ছোট বোনের বান্ধবী যখন বউ অন্তিম পর্ব | Choto boner Bandhobi Jokhon Bow last part | bdstorybook.com

ছোট বোনের বান্ধবী যখন বউ

পর্ব:শেষ

লেখক:রাকিব হাসান


আমি: আমি বলতে পারিনি এজন্য যে যদি তুমি আমাকে ছেড়ে একেবারে চলে যেতে। তবে আমার কি হতো আমি যে তোমাকে ছাড়া একদমই বেঁচে থাকতে পারতাম না। এই ভয়ে আমি তোমাকে কখনো বলতে পারি নাই যে আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি। তবে একটা কথা তোমার থেকে যখন আমি কিছু বুঝতে পারবো যে তুমি আমাকে ভালোবাসো ঠিক তখনই আমি আমার মনের সমস্ত আবেগ ভালোবাসা তোমার মাঝে বলে যাব। রিয়া চলনা একটা কথা বলি দুইজন দুইজনের হাতে হাত রেখে একসাথে বলি ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি। 

রিয়া: মেয়েদের থেকে যখন ছেলেরা কিছু এভাবে বলতে বলে বা কোন কিছু চায় তখন মেয়েরা অনেক বেশি তাকে ভালোবেসে ফেলে। তাই আমি হৃদয়ের আবেগ দিয়ে রাকিবের চোখে চোখ রেখে রাকিব এর কাছে এসে বললাম। প্রিয় ভালবাসি তোমাকে ভালবাসি তোমাকেই ভালোবেসে যাবো গো। একটু মুচকি হেসে আমি এসব কথা রাকিবের চোখের দিকে তাকিয়ে বলেছিলাম। একটা ভালোবাসার মাঝে তখনই সাহস হয় যখন প্রিয় মানুষ তার ভাল লাগাগুলো তার মাঝে বিলিয়ে দেয়।রাকিব সবকিছু ঠিক আছে কিন্তু সত্যি কথা বলতে কি? আমার বাবার অন্য জায়গায় ট্রান্সফার হয়েছে আর আমি কালকেই আমার বাবার সাথে আমার পরিবারের সবাই আমরা ওখানে চলে যাচ্ছি। জানিনা কি হবে তোমাকে কি আমি জীবন থেকে হারাবো নাকি তোমাকে আমি আবার ফিরে পাবো রাকিব? রাখি তোকে যখন আমি এইসব কথা বলেছিলাম তখন মনের মাঝে কেমন জানি একটি ব্যথা অনুভব করলাম যে শুধু ভালোবাসাই তা ব্যথা দিতে পারে। আর একটা বিষয় আমি স্পষ্ট বুঝলাম ভালোবাসা মানুষের মাঝে ভালোলাগা যেমন তৈরি করে দেয় তেমনি ভাবে ব্যথাও তৈরি করে দেয়। আগামীকাল আমি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টিসি নিয়েছি এবং আমি কালকে যাচ্ছি এবার বাবার ট্রানস্ফার হয়েছে দিনাজপুরে আমি বুঝতে পারতেছি না তোমাকে ছাড়া আমি কিভাবে থাকবো বলতো। আচ্ছা, আমি যদি তোমাকে ছেড়ে চলে যায় তবে তুমি কি আমাকে ভুলে যাবে নাকি আমাকে মনে রাখবে। রাকিব আমি তোমাকে ভালোবাসি আর তোমার মাঝে হারাতে চাই কখনো তোমাকে ছেড়ে যেতে পারবো না আমি তোমাকে ভালোবাসি রাকিব। জানিনা আমাদের না বলা ভালোবাসা যখন প্রকাশ পেল তখনই দেখো বাবা আবার অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছে। এইটা কি আমাদের নিয়তি ছিল রাকিব যে আমাদের মাঝে কথা হবে সবকিছু হবে ভালোবাসার কথা হবে কিন্তু তোমাকে আর আমি দেখতে পাবো না কিছু বছরের জন্য। আচ্ছা, আর একটা কথা বলতো তুমি কি আমাকে মিস করবে না। 

আমি: রিয়ার এসব কথা শুনে আমার মনটা দুঃখে জর্জরিত হয়ে গেল। কারণ তখন বুঝতে পারলাম না প্রিয় মানুষটা কিভাবে আমাকে ছেড়ে চলে যাবে। তখন আমি রিয়াকে বললাম। তুমি আমার জীবনের প্রথম প্রেম আর তুমি আমার জীবনের প্রথম ভালোলাগার মানুষ। আই কখনো আমি তোমাকে ভুলবো না কখনো তোমাকে আমি ভুলবো না।এইসব কথা বলা ছাড়া রিয়াকে তখন আর কিছু বলার মত শক্তি ছিলনা আমার। অবশেষে আমি রিয়াকে বললাম তুমি চিন্তা করিও না যা হবে আমাদের ভালোর জন্যই হবে। আর আমি আমার বাসের সঙ্গে কথা বলে দেখি তারা কি বলে?তুমি শুধু একটু আমার ছোট বোনটাকে ম্যানেজ করো কারন আমার ছোট বোনটা যদি সব কিছু ঠিক করে তাহলে আর কোন কিছুই সমস্যা হবে না। মানে আমার পরিবারের সবাই তোমাকে মেনে নেবে। 

ছোট বোনের বান্ধবী যখন বউ অন্তিম পর্ব | Choto boner Bandhobi Jokhon Bow last part | bdstorybook.com
ছোট বোনের বান্ধবী যখন বউ অন্তিম পর্ব | Choto boner Bandhobi Jokhon Bow last part | bdstorybook.com


রিয়া: আচ্ছা, তোমার ছোট বোনের নাম রাফিয়া তাইনা। আচ্ছা, কোন সমস্যা নেই রাফিয়ার সঙ্গে আমার অনেক ভালো সম্পর্ক। আচ্ছা, আমি একটা কাজ করি এই আমাদের পাশে যে রেস্টুরেন্ট আছে ওখানে রাফিয়া কে আমি এখন আসতে বলি।কি বলল আসতে বলবো আচ্ছা আসতে বলতেছি।তারপরে আমি আপনাকে ফোন দিলাম ফোন দিয়ে আসতে বললাম আমাদের রেস্টুরেন্টে আরো রাফিয়া কে আমি বললাম যে তোমার ভাইয়া তোমার জন্য অপেক্ষা করতেছে তুমি আরো তাড়াতাড়ি চলে আসো। অতঃপর আমি আর রাকিব রেস্টুরেন্টে চলে গেলাম এবং অপেক্ষা করলাম রাফিয়া কখন আসবে? আর ঠিক 10 মিনিটের মধ্যে রাফিয়া চলে এলো। এসেই তার ভাইয়াকে বলতে লাগলো। ভাইয়া তুমি রিয়া আপুর সঙ্গে রিলেশন করতেছো আমাকে কোন কিছুই কেন বলো নাই ভাইয়া আমি তোমার কি করতাম বল। আসলে আমি আগেই জানতাম তুমি রিয়া আপুকে ভালোবাসো এবং রিয়া আপু তোমাকে ভালোবাসে। কিন্তু তোমরা কেউ কাউকে বলতে পারো না অবশেষে যে সাহস করে বললে এটাই অনেক। আচ্ছা, আমাকে কেন ডেকেছো ভাইয়া বলতো। 

আমি: রাখিয়া যখন একথা বলল আমাকে তখন আমি বললাম আচ্ছা, তুই ছোট তাই না কিন্তু তুই আমাদের এখন সবথেকে বেশি সাহায্য করতে পারবি রে। তোর কাজটা হলো রিয়ার বাবা দিনাজপুরের ট্রানস্ফার করতেছে তো রিয়াকে ছাড়া কিভাবে আমি এতটা সময় পার করব তুই তো তা বুঝতে পারছিস তাইনা বোন আমার? তো আমার ছোট্ট বোন লক্ষীটি বোন তুই একটু বাবা মাকে বল না রিয়ার সঙ্গে আমার বিয়েটা করে দিতে। আমার বিশ্বাস এই ক্ষেত্রে তুই আমাদের সাহায্য করতে পারবে আর রিয়া তো তোর বান্ধবী তাইনা তো আমাদের বিয়ের পরে তোকে বান্ধবী হিসাবে দেখবে। বোন আমার আমাদের ভালবাসাটা একটু বোঝ।

রিয়া: আমি যখন দেখলাম রাকিব এইভাবে রাফিয়াকে বলতেছে তখন আমি একটু রাফিয়া কে বললাম? আচ্ছা, রাফিয়া তুই তো জানিস আমি তোর ভাইয়াকে কত ভালোবাসি তোরে তুই একটু আমাদের হেল্প কর না বোন? কিছু একটা কর না প্লিজ। আমার কথা আর রাকিবের কথা শুনে রাফিয়া বলল আচ্ছা, তোমরা যখন আমাকে এত কিছু বলতেছো তো আমি আমার বাবার সঙ্গে কথা বলি। কথা বলে না হয় তোমাদের আমি জানাবো। তো এখন কিছু খাবারের অর্ডার দাও আমার পেট খালি হয়ে আছে। রাফিয়ার এইসব কথা শুনে রাকিব খাবার অর্ডার দিল এবং আমি রাফিয়া কে বারবার বলতে লাগলাম আমাদের জন্য কিছু করার? রাফিয়া শুধু খাচ্ছিল আর বলতেছিল আচ্ছা করব চিন্তা করিও না। 

আমি: আমাদের সবার খাওয়ার শেষ হওয়ার পর রাফিয়া আমাকে বলল যে তুই এখন বাসায় যাস না আমি বাবা কে সবকিছু বুঝাই আগে। আমি রাফিয়ার কথা শুনে একটু সান্ত্বনা পেলাম। কারণ আজ পর্যন্ত রাফিয়া বাবাকে যা বুঝিয়েছ তাতে অবশ্যই সফলতা পেয়ে গিয়েছে। এজন্য আমি আর রাফিয়া আবারো সেই পার্কে চলে গেলাম। এবং শুধু একে অপরের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলাম। মনের সমস্ত ভালোবাসা সেদিন আমার ছিল শুধু রিয়ার জন্য অবশেষে আমি রিয়াকে জরিয়ে ধরলাম পার্কে। একটু হলেও রিয়ার তখন লজ্জা লেগে ছিল। 

রিয়া: রাকিবের দিকে এভাবে ড্যাবড্যাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে আমার কেমন যেন একটা লেগেছিল। আর যখন রাকিব আমাকে জড়িয়ে নিল তার বুকের মাঝে তখন অনুভব করেছিলাম ভালোবাসার আসলে একটা সুন্দর মানে আছে। অবশেষে আমি পিছনে তাকিয়ে দেখলাম। রাফিয়া আমার বাবা রাকিবের বাবাকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আমি ওদেরকে দেখি বলতে লাগলাম রাকিব ছেড়ে দাও আমায় অবস্থা খারাপ সবাই চলে এসেছে। সবাই দেখতেছে যে তুমি আমায় জড়িয়ে নিয়ে আছো। 

আমি: আমি তখন আসলেই মনে করেছিলাম যে রিয়া হয়তো পার্কের সাধারণ লোকদের কথা বলতেছে আর পার্কের সাধারণ লোকদের মধ্যে ছিল সবাই প্রেমিক প্রেমিকা।তাই আমি রিয়ার কথা অত পাত্তা না দিয়ে আরেকটু জড়িয়ে নিলাম। তারপরই একটু আমাকে বললো রিয়া সত্যি তোমার বাবা এসেছে পিছনে দেখো। 

আমি তখন পিছনে ঘুরে অবাক হলাম দেখলাম আমার বাবা আছে সঙ্গে রিয়ার বাবা আছে আর আমার পিচ্চি শয়তান বোনটা ওখানে আছে। আমায় দেখিয়ে বাবা বলল ভালোবাসতে পারো তোমরা কিন্তু কেউ কাউকে বলতে পারো না। কিন্তু যখন আবার বলে দাও তখন আবার দূরে যেতে হয় তাই না। আসলে তোমাদের আর দূরে যেতে হবে নাহ তোমাদের সবকিছু ঠিক করেছি আমি আর কালকে তোমাদের বিয়ে। আমি তো এই কথা শুনে পুরাপুরি অবাক হয়ে গেলাম। অতঃপর তারা আমাদের রেখে সবাই চলে গেল। অতঃপর আমি রিয়ার হাত ধরলাম হাত ধরে বললাম আমার গার্লফ্রেন্ড তাহলে আমার বউ হচ্ছে তাই না। 

রিয়া: প্রথমত এরকম সারপ্রাইজ পায়ে আমি নিজেই পুরাই অবাক হয়ে গেলাম। রাকিব যখনই বলল তার বউ হবো আমি তখনই যেন কেমন একটা অনুভুতি চলে এলো আমার মনে। আমি আরব রাকিবের মাঝে দেরি না করে রাকিবকে বললাম আচ্ছা, এখন তাহলে তুমি থাকো আমি এখন বাসায় যায় কালকে তো আমাদের বিয়ে হচ্ছে তাই না। 

আমি: জি মহারানী কালকে আমাদের বিয়ে হচ্ছে আর আমার বউ হচ্ছেন আপনি। তো মহারানী আমরা তো একসঙ্গে বাসায় যেতে পারি এখন রিকশায় চড়ে। যদি আপনি কোন কিছু মনে না করেন তবে একসঙ্গে হাতে হাত ধরে রিকশায় চড়ে বাসায় যাব। কি বলেন আপনি চরবেন? 

রিয়া: যখন তুমি বলতেছ আমায় তখন কিভাবে না করব বল? অবশ্যই চরবোতারপর আমি আর রাকিব রিকশায় চললাম। আসলে প্রিয় মানুষের সাথে রিক্সায় চড়ে ঘোরার মজাই আলাদা হয়। আর যখনই প্রিয় মানুষটির হাতে হাত রেখে তখন আরো ভালোবাসা বৃদ্ধি হয়। হ্যাঁ, সত্যিই তা বেশি থেকে বেশি হয়ে যায়।তবে এটা সত্য ছিলো যে আমাদের ভালোবাসার মাঝে কখনো কারো কোন খারাপ ইচ্ছে ছিল না। হয়তো আমাদের প্রতিপালক আমাদের ভালোবাসা টাকে বিয়ের মাধ্যমে বন্ধনে আবদ্ধ করে দিতে চাই। রিকশায় চড়া অবস্থায় রাকিব যখন আমার কাঁধে তার হাত রাখল তখন নিজেকে অনেক বেশি ভাগ্যবান মনে হয়েছিল। মনে হয়েছিল এই মানুষটা আমার সব থেকে কাছের মানুষ হবে। আমাকে অনেক বেশি ভালবাসবে। এবং তার দুচোখে শুধু আমাকেই দেখবে। এবং আমি তার মাঝে সম্পূর্ণরূপে হারিয়ে যাব। এসব কথা ভাবতে ভাবতে হঠাৎ আমার বাসার সামনে রিকশা দাঁড় করালো। অতঃপর আমি রিকশা থেকে নামলাম এবং রাকিব এর দিকে বারবার ফিরে তাকালাম। তখন দারোয়ান আমাকে দেখে বলল। মেমশাহেব অত তাকাবেন না চোখে নজর লেগে যাবে। বাসায় চলুন আপনার বিয়ের শপিং করতে যাবে। তখন আমি রাকিবকে বিদায় জানিয়ে বাসার ভিতরে চলে এলাম। বাসার ভিতর এসে দেখি সবাই আমার বিয়ের জন্য রীতিমতো পাগল হয়ে গিয়েছে। 

আমি: রিয়াকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে আমি আমার বাসায় চলে এলাম।আমার বাসায় চলে এসে দেখি বাবা বড় খাতা নিয়ে হিসাবে বলছেন বিয়েতে কি কি দরকার তাদের? কিভাবে রাফিয়া এদেরকে ম্যানেজ করলো তা তখন আমার আর জানার সময় হলো না। কারন আমি আমার প্রিয় মানুষকে নিয়ে তখন অনেক ব্যস্ত ছিলাম। শুধু রিয়াকে ভাবতে লাগলাম আমার মনে আমার অন্তরে আমার বিশ্বাসে। অপেক্ষা করতে থাকলাম কালকের জন্য। আজকের রাতে আর আমার ঘুম হল না। শুধু চারদিকে সেই প্রিয় মানুষটার কথা গুলো ভেসে ভেসে উঠছিল। চারদিকে শুধু তা কেই দেখতে পেলাম।সেদিন যখন একটু চোখে ঘুম এসে ছিল তখনি শুধু রিয়ায় আমার চোখে ভেসে ছিল হ্যাঁ, শুধু বিয়াই আমার চোখে ছিল। অবশেষে বলতে বলতে সেদিন চলে এলো যেদিন আমি আর রিয়া দুইজন দুইজনের হয়ে যাব। মানে আমাদের বিয়ে হয়ে যাবে। ঠিক আমাদের বিয়ের দিন। আকাশটা ছিল ঘন মেঘাচ্ছন্ন। আলোর মাঝে ছিল সমস্ত কিছু প্রেমময়। আমি বারেবার রচনা করলাম শুধু রিয়াকে। হ্যাঁ, শুধু রিয়াকে আমি রচনা করলাম প্রত্যেকবার নতুনভাবে।তাকে মনেপ্রাণে আঁকড়ে ধরলাম। 


রিয়া: কালকে রাতে আমার সারা রাতে ঘুম আসেনি। শুধু ঘুমের মাঝে রাকিব ছিল।একটি মানুষের প্রতি তীব্র ভালোবাসা থেকে মনে হয় এমনটা হয় যে রাতে কখনো ঘুম আসে না। অবশেষে যখন সকালে সূর্য প্রকাশ পেল আমাদের বিয়ের দিন এলো তখন কেমন জানি একটা অনুভব আমার মাঝে কাজ করলো? শুধু অপেক্ষায় থাকলাম কখন প্রিয় মানুষ এসে আমাকে নিজের মতো করে আপন করে সাজিয়ে নিয়ে যাবে। বলতে বলতে সময়টা পার হয়ে গেল কেউ একজন আমাকে এসে বলল বর এসেছে বর এসেছে। তখন আমার পাশে যে অনুভব করছিল তা হয়তো কখনো প্রকাশ পাওয়ার মতো না। 

আমি: অবশেষে যখন রিয়াকে দেখলাম আমার বৌ হিসাবে সাজিয়ে আছে। তখন সব থেকে বেশি নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছিল। কারণ নিজের ভালবাসার আর ভাললাগার মানুষের সাথে বিয়ে হওয়া খুব সহজ ব্যাপার না অবশেষে আমি কবুল কবুল কবুল বলে রেখে বিয়ে করে নিলাম। 

রিয়া: আমার জীবনের সবথেকে বেশি বড় পাওয়া ছিল রাকিব যখন বলেছিল কবুল।নিজেকে সত্যিই একটা অদ্ভুত মনে হয়েছিল। যে আমি আজ থেকে রাকিবের পুরোপুরি বউ হয়ে যাবো। কেমন জানি লেগেছিল আমায়

অবশেষে রাকিব আমাকে তার বউ করেই নিয়ে নিল। এবং আমরা একটা প্রাইভেট কারে করে রাকিব দের বাসায় এসে নামলাম রাকিবের বাবা-মার থেকে আশীর্বাদ নিয়ে আমি আমাদের বাসর ঘরে প্রবেশ করলাম। অতঃপর এক বধু বেশে আমার প্রিয় মানুষটার জন্য অপেক্ষা করতে থাকলাম। কিন্তু আর কি ওই তো দেরি করে আসতেছে তাইনা। অতন্ত্র প্রহরী একা একা কতক্ষণ ঘরে থাকি বলেন তো। অবশেষে সে এলো রাত বারোটার সময়। তাকে দেখে আমি বলতে লাগলাম। কি হয়েছে তোমার কোথায় গিয়েছিলে? আজকে কিছু করার ইচ্ছা আছে নাকি নেই। রাত বারোটা বাজে কখন আমাদের গল্প হবে আর কখন তুমি আমাকে তোমার করে নেবে। 

আমি: ও আচ্ছা তাহলে আমার বউটা এতক্ষণ ধরে আমার অপেক্ষায় ছিল। আফ্রিকি করব বন্ধুবান্ধব আজ ছিলোতো ওদেরকে বিদায় জানিয়ে আসলাম। যাইহোক তোমাকে কিন্তু আজকে অনেক সুন্দর লেগেছে। আমার তো মনে হয়েছিল তখনই তোমাকে আরেকবার বলি ভালোবাসি। আচ্ছা, একটা কথা বলতো। আমাদের তো প্রত্যেকদিন প্রেম হবে তাই না।মানে প্রত্যেকদিন আমি তোমাকে কাছে পাবো তাই না 

রিয়া: হ্যাঁ, তা ঠিক আছে কিন্তু প্রত্যেক দিন তুমি আমাকে কাছে পাবে ঠিক আছে কিন্তু কি প্রত্যেকদিন প্রেম করতে হবে। আচ্ছা, আচ্ছা সরি আমি একটু বেশি বুঝেছি। আমাদের প্রত্যেক দিন প্রেম হবে। আর আমাকে প্রত্যেকদিন ভালোবাসবে তুমি।একটা কথা বলি যদি আমি কখনো তোমাকে ছেড়ে যাই তবে কথা দাও কখনো আমাকে ছেড়ে যাবে না তুমি। আমাকে তুমি তোমার করে নেবে এবং তুমি আমার হয়ে যাবে সম্পূর্ণরূপে। আমাকে কথা দিলে তো তুমি সারাটা জীবন আমার সাথে থাকবে। এখন আমাকে ভালবাসবে। তোমার মনের মাঝে ছোট্ট কুঁড়ে ঘরে আমাদের পাশে থাকবে সারাটা বৎসর। 

আমি: যে আমার জান পাখি তোমার মাঝে আমি সম্পূর্ণ রূপে থেকে যাব। আমি শুধু তোমাকেই ভালোবাসবো। শুধু তোমাকেই ভালোবাসবো।আর তোমার আর আমার প্রেম তৈরি করব প্রত্যেকটা বছরে বুধ গ্রহ শুক্র শনি প্রত্যেকটা গ্রহে তোমাকে নিয়ে আমি ঘর বানাবো। আরে আমার ঘরে তুমি থাকবে একমাত্র রাণী হিসেবে।আর আমাদের বাদশা হবে যখন তখন মানে আমাদের ছেলে মেয়ে হবে যখন তখন তুমি আমার কাছে রানী হিসাবে থাকবে। আচ্ছা, কয়টা ছেলে মেয়ে নিবে তুমি? মানে কয়টা আমাদের বাচ্চা নেবে? 

রিয়া: তোমাকে আমি সরাসরি এসব বলতে বলেছি হ্যাঁ। তোমার ইচ্ছা তুমি তো আমার সাথে প্রত্যেকদিন প্রেম করতে চাও তাহলে ভাববো কয়টা বাচ্চা হবে। তাহলে বছরে 365 টি আচ্ছা 

আমি: বউ যখন বলেছি তখন কিভাবে না করতে পারি তাহলে এখন শুরু করি আমাদের প্রেম আচ্ছা, শুরু করতেছি। 

এইভাবে বলতে বলতে রিয়া হলো আমার সম্পূর্ণভাবে বউ। আসলে যদি আপনাদের মনের মানুষ থাকে তবে মনের মানুষকে ধরে রাখার চেষ্টা করবেন। এই আশায় আমি গল্প এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন।

এইভাবে বলতে বলতে রিয়া হলো আমার সম্পূর্ণভাবে বউ। আসলে যদি আপনাদের মনের মানুষ থাকে তবে মনের মানুষকে ধরে রাখার চেষ্টা করবেন। এই আশায় আমি গল্প এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post