চাচাতো বোন যখন বউ
লেখক মোঃ রাকিব হাসান।
মেয়ে: রাকিব শোন সত্যি কথা এই যে পরিবারের সবার ইচ্ছামতো আমি এই বিয়েতে রাজি হয়েছি।
ছেলে: আচ্ছা, তোমার কোনো ইচ্ছে নেই এই বিয়েতে তোমার যদি ইচ্ছে না থাকে তবে আমি তোমাকে জোর করব না। আসলেই ঠিক একই অবস্থা আমারও পরিবারের সবার চাপে আমি সাধারণত এভাবেই এই বিয়েতে রাজি হয়েছি।
টেক বিষয়ে জানতে চাইলে ভিজিট করুন BoyzTech.com
মেয়ে: আমি রাজি না এই কথাটা তো আমি এখনো বলিনি আমি অবশ্যই রাজি আসলে এই কথা আমাকে মানতে হবে যে তোমার মত জীবনসঙ্গীকে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।
ছেলে: ও আচ্ছা তাই নাকি তো কি জন্য ভাগ্যের ব্যাপার একটু বলতো।
মেয়ে: আমি তোমাকে ওই ছোটবেলা থেকে দেখছি তুমি আমার সঙ্গে একসাথে খেলতে কথা বলতে কিন্তু যখনই তুমি একটু বড় হলে তখনি তুমি সব মেয়েদের সঙ্গে কথা বলা খেলা বাতিল করে দিলে। এবং আমি যতদূর জানি যে তুমি কোনো রিলেশনে এখন পর্যন্ত যাওনি আর যাবে না।
ছেলে: আর সবকিছু তো ঠিক আছে কিন্তু তুমি কিভাবে জানলে যে আমি এখন রিলেশন করি না।
মেয়ে: তোমার কি মনে হয় আমি তোমার ব্যাপারে কিছু জানি না সেদিন তোমার রুমে গিয়েছিলাম গিয়ে দেখি তোমার ডাইরিতে কিছু লেখা আছে? আমি আসলে পড়তে চাইনি কিন্তু জোর করে একটু পরে নিলাম।
ছেলে: আসলে আমার রুমে তো অনেকগুলো ডাইরি তো তুমি কোন ডাইরিটি পড়েছ।
মেয়ে:: আগে বলো তুমি আমাকে কিছু বলবে না তো যদি তুমি বলো তাহলে কিন্তু বলব না আমি। আগে তুমি কথা দাও আমাকে কিন্তু তুমি কিছু বলতে পারবে না।
ছেলে: আচ্ছা, ঠিক আছে তোমাকে আমি কিছু বলতে পারব না। কিন্তু এখন তো একটু বল কোন ডাইরিটি পড়েছ তুমি।
মেয়ে: আসলে আমি তোমার সেই বউকে নিয়ে ডাইরিতে লেখা পড়েছি সেখানে যা যা লেখা ছিল তা একটা মেয়ে এমনি থেকে দেখলেই তোমার প্রেমে পড়বে। আমিতো সেই তোমার ডায়েরীর প্রথম পেজে কিভাবে তুমি তোমার বউকে বাসর রাতের গল্প করবে তার পরেই আমার মাথা ঘুরেছে। আর এইজন্য যখন আমার পরিবার তোমায় দিয়ে বিয়ে দিতে চাইল আমি রাজি হয়ে গিয়েছি। এখন শুধু অপেক্ষার পালা কবে হবে আমাদের বিয়ে এইটাই।
ছেলে: আচ্ছা, তুমি কি আবার বইয়ের মাঝখানে পেজও পড়েছ যেখানে লেখা ছিল বাসর রাতের রাত দুইটার কাহিনী।
মেয়ে: হ্যাঁ, ওইটা পড়েই তো আমি তোমার প্রতি আরো বেশি অনুভবে চলে গিয়েছি।
ছেলে: বাবারে বাবা তুমি দেখি একটা মেয়ে না। তোমার কি ওই সব কিছুই মনে হয়নি আমি যা যা লিখেছি? আমি তো ওখানে লিখেছিলাম রাত 2 টার পরে কিভাবে একটি মেয়ে একটি ছেলেকে জড়িয়ে ধরে। এবং তাদের মাঝে আর কি কি হয় আমি একটু আবেগের লিখছি আর তুমি।
মেয়ে; তুমি যেভাবে বলতেছ মনে হয় আমি কিছু ভুল করেছি আমি তো অনেক সুন্দর ভাবেই ওইসব উপভোগ করেছি। আর শোনো যা সত্যি তা তো একদিন হবেই তো আগে থেকে জানলাম তুমি কিরকম ভাবে কি করবে? আর একথা জানা মাত্রই তো আমি একেবারে আমার পরিবার যখন বলল আমি হা করে দিয়েছিলাম।
ছেলে: আসলে আমার তোমার চিনতে ভুল হয়েছে আমি মনে করেছিলাম তুমি খুব সাদাসিদে মেয়ে। আর ঐই সব কথা এখনো বোঝনা বাট এখন দেখতেছি তুমি সব কথায় বোঝো? তা আমার কিন্তু ভালো লেগেছে তুমি সব কথা বোঝো কারণ আমি তো এত কিছু বোঝাতে পারিনা।
মেয়ে: বোঝাতে পারো না মানে কি তোমাকে এখনতো আমাকে বোঝতে হবেই কারন বিয়ের পর তুমি আমার বর হবে। আর তুমি তো এটাও জানো যে খুব তাড়াতাড়ি আমাদের বিয়ে হবে।
ছেলে:: আচ্ছা, নিও তোমাকে আমি সবকিছু বোঝাবো তখন
এখন যদি বুঝতে চাও তাহলে কিন্তু প্রাক্টিক্যালি ভাবে বোঝাবো কিন্তু।
মেয়ে: বুঝতে পারলাম না প্র্যাকটিক্যালি মানে কি হবে একটু খুলে বল
ছেলে: কি বলো এখনি সব কিছু খুলে বলবো? আর এখন যে সবকিছু খুলে বলা যাবেনা বরং সবকিছু খুলে দেখা যাবে।
মেয়ে: হায়রে হায় এই আমি কাকে বিয়ে করতে যাচ্ছি যার দেখতেছে এখন কোন লজ্জা শরম কোন কিছুই নেই। আচ্ছা, কেন নেই তোমার লজ্জা শরম বলতো?
সরাসরি এসব কথা বলে কি বিয়ে না হতেই আমি তোমার চাচাতো বোন না আমাকে দেখে তো এখন একটু শ্রদ্ধা করো।
ছেলে; এই যে ম্যাডাম আপনি আমার চাচতো বোন ঠিক আছে কিন্তু আপনাকে দেখি শ্রদ্ধা না আপনাকে দেখে এখন আমার ভালোবাসা হয়।
মেয়ে: কি বলো তুমি তো একটু আগেই তো তুমি বললে যে পরিবারের চাপে আমাকে বিয়ে করতেছো? আমার মনে হচ্ছে না তুমি এই বিয়েতে কোন মত আছে আর আমাকে তুমি ভালোবাসো।
ছেলে: হ্যাঁ, তা সত্য একটু আগে তোমাকে বলেছিলাম যে পরিবারের চাপে আমি বিয়ে করতেছি কিন্তু আসলে আমার তো ইচ্ছে ছিল যদি কাউকে বিয়ে করতে হয় তবে তোমাকেই বিয়ে করব আর দূরে কোথাও বিয়ে করব না।
মেয়ে: কেন দূরে গেলে কি শ্বশুরবাড়ির মজা পাবে না? ওতো আশা করিও না তোমার শ্বশুর বাড়িতে আমি তোমাকে নিমন্ত্রণ এই জানাবো না।
ছেলে; কি বললে তুমি
তুমি আমাকে নিমন্ত্রণ জানাবে না তাহলে আমার কি হবে বলতো?
মেয়ে: শশুর বাড়ি যাবে ঠিক আছে কিন্তু শ্বশুরবাড়ি গিয়ে কোন প্রেম করতে পারবে না অত। তুমি কি মনে করেছ আমি তোমার ডায়েরি সম্পূর্ণ পরিনি সম্পুর্ন পরেই তো জেনেছি যে তুমি শ্বশুর বাড়ি গিয়ে বইয়ের সঙ্গে দুই তিনবার ইয়ে করবে? চাইনা আমি সে জন্যই তোমাকে বললাম
আর আমার কোনোই উদ্দেশ্য ছিল না বুঝলে।
ছেলে: হয়েছে হয়েছে আমার আর মান সম্মানটা তুমি এই সবার সামনে খেওনা যা বলেছো তাতেই অনেক হয়েছে আচ্ছা আমি শ্বশুরবাড়ি যাব না ওত হয়েছে তো।
মেয়ে: আচ্ছা, হয়েছে নাও আর একটা কারণ শোনো আমি তোমাকে এখানে কেন দেখা করতে বলেছি বলতো?
ছেলে:; তা তুমি যদি আমাকে না বলো তাহলে আমি কিভাবে বলবো বলো একবার।
মেয়ে: তোমাকে আমি এখানে এজন্য এনেছি যাতে তোমার সঙ্গে তো আমার বিয়ে হবে তার আগে হিসাব-নিকাশ তার সমাধান করে নেব।
ছেলে: আচ্ছা, কেমন হিসাব-নিকাশের কথা বলতেছো তুমি একটি সাধারন ভাবে বলতো যদি এভাবে কেন বলো ?
মেয়ে; সাধারণ ভাবে আমার থেকে হিসাব নিকাশ চাও তাহলে তোমাকে বলতে হবে।যে প্রথমে তোমাকে বলতে হবে জীবনে কয়টা প্রেম করেছো সত্যি করে আমি জানতাম তুমি প্রেম করো নি বাট করতেও তো পারো তাই না
ছেলে; ও আচ্ছা তাই
তার মানে তুমি আমাকে সন্দেহ করতেছ হ্যাঁ করতে পারো এটা স্বাভাবিক ব্যাপার।না আমার জীবনে আর কেউ ছিলনা তবে আমি একজনকে ভালোবাসতাম তার নাম ছিল রিয়া আর কয়দিন পরে রিয়া হবে আমার ঘরের বউ।
মেয়ে: আচ্ছা, ঠিক আছে আমি দ্বিতীয় কথাটি হলো আমি কিন্তু ঘোরাফেরা আর শপিং করতে খুব ভালোবাসি তুমি আমাকে সপ্তাহে একদিন তো নিয়ে যাবেই মাসে আমি কমপক্ষে 10 বার যাবোই আলাদাভাবে
রাজি?
ছেলে: একবার আর মাসে কিভাবে দশবার হয় হবে না কখনো চারবার তাইনা।
মেয়ে: আরে পাগল তোমাকে নিয়ে আমি শপিংয়ে যাব মাসে চারবার আর বাকি 6 বার আমি একাই একাই যাবো।
ছেলে; এই কথা কেন বলতেছো তুমি নিজে একা একাই কেন যাবে। আমাকে নিয়ে গেলে তোমার সমস্যা কোথায় হবে শুনি একটু।
মেয়ে: নানা সমস্যা কেন হবে আমি আসলে এটা বুঝাতে চেয়েছিলাম তোমায়। যে মাসের ভিতরে আমি 4 বার তোমাকে নিয়ে আর ছয়বার আমি শুধুমাত্র দেখতে যাব কোন ড্রেসের এর কত দাম?
ছেলে; ঠিক আছে যেও আর ত্বিতীয় কোন শর্ত আছে। আর যদি তোমার ত্বতীয় কোনো শর্ত থাকে তাহলে আমাকে বলো।
মেয়ে:: থাকবেনা কেন আমার তৃতীয় শর্ত অবশ্যই আছে আর তৃতীয় শর্ত হল অন্যরকম আমাকে প্রচুর তোমাকে ভালবাসতে হবে আর তুমি কি আমার এই তৃতীয় শর্তে রাজি যদি রাজি থাকো তাহলে আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারব বুঝলে।
ছেলে; এই শর্তে এ আমার হান্ডেট পার্সেন্ট মত রয়েছে। কারণ এই শর্তটা তোমার প্রতি আমাকে আরও দুর্বল করে দিয়েছে এবং আমি তোমাকে পুরোপুরি ভালবাসতে শিখেছি।
মেয়ে: আমি কিছু বুঝতে পারি না তুমি আমাকে ভালোবাসো কি ভালোবাসো না এখনো তো তুমি আমাকে তোমার ভালোবাসার কথাটি বললে না?
ছেলে; আচ্ছা, তোমাকে আমি কিভাবে বলি তুমি তো আমারই সব কিন্তু তুমি তো আমার চাচাতো বোন আর চাচাতো বোনের সঙ্গে তো আমি জীবনেই প্রেমও করিনি একবারও
সেজন্য আর কি বলতে পারতেছি না তুমি একটু বলো না।
মেয়ে: ছাগলের বাচ্চা শালা বলতে পারবি না কেন আমি কি বাঘ নাকি বললে কি হবে বল দুদিন পর তো তুই আমাকে বিয়ে করবে বললে তোর কি সমস্যা আমাকে আগে ঐটা বল।
ছেলে:: কেন রাগ করো রাগ করলে তো একদমই ভালো লাগে না? শুনো বিয়ের পর কিন্তু এইরকম রাগ করবেনা আর তুমি যদি রাগ করো তাহলে তোমাকে রাগী বউ বলতে হবে আমায়।
মেয়ে: রাগ কেন করব না বলতেছ তুমি এখন যেসব কথা বলতেছো তাতে আমার রাগ করায় উচিত একটা ভালোবাসার কথা বলতে কি এত কাহিনী করতে লাগে নাই তুমি বলবে কি বলবে না ওইটা আমাকে আগে বল
ছেলে: আচ্ছা, আমি এখন দেখতেছি তুমি সত্যি রাগ করেছ আচ্ছা বলতেছি আই লাভ ইউ আই লাভ ইউ টু। আমি তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসি
মেয়ে: সত্যি সত্যি কি তুমি এসব বলতেছ নাকি আমি জোর করলাম বিধায়?
তুমি আমাকে এসব কথা বলতেছ আর যা বলবে সত্যি বলবে মিথ্যা কথা বলবে না মিথ্যা কথা বলো না আমাকে
ছেলে; তোমার কি মনে হয় আমি কি এতক্ষণ তোমার সঙ্গে ফাজলামি করলাম আমিতো তোমাকে অনেক সত্যি কথা মনের আবেগে কথা বলছি তুমি যদি সেটা ফাজলামি সঙ্গে তুলনা করো তাহলে সেটা তো তোমার কোন বিষয়ে আমার ওইটা না?
মেয়ে; আর এখানে আমি তোমাকে বলেছিলাম যে তুমি এখন আমাকে ভালোবাসতে পারো না তুমি যদি আমাকে ভালবাসতে তাহলে একথা আমাকে কখনো বলতে না।
ছেলে; আমি এখন তোমাকে এমন কি বললাম সাথে তুমি রাগ করতে পারো আমিতো এমন কোন কথাই তোমাকে বলি নি।
মেয়ে: আমি তো তোমাকে এমন কোনকিছুই আমি বলিনি যাতে তুমি এমন টা করতেছো। আচ্ছা, একটা সত্যি করে বলতো তোমার কি এই বিয়েতে পুরাপুরি মত আছে কি নেই?
ছেলে: আচ্ছা, আম যদি বলি এই বিয়েতে আমার মত নেই তাহলে তুমি কি করবে?
মেয়ে: আমি সবাইকে বলে বেড়াবো যে তুমি রাত দুইটার সময় কি করবে?
ছেলে: বুঝিনি আমি রাত দুটোর সময় কি করবো তা তুমি কিভাবে জানতে পারবে।
মেয়ে: কেন আমি যে তোমার ডায়েরি সবকিছু পড়েছি তোমার ওই ডায়রি তে?আসলে তুমি যদি শুনতে চাও তাহলে কিন্তু আমি বলতে পারি আসলে আমার বলার ইচ্ছে নেই তবুও তুমি যদি শুনতে চাও তাহলে বলি
ছেলে: আচ্ছা, বল দেখি একটু দেখি তুমি সত্যিই কি আমার ডাইরি পড়েছো নাকি পড়োনি।
মেয়ে: কেন তোমার কি কোন কিছু সন্দেহ মনে হয় নাকি আমি পড়িনি আমি যখন বলব তখন কিন্তু তুমি লজ্জায় আর তোমার মুখ দেখাতে পারবে না?
ছেলে: ভয় পাচ্ছি না তুমি একটু বলো তারপর দেখা যাবে না হয় কি হয় তুমি পড়েছ নাকি পড়োনি।
মেয়ে: শোনো তুমি প্রথমে বাসর ঘরে ঢুকবে ঢুকে তোমার বউ কে তারপর এক এক করে তোমার টি-শার্ট তোমার শেরওয়ানি সমস্ত কিছু খুলে😵😵😵
ছেলে: হয়েছে তোমাকে আর কোন কিছু বলতে হবেনা তুমি তো দেখি সবকিছুই পড়েছ। হায় আল্লাহ আমার মান-সম্মান সমস্ত কিছু তোমার কাছে চলে গিয়েছে।
মেয়ে: ঠিকই বলেছ তোমার মান-সম্মান তো সবকিছু শেষ তো আমাকে বিয়ে করো তাহলে তোমার মান-সম্মান আমি ফিরিয়ে দেবো কাউকে কিছু বলব না কিন্তু।
ছেলে: এমনটা কথা বলতে পারলে তুমি
তুমি কিন্তু আমাকে ব্ল্যাকমেইল করতেছ। আচ্ছা, তুমি যদি আমাকে ব্ল্যাকমেইল করতেছ তাহলে আমিও তোমাকে ব্ল্যাকমেইল করবো। আর আমার ব্ল্যাকমেইল টা হল আমিও তোমাকে কিছু শর্ত দেব তুমি কি রাজি হবে।
মেয়ে: আসলে আমিতো তোমাকে তিনটি শর্ত দিয়ে ছিলাম সেজন্য তুমি আমাকে তিনটি শর্ত দিতে পারো আচ্ছা দাও দেখি।
ছেলে: প্রথম শর্ত হলো তুমি আমার থেকে কখনো শপিং করতে চাইবে না আমার যখন ইচ্ছে হবে তখন। আমাদের প্রেমের দ্বিতীয় শর্ত হলো সর্বদাই তুমি আমার কাছে নত থাকবে।
আমার শেষ শর্তটি হল আমার যখন ইচ্ছা আমি তোমার সাথে কিন্তু প্রেম করতে পারব।তার রাত দুইটা হোক কিংবা তিনটা হোক বা চারটা হোক যখন ইচ্ছা হবে তখনই না করতে পারবে না। তুমি কি শর্ত গুলোতে রাজি আমার?
মেয়ে: আমি বাকি 2 টি শর্তে একটু রাজি প্রথম শর্ত রাজি না আমাকে অবশ্যই শপিংয়ে নিয়ে যেতে হবে।
ছেলে: আচ্ছা, তাহলে মাসের ভিতরে তোমাকে আমি একবার শপিংয়ে নিয়ে যাব আর বাকি নয় বার কিন্তু তোমাকে নিয়ে যাব না।
মেয়ে: কি বললে তুমি আমাকে নিয়ে যাবে না তাহলে তো আমি সবাইকে বলে দেবো?
ছেলে: আচ্ছা, আচ্ছা বলে দিও না কোন কিছু আমি তোমার সমস্ত শর্তে রাজি।
মেয়ে: এই তো এতক্ষণে দেখছি আমার জান পাখিটা আমার কথা শুনেছে ধন্যবাদ তোমাকে।
ছেলে: ধন্যবাদ দিবে নাকি আমাকে কচু দিবে কোনটা দিবে বল।
মেয়ে: কেন হঠাৎ করে আবার তোমার কি হলো তুমি আবার আমাকে ঐসব কথা বলতেছ তাহলে কিন্তু আমি সবাইকে বলে দিব?
ছেলে: এইভাবে আমাকে তুমি ব্ল্যাকমেইল করতে পারলে। আসলে আমারই ভুল হয়েছিল কিসের জন্য যে ওইসব লিখেছিলাম আমার ডায়েরিতে। আমি লেখছিলাম তো ঠিক আছে কিন্তু কি জন্য আবার আমার ঘরে রেখে ছিলাম। আমার ঘরে রেখেছি তো ঠিক আছে কিন্তু তুমি কেন আমার রুমে যাবে বলতো?
মেয়ে:: আমার হবু স্বামীর রুম আমিতো যাব আমি না গেলে কে যাবে বল।
ছেলে; তাতো অবশ্যই তুমি না রুমে গেলে আর কে যাবে? একবার শুধু বিয়েটা হতে দাও তারপর দেখো রুমে বন্দি করে রাখবো।
মেয়ে: আচ্ছা, তুমি রাখিও আমার তাতে কোনো সমস্যা হবে না কিন্তু তোমার কোন সমস্যা না হলেই ভালো। আসলে সত্যি কথা এই যে আমি কিন্তু তোমার ওই ডাইরিটা আপনাকে সব কিছু পড়িনি একটু পড়ে ছিলাম প্রথম দুইটা পৃষ্ঠা।
ছেলে; তাহলে তুমি বাকি পৃষ্ঠার কাহিনী গুলো কিভাবে জানতে পারলে বলোতো।
মেয়ে; তাতো তোমার লেখার দুই পেজের ধরন দেখেই বুঝতে পেরেছিলাম এবং সে জন্য আর পড়িনি।
ছেলে: তাহলে এতক্ষণ ধরে যা কাহিনী হলে ঐ
সব কিছুই মিথ্যে ছিল তাই না। ভালো ভালো তবে যাই হোক আমি কিন্তু তোমাকে ছাড়ছি না তোমাকে বিয়ে করে ছাড়বো।
এরপরে রিয়াকে আমি কয়দিন পরে বিয়ে করে নিলাম এবং আমরা সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করতে লাগলাম। সেদিন হয়তো রিয়ার হমিথ্যে কথা বলাটাই আমাকে তার প্রতি আকৃষ্ট করেছিল এবং জোর করে বিয়ে হয়েছিল আমাদের। ধন্যবাদ আপনাদের এতক্ষণ পাশে থাকার জন্য আসলে আমাদের গল্পের কাহিনী টা অনেক বড়। এই গল্পটি শেষ করলাম এখানেই ধন্যবাদ আপনাদের।
Post a Comment