাজী নজরুল ইসলামের চেয়ে অনেক ছোট ছিল কিন্তু তিনি সাহিত্য জগতের অনেক কিছু সৃষ্টি করতে পেরেছেন রবীন্দ্রনাথ চেয়েও বেশি।
ছেলে: তা তো অবশ্যই আসলে মানুষকে তার অভিজ্ঞতা দিয়ে বিচার করতে হয়। তো আমার থেকে তোমার কোন বিষয়ে বেশি অভিজ্ঞতা আছে সেজন্য তুমি আমার থেকে বড় নিজেকে দাবি করো।
মেয়ে: হায় আল্লাহ আমি তোমাকে কিভাবে বোঝাবো আচ্ছা আমি বলতেছি দাঁড়াও এক নম্বার তুমি কিন্তু বিয়ের পর রান্না করতে পারবে না আমি কিন্তু রান্না করতে পারব। রান্নাঘরের অভিজ্ঞতার কিন্তু শুধুমাত্র আমারই আছে তা তোমার নেই।
আর দুই নাম্বার হলো আমি কিন্তু সব থেকে বেশি বাড়ির কাজ করতে পারবো আর তুমি তা করতে পারবে না। আর আমার ৩ য় অভিজ্ঞতা হলো আমি কিন্তু রাত শেষে তোমাকে অনেক বেশি সান্ত্বনা দিতে পারব। আচ্ছা, তুমি পারবে কি।
ছেলে: কে বলেছে আমি পারবোনা তোমাকে সান্ত্বনা দিতে আমি অবশ্যই পারবো?
মেয়ে: হ্যাঁ, তুমি যা বলছো আমি তাই বুঝতে পারি ন যে া তুমি কতটা গম্ভীর টাইপের
। অনেক বেশি গম্ভীর আর আমি এজন্যই তোমাকে বলেছিলাম তোমার কম আছে সান্তনার মানসীকতা কারণ তুমি তো একজন শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ায়ও
তোমার কোন কিছু পারবে না বুঝলে।
ছেলে: এতক্ষণে তাহলে তুমি আমাকে সমস্ত কথা খুলে বললে তা তো অবশ্যই আমার ছাত্র ছাত্রীদের পড়ায় আমার কাজ
কিন্তু আমার বউ কে বাড়িতে সব বিষয়ে বোঝানো শেখানোয় তো কিন্তু আমার একটা মহৎ দায়িত্ব বুঝলে।
মেয়ে; জি সার বুঝতে পেরেছি স্যার আপনি অবশ্যই আমার স্যার।
ছেলে:: দেখো এইভাবে কিন্তু বলিও না আমি তোমার স্যার ঠিক আছে কিন্তু ওই ভাবে বলেলে আমার লজ্জা লাগে
মেয়ে৳: কেন? তুমি কি লজ্জাবতী লতা না কি আর কিসের জন্য তোমার লজ্জা লাগে? আমি তোমার মামাতো বোন
এবং আমি তোমার থেকে একটু ছোট হয় তাহলে আমাকে লাগে না তাহলে তোমার লজ্জা থাকলে কি চলবে বলো।
ছেলে: তাতো অবশ্যই আমার লজ্জা থাকলে যে তোমাকে দিয়ে আমি কোন কিছু করতে পারবোনা।
মেয়ে: হয়েছে এতক্ষণ তো কত সুন্দর ভাবে কথা বললে কিছু কিছু রোমান্টিক কথা।
ভএখন এরকম বলতেছ। মানে পজিটিভ থেকে নেগেটিভ এখন কিভাবে হবে বলো?
ছেলে; তুমি দেখছি অনেক কিছুই বেশি ভাবতেছ নেগেটিভ এখন না মানে নেগেটিভ টা হবে আজকে আমাদের বিয়ের রাতের পরে।
মেয়ে: শোনো আজকে বিয়ের পড়ে যা হবে এটা কিন্তু নেগেটিভ না ওইটা বলতে গেলে পবিত্র একটা তালিকা ভুক্ত
প্রথমে তুমি আমাকে নতুনভাবে চিনবে পরে আমি তোমাকে এবং আমাদের ভালোবাসা হবে নতুন থেকে নতুনভাবে।
ছেলে: এত কিছু বোঝ তুমি আমি তো মনে করেছিলাম তুমি আমার পিচ্চি মামাতো বোন। এখন দেখতেছি তুমি অনেক কিছুই বুঝতে পারো। আচ্ছা, বলতো বাসর-রাতে-কি-কি-হয়।
মেয়ে:: তুমি কি এখনি আমার কাছে সবকিছু শুনতে চাও আমি কিন্তু এখন তোমার কাছে কিছু বলবো না যা বলবো বাসর ঘরে গিয়ে বলব?
ছেলে: আচ্ছা, তুমি বাসর ঘরে গিয়ে বলিও
কিন্তু এখনতো চলো সবাই অপেক্ষা করে আছে।আর কাজী সাহেব ধরে অনেকক্ষণ বসে আছে।
মেয়ে: শোনো এত তাড়াহুড়া করো না একটু তো সময় অনেক বাকি
তোমাকে যে আমি আর কিছুক্ষণ পরে একবারে আপন করে পাব সারাটা জীবনের জন্য তার জন্য একটু কথা বলি না। কিছু হবেনা কথা বললে?
ছেলে: আমি তোমার সমস্ত কথাগুলো বুঝতে পেরেছি কিন্তু এখন তো কিছু একটা করো এখন চলনা পরে কথা হবে
বাসরঘরে
মেয়ে:: কিভাবে বোঝাবো বল একটু গল্প করি তা না তুমি তো শুধু বিয়ে আর বিয়ে নিয়ে পড়ে আছ।
ছেলে: থাক না বাকি গল্পটা না হয় বাসর ঘরে গিয়ে হবে।
মেয়ে:: দাঁড়াও আমি দেখতেছি তোমার তো এখন কোন ধৈর্য হচ্ছে না।আচ্ছা চলো তাহলে
ছেলে: আমি আর ধৈর্য ধরতে পারতেছি না তুমি কি তা বুঝতে পারো না অবশ্যই তো বুঝতে পারতেছ।
মেয়ে: আচ্ছা, তাহলে চলো আর দেরি করি না বাহিরে যায় সবাই হয়তো একটু অনেকক্ষণ ধরে আমাদের জন্য অপেক্ষা করতেছে।
ছেলে: তাতো অবশ্যই অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করতেছে আমার পরিবারের সবাই আর তোমারও।
মেয়ে: যাইহোক এতক্ষণ তোমার সঙ্গে এইসব খোলামেলা কথা বলে আমাকে অনেক বেশি ভালো লাগলো। আসলে আমার মনে অনেক কিছু জানার আগ্রহ ছিলো তোমার থেকে তা জানতে পেরে এখন আমি ভালো আছি। বলতে গেলে অনেক খুশি আমি।
ছেলে: তা আমি আগে থেকে জানতাম তুমি এই বিয়েতে অতটা খুশি ছিলে না কারণ তুমি ভয় করেছিলে যে আমিতো শিক্ষক আমি ছাত্র-ছাত্রীদের যেভাবে পড়াশোনার বিষয় একটু রাগী তেমনই বোধহয় তোমার সাথে ভালোবাসা দিতেও আমি রাগী হব তাই না।
মেয়ে: একদমই ঠিক কথা বুঝতে পেরেছো তুমি এজন্য হয়তো আমার সৃষ্টিকর্তা তোমাকে আমার জন্য সৃষ্টি করেছেন।
আচ্ছা, কাজী সাহেবে তো অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষায় আছে চলো আর দেরি করি না যাওয়া যাক।
ছেলে: তা তো অনেকক্ষণ ধরেই তিনি অপেক্ষা করতেছেন আমাদের এখন যাওয়া দরকার। কি হলো গল্পটা না হয় আরেকটু রাতে বলি?
মেয়ে: বাসরঘরে বলতে চাও ত তাতো সরাসরি বললেই হয় রাতের আবার কি দরকার?
ছেলে: এতক্ষণ দীর্ঘ আলোচনার পর আমি রিয়াকে নিয়ে আমরা দুজনে হাতে হাত ধরে আমি নিচে নেমে দেখি সবার একটা অন্যরকম দৃষ্টিতে আমাদের দুইজনের জুটিকে দেখেছিল। আমার তখন ত অনেক বেশী ভাল লেগেছিল। এরকমভাবে রিয়া শেষ পর্যন্ত তিনবার কবুল বলে দেওয়ার পরে আমাদের বিয়ের কাজটি সম্পন্ন হয়ে গেল।
আমি রিয়াকে নিয়ে আমাদের বাসায় চলে এলাম অতঃপর আমি বাসরঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করতেই সে আমাকে বলল।
মেয়ে: দেখো রাকিব এত তাড়াতাড়ি করো কেন আর কোন কাজ নেই এখনো তো আমাদের অনেক সময় পড়ে আছে। এখন তো রাত বাজে দশটা আমাদের তো গল্প হবে রাত দুইটা পর্যন্ত।
ছেলে: তোমাকে কি আর আমাকে নতুন করে কিছু বোঝাতে হবে নাকি
আমি এখন চাই আমাদের এই ঘরের কথা কেউ না শুনুক। আমি তোমাকে আবিষ্কার করতে চাই নতুনভাবে এ বন্ধ ঘরের মাঝে।
মেয়ে: আমাকে আবিষ্কার করতেছো তা ঠিক আছে কিন্তু এ বন্ধ ঘরের মাঝে কেন আমার যে নিশ্বাস অফ হবে।
ছেলে: এখন আমি তোমাকে কিভাবে আর নতুন করে বোঝাবো আচ্ছা, তাহলে তোমাকে আমি বোঝাচ্ছি সবাই যে আমাদের সব কাজ দেখে ফেলবে। তখন তো আর কোন কিছু করতে পারবো না বুঝছো।
মেয়ে: ও কি সব দুষ্টুমি করো তাই না এত তাড়াতাড়ি না রাত এখনো বাকি আছে। আর সবে মাত্র তো রাত এগারোটা আমাদের কার্যক্রমকে তুমি এরকম করতে চাচ্ছ একটু গল্প বলি নাহ
ছেলে: হায় হায় তুমি দেখতেছি সব কিছুই বুঝতে পারো আমি তো মনে করছিলাম তুমি একটা পিচ্চি মেয়ে
মেয়ে: শোনো তুমি সবসময় আমাকে পিচ্চি মেয়ে বলবে না আমি কিন্তু মোটেও পিচ্চি মেয়ে না আর আমি যদি পিচ্চি মেয়ে হতাম তাহলে এখানে কি বউ সেঝে থাকতে পারতাম।
ছেলে: ও আচ্ছা তাহলে দেখতেছি তুমি সবকিছু বুঝতে পারো তারমানে তোমার সবকিছু ওকে।
মেয়ে: সবকিছুকে মানে কি তোমার কি মনে হয় আমি কি অন্য কিছু বুঝতে পারি না। আমি বুঝতে পারি তাই তোমাকে বিয়ে করতে পেরেছি বুঝলা কিছু।
ছেলে: না, আমার সোনা বৌ আমি কিছুই বুঝতে পারি না আমাকে একটু বুঝিয়ে দাও না।
মেয়ে: এইদিক আয় তোকে বুঝে দিচ্ছি আমি।
ছেলে: আমি কিন্তু তোমার থেকে বড় একটু তো সম্মান করো তুই ভাষা কেন?
তুমি এমন ব্যবহার করতেছো ভয় লাগতেছে না আমায়?
মেয়ে: এখনো তো আমার ব্যবহারে তুমি কিছুই দেখলেনা যখন দেখবে তখন চমকে যাবে ধীরে ধীরে।
ছেলে: ওরে আমার বউ ভয় দেখাচ্ছ তাতে তো আমি এমনি থেকেই ভয়ে শেষ হয়েছি আর দেখিও না।
মেয়ে: তুমি আমার সাথে ফাজলামি করছো তোমাকে আমি এইবার একটু মার দিয়ে দিব।
ছেলে: আচ্ছা, একটা মার দিয়ে দাও বইয়ের হাতে মিষ্টি মার খেলে অবশ্যই অনেক মিষ্টি লাগবে। তাহলে আমার স্কুলে তোমাকে নিয়ে যাব মার দেওয়ার জন্য শুধুমাত্র আমাকে।
মেয়ে: তুমি একটু কাহিনীটা তোমার চুপ করে রাখবে। না কি শুধুমাত্র মেয়ে মানুষের মত বকবক করতে থাকবে নাকি এখন আমার সঙ্গে ভালোবাসার গল্প বলবে বলোতো।
ছেলে: আমি তো তোমার সাথে ভালোবাসার গল্প বলার জন্য এখানে বিয়ে করে নিয়েছি। আর তোমার সাথে আমি বকবক করতেছি কই
আমি তো এমনি থেকে ফাজলামি করতেছি আর কি?
মেয়ে: আমার ফাজলামি একদম পছন্দ নয় যা বলবে সরাসরি বলবে। দ্বন্দ্ব এবং না বুঝি এমন কথা কখনো বলবে না।
ছেলে: আচ্ছা, আচ্ছা হয়েছে আমি এমন কথা কখনো বলবো না তোমায় তো এখন তো কিছু একটা করি আমি তোমাকে। বেশি কিছু না আপাতত এখন একটা করলেই হবে।
মেয়ে; আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না এখন একটা মানে এখন একটা কি করবে আমায়।
ছেলে; কেন তুমি বুঝতে পারতেছ না আমি এখন একটা তোমাকে কি করব? এ কথা তো সবাই বোঝে আর তুমি তো অনেক কিছুই বুঝতে পারো এটা বুঝতে পারত ছো না।
মেয়ে: না আমি বুঝতে পারতেছি না আসলে আমি তো অনেক কিছু ইচ্ছে জন্য পিচ্চি মেয়েকে আর সবকিছু বোঝে নাই কি তুমি তো আমাকে পিচ্চি করে বল
ছেলে: বুঝতে পেরেছি আমি তুই আমি এখন আমার থেকে সব কিছু ফায়দা নিচ্ছে। মানে এখন অনেকে তুমি পেয়ারার মাঝে রাখতে চাও তাই না আচ্ছা রাখিও কিন্তু আমি একটা তোমার থেকে।
মেয়ে: আমার থেকে কি নিতে চাও বলো আমি তো বুঝতেছিনা।
ছেলে: আসলে কিভাবে বোঝাবো যে তোমায় আমারি তো লজ্জা লাগতেছে আমি আসলে বলতে পারব না?
মেয়ে: তোমাকে কি আর লজ্জা করলেই চলে তুমি লজ্জা করলে যে আমাদের বাচ্চা হবে না বুঝতে পারলে?
ছেলে: তারমানে কি এতক্ষণ তুমি তাহলে সমস্ত কিছু বুঝতে পেরেছ অচেনা ন্যাকামি করতে চান তারাও তোমার ন্যাকামি আমি প্রাকটিকাল এ ভাবে দেখাচ্ছে?
মেয়ে: না, না এখন না এখন না বলছি তো এখন না একটু পরে রাত 2 টা বেজে যাক না তারপরে না হয়
ছেলে: আসলে এতক্ষণ আমার ইচ্ছা ছিল না আমি মনে করেছিলাম তুমি কোন কিছু বুঝতেছো না এখন যেহেতু সবকিছু বুঝতে পেরেছ তাই এখনই হবে।
কি হবে ওইটা ওইটা বলবো আচ্ছা বলতেছে আমাদের মাঝে এখন প্রেম হবে?
মেয়ে: আচ্ছা, আচ্ছা বুঝতে পেরেছি তাহলে এখন তোমার ইচ্ছাই হবে।
ছেলে: এইতো কত সুন্দর দেখি তুমি বুঝতে ন্যাকামি কেন করো
ন্যাকামি করবে না?
এভাবে ভালোবাসার মধ্য দিয়ে আমাদের দিনগুলো অতিবাহিত হতে থাকে। আমি আমার পিচ্চি মামাতো বোনকে নিজের বউ করে নিয়ে নিলাম। এতে আমি অনেক খুশি কারণ পিচ্চি মামাতো বোন যখন সমস্ত কিছু বিষয়ে আমাকে সাহায্য করে তখন ভালোলাগে আমার একটু বেশি
এতক্ষণ পাশে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
Post a Comment