গল্প : সিনিয়র গুন্ডি আপু যখন বউ
লেখক : রিফাত আলী মিথুন
পর্ব : ০২
স্বর্ণা : কালকে কলেজে যাইনি । এজন্য আমার ফ্রেন্ড তিথির বাসায় গিয়ে কালকে নোট আনতে যাচ্ছি । কিছুক্ষণ মধ্যে তার বাসায় গেলাম । কলিও বেল বাজাতেই আন্টি দরজা খুলে দিল । আমি আন্টিকে বললাম, আসসালামুয়ালাইকুম আন্টি । আন্টি বললো ," ওয়ালাইকুমুস সালাম , কেমন আছিস মা । আমি বললাম," আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি, তুমি কেমন আছো । আন্টি বললো ,"আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি , আমাকে তো তুই ভুলেই গেছিস, আর এই আন্টিকে দেখতেও আসিস না । আমি বললাম , ওলে আমার সুইট আন্টি , তোমারে আমি ভুলতে পারি । তুমি তো জানো পড়ালেখা নিয়ে একটু পেরাই আছি । আন্টি বললো , হু জানি , যা তিথি ওর রুমে আছে । আমি আন্টি কাছ থেকে তিথির রুমে গেলাম ।
আমি : হ্যালো পাঠক ভাই বোনেরা , আপনাদের সাথে তো পরিচয় হওয়া হলো না , বাই দা ওয়ে আমি মোঃ রিফাত আলী মিথুন , আপনাদের ভালবাসার পিচ্চি লেখক সাহেব । চলুন এবার গল্পে ফিরা যাক । প্রাইভেট থেকে বের হয়ে বাসায় চলে আসলাম । বাসায় এসে চিল্লাতে শুরু করলাম, " আম্মু ও আম্মু কোথায় তুমি । আম্মুওওওও । তখন আম্মু রান্না ঘর থেকে বলে উঠলো , ঐ কি হইছে , এভাবে গরুর মতো চিল্লাতেছিস কেন । আমি বললাম , আমি কি সাধে চিল্লাই , আমারে খিদা লাগছে , খাইতে দেও । আম্মু বললো , আমি কাজ করতেছি পারবো না , নিজে তুলে নিয়ে খা । ধুর , কেমডা লাগে কনতো , মনে এক বালতি কষ্ট লইয়া নিজে খাবার তুলে খাইতে লাগলাম । খাওয়া শেষ করে রুমে চলে আইলাম ।
স্বর্ণা : তিথির রুমে গিয়ে দেখি । তিথি লেপের তলে আরাম করে শুয়ে আছে । আমি গিয়ে লেপ টা টান দিলাম । তখনি তিথির চিৎকার করে উঠল , ঐ কে কেরে , আমার লেপ টানোস । তখন আমি বললাম , সাতচুন্নী আমি সাত সকালে উঠে তোর বাড়িতে আসতেছি আর মহারানী আরাম করতেছে লেপের মধ্যে । ঐ তোর ফোন কই ফোন ধরস না ক্যান কাল রাত থেকে কল দিচ্ছি । তখন তিথি বললো সরি দোস্ত আসলে রাতে ফোনে চার্জ ছিল না তাই বন্ধ হয়ে গেছে । চার্জে লাগায় রাখছি অন করতে মনে নাই । আমি বললাম সাতচুন্নী তোর সরি তোর কাছে রাখ । তরে তো আমি সারছি না । তিথির বললো , দোস্ত কি শাস্তি দিবি দে কিন্তু আপাতত লেপ টা দে না , প্রচুর ঠান্ডা লাগতাছে । আমি বললাম , তুই আর লেপ পাবি না উঠ এখন , তুই এখনি গোসল করবি এটা তোর শাস্তি । তিথির চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে তুতলিয়ে বললো , দোস্ত তুই এটা কি বলতেছিস , আমি তো মইরা যামু এই ঠান্ডায় গোসল করলে । এমন শাস্তি দেস না দোস্ত তোর পায়ে পড়ি । আমার লেপ লাগবে না , তোর কাছে রাখ তাও গোসল করতে বলিস না । আমি বললাম , তোর কোন কথা শুনুম না । আমি বলেছি মানে এটাই ফাইনাল । চল এখন তুই গোসল করবি । তিতির বলে উঠলো , না দোস্ত , এই ভাবে তুই শিশু নির্যাতন করিস না , দয়া কর । আমার যদি কিছু হয় তাহলে আমার রাকিব এর কি হবে । আমি কিছু না শুনে জোর করে টাইনা টুইনা বাথরুমে নিয়ে গিয়ে ভিজে দিলাম । শেষ পর্যন্ত কোন উপায় না পেয়ে , মনে দুঃখে তিথির গোসল করে নিলো । শাতচুন্নী আমার ফোন ধরে নাই , দেখ এখন কেমন লাগে । শতচুন্নীর জন্য আমাকে শীতের সকালে লেপের নিচে থেকে বাহির হয়ে এর কাছে আসতে হইছে । শাতচুন্নী আর ভুল করেও মোবাইল বন্ধ করে থুবে না । আহ এখন যে কি শান্তি লাগতাছে তিথির কে গোসল করে দিতে পেরে । মনটা চাইতাছে লুঙ্গি ডান্স দেই । না বাবা থাক এমনি থেকেই তিথির এখন আমার উপর ফুঁসছে । লুঙ্গি ডান্স দিলে তো শাতচুন্নী আবার ঘার মটকাটে দিবে ।
চলবে ----------------
Post a Comment