স্কুল জীবনের প্রেম। School jiboner prem
পর্ব ১
লেখকঃ সাদমান আদ্-দ্বীন
বাবা ওঠ, আটটার বেশি বাজে(মা)
আমিঃ কিহ্, আগে বললে না কেনো, সবসময় ডাকতে বলি আগে আর ডাকো পরে
মাঃ তাই, এখন ফ্রেশ হয়ে নে।
ফ্রেশ হতে হতে পরিচিত হয়ে নেই, আমি সাদমান আদ্-দ্বীন। ক্লাস ৬ এ। আজকে আমার হাই স্কুলের প্রথম দিন।
নাস্তা করে বাইরে এসে দেখি আমার বন্ধু সিয়াম, সোহান দুজন দাড়িয়ে আছে।
সোহানঃ প্রথম দিনই লেট, চল এখন।
আমিঃ বায়েজিদ আকাশ ওরা কই
সিয়ামঃ স্কুলে চলে গেছে।
আমিঃ আচ্ছা চল তাড়াতাড়ি, তোদের জন্য লেট হয়ে যাচ্ছে।
সোহান আর সিয়ামঃ আমাদের জন্য? সব দোষ তোর, লেট করে এসে এখন দোষ দিস আমাদের।
আমিঃ আচ্ছা আর দোষ দিব না।
সিয়ামঃ বিকালে কি করবি?
আমিঃ আপাতত ব্যাডমিন্টন এ ব্যস্ত। কয়দিন পর ক্রিকেট ফুটবলের সময় আসলে তখন তাই।
সোহানঃ পড়ালেখা কে করবে?
আমিঃ কেনো তোরা আছিস তো।
সোহানঃ তুই কোন লেভেলের কপিবাজ রে, আমাদের টা নকল করে আমাদের চেয়ে ভালো রেজাল্ট তোর।
আমিঃ নকল করার আমার ২০ আছরের অভিজ্ঞতা আছে
সিয়ামঃ তোর বয়স কত?
আমিঃ এই ধর ১১-১২
এভাবেই আড্ডা দিতে দিতে স্কুলে চলে এলান। প্রথম দিন, খুবই এক্সাইটেড।
প্রথমে এসেম্বলি হলো, স্যাররা আমাদের বরণ করে নিলেন।
ক্লাসে,
স্যার এসে এক এক করে সবাইকে দাড় করাচ্ছেন।
সবাই নিজের পরিচয় দিলো।
লাস্টে আমিঃ আমার নাম সাদমান আদ্-দ্বীন।
বাবার সেনাবাহিনীতে আছেন। মা ******কলেজের টিচার।
স্যারঃ ও তুমি ম্যাডামের ছেলে
আমিঃ জী স্যার।
স্যারঃ তুমি নাকি অনেক দুষ্ট
আমিঃ না স্যার, ইহা একটি গুজব
স্যারঃ বোঝায় যাচ্ছে। বাই দা ওয়ে আমি তোমার নার্গিস আন্টির হাসবেন্ড।
প্রথম ক্লাস শেষ। দ্বিতীয় ক্লাসে আরেকজন স্যার এলেন
স্যারঃ এখানে সাদমান কে?
আমিঃ জি স্যার
স্যারঃ তোমার বাবা কল দিয়েছিল, কোনো সমস্যা হলে বাবাকে না আমাকে জানিয়ো।
আমিঃ আচ্ছা স্যার।
এই বাবাটাও আমার লাইফের ওয়াট লাগাবে মনে হচ্ছে।
প্রথম দিন স্কুল শেষ। আমি আমার দলবল নিয়ে বেরিয়ে পরলাম। মাঝে মাঝে মনে হয় আমও রাজা আর এরা প্রজা।
যাইহোক,
বাসায় এসে ফ্রেশ হয়েই আবার বেরিয়ে পরলাম। জানুয়ারী মাসে হাল্কা শীত, এর ভিতর ব্যাডমিন্টন খেলা, মানে আলাদা লেভেলের মজা।
দেখি সোহন সিয়াম বায়েজিদ আকাশ সবাই দাড়িয়ে।
আমিঃ সব বইপোকা আমার সামনে খেলার মাঠে।
বায়েজিদঃ এখন বড় হয়েছি, হাইস্কিলে পড়ি, এখন খেলা ধুলা ঘুরা ফেরা সব হবে।
আমিঃ হ্যা চল।
এভাবেই ক্লাস আর মজা করতে করতে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ।
রেজাল্টের দিন,
সোহানঃ এইবার শিওর ফেল করবো।
আমিঃ তাইলে আমিও শেষ, তোরটা হুবহু লপি করেছিলাম আমি
সোহানঃ যাইহোক এখন ওয়েট কর।
স্যার এসে রেজাল্ট দেওয়া শুরু করলো।
শেষের দিক থেকে স্যার রেজাল্ট দিচ্ছে।
এবারের পরিক্ষায় ২য় হয়েছে মেঘলা রহমান।
প্রথম হয়েছে সাদমান আদ্-দ্বীন
সোহানঃ হোয়াট দা ফাউ কথা?
আমিঃ অবাক হওয়ার কি আছে? পড়ালেখা করবি পরেরবার।
স্কুল শেষে বের হওয়ার সময় দেখি মেঘলা কন্না করছে। হয়তো ফার্স্ট হয়নি তাই।
পরেরদিন, স্কুকে যাওয়ার সময় দেখি আমার বাসা থেকেই মেঘকা বের হচ্ছে।
আমিঃ এক্সকিউজ মি ম্যাডাম
মেঘলাঃ আপনি এখানে?
আমিঃ আমার বাসা এটা
মেঘলাঃ ওহ্, আপনি বাড়িওয়ালার বাদর ছেলে। কিন্তু আপনার মা তো বললো আপনি
পড়ালেখা করেন না, তাহলে আপনি
আমিঃ ঐটা আমাদের তৃতীয় হওয়া সোহানের কামাল।
ফ্রেন্ডস?
মেঘলাঃ ওকে ফ্রেন্ডস।
আমিঃ তোমরা কোন ফ্লোরে থাকো?
মেঘলাঃ ৪র্থ
আমিঃ আচ্ছা চলো।
স্কুলে চলে এলাম।
সোহানঃ কি রে, আজকে একসাথে?
সামথিং সামথিং নাকি?
সিয়ামঃ শালা একদিনেই পটিয়ে ফেললি।
আমিঃ আরে ভাই ও আমাদের ভাড়াটিয়া।
সিয়ামঃ ওয়াহ, দুই টপার সারাদিন একসাথে।
এইবার ই গেলো।
আমিঃ 🤣🤣🤣, এইবার আর তোদের দরকার নেই।
এখন চল ক্লাসে।
ক্লাস শেষে আমরা আড্ডা দিচ্ছি
মেঘলাঃ এইযে মিস্টার বান্দর, বাসায় যাবেন না
আমিঃ এই খানে বান্দর কে
মেঘলাঃ আন্টির ছেলে।
চলো এখন
সোহানঃ যাও বন্ধু যাও, বিকালে দেখা হবে।
(চলবে)
Post a Comment