প্রাক্তন গার্লফ্রেন্ড যখন মামাতো বোন । EX girlfriend

গল্প : 

প্রাক্তন গার্লফ্রেন্ড যখন মামাতো বোন 

লেখকঃ মোঃ রাকিব হাসান। 

😍😍😍😍

মেয়ে::    আসলে সত্যি কথা হয়েছে তোমার সঙ্গে আমার এতদিন প্রেম করাই ভুল হয়েছে আসলে ফুপাতো ভাইয়ের সঙ্গে প্রেম করাই হয় না এটাই হল আসল কথা। তোমাকে আমি কতবার বলেছি একটা ভালো মতো কিছু জীবনে করে নাও বাট আমার কথা শুনেছ কি কখনো শোনো নাই। 

ছেলে:    মাথা ঠিক আছে আজকে পার্কে সবার সামনে আমাকে এই ভাবে বলতেছ কেন?পার্কের বাকি লোকেরা কিভাববে একবার বলতো তুমি। 

মেয়ে:  লজ্জা  লাগতেছে না সবার সামনে আমি এইভাবে বলতেছি আর যখন আমি বলতাম তখন তো শোনো নাই কোন কথা। 
প্রাক্তন গার্লফ্রেন্ড যখন মামাতো বোন । EX girlfriend
প্রাক্তন গার্লফ্রেন্ড যখন মামাতো বোন । EX girlfriend



ছেলে:   এত পেছিয়ে কোন কথা বলবে না যা বলবে সরাসরি বলবে বুচ্ছ। আমার এত কথা একদমই পছন্দ হয়না কি হয়েছে সেটা আগে তো বলো। 

মেয়ে:   কচু হয়েছে কি হয়েছে বুঝতে পারতেছ না আবার বলতে লাগবে আমাকে।
 শোনো আমি কিন্তু তোমাকে আর কোন কিছু বলতে পারতেছি না সো বাই। 

ছেলে:   সকাল সকাল আমাকে পার্কে ডেকে আনে তুমি কি অপমান করার জন্য এনেছো। 

মেয়ে:       আমি কি কখনো তোমাকে অপমান করলাম আমি তো বললাম জীবনে তো অনেক কিছু করতে চাইছ কিন্তু কিছুই তো করতে পারলে না একটা ভালো জব করতে পারলা না। আর আমি তোমাকে আগে কখনো এরকম ভাবে কথা বলেছি এখন আমাকে বলতে হচ্ছে কারণ তুমি কোন জব করতেছো না আর এইদিকে আমাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য লোক আসতেছে। আমি তো আর তোমার মত না আমাকে তো বিয়ে করতে হবে করতে হবেনা বলো। 

  ছেলে;   ও তাহলে এখন দেখতেছি ভেলা হলো তাহলে লেঠ্যা । আসলে তোমার একটা বিয়ে করার প্রয়োজন আমাকে ছাড়া তুমি যাকে নিয়ে খুশি থাকো তার সঙ্গে যাও বিয়ে করে নাও। 

মেয়ে:   শোনো আমি এখানে তোমার সাথে কোন প্রকার ঝগড়া করতে আসিনি আমি তোমাকে যা বললাম তা শুধু একবার বুঝিয়ে দিতে এসেছি। 

ছেলে:   ও তাহলে কি আমি তোমার সঙ্গে ঝগড়া করতেছি আসল কথা এই ঝগড়া টাকে আগে প্রথমে বাধল বলতো। 

মেয়ে;   না তুমি নিজে কোন প্রকার জব করবে না আর কেউ যদি বলতে চাই তাহলে সেইটা হচ্ছে তাহলে দোষ আর সে ঝগড়া করে তাই না। এর মানে তো এইটা দাড়ায় আমি তাহলে তোমার  বাধার কারণ হচ্ছি ঝগড়ার।  তুমি যদি সম্পর্ক নষ্ট করতে চাও তাহলে তো আমি আর জোর করে ধরতে পারবো না ভাই 

ছেলে:    আচ্ছা, তোমার ইচ্ছা তুমি যখন এই সম্পর্ক রাখতে চাও না তো নেক্সট টাইম আর আমার সঙ্গে কোন প্রকার যোগাযোগ করবে না। তুমি তোমার মত ভাবে জীবনটাকে গুছিয়ে নেবে
 তাই আমার সঙ্গে কোন কথাই বলবে না। 

মেয়ে:    তোমাকে যদি আমি বোঝাই একটা তাহলে তুমি বোঝো আর একটা এজন্যই আমি তোমাকে বলি তুমি একটা আস্ত গাধা ছাড়া আর কোন কিছুই না। 

ছেলে:    তুমি আমার মামাতো বোন বলে তোমাকে আর আমি কিছু বলতে পারতেছি না। আসল ভুল তো আমারই হয়েছে যে তোমার মতো মেয়ের সঙ্গে আমি রিলেশন এর যুক্ত ছিলাম। 

মেয়ে:    কি বললে আমি আবার কেমন মেয়ে তুমি কি আমাকে রাস্তার খারাপ মেয়ের সঙ্গে তুলনা করতেছো নাকি? 

ছেলে:   আসলে প্রবাদ আছে যায় যেরকম সে নিজেকে সেই রকমই ভাবে। এখন তুমি যদি ঐরকম হও তাহলে তো আমার আর কিছু করার নেই। 

মেয়ে:   তুমি আমাকে এইরকম ভাবে অপমান করতে পারলে পারলে তুমি বলো। 
আসলে আমি এখন দেখতেছি তোমার সঙ্গে আমার এখন একদমই হবে না। 

ছেলে:    তুমি যদি ব্রেকআপ করতে চাও তাহলে তো অবশ্যই ব্রেকআপই হবে এটা আমার কোন দ্বিধা থাকবে না। 

মেয়ে:   এতক্ষণে কথার মাঝে আমি কি কখনো তোমাকে ব্রেকআপের কথা বলেছি। বলতে পারবে একবারও যে আমি তোমার থেকে ব্রেকআপ চেয়েছি। কেন বল কে আগে ব্রেকআপ করতে চাইলো আমি না তুমি বলো? 

ছেলে:    অবশ্যই তুমি চেয়েছ তোমার কথা বার্তায় আমার মুখ থেকে এই কথা দ্বিতীয়বারের মতো বলতে লাগলো। 

মেয়ে:   এই জন্যই আমি তোমাকে আগে বলেছিলাম যে নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক রাখলে তা কি শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারবে তুমি। তখন মনে আছে তুমি কে বলেছিলে বলেছিলে হাজারো বাধা পার করে তুমি মনে রাখবে। তাহলে তো তোমার কোন কথার একদমই মূল্য পাচ্ছিনা আমি খুঁজে। 

ছেলে:  আসলে আমার কথা মূল্য কি তুমি এখন খুঁজে পাবে তা তো কখনো খুঁজে পাবেনা। আরে আমি কি তোমায় একায় কথা দিয়েছিলাম তুমি আমাকে কথা দাও নি তুমিও তো বলেছিলে আমার সুখ দুঃখের সাথী হবে তুমি। কি মনে পড়তেছে কথা দিয়েছিলে না দিয়েও নাই? 

মেয়ে:      হ্যাঁ, আমি তো তোমার মত মিথ্যা কথা বলতে পারবো না যে কথা দেইনি অবশ্যই কথা দিয়েছি। 

ছেলে:    তুমি একটু বেশি বোঝো আমি কি কখনো বললাম যে আমি তোমাকে কথা দেইনি। বরং আমি এই কথা তোমাকে কখনো বলিনি এবং আমাদের সম্পর্ককে নষ্ট করতে চাইনি। কিন্তু বর্তমান যে অবস্থা তাতে মনে হয় আমাদের আর একদমই হবে না। তুমি আমার এক্স মামাতো বোন হয়ে থাকো এইটাই হবে ভালো। 

মেয়ে;   সত্যি কথাটা আগেই মুখ দিয়ে বের হল তোমার তাহলে তুমি আমার থেকে সত্যিই ব্রেকআপ করতে চাচ্ছ। আর যদি তুমি সত্যি ব্রেকআপ করতে চাও তাহলে আমিতো একপায়ে দাঁড়িয়ে আছি ব্রেকআপ মানে ব্রেকআপ। 


ছেলে:   আমি এখানে ব্রেকআপের কথা ঠিক হই আগে তুলেছি কিন্তু কথা ছিল তোমার মনের ইচ্ছে ছিল ব্রেকআপ হওয়ার সেজন্য তুলেছি। 
এখন যদি তুমি নিজেই ব্রেকআপ চাচ্ছ তাহলে আমি তো এখন আর না করবো না।আচ্ছা ব্রেকআপ😑 কথা বলবা না ভালো থাকবে আচ্ছা। 

মেয়ে:    আসলে তোমরা ছেলেরা এমনই হয় তোমরা সমস্ত কিছু ভুলে যেতে একদমই দ্বিধা করো না। কেন এমন হয়?

ছেলে:   আসলে সত্যি কথা হয়েছে আমরা ছেলেরা তোমাদের মেয়েদেরকে অনেক বেশি ভালোবাসি। তোমাদের মধ্য তো যারা বুঝতে পারে তারা জীবনসঙ্গীকে আজীবনের জন্য পেতে চাই?  ঠিক উল্টো রকম তোমাদের মধ্যে যারা বুঝতে পারে না ভালোবাসা মানে কি তারা তাদের জীবন সঙ্গীকে আজীবনের জন্য হেরে ফেলে। 

মেয়ে:      তুমি যেভাবে কথা  বলতেছো তাতে মনে হয় সবগুলো কথা আমাকে বলতেছো? আমি কি তোমার সঙ্গে ব্রেকআপ করতে চেয়েছি নাকি আগে তুমিই তো আগে আমার সাথে ব্রেকআপ করতে চেয়েছ বিধায় আমি ব্রেকআপ টা করলাম। আচ্ছা, ঐসব এখন বাদ দাও আমি তাহলে তোমার কি এক্স মামাতো বোন হলাম। কি ভাগ্য আমার তুমি কত কিছু কথা দিয়েছিলে আমায়? কিন্তু আজ দেখো একটা কথা ও তুমি রাখতে পারলে না। 

ছেলে:   আচ্ছা, আমি কি তোমাকে একাই কথা দিয়েছি তুমি কি আমাকে কথা দাও নি। সত্যি করে বলো তুমি কি আমাকে কথা দিয়েছিলে নাকি আর কোন কথা দাওনি। 

মেয়ে:    হ্যাঁ, আমি তো তোমাকে অনেক কথা দিয়েছিলাম 
যে জীবনে তোমার পাশে থেকে আমি কাটাবো  তুমি না করতে পারবে না। 

ছেলে:   শুধু কি তোমার এইটাই মনে আছে আর বাকি কথাগুলো মনে নেই? তুমি তো আমাকে আরো বলেছিলে যে কখনো আমাদের সম্পর্কের মাঝে তুমি কখনো সন্দেহ তো দূরের কথা এমনি থেকে কথাই বলবে না ব্রেকআপের। কিন্তু আজকে দেখো আমার সামান্য একটা জব হয় না বাহানা দেখিয়ে তুমি আজকে আমাকে কি কথা বললে এমনকি ব্রেক-আপটা করে নিলে। 


মেয়ে:   রাকিব আমি তোমাকে  ব্রেকআপের কথা বলেছি যখন  আমার মাথা ঠিক ছিল না। আমি যে কিভাবে  বলতে পারলাম আর তোমার সঙ্গে ব্রেকআপ টা করলাম তা আমি বুঝতে পারতেছি না এখন সরি আই এম সরি। 


ছেলে:     তোমরা মেয়েটা এমন কেন একটা ছেলেকে ভুলতে পারো আবার একটু এর মাঝেই তাকে এমন আপন করে নাও যে যে তাকে একদম জীবনের সবকিছু দিয়ে দাও। আমি তোমার ফুফাতো ভাই দেখে এতদিন একটা কথা বলিনি আজকে বলবো দিবে কি? 


মেয়ে:    তুমি আবার আমার থেকে কি চাও তুমি কি আমার সঙ্গে ব্রেকআপ এ করলে আর কথা বলবো না তোমার সাথে যাও। 


ছেলে:    একটু আগে তুমি যে ব্যবহার করলে তখন আমি ব্রেকআপ কথাটা ছাড়া আর আমার মুখ দিয়ে কোন কথা বের করতে পারলাম না তাই বলেছি তোমাকে। সাধারণভাবে তোমার একটা যদি জ্ঞান কথাটা থাকত তা হলে  বলতে পারতে আমায় এবং আমি কখনই তোমাকে এই কথা বলতাম না। 

মেয়ে::     আচ্ছা, আমি দুঃখিত আর আমি বলব না এখনো আমাকে আপন করে নাও নাকি তুমি আমাকে দূরে রাখবে। আর তুমি কি জানি চাইলে আমার থেকে বলতো কি দেবো আমি এখনো চাওনি কি 

ছেলে:    আমি যা চাচ্ছি তুমি তো অবশ্যই নিতে পারবে আমি এখন তোমার সাথে এই দুই তিন দিন পর বাসর করতে চাই দিবে কি? 

মেয়ে:   তুমি এসব কথা বলতে পারলে আমায় তোমার কি একটু লজ্জা লাগতেছে না। বিয়ের আগে কিভাবে আমরা বাসর করবো কিছু কি মাথায় আছে কি তোমার কমনসেন্স নাই। 


ছেলে:    আমি যা দেখতে পাচ্ছি তোমার একটু নেগেটিভ চিন্তা টা বেশি আসে।পজেটিভ   চিন্তা তো একদমই আনতে পারো না তাই না। 


মেয়ে:   আমি পজিটিভ চিন্তা আনতে পারি না তাই না কিন্তু তুমি আমাকে যে  প্রস্তাব দিয়েছো এটা কি পজিটিভ না নেগেটিভ বলতো। 


ছেলে:    তুমি তো আগে আমার থেকে পুরা কথাটা শুনে নেবে আমি বলতে চেয়েছি দুই তিনদিন পরে আমরা বিয়ে করে আমাদের বাসর করব। তখন তো তোমাকে আমি এমনিতেই তো রাজি করিয়ে নেব যদি রাজি না হও তাহলে জোর করে নেব। 

মেয়ে:      সত্যি কি আমার থেকে তুমি জোর করে নেবে? ফারহান তখন তো তুমি আমার থেকে সবকিছু জোর করে নিতেই পারবে কারণ তুমি যেভাবে তখন আমার জীবনের একমাত্র সঙ্গী। শোনো তুমি কি দুই তিন দিন পরে করতে চাচ্ছ আমাকে দিয়ে তা কিভাবে সম্ভব বলতো। 

ছেলে:     যদি সম্ভব করে নিতে পারি তাহলে বল আমাকে কি তুমি খাওয়াবা। 

মেয়ে:   যদি তুমি সম্ভব করে নিতে পারো তাহলে তোমার ইচ্ছে বলো তুমি কী খাবে শুধু একবার বলবে

ছেলে:    তোমার আর আমার প্রেমের মাঝি প্রেমগাথা ফুল খাব। আরে অত কিছু এখন তোমাকে বুঝতে হবে না তুমি একটু তো ছোট আরেকটু বিয়ে করি একটু বড় হও তারপর বুঝবে। 

    মেয়ে:   আমি কিছুতেই বুঝতে পারতেছি না তুমি কি বলতে চাও একটু ভালো করে বুঝিয়ে বল না কিভাবে ম্যানেজ করবে। 

ছেলে:     আসলে সব কাছেতে তাড়াতাড়ি করলে হয় আমি বলছিনা ম্যানেজ করবো তো ম্যানেজ করব তুমি কোন টেনশন নিও না। 

মেয়ে:    তা না হয় কোন প্রকার টেনশন নিলাম না কিন্তু একটু খুলে বলো না প্লিজ। আমার জানতে ইচ্ছে করে আর শোনো আজকে তোমার সাথে এমন করার  কারণ জানো কারনটা হল আমার বাবা কালকে বলেছিল মানে তোমার মামা কালকে বলেছিল যে আমাকে নাকি বিয়ে দিয়ে দেবে তারা একটা পাইলট ছেলেকে দিয়ে তারা বিয়ে দিয়ে দেবে কিছুতেই তারা আমাকে  বলল না। আমি বারবার জানতে চাইলাম বল কি হয়েছে বাবা আর কিছুই বলল না। এমনকি বাবা মাকে ছেলে নামটিও বলল না 


ছেলে:    আসলেই   ছেলের নাম বল তো যদি
 তাহলে তার সারপ্রাইজ থাকত না।  এজন্যই তো তোমাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য বলেনি হয়ত নামটি। 

মেয়ে:     শুনো রাকিব এত পেচিয়ে না বলে সরাসরি বলতে পারো প্লিজ বলোনা প্লিজ। আসলে আমার মনে হচ্ছে এইটার ভিতরে কেউ একটা লুকিয়ে আছে কিছু একটা রহস্য তো আছেই এজন্যই হয়তো তোমরা কেউ আমার সাথে এমনটাই ব্যবহার করতেছো। 

ছেলে:   আচ্ছা, আচ্ছা আমি বলতেছি তুমি মানসিকভাবে টেনশন হইও না আসলে কালকে আমি তোমাকে ফোন দিয়ে কি বলেছিলাম মনে করো তো। 

মেয়ে:    ও আচ্ছা কালকে ফোন দিয়ে তুমি বলেছিলে যে রিয়া একটা তোমার আর আমার জন্য অনেক বেশি সুসংবাদ আছে তারপর তুমি আমার বাবা মায়ের সাথে এবং তোমার মা কিছু কথা বললো মনে হয়। 


ছেলে:    আচ্ছা, তাহলে তুমি আমার এখন সুসংবাদটা শুনে নেও সুসংবাদটা হল আমি এখন বর্তমানে একজন পাইলট হয়েছি। গতমাসে আমি আবেদন করেছিলাম আরে কালকে আমি রেজাল্ট পেলাম এবং তাদের পাইলট মনোনীত হলাম আমি।  আর আমার মা তোমার বাবা মায়ের সাথে আমাদের বিয়ের কথা বলেছে দুই তিন দিন পরে আমাদের বিয়ে হবে। 

মেয়ে:   ও শালা কুত্তা 😏😏 তাহলে তুই আমার সাথে এতক্ষণ ধরে অভিনয় করতে ছিলিস তাই না। আসলে প্রথমে বলতেই পারতিস কি হয়েছে এতোটা ঢং কেন করলি দারা তোর খবর আছে আজকে।  

রাকিবকে একথা বলে তাকে শক্ত ভাবে জড়িয়ে ধরলাম আমি। 

ছেলে:     দাড়াও দাড়াও এই ভাবে কেন জড়িয়ে ধরতেছো স্পাবলিক প্লেস না সবাই যে দেখবে।

মেয়ে:   ভাইকে দেখতে দাও তাকায় না তুমি কখনো তাকাবে না। 

ছেলে:    সবাইকে অনেক কিছু বলবে তখন কি হবে বলতো। 

মেয়ে:    কি কি বলতেছে বল তাতে তুমি কি দেখবে তুমি কিছু বলিও না? 

ছেলে:    আসলে এটা তো পাহাড় আর পার্কে তো মানুষ ওইসব করেই আর ওইপাশে দেখো কি হচ্ছে? ঠোটে ঠোট লাগিয়ে কি হচ্ছে একটু দেখতো। রিয়া ওই দিকে তাকাতে আমি তার ঠোঁটে ঠোঁট রেখে বললাম। 

বুঝতে পারছ কেমন লাগতেছে? 
    

মেয়ে::   কেমন লাগতেছে বলব তাহলে বাসায় চলো এখনই তোমাকে বোঝাচ্ছি আমি? 

ছেলে:   থাক থাক এখন আর লাগবেনা বাকিটা বাসরঘরে হবে। আসলে আমি দুঃখিত তোমাকে আমি প্রথমে বলতে চেয়েছিলাম যে আমার জবের কথা কিন্তু বলিনি। আমি তোমাকে বুঝলাম যে তুমি কি করতে তোমার বাসায় যখন বলতো এসবের কথা। 

মেয়ে:   এটা সত্যি কথা যে আমার বাসায় যখন এসব কথা বলেছিলে আমায় তখন আমি নিজেকে ডিপ্রেশনের মাঝে ফেলে দিয়েছিলাম। আমি তখন পুরোপুরি আত্মহত্যার মাঝের পথ চেয়েছিলাম রাকিব। 

ছেলে:    জান তুমি এগুলো কেন বলতেছ বলতো আমি কি তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারব। তাও আল্লাহ ভালোর ভালো তুমি কিছু আগে করে বসো নি তুমি যদি কিছু করতে তুমি আমার জানরে তুমি আর থাকতো না। তো জান পাখি আর কিন্তু কখনো এরকম কথা মনেও ভাববে না আচ্ছা। 

মেয়ে:    নানা এখন কেন আমি এসব কথা বলব কারন তুমি যে আমার পাশে আছো এখন। তুমি পাশে থাকলে আমার জীবনের সমস্ত কিছু নতুনভাবে তৈরি হয়। 

ছেলে:   আমার মহারানী টা দেখতেছি এখন অনেক কিছু বুঝতে পারে ধন্যবাদ শোনো আরেকটা কথা বলি তুমি কিন্তু বিয়ের পরেও যে রকম ভাবে পর্দা করো বিয়ের পর আরও বেশি করবে আচ্ছা। 


মেয়ে:    কেন করব না বলতেছ আমি এরকমই আমার একটা তো আদর্শ আছে আমি তো আর সবার মত না? আসলে তুমি একটা তোমার ফ্রেন্ডের কথা বলতেছিলা সে নাকি কিরকম জানি উল্টাপাল্টা তাই না। 

ছেলে:   আমার ফ্রেন্ড টা উল্টাপাল্টা না তবে সে একদম পর্দা করে না আর সেজন্য সে প্রপোজ করা সত্ত্বেও আমি না করেছিলাম এবং তোমাকে ভালোবেসেছিলাম। এবং তোমাকে ভালবেসে শেষ পর্যন্ত তোমাকে প্রপোজ করেছি আর তুমি একটু প্রথমে না করেছো কিন্তু পরে আবার তুমি হ্যাঁ বলে আমাকে কাছে টেনে নিয়েছে। 

মেয়ে:   একথা সত্য যে আমি তোমাকে প্রথমে না করেছিলাম কিন্তু পরে আবার তোমাকে ছাড়া আর আমি থাকতে পারিনি সেজন্য আমি আবার তোমাকে ফোন দিয়ে বলেছিলাম আই লাভ ইউ টু। আসলে রাকিব তুমি যদি আমাকে এখন না করতে তাহলে আমি সবথেকে বেশি এখন কষ্ট পেতাম জানতাম না আমি তখনই কি করতাম? 

ছেলে:   আচ্ছা, তুমি ওইসব কথা বাদ দিবে এখন তুমি চিন্তা করো কিভাবে আমাদের ভালোবাসার সুন্দর হয়ে উঠবে বিয়ের পরে। 

আচ্ছা, বাচ্চা পছন্দ তোমার অনেকগুলো বাচ্চা নিতে পারবে। 

মেয়ে:   পারবো কিন্তু এতগুলো বাচ্চা নিয়ে তুমি কি করবে তুমি কি বাচ্চাদের গোডাউন করবে নাকি। 


ছেলে:   হ্যাঁ, তুমি যদি চাও তাহলে তাই করবো। এভাবে পরবর্তীতে দুই তিনদিন পরে আমি আমার বাড়ির সবাইকে নিয়ে গিয়ে রিয়াকে বউ করে আনলাম। এবং আমার এক্স মামাতো গার্লফ্রেন্ডকে আমি আমার নিজের বউ করতে যখন পেয়েছিলাম তখন অনেক বেশি ভাগ্যবান মনে করেছিলাম। এক্স গার্লফ্রেন্ড কে এই ভাবে ফিরে পাওয়া অনেক বেশি ভাগ্যের বিষয়। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। আপনারা সবাই পাশে থাকুন আমাদের।

সমাপ্ত

Post a Comment

Previous Post Next Post