ছোট বোনের বান্ধবী যখন বউ পর্ব: ২ | Choto boner Bandhobi Jokhon Bow part: 2 | bdstorybook.com

 ছোট বোনের বান্ধবী যখন বউ। 

পর্ব 02। 

লেখকঃ মোঃ রাকিব হাসান। 


আমি : অবশেষে আমি রিয়াকে কথা বলে তার মনে হারিয়ে গেলাম আমি বারবার রিয়ার শুধু চোখ দেখতে থাকলাম। আমি রিয়ার বাসায় নামিয়ে দিলাম। 

রিয়া: যখন রাকিব আমার বাসায় নামিয়ে দিলো তখন আমারই অনেক বেশি ভাল লেগেছিল। হাজার হলেও রাকিব আমার ছিল অনেক কাছের কেউ বলতে গেলে তাকে আমি সত্যিই ভালোবেসে ফেলেছি।একটু ভয় ভয় লাগছে আমি বলতে চাইলাম ভালোবাসি কিন্তু গাধাটা তো আমাকে কিছুতেই বলতে পারলোনা আমি না হয় বলতে পারলাম না কিন্তু ওর বলা উচিত ছিল তো। একটা অদ্ভুত ভালো লাগা আর ভালোবাসা আমার মধ্যে তখন কাজ করেছিল। এবং রাকিব যখন আমাকে বাসায় নামিয়ে দিলো তখন রাকিবকে বলতে চাইলাম আমি আজও তোমাকে ভালোবাসি আজও তোমাকে ভালোবাসি। কিন্তু আর কি বলতে পারলাম না হয়তো একটু ভয়ে ভয়েই বলতে পারলাম না। যাইহোক রাকিবকে ওখানে বিদায় জানিয়ে আমি ঘরে আসলাম ঘরে এসে কিছু প্রেমময় কিছু গল্প শুনেছিলাম যা আমার মনে রাকিবের প্রতি ভালোবাসাকে আরো বেশি তীব্র করে দিয়েছিল। কিন্তু কে বোঝাবে রাকিব কে রাকিব তো আসলে বলতে পারল না দেখা যাক কি করা যায়? তবে আমি এখনো রাকিব কেই ভালোবাসি। সারা জীবন তাকে ভালবেসে যাব। অবশেষে একটু সাহস করে রাকিবকে ফোন দিতে চাইলাম। তাকে বলতে চালাম আমার মনের সমস্ত আবেগ ভালোবাসা। কিন্তু আর কি একটা মেয়ে হয়ে কিভাবে বলবো তাকে যে ভালবাসি যদি কিছু মনে করে সে। তাই আমি ঘুমিয়ে পড়লাম। 

আমি: একটা মনের মানুষের সাথে এতক্ষণ সময় কাটিয়ে আমার সবথেকে বেশি ভালো লেগেছিল। তারপর প্রিয় মানুষের সঙ্গে বৃষ্টিতে ভেজার আনন্দ তা কতটা বিস্মিত আমি সেদিন উপলব্ধ করেছিলাম। তারপর আমার পছন্দের নীল শাড়ি পড়ে যখন রিয়া আমার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল তখন তাকে বারবার বলতে চেয়েছিলাম ভালোবাসি কিন্তু হয় তো বলতে পারি নাই। কারণ রিয়া যদি কিছু মনে করত যদি বলতো তুমি আর আমার সঙ্গে কথা বলবে না। তবে আমি তো আর প্রিয় মানুষের সাথে কথা না বলে থাকতে পারতাম না। তাই একটু ভয় ভয় রিয়াকে আমি কোন কিছুই বলতে পারলাম না। তবে একটা কথা আমার মনে হয়েছিল রিয়ার চাহনি ছিল তা দেখে আমার মনে হয়েছিল যে রিয়া আমাকে ভালোবাসে কিন্তু রিয়া কি জন্য বলতে পারলোনা ভালবাসি যদি আগে বলতে তাহলে আমি আরো অনেক কিছুই তাকে বলতাম আচ্ছা, আমি সিদ্ধান্ত নিলাম রিয়াকে আমার ভালোবাসার কথা এখন বলবো না যখন রিয়ার কথায় আমার মনে হবে যে রিয়া আমাকে ভালোবাসে তখন না হয় আমি বলব আমার মনের কথা গুলো। আমার ছোট্ট বোন চেয়ারে বসে তখন পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছিলো আমি গিয়ে রাফিয়া কে বললাম আচ্ছা রাফিয়া রিয়া কি কারো সাথে প্রেম করে। তুমিতো অনেক ছোট তাই না।তবুও রিয়া তো সব কথা তোমাকে বলে তোমাকে নিজের বান্ধবী ভাবে বলতো। তখন রাফিয়া বলল আমি জানিনা তো এতকিছু। তবে রিয়ার কথা শুনে মনে হয় ওই তোকেই ভালোবাসে সারাক্ষণ শুধু তোর কথা বলে। আমি কিছু না বলেই আমার ঘরে গেলাম মনের সমস্ত আবেগ ভালোবাসায় রিয়াকে ফোন কল দিলাম। প্রায় তিন চারবার দিলাম কিন্তু ধরলো না। আর ধরবি বা কি করে রাত বাজে দুইটা। রাতে কি আর রিয়া জেগে আছে নিশ্চয়ই ঘুমিয়ে পড়েছে এ সান্তনা নিয়ে আমি আমার সময় পার করলাম। 

ছোট বোনের বান্ধবী যখন বউ পর্ব: ২ | Choto boner Bandhobi Jokhon Bow part: 2 | bdstorybook.com
ছোট বোনের বান্ধবী যখন বউ পর্ব: ২ | Choto boner Bandhobi Jokhon Bow part: 2 | bdstorybook.com


রিয়া: পরের দিন সকালে যখন রাকিব আমাকে ফোন দিয়েছিল দেখলাম তখন আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি তাকেই আগে ফোন দিলাম। রাকিবফোন ধরলো তারপর রাকিবকে আমি বললাম আচ্ছা, তোমার কি ঘুম নাই এত রাতে আমাকে ফোন দিয়েছিলে তুমি তো রাত জাগতে পারো কিন্তু আমি তো পারি না আর তোমার জেগে থাকলে লাভ হবে কিন্তু আমার তো হবে না। আর তুমি সারারাত জেগে থেকে তোমার গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে কথা বলবেন আমি আর কি করব আমার তো কোন বয়ফ্রেন্ড নেই। রাকিবকে একথা বলার আমার কারণ ছিল রাকিব কারো সাথে প্রেম করে কিনা তা জানার জন্য। 

আমি: রিয়া যখন আমায় একথা বলল যে প্রেম করি কিনা তখন আমি বললাম। তুমি কি আমার সঙ্গে মজা নিচ্ছ? আসলে আমার জীবনে আর কেউ নেই। রিয়াকে বলতে চাইলাম আমার জীবনে তুমি আছো আর তুমি শেষ। তখনই রিয়ার ফোনের ব্যালেন্স শেষ হয়ে আসলো আর আমি কথাগুলো রিয়াকে বলতে পারলামনা কারন তখন ফোনটা যে কেটে গেল। অবশেষে আমি নিজেই রিয়াকে ফোন দিলাম। কিন্তু আর তখন বলার সাহস পেলাম না। 

রিয়া: যখন আমার ফোনের ব্যালেন্স শেষ হয়ে গেছিল তখন রাকিব কি যেন বলবে ভাবছিলাম শুধু এইটা শুনতে পেয়েছিলাম আমার জীবনে তুমি তখন এই ফোনের ব্যালেন্স শেষ হয়ে আসলো আজকে যদিও মনে হয় রাকিব আমাকে কিছু বলতো?তবে ফোনের এইটা একটা কাজ হল যে সময়ের প্রয়োজনে ফুরিয়ে গেল। পরে রাকিব যখন আমাকে আরো একবার ফোন দিলো তখন ধরলাম ফোন ধরিয়ে বলতে লাগলাম আচ্ছা, রাকিব তখন যেন কি বলবে বলছিলে বল তো। কি জানি বলছিলে না আমি তোমার জীবনের শেষ? বলতো তখন কি বলেছিলে? আসলে তোমার মনে কি কিছু মতলব আছে নাকি। শোনো বলে ফেলো। একটু নির্দ্বিধায় রাকিবকে যখন আমি একথা বললাম তখন নিজেই মনে মনে হাসি পেয়েছিল। এই বিশ্বাস ছিল যে ভীতুটা এইবার ও কিছু বলতে পারবে না। 

    আমি : রিয়া যখন আমাকে একথা বলল তখন একটু হলেও অনেক বেশি ভয় লেগেছিলো। তাইতো আমি ভয়ে ভয়ে বললাম কই কিছুই তো বলি নাই। ও আসলে তোমাকে বলতে চেয়েছিলাম তুমি আমার শেষ বেস্ট ফ্রেন্ড আর প্রথম বেস্ট ফ্রেন্ড। এইটাই আর কোন কিছু না। আমি ভেবেছিলাম রিয়াকে এবার আমি বলেই দিব তাকে ভালোবাসি কিন্তু বলতেই পারলাম না। এই পৃথিবীতে সবথেকে কঠিন কাজ কোনটা জানেন প্রিয় মানুষটাকে বলে ফেলা যে আমি তাকে ভালোবাসি। আর যারা আসলে বলতে পারে তারা অনেক ভাগ্যের লাভ অর্জন করে। আর ্যারা বলতে পারেনা তাদের মনের কষ্ট আরো বেশি থেকে বেশি হতে থাকে। 

রিয়া: আসলেই তাই আমার ভাবনাটা একেবারে সত্যিই হলো রাকিব এবারও আমাকে কিছু বলল না। জানিনা কবে বলবে যে আমায় ভালবাসে? অবশেষে আমি বললাম তোমাকে কোন কিছুই বলতে হবে না আমি অপেক্ষায় থাকলাম শুধু তোমার জন্য। কিন্তু তখন জানিনা রাকিব কী মনে করলো কিন্তু আমি যে কথাটা ভালোবেসে বলেছি তা হয়তো অবশ্যই মনে করেছে আমার বিশ্বাস। 

আমি: একটু হলেও আমি বুঝতে পারলাম যে আমাকে একটু হলেও ভালোবাসে বা ভালোবেসে ফেলেছে কিন্তু আমাদের মধ্যে না বলা ভালোবাসা টা কি থেকেই যাবে। আমি রিয়াকে বললাম আমার মনের সমস্ত কথা একদিন আমি তোমাকে খুলে বলব। তুমি কি তা শুনবে কোন কিছু রাগ করবে না তো তুমি তো অনেক রাগী একটা মেয়ে? আমার জীবনের সমস্ত কথায় তোমাকেই আমি বলব আর তোমার আর আমার এই সম্পর্কের কথা অবশ্যই বলব। একটু ভয়ে ভয়ে আমি এসব কথা রিয়াকে বললাম জানিনা র্রিয়া কি মনে করলো আমাদের মধ্যে তা নাসবলা ভালোবাসা তাই প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়ালো কবে বলব তাকে আর কবে বলব যে ভালবাসি তাকে। কিন্তু যখনই বলতে চেয়েছি আমি রিয়াকে ভালোবাসি তখনই বারবার শতবার একটা করে বিপদ আমার কাছে এসেছে আর সেই বিপদটা হলো রিয়া যদি আমাকে ছেড়ে চলে যায়। তবে আমার কি হবে আমি কি করবো? আমি যে আমার প্রিয় মানুষকে ছাড়া একটি মুহূর্তও বেঁচে থাকতে পারবো না। অবশেষে আমি রিয়াকে বললাম। দুই দিন পর আমরা পার্কে দেখা করব আর আমার মনের সমস্ত কথা তোমাকে বলবো। এই কথা বলে আমি ফোনটা তখনই রেখে দিলাম। 

রিয়া: রাকিব যখনই আমাকে বলল যে তার মনের সমস্ত কথা আমাকে বলবে। তখন জানি না নিজেকে কেন জানি তার বৌ বৌ মনে হয়েছিল আমাদের সম্পর্কের মাঝে এটাতো সত্যি ছিল যে রাকিব আমার ফুল ক্রাশ ছিল এবং রাকিব কে আমিএকটু হলেও ভালোবেসে ফেলেছি। এটার প্রধান বিষয় আমার কাছে মনে হয় রাকিব আমাকে অনেক বেশি ভালোবাসে কিন্তু বলতে পারেনা ভয়ে।আচ্ছা, কি জন্য বলতে পারে না আমি? আমি কি বাঘ যে তাকে খেয়ে ফেলবো? তবে আমার মনে এটা কি বৃষ্টি হচ্ছিল রাকিব আমাকে পার্কে গিয়ে অবশ্যই বলবে যে রাকিব আমাকে অনেক বেশি ভালোবাসে। রাকিবের বলার আশায় আমি থাকলাম দুইদিন ধরে অপেক্ষায়। কল্পনায় জড়িয়ে নিলাম আমি অনেক কিছু। আসলে পার্কে যদি রাকিব আমাকে কিছু না বলে তবু আমি তাকে বলব কিভাবে তা নিয়ে আমি চিন্তায় পড়ে গেলাম। তাকে নিয়ে জড়িয়ে যাব আমার নিজের রাজ্যে যে রূপকথার রাজ্যে রাকিব হবে আমার রাজা আর আমি হব তার একমাত্র রানী। আসলে রাজা যদি আমাকে কিছু বলতে না পারে তাহলে আমি রানী হয়েই তাকে প্রপোজ করে দেবো এটা আমার মনে একেবারে গেঁথে গেল। আসলে রাকিব না বললে আমি নিজেই বলবো এটা সঠিক এইটা আমার 100% গ্যারান্টি যুক্ত। কারণ হাজার হোক রাকিব আমার প্রিয় মানুষ সে যে আমার ভালোবাসার মানুষ রাকিব যে আমার জীবনের সমস্ত কিছু। একটা মেয়ে হয়ে ছেলেকে প্রপোজ করা জানিনা কতটা কষ্টদায়ক তা শুধু মেয়েরাই ভালো জানবে। বলতে বলতে দিনগুলো আমাদের কেমন করে জানি পার হয়ে গেল অবশেষে সেদিন এসে গেল যেদিন রাকিব আমাকে পার্কে যেতে বলেছিল।তার আগের রাতে আমি কিভাবে ছেলেকে প্রপোজ করতে হয় তা গুগলে সার্চ দিলাম এবং অনেক কিছু ধারণা নিলাম কিন্তু সকালে উঠেই ওইসব ধারণা আমার একেবারেই চলে গেল।কোনকিছুই সকালে আর মনে থাকল না শুধু রাকিব শুধু রাকিবকে আমার জীবনে ভাবতে লাগলাম।অতঃপর সকালে রাকিব আমাকে ফোন দিল ফোন দিয়ে বলল  

    আমি: আমি রিয়াকে ফোন দিলাম ফোন দিয়ে বললাম কখন আসবে তুমি পার্কে তোমার জন্য আমি অনেক অপেক্ষায় আছি। অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে তোমার সাথে তুমি তাড়াতাড়ি চলে আসো কোন দেরি করবে না আচ্ছা। এই কথা বলে আমি ফোনটা কেটে দিলাম কারণ রিয়া যদি বলে কিসের কথা কি বলবে তখন তো আমি আর তার উত্তর দিতে পারতাম না। তাই আমি আমার বাইক নিয়ে চলে গেলাম পার্কে। এবং অপেক্ষায় থাকলাম কখন রিয়া আসবে। 

রিয়া: রাকিব যখনই আমাকে একথা বলল যে আমার সাথে তার নাকি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে। তখন আর আমি কোনতেই ঠিক থাকতে পারলাম না। এজন্য আমি আমার সবথেকে দামি শাড়ি লাল শাড়ি পড়ে একদম বউয়ের সাজে রাকিবের জন্য বের হচ্ছিলাম। অবশেষে কপালে একটা লাল টিপ দিলাম আমি রাকিবের জন্য আজকে যতটা সাজলাম তা অন্য আর কারো জন্য এতটা কখনো সাজি নাই কারণ রাকিব যে আমার ভালোলাগার মানুষ। তাই আজকে একটু বারেবার ঠোঁটে লিপস্টিক আর আমার দুই কানে ঝুমকা দুল পড়ছিলাম। এবং একগুচ্ছ লাল দেখি কাচের চুড়ি হাতে পড়েছিলাম যাতে রাকিব আমাকে লাল গোলাপ দিয়ে বলে আমি তোমাকে ভালবাসি রিয়া তুমি কি আমার হবে। এরকম চিন্তা করতে করতে কিরকম একটা নববধূর সাজে আমি রাকিবের জন্য পার্কে চলে গেলাম এসে দেখি রাকিব আমার আগেই উপস্থিত। জানিনা আমায় দেখে তখন রাকিব কি ভেবেছিল আমি শুধু তার সামনে যাই উপস্থিত সমস্ত কিছু থেকে আলাদা হয়ে শুধু তার চোখের দিকে একবার চোখ রাখলাম। 

আমি: যখন রিয়া আমার চোখের দিকে ঠিক চোখ রাখলো আমি যেন নিমিষেই হারিয়ে গেলাম তার ওই দুই কালো চোখের কাজলে। হারিয়ে গেলাম তার নিচের দুই কোমল ঠোটের নিচে। এবং তার কানের ঝুমকা দুলের নরম নরম চুলের সুবাসে হারিয়ে গেলাম আমি। এবং তার সৌন্দর্য এ আমি একেবারে তার প্রেমে পড়ে গেলাম।রিয়াকে কিভাবে বলব যে আমি তাকে ভালোবাসি তা তখন আমার মাথা থেকে চলে গিয়েছিল কিন্তু হাজার হলেও আমার মন থেকে তা কখনো মুছে যায়নি কারণ রিয়া জে আমার ভালোবাসার আর অনেক বেশি ভালোলাগার মানুষ ছিল। তাই আমি অনেক বেশি সাহস রেখে রিয়াকে বললাম। একটু কাছে গেলাম রিয়ার এবং তার চোখের দিকে তাকিয়ে তার দুটি হাত ধরলাম হাত ধরে বলতে লাগলাম। তোমাকে একটা কথা বলি একটি ছেলে একটি মেয়েকে খুব বেশি ভালোবেসে ফেলেছে। কিন্তু বেচারা ছেলেটা কিছুতেই বলতে পারতেছে না তাকে সে মেয়েটা কে ভালোবাসে? তার জন্য রাতের ঘুম একেবারেই শেষ হয়ে যায়। রাতের ঘুমের মাঝেও সে ছেলে টার স্বপ্নে আসে এসে বলে ভালোবাসি আমি তোমাকে ভালোবাসি আর তোমাকে বেসে যাব। কিন্তু ছেলেটা একটা ভয়ে তাকে বলতে পারেনা।যদি মেয়েটা তাকে ছেড়ে চলে যায় তাদের সম্পর্ক যে বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল তা যদি একে বারে ভেঙ্গে যায়। তাহলে কি হবে ছেলেটার ছেলেটা যে তাকে ছাড়া একদম বাঁচবেনা মরেই যাবে? আর জানো ছেলেটা কে ছেলেটা হলো আমি আর মেয়েটা হল নিঃসন্দেহে তুমি। কিছু মনে করবে না ভালোবাসি তোমাকে একটুও অনেক বেশি ভালোবাসি আমার স্বপ্নের রাজ্যে তোমাকে নিয়ে ঘুরে বেড়াবো তোমার মাঝে হারিয়ে যাব আমি অতুল দুনিয়ায়। আর তুমি হবে আমার এই রাজ্যের আমার এই দুনিয়ার একমাত্র রানী। আর আমি তোমার হবো একমাত্র রাজা আমাদের মধ্যে প্রতিদিন ভালোবাসা জন্ম হবে। এবং আমাদের ভালোবাসা কখনো শেষ হবে না। যদি কখনো আমাদের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে ভালোবাসা শেষ হয় তবে আমাদের পরের দুনিয়ায় আমি তোমাকে আমার করে আবারো নিয়ে নিবো। এইভাবে আমাদের ভালোবাসার জয় হবে ভালোবেসে তোমাকে এ কথা বললাম কিছু মনে করিও না আচ্ছা। ।  

রিয়া: রাকিব যখন আমাকে একথা বলল তখন জানিনা সবথেকে বেশি আমার ভাল লেগেছিল তখন। মনে হয়েছিল পৃথিবীর সমস্ত কিছু সুখ-শান্তি আমি রাকিবের এই দুচোখে পেয়ে যাব। কারণে দুচোখ নিঃশব্দে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে সমস্ত কথা বলে দেয়। আর একটু হলেও আমাকে সে অনেক বেশি ভয় করে। রাকিব কে যে আমিও ভালবাসি এটাই হলো তার কারণ।অবশেষে আমিও রাখি তোকে বলে দিলাম ভালবাসি তাকে রাকিবকে আরো বললাম আমি তোমার রাজ্যে তো থাকবো কিন্তু তোমার মনের রাজ্যে তোমার এই বুকের মাঝে জানোসআমার নামটা তুমি চিরতরে লিখে রাখো। প্রথম হৃদস্পন্দন থেকে শুরু করে তোমার প্রত্যেকটা শ্বাস-প্রশ্বাসে তোমাকে মনে করে দেবে যেন আমি তোমার ভালোবাসার মানুষ। আমাকে কথা দাও তুমি সমস্ত বাধা পার করে আমাকে তুমি তোমার ঘরের বউ হিসেবে বরণ করে রাখবে। আর তুমি আমাকে আগে কেন বলনি তুমি আমাকে ভালোবাসো। তুমি যদি আমাকে আগে বলতে তাহলে তো আমাদের ভালোবাসা ঠিক তখনই হয়ে যেত। আসলে সত্যি কথা বলতে কি তোমাকে যখন আমি প্রথম দেখেছি তখনই ভালবেসে ফেলেছি তোমায়। কিন্তু কখনো আমিও বলতে পারি নি ভয়ে যদি তুমি রাগ করতে যদি রাগ করে আমাকে ছেড়ে চলে যেতে। তবে আমি আমার জীবন থেকে একজন ভালোলাগার এবং ভালবাসার মানুষ এবং আমার বেস্ট ফ্রেন্ড কেউতো হারাতাম এইভাবে তোমাকে কখনোই বলি নাই আমি। আচ্ছা, আমি না হয় বলতে পারিনাই তুমি কেন বলতে পারোনি বলতো।

Post a Comment

Previous Post Next Post