স্কুল জীবনের প্রেম পর্ব - 5 | School Jiboner Prem Part-5

 স্কুল জীবনের প্রেম

পর্ব ৫

লেখকঃ সাদমান আদ্-দ্বীন

স্কুল জীবনের প্রেম পর্ব - 5 | School Jiboner Prem Part-5


মামার বাসায় এসে দেখি মামা মামি, মারিয়া আপু, নওরিয়া সবাই আমার জন্য অপেক্ষা করছে। 



আমিঃ এত রাত জেগে থাকার দরকার ছিলো না তো


মামিঃ বা রে, আমার ছেলেটা এতদিন পর আসবে, জেগে থাকবো না


নওরিয়া আমার কোলে চলে আসলো। আমার সবচেয়ে ছোট বোন নওরিয়া।



মারিয়া আপুঃ ভালোই তো বড় বড় লাগছে তোকে।


আমিঃ হয়েছে, আমি এখনও বাচ্চা 


নওরিয়াঃ আমার তককেত কই?


আমিঃ তোমার চকলেট লাগবে? এই নাও।


মামাঃ হয়েছে, ফ্রেশ হয়ে এসে খেয়ে নাও। 


আমিঃ আচ্ছা মামা।


ফ্রেশ হয়ে মা কে মেসেজ করে দিলাম।


দেখি মেঘলা অনেক গুলো কল দিয়েছে।



একবার ভাবলাম ব্যাক করবো, পরে ভাবলাম যে ওর মতো ও থাক।



ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমাতে গেলাম।


কিন্তু এদিকে কারও ঘুম হচ্ছে না, মনে হচ্ছে কিছু একটা হারিয়ে ফেলছে।



পরেরদিন সকালে,


নওরিয়াঃ বায়া, বায়া ওতো


আমিঃ কি হলো


মারিয়া আপুঃ হয়নি, ওঠ নাহলে হবে। এত ঘুম কিসের ওঠ


আমিঃ তোকে তো আমি


মারিয়া আপুঃ তোর বড় বোন আমি


আমিঃ আইছে আমার বড় বইন। বাটুল। 


মারিয়া আপুঃ তোর আজকে খবর আছে


আমিঃ কয়টার খবর, টিভিতে দেখাবে তো?


কোন চ্যানেল এ দেখাবে


মারিয়া আপুঃ তুই থাক ভাই। একটু ঘুরতে বের হবো, তাই ভাবলাম তোকেও নিয়ে যায়।


আমিঃ আচ্ছা যাবো। 


ঘুরতে এসে,


মারিয়া আপুঃ কি রে, এতদিন পর হঠাৎ দেখা করার ইচ্ছা হলো তোর


আপুর বান্ধবীঃ আমার চাচাতো ভাই এসেছে তো, ওকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছি। 

তা এইটা কে?


মারিয়া আপুঃ আমার ফুফাতো ভাই। নাম সাদমান আদ্-দ্বীন। 


দ্বীন এইটা ইসরাত, আমার বান্ধবী। 


ইসরাত আপুঃ কেমন আছো


আমিঃ এইতো ভালোই 



হঠাৎ বায়েজিদঃ তোর নাম্বার বন্ধ কেনো? মেঘলা কল দিয়ে পাগল করে দিলো।


ইসরাত আপুঃ তুই ওকে চিনিস নাকি


বায়েজিদঃ আমার বন্ধু ও। তোমাকে বললাম না


মারিয়া আপুঃ এই মেঘলা টা কে?


বায়েজিদঃ আপনি?


মারিয়া আপুঃ আমি ওর বড় বোন


বায়েজিদঃ আপু আসলে মেঘলা ওর গার্ল ফ্রেন্ড। একটু ঝগড়ার জন্য ও মেঘলার সাথে কথা বলছে না।


আমিঃ এই সব মিথ্যা কথা। আমার কোনো গার্ল ফ্রেন্ড নাই।


আমি পিওর সিঙ্গেল।


তোমরা ঘুরতে থাকো, আমি বাসায় গেলাম।


বলেই চলে এলাম। 



ইসরাত আপুঃ কি হলো বুঝলাম না।


বায়েজিদঃ মেয়েটা প্রতীক কে জোড় করে রিলেশন করিয়েছিলো। তারপর প্রতীকও ওকে ভালোবাসে। 


কিন্তু গতদিন---------------(সব বললো)


ইসরাত আপুঃ এই জন্য এত রাগ


মারিয়া আপুঃ ঐ মেয়েকে বলো এইবার রাগ কেমনে ভাঙাবে তাই ভাবতে। এই সয়তানের রাগ বেশি।




এদিকে আমি বাসায় এসে ফোন অন করলাম,


দেখি মা কয়েকবার কল দিয়েছে,


আমি কল ব্যাক করলাম।


মাঃ তোর ফোন বন্ধ কেনো


আমিঃ চার্জ ছিলো না।


মাঃ মেঘলার সাথে তোর কি হয়েছে বল তো


আমিঃ কিন হবে


মাঃ মেয়েটা সারাদিন মন খারাপ করে বসে আছে। 


তোর খোজ নিচ্ছে বার বার।


আমিঃ ভালো করছে


মাঃ সয়তান ছেলে, আমি কিছু বুঝি না নাকি?


আমিঃ আমি নির্দোষ 


মাঃ হয়েছে। কি নিয়ে ঝগড়া শুনি


আমিঃ আপনাদের প্রিয় মেঘলার কাছ থেকে শুনেন।


বাই দা রাস্তা এত দামি ফোনের জন্য ধন্যবাদ। আব্বাজান


আব্বুঃ আমি তোর কথা শুনছি বুঝলি কেমনে?


আমিঃ আরো মানুষ শুনছে তাও জানি। বাই 



বাবাঃ কি খেয়ে এইটার জন্ম দিয়েছিলা?


মাঃ তুমি যে খাবার কিনে দিতা।

মেঘলা সব সত্যি বলো তো


মেঘলাঃ সব দোষ আমার আন্টি।


ক্লাস ৭ এ থাকতে আমি ওকে ব্লাকমেইল করে রিলেশন শুরু করি। এরপর ভালোই চলছিলো।


গতদিন আমার একটা ছেলে ফ্রেন্ড হয়েছে। ছেলেটা অনেকটা ডিপ্রেশনে ছিলো তাই ওকে বেস্ট ফ্রেন্ড বানিয়েছিলাম।


দ্বীন নিষেধ করেছিলো জন্য বলেছিলাম তোমার মতো বয়ফ্রেন্ড দরকার নেই।


বাবাঃ দ্বীনের মা ছেলে মেয়ে তো এখনই বড় হয়ে গেছে


মাঃ তাই তো দেখছি।

তা এখন কি করবে?


বাবাঃ মেঘলা আগে রাগ ভাঙিয়ে নিক। তারপর বাকিটা দেখবো।



মেঘলাঃ ও ঢাকায় থাকলে কেমনে কি করবো?


মাঃ তুমি যদি ঢাকায় যেতে পারো তাহলে পারবে তো?


মেঘলাঃ পারবো।


বাবাঃ তাহলে রেডি হয়ে নাও।



এদিকে আমি সারাদিন বাসার ভিতরে নওরিয়ার সাথে কাটাচ্ছি।



মারিয়া আপু বাসায় এসেঃ ভালোই তো তলে তলে টেম্পু চালাও


আমিঃ সব আপনার কাছ থেকেই শেখা


মারিয়া আপুঃ তা মেয়েটা সরি বলছে মেনে নে


আমিঃ আমার লাগবে না, সবসময় ওর কাছে আমার কেনো দাম নেই।


মারিয়া আপুঃ তুই বড় হলি কবে?


আমিঃ ঐ যেইদিন তুই আমার এক ক্লাস উপরে উঠলি


মারিয়া আপুঃ আমি তোর বড়


আমিঃ বড় না ছাই। যা ভাগ, নাইলে মামির কাছে বলে দিবো সব


মারিয়া আপুঃ আমিও বলবো


আমিঃ সবাই জানে। 


মারিয়া আপুঃ পায়ের ধুলো দাও গুরু।



সন্ধ্যায় শান্তি করে ঘুমাচ্ছি হঠাৎ.........(চলবে)


Post a Comment

Previous Post Next Post