ছোট বোনের বান্ধবী যখন বউ
পর্ব০১
লেখকঃ মোঃ রাকিব হোসেন।
আমি আপনাদের লেখকঃ মোঃ রাকিব হাসান আজকে নিয়ে এলাম একটা নতুন গল্প।আর গল্পের সূচনা হয়েছিল আমার ছোট্ট বোনের বান্ধবীকে দিয়ে। আমার ছোট বোন এর বান্ধবীর নাম ছিল রিয়া দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি ছিল মেধাবী। রিয়া আমার ছোটবোনের বান্ধবী তো ছিলই কিন্তু আসলে সে আমার ছিল একজন ভালো বন্ধু কারণ আমরা একই ক্লাসে পড়তাম। ক্লাসের অন্যদের থেকে রিয়াকে একটু আমি বেশি পছন্দ করতাম কারণ তার কথাবাত্রা আমার মনে সব সময় আনন্দ দিতো। তীব্র ভালোলাগার ভালোবাসার মাঝে তা সম্ভব ছিল। কালকেই তো রিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বসে আনমনে চিন্তা করেছিল আমি তার পাশে গিয়ে বসলাম বসে রিয়াকে বললাম।
আমি: আমার প্রিয় ভালোলাগার মানুষ এখানে কেন চিন্তা করতেছে তা কি আমি জানতে পারি। আমার ভালো লাগার মানুষ যখন চিন্তা করে তখন যে আমাকে আর ভালো লাগে না তাই তুমি কোন চিন্তা করবা না আর তোমার চিন্তার কি কারণ একটু বলতো আমায়।
রিয়া : জানিনা রাকিব কয়দিন ধরে কেন জানি আমাকে অন্যরকম লাগতেছে আমাকে একাকী থাকাটা মনে হচ্ছে বেশি কিন্তু আমি থাকতে চাই না আমি সবার মাঝে বেঁচে থাকতে চাই জানিনা কেমন যেন একটা ডিপ্রেশনে আছি আমি।আমার মনে হচ্ছে আমার সমস্ত ভালোলাগার ভালোবাসার লোক একেবারে যেন ফুরিয়ে যাচ্ছে কোন কিছু এখন থাকতেছে না আমার মাঝে আমি এমন পরিস্থিতিতে কি করব রাকিব আমাকে তুমি কিছু বোঝায় আমার পক্ষে আর এইসব নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না সবাই যদি ফুরিয়ে যায় তাহলে আমি কি করবো?
ছোট বোনের বান্ধবী যখন বউ | Choto boner Bandhobi Jokhon Bow | bdstorybook.com |
আমি: আচ্ছা, আমি তোমার বিষয়টা বুঝলাম তুমি সারাটা দিন শুধু বই নিয়ে পড়ে থাকো আর শুধু বই নিয়ে পড়ে থাকলে হবে না তো তোমাকে জগতের আনন্দ খুঁজতে হবে জগৎটা এমন আনন্দ এমনি আসে না আনন্দকে অর্জন করে নিতে হয়। জীবনে যদি তুমি আনন্দই না পাও তাহলে তো জীবন তোমার বৃথা হয়েছে তা আমাদের জীবন তো একটাই আরে একটা জীবনের মাঝেই আমাদের আনন্দ খুঁজে পেতে হবে।তাহলে তুমি দেখবে তোমার জীবন আনন্দে থেকে আনন্দ মাঝে পরিপূর্ণ হয়েছে তোমার সমস্ত চিন্তাভাবনা দূর হয়েছে তুমি নতুনভাবে সূর্য দেখতেছো যে সূর্যের কিরণে তুমি তোমার প্রিয় মানুষটাকে নিয়ে অনেক সুখে থাকবে যার কোন সীমা নেই আমাদের মধ্যে এমন ভালোবাসা থাকবে যে ভালোবাসা সত্যি কোনো কূলকিনারা পাওয়া যাবে না। আমার বিশ্বাস এতক্ষণ তুমি ঠিকই বুঝতে পেরেছ আমাদের জীবনের আনন্দ কোথায় রয়েছে?
রিয়া: হ্যাঁ, এতক্ষণ আমি সত্যি বুঝতে পারলাম পৃথিবীর আনন্দ শুধু বই পড়ার মাঝে না জগতকে চিনার মাঝে জগতকে ভালোবাসার মাধ্যমে।
রাকিব প্লিজ আমার একটা উপকার করবে তুমি একয়দিন তোমাকে আমার সঙ্গে নিয়ে আমাদের জগতের সৌন্দর্য দেখাবে। যদি তুমি কোন কিছু মনে না করো তবে আরেকটা কথা বলি আমাকে তুমি তোমার জীবনে সারাজীবন বেস্ট ফ্রেন্ড হিসেবে রাখবে।
আমি: তোমার মত একটা ভালো মেধাবী ছাত্রী আমার বেস্ট ফ্রেন্ড হবে তাতো সত্যিই আমার একটা কপাল। হ্যাঁ, আমি তোমার কাছে একটা আবদার রাখছি তুমি আমার সারা জীবনের জন্য বেস্ট ফ্রেন্ড হয় যদি তুমি কোন কিছু মনে না কর তবে। আমের রচনা করবো আমাদের এই বেস্ট ফ্রেন্ড এর কাহিনী অমর থেকে অমরতায়।
রিয়া: আচ্ছা, অনেক দেরী হলো ক্লাসে যাবে একসঙ্গে ক্লাস করি ক্লাস তো মিস করা যাবে না তাই না।
আমি: এই দেখো তোমার আবার ক্লাস এর প্রতি এত টান তৈরি হল আজকে যাবো না আজকে বৃষ্টিতে একসঙ্গে বসে আমরা চা খাব এবং আমাদের মনের সমস্ত গল্প বলবো।
তারপরে আমি ক্যাম্পাস থেকে চা আনলাম চা এনে রিয়াকে দিলাম চা এবং আমরা আমাদের গল্প চালিয়ে গেলাম। গল্পের মাঝে মাঝে রিয়াথ টোল পড়া হাসি দেখে আমার মনে হল আমি তখনই রিয়াকে বলে দেই আমি রিয়াকে কতটা ভালোবাসি আমার মাঝে এতদিন রিয়ার জন্য ভালোলাগা ছিল কিন্তু আজ সে যেন তা ভালবাসায় পরিনত হল।
চা খেতে খেতে আমার বারবার ইচ্ছে হচ্ছিল রিয়ার আর হাত ধরি হাত ধরে বলি আমি আজও তোমাকে ভালবাসি আমার সমস্ত ভালোলাগা আর ভালোবাসা শুধু তোমার জন্য। রিয়ার চোখে চোখ রাখতেই তা আমি ভয়ে বলতে পারলাম না একেরোরই কারণ তার চোখ ছিল তখনও অসম্ভব সৌন্দর্যের অধিকারী। প্রিয়ার চোখে চোখ পরতেই আমার কেন জানি মনে হলো এই চোখ সেই চোখ যে চোখের জন্য আমি আজও অপেক্ষায় ছিলাম এই চোখে হারাতে আমার এক্দম কোন দ্বিধা থাকবে না।অবশেষে রিয়া আমায় বলল।
রিয়া: আচ্ছা রাকিব আজকে জানো তোমার সঙ্গে এই সময়টা কাটিয়ে আবার নিজেকে সবথেকে বেশি ভাগ্যবান মনে হল কারন সত্যিই তোমার মতো একটা বন্ধু পাওয়া আমার ভাগ্যের ব্যাপার ছিল আমি তো মনে করেছিলাম যে আমার জীবন এখানেই শেষ হয়ে যাবে আমি ডিপ্রেশনে ভুগছি ভাবতে আমার অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে কিন্তু আজকে তোমার এই অল্প সময় কাটিয়েছি ভাল লাগল তা হয়তো অনেক বেশি রাকিব ধন্যবাদ তোমাকে।
আমি: আচ্ছা, তুমি কি আমাকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতেছ আমাদের বেস্ট ফ্রেন্ড এর মাঝে কোন ধন্যবাদ কোন সরি থাকবে না কিন্তু। আচ্ছা, তাহলে তুমি বাসায় চলে যাও আজকে কোন ক্লাস করবে না আরে ক্লাস তো শেষ হয়েছে এই তো বাসায় চলে যাও।আর কালকে আমরা নদীর ধারে একসঙ্গে যাব বিকেল বেলা তুমি রেডি থাকিও তোমার অপেক্ষায় থাকবো আমি।মেঘনা নদীর চরে যাবো তোমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখবো স্যরি তোমাকে না আমাদের নিয়ে আমাদের বন্ধুত্ব কে নিয়ে তুমি কিন্তু ঠিক রেডি থাকবে ঠিক বিকাল তিনটায় আচ্ছা।
রিয়া: আচ্ছা, আমি শুধু তোমার অপেক্ষায় থাকবো নদীর ধারে তুমি কিন্তু আসবে কোন মিস করবে না আর কোন চালাকি করবে না ঠিক সময় আসিও। আসলে অনেকদিন ধরে নদী দেখা হয় নাই তোমাকে নিয়ে যদি নদী থেকে তাহলে আমার বিশ্বাস আমার সময়টা আরো ভালো ভাবে পার হয়ে যাবে।
আমি রিয়াকে আচ্ছা বলে ওখান থেকে চলে এলাম অতঃপর বাসায় এলাম বাসায় এসে দেখি আমার ছোট বোনটা পড়াশোনা করতেছে আসলে ছোট না ক্লাস টেনে পড়ে কিন্তু আমার কাছেও এখনো ছোটই আছে ওকে বললাম তোর বান্ধবীর কি খবর রিয়ার।
আমার বোনের নাম রাফিয়া।
রাফিয়া: জানবো ভাইয়া তুই তো ভালো জানবি এখন।কারণ রিয়া আমাকে বলল তোরা নাকি এখন অনেক বেস্ট ফ্রেন্ড অনেক কাছের মানুষ আমাকে কেন বলছিস তুই আগে বল রিয়াকে ফোন দে আমাকে বলবি না বুঝছিস আমি এখন পড়তে বসছি।
আমি আর রাফিয়ার কথা কানে ধরলাম না কারণ ওই আজকে রেগে আছে হয়তোবা ইস্কুলে কোন শিক্ষকের কাছে পড়া দিতে পারেনি তাই এরকম করেছে।অবশেষে আমি আমার রুমে গেলাম গিয়ে মোবাইল খুলে শুধু বারবার ছবি দেখতে লাগলাম রিয়ার। তারপর রাতে ঘুমিয়ে পরি আমি।
অবশেষে আমি বিকেল ঠিক তিন টাই উপস্থিত হলাম নদীর পারে যা দেখলাম তা আমি কখনো ভাবি নাই আজ কে মনে হয় রিয়া কে একটু বেশি সুন্দর লাগছে কারণ আজ কে রিয়া শারি পরিহিত অবস্থায় আমার সামনে দারিয়ে রয়েছে ।আমি একটু তারাতারি না গিয়ে গাছের আরাল থেকেই রিয়া কে দেখতে লাগলাম যখন রিয়া আমায় ফোন দিলো দিয়ে বলল্।
রিয়া: রাকিব কোথায় তুমি ? আমি কখন থেকে দারিয়ে আছি জানো তূমিঅবশেষে আমি বিকেল ঠিক তিন টাই উপস্থিত হলাম নদীর পারে যা দেখলাম তা আমি কখনো ভাবি নাই আজ কে মনে হয় রিয়া কে একটু বেশি সুন্দর লাগছে কারণ আজ কে রিয়া শারি পরিহিত অবস্থায় আমার সামনে দারিয়ে রয়েছে ।আমি একটু তারাতারি না গিয়ে গাছের আরাল থেকেই রিয়া কে দেখতে লাগলাম যখন রিয়া আমায় ফোন দিলো দিয়ে বলল্।
রিয়া: রাকিব কোথায় তুমি ? আমি কখন থেকে দারিয়ে আছি জানো তূমি তুমি তো বললে আমার আগে আসবে কিন্তু এখনো আসো নিই কেন্ আর এভাবে দারিয়ে থাকলে লোকে কি বলবে আমায় কই আছো তুমি তারাতারি আসো আমি আর ৫ মিনিট থাকব এখানে ।
আমি : আচ্ছা কোনো চিন্তা করিও না আমি এখনি যাচ্ছি তুমি শুধু বলো রাকিব তারাতারি আসো আর আমি এসে যাবো । চোখ বন্ধ করে বলবে কিন্তু বলবে রাকিব আসো
রিয়া যখনি চোখ বন্ধ করলো তখনি আমি রিয়ার সামনে গিয়ে দারালাম রিয়া যখনি বলল
রিয়া: রাকিব আসো জানি নাহ এই কয়েকদিনের পরিচয়ে আমি তোমাকে অনেক বেশি মিস করি তোমায় ছারা একটি সময় আমার কাটে না কোথায় তুমি?
অবশেষে আমি এসে রিয়াকে চোখ খুলতে বললাম। অবশেষে রিয়ার চোখে চোখ পরতেই আকাশ থেকে বষ্টি পরতে লাগল এই বষ্টিতেই আমার ইচ্ছে হলো রিয়ার সাথে ভেজার কিন্তু আমি কিছু বলার আগেই রিয়া আমার হাত ধরে বললো রিয়া : জানো রাকিব তুমি আমাকে শিখিয়ে দিয়েছো এই দুনিয়ার মাঝে সত্যি কারের আনন্দ রয়েছে এই দুনিয়াতে আন্দকে চেনার মাঝেই। আজ আমি তোমাকে শিখাবো কিভাবে প্রকৃতি থেকে আনন্দ নিতে হয় তাই আমি এখন এই জলের ফোটার মাঝে হারিয়ে যাবো ।আর আমার সাথে তুমিও হারাবে আচ্ছা আর কিছুতেই না করতে পারবে না কিন্তু। আমি তোমাকে নিয়েই এই জলের মাঝে হারিয়ে যাব কারণ তুমি যে আমার অনেক কাছের মানুষ এক কথায় আমার একমাএ Best Friend যে তুমি আমার। তোমাকে ছারা একা একা এই জলে ভিজলে যে কিছু তেই মজা হবে নাহ।
আমি : সত্যি কথা বলতে কি আসলে আমারো ইচ্ছে ছিল যে এই জলের মাঝে এই ভাবে তোমাকে নিয়ে ভিজতে থাকি কিন্তু কিছুতেই কেন জানি আমি তোমাকে বলতে পারি নাই তুমি যদি রাগ করো এই ভয়ে । চলো আর কথা বলে দেরি না করে আমরা এক সাথে ভিজতে থাকি
তারপরে রিয়া আর আমি এই জলের মাঝে হারিয়ে গেলাম বার বার রিয়ার ঐ নীল শারি এর দিকে তাকিয়ে থাকছিলাম ।এই জলের ফোটাই রিয়া কে দেখতে আরো কেমন জানি অন্যরকম লেগেছিল আমায় ।রিয়াকে তখন জরিয়ে ধরে বার বার বলতে ইচ্ছে করেছিল যে রিয়া আমি আজো তোমাকেই ভালোবাসি আর তোমার আমার মাঝে যে দৃরতু আছে তা আজ এই বূষ্টির দিনে পৃর্ণ করে দাও তুমি তোমার ভালোবাসার দ্বারা ।কিন্তু রিয়া কে এইসব কথা বলার আর আমার কোনো সুযোগ হলো না কারণ মেঘনা নদীর জল আর এই বূষ্টির জলে রিয়ার আনন্দ দেখে আমি আমার সময় টা তখন রিয়ার মাঝেই হারিয়ে নিলাম।অবশেষে এই আকাশ থেকে বূষ্টি তার জলের ফোটা ফেলা একেবারেই বন্ধ করল আমি তখন রিয়াকে বললাম
আমি: আচ্ছা, রিয়া বৃষ্টিতে এখন থেমে গেল। জানো রিয়া আকাশ কি জন্য বৃষ্টি দেয় আসলে এর কারণ হলো আকাশ তাদ মনের সমস্ত ভালোবাসা আর ভালোলাগা একসাথে প্রকাশ করে দেয়। আকাশ সবকিছুকে কোন দ্বিধাবোধ করে না একটা সত্যি কথা বলি তোমার উপস্থিতি আমাকে সব থেকে বেশি ভালো লাগে। আমাকে একটা কথা দেবে কখনো আমাকে ছেড়ে চলে যাবে না আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক কে তুমি সারাজীবন মনে রাখবে আমি যদি কখনো তোমাকে ভুলে যাই তবে তুমি আমাকে কখনো ভুলবে না একথা দাও রিয়া।
রিয়া: আমি কথা দিলাম আমি তোমাকে কখনো ভুলবো না। তোমার আর আমার মাঝে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বেঁচে রবে আজীবন। আসলে আমি তো তখনই জীবনকে মূল্যহীন মনে করেছিলাম মনে করেছিলাম আমার আর কেউ নেই সবাই পর হয়ে গিয়েছে। এর কারণ হলো আমি সবসময় বই নিয়ে থাকতাম আমি জগতের আনন্দ একদমই বুঝতাম না। আসলে তোমাকে যে আমি কি বলে ধন্যবাদ দিব তা আমার মুখের ভাষা হয় না। তুমি আমাকে এসে শিখিয়েছো বেঁচে থাকার মানে আর তুমি কিভাবে ভাবলে যে আমি তোমাকে ভুলে যাব কখনো যাবনা বরং তুমি যদি আমাকে ভুলে যাও তাহলে আমি যাবনা। আচ্ছা, রাকিব একটা কথা বলি কিছু মনে করবে না। তোমার জীবনে কি আমি ছাড়া অন্য কেউ আছে। না, বলতে কি না এমনটা না তুমি অন্য কাউকে ভালোবাসো কিনা তাই তো জানতে চাইলাম।
আমি: আমি এমন একটা মেয়েকে ভালবাসি যাকে আবার প্রথমে সবথেকে বেশি ভালো লাগতো। এবং সে আজকে নীল শাড়ি পরিহিত অবস্থায় আমার সামনে দাড়িয়ে আছে। জানি না তাকে যদি আমি বলি ভালোবাসি তবে সে কি করবে?
রিয়া: আচ্ছা, আমি কিন্তু তোমার সাথে ফাজলামি করি নাই। আমি তো কেবল জানতে চাইলাম হ্যাঁ কি না? আচ্ছা, যখন তুমি বলতে চাও না তাহলে আমি আর শুনতে চাই না। আর শোনো অনেক রাত হয়ে যাচ্ছে বাসায় যাওয়া দরকার আমাদের। আজকে কিন্তু বৃষ্টিতে ভিজে আমাকে অনেক ভালো লেগেছে তোমাকে কেমন লেগেছে?
আমি : একটা প্রিয় মানুষের সঙ্গে এই বৃষ্টিতে ভিজে অবশ্যই আমাকে ভালোই লাগছে তোমার কেমন লাগছে? ও তুমিতো বললেই তোমার অনেক সুন্দর লেগেছে। এটা আমার জীবনে অনেক কিছু বড় পাওয়া। সত্যি কথা বলতে কি আমাকে আজকে অনেক সুন্দর লেগেছে। অনেকদিন ধরে নদীর পাড়ে এইভাবে ভেজা হয় না। আমি তো এই ভাবে ভেজতাম না তুমি বলেছ দেখেই আমি আজকে বর্ষার দিনে ভিজলাম। একটু তো অনেক ঠান্ডা লেগেছে চলে আর দেরি না করে আমরা রিক্সায় একসাথে বাসায় যাই তাহলে অনেক বেশি ভালো লাগবে। রিক্সায় বসে প্রিয় মানুষের হাতে হাত ধরে চলা বলতে গেলে একটা অন্যরকম অনুভব চলে আসে।
রিয়া: আচ্ছা, তাই বুঝি তাহলে তোমার সেই ভালো লাগার মানুষটা কে জানতে পারি। তুমি চাইলে আমাকে বলতে পারো আমি কোন কিছু মনে করব না। হ্যাঁ, সত্যি কোন কিছু মনে করব না। তুমি শুধু একবার হাতে হাত রেখে বলো আমি কিছুই মনে করব না।
আমি: এমনটা না এমনি বললাম আর কি চলো যাই একটু অনেক বেশি দেরি হল বাসায় যে সবাই আমাদের জন্য চিন্তা করবে।
অবশেষে একটা রিকশায় উঠলাম রিক্সায় উঠে আমি রিয়ার হাতে হাত রাখলাম।রিয়ার হাতে হাত রেখে অনেক কিছু বলতে চাইলাম কিন্তু ভয়ে বলতে পারলাম না। কিন্তু রিয়া সেদিন আসলে অনেক কিছু বুঝে নিয়েছিল। আর আমিও বুঝে নিয়েছিলাম রিয়া আমাকে একটু হলেও এখন ভালোবাসে। কারণ চোখ বন্ধ করে আমার অনুপস্থিতি রিয়ার কথাগুলো আমি সেদিনই শুনেছিলাম। যা দেখতে পায়নি কিন্তু আবার অন্তর আরো বেশি রিয়ার প্রতি পুরোপুরি ভালোবাসায় পড়ে গিয়েছে। রিকশায় চড়া অবস্থায় আমি রিয়াকে বললাম।
আমি: আচ্ছা, রিয়া ভালোবাসা মানে কি জানো?
রিয়া: ভালোবাসা মানে হলো একজন আরেকজনের স্নিগ্ধতায় কাছে আসা। আর যতই কাছে আসা আসি হবে ততই বেশি ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে। ব্যাপক অর্থে বলতে কি? ভালোবাসা মানে হল অক্সিজেন। ভালোবাসা ছাড়া আমাদের জীবন কখনো বাচবে না ঠিক যেমন করে অক্সিজেন ছাড়া মানুষ বাঁচে না ঠিক তেমনি ভালোবাসা ছাড়া প্রেমিক-প্রেমিকারা কখনো বাচতে পারবেনা। আর আমি যাকে ভালোবাসবো সে হবে আমার অক্সিজেন। আর আমি হব তার কার্বন-ডাই-অক্সাইড। আমাদের প্রত্যেক দিন একে অপরকে ভালোবেসে অক্সিজেনের চাহিদা পূর্ণ হবে। আমার তো অনেক ইচ্ছে আমার স্বপ্নের রাজকুমারকে নিয়ে অনেক দূর এগিয়ে যাওয়ার তাকে নিয়ে স্বপ্নের রাজ্য পার করার আচ্ছা, আমি একটা কথা বলি তোমার কাছে ভালোবাসা মানে কি?
যখন রিয়া এই প্রশ্ন করল তখন আমি ভেবে পাচ্ছিলাম না কিভাবে তার উত্তর দিব অবশেষে আমি একটু ভয়ে ভয়ে বললাম।
আমি: হ্যা প্রিয় আমার কাছে তাই মানে।
Post a Comment