একটি ছেলের ক্যারিয়ার ও গার্লফ্রেন্ড
লেখকঃ মোঃ রাকিব হাসান
😘😘
আমি:: একটি বড় ফাইল নিয়ে একটি মেয়ে আমার ইন্টারভিউ নিচ্ছে প্রথমে প্রশ্ন করল আমাকে
মেয়ে: আচ্ছা, আপনি আমার অফিস ইন্টারভিউ দিতে এসেছেন তো ইন্টারভিউ মানে কি তা কি আপনি জানতে পারবেন।
ছেলে: জী ম্যাডাম ইন্টারভিউ মানে হলো নতুনকে জানার আগ্রহ এবং নতুন কে চেনার আগ্রহ।
মেয়ে; আপনার কি সবকিছু নতুন পছন্দ পুরাতন কি পছন্দ না আপনার কি কোন গার্লফ্রেন্ড নাই? আচ্ছা, আপনার গার্লফ্রেন্ড থাকতে পারে দুঃখিত পার্সোনালি ভাবে প্রশ্ন করার জন্য।
ছেলে: না, ম্যাডাম আমি কখনো প্রেমই করিনি আর আমাকে আপনি এসব বলতেছেন প্রেম-মানে-কি তাই জানতাম না। ম্যাডাম আপনাকে আরেকটা কথা বলি আপনি একটু আপনার মুখ থেকে ফাইল নামাবেন কি?
মেয়ে: মিস্টার রাকিব আপনার যদি সমস্যা হয় তাহলে আপনি এখান থেকে চলে যেতে পারেন আমার এতে কোন সমস্যা হবে না যদি আপনি চলে যান কারণ আপনার মত অনেকেই বাইরে দাঁড়িয়ে আছে ইন্টারভিউয়ের জন্য।
তাই এই জন্য আমি বলতেছি আপনি কি সত্যিই কোনো প্রেম করেন না।
একটি ছেলের ক্যারিয়ার ও গার্লফ্রেন্ড |
ছেলে: না, না ম্যাডাম আমি কেন প্রেম করতে যাব আসলে আমার জীবনে কোন এক্স ছিল না নাম ছিল না ছিল প্রেজেন্ট আমি বর্তমান নিয়ে ভালো থাকি।
আচ্ছা ম্যাডাম আপনার গলাটা যেন চেনা চেনা লাগতেছে আপনাকে কি আমি দেখতে পারি একটু?
মেয়ে: ফাইল নামিয়ে নিয়ে আমি রাকিবকে বললাম এখন কি চেনা যাচ্ছে আমাকে মিস্টার রাকিব বাংলাদেশের বিখ্যাত একজন কবি সাহেব চিনতে পারতেছে না আমাকে আমি তো মনে করছি কবিদের তো চিনতে লাগেনা তাড়াতো এমনি থেকেই চিনতে পারে আপনি কি তার পুরোটাই ব্যতিক্রম নাকি?
ছেলে; আমার এক্স রিয়া তুমি আমিতো তোমাকে চিনতে পারিনি।
মেয়ে: একটা মেয়ের সঙ্গে এরকম ব্যবহার করার পর কি চিনতে পারা যায় মিস্টার রাকিব সাহেব কবি। আচ্ছা, আপনি কি জন্য এখানে চাকরির জন্য এসেছেন আসলে তো আপনার ক্যারিয়ার তো কবিতা।
ছেলে: আসলে রিয়া আমি সবকিছু বুঝতে পারতেছি আমার ক্যারিয়ার তখন কবিতা ছিল কিন্তু আমি বর্তমান পরিস্থিতির মুখোমুখি এমনটা সময় আমি কি করে যে কাটাচ্ছি দিনটা আমার আল্লাহই জানে কারণ করোনাকালীন আমার লেখালেখির অবস্থা শেষ বরং আমার নিজের অবস্থা খারাপ আমাকে চাকরি টা দিবে তুমি
চাকরিটা দিয়ে উপকার করবে কি?
আসলে এমন পরিস্থিতির সময়ে তুমি তো আমার ফ্যামিলির অবস্থা বুঝতে পারো তাদেরকে খাওয়া না খাওয়ার ব্যাপারটা যেন দায় পড়েছে সেজন্য চাকরিতে এসেছি
মেয়ে: তো চাকরিতে এসেছেন ভালোই করেছেন আমি তো আপনাকে আগেই বলতাম যে আপনাকে কবিতা আজীবন পর্যন্ত নিয়ে যাবে না আপনাকে একটা নির্দিষ্ট ক্যারিয়ার গড়ে তোলা উচিত কিন্তু আপনি কি করেছেন আপনি আমার কথা গ্রহণ করেননি বরং আপনি আপনার লেখালেখির মাঝে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছেন। এবং এর ফলে আপনি আমার কাছ থেকে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করতেও একদমই দ্বিধাবোধ করেননি।
ছেলে: তুমি ঠিক বলেছ আসলে আমি তখন অনেক ভুল করে ফেলেছিলাম যার মাশুল আমাকে দিতে হচ্ছে বর্তমান পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে আমার এক্স গার্লফ্রেন্ড হিসেবে নয় আমার বেস্ট ফ্রেন্ড হিসেবে তুমি কি আমাকে চাকরিটা দিতে পারবে রিয়া প্লিজ দয়া করে আমাকে না করিও না আমার বিশ্বাস তুমি চাকরিটা ইচ্ছে করলেই দিতে পারবে প্লিজ।
মেয়ে: আসল রাকিব যদি শুধু তোমার প্রয়োজনে চাইতে আমি কখনো চাকরি দিয়ে দিতাম না আমি তোমার পরিবারের তোমার সেই ছোট্ট ভাইটার কথা ভেবে এবং বাসার আন্টির কথা ভেবে তোমাকে চাকরি দিতেছি কিন্তু কাজের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে তোমাকে পণ্য তার সহিত।
ছেলে: আচ্ছা, আমি অবশ্যই কাজের প্রতি মনোযোগ দেবো এবং আমার সমস্ত কাজ আমি নিজেই কমপ্লিট করে নেবো প্লিজ তুমি আমাকে চাকরি টা দিয়ে দাও রিয়া প্লিজ।
মেয়ে:: এত করে যখন আমাকে রিকোয়েস্ট করতেছো তখন কিভাবে আর তোমাকে না বলে যাইহোক তুমি একটা সময় আমার অনেক বেশি ভালবাসার মানুষ ছিলে তাই পারলামনা না করতে ।
তোমাকে আমি আমার জীবনের একজন বডিগার্ড হিসেবে নিযুক্ত করলাম তুমি কি রাজি হবে আসলে আমি বাকিদের কেউ এই দায়িত্ব দিতাম কিন্তু তোমাকে আমি আগেই দিলাম।
ছেলে: রিয়া জানিনা কিভাবে তোমাকে ধন্যবাদ দেবো আসলে যে যাকে ভালবাসে সে তাকে কখনো ভুলতে পারে না আমি যতই লক্ষ্য মুখে বলি না কেন আমার জীবনে কোন এক্স ছিলো না তা কিন্তু আমি এমনি বলি আমার জীবনে সত্যিই তুমি ছিলে এবং তোমার অনুপস্থিতি আমাকে বারে বারে কাঁদাতো কিন্তু কখনো তো আমি প্রকাশ করতে পারিনি
মেয়ে; তুমি এখন তোমার জীবনে ব্যর্থতা গুলো বাদ দিয়ে দাও তুমি আমার এখন থেকে বেস্ট ফ্রেন্ড আমার সমস্ত ভালো-মন্দ তুমি দেখবে আচ্ছা, রাকিব একটা কথা বলতো প্রেম মানে ছেলেদের কাছে কি আর প্রেম মানে মেয়েদের কাছে কি মনে হতে পারে তোমার বলতো।
ছেলে : এইটা কিন্তু এখন পর্যন্ত আমার কাছে সবথেকে কঠিন একটি ভাইবা আচ্ছা, তুমি যখন আমাকে বলেছ তাহলে আমি অবশ্যই বলব প্রেম মানে ছেলেদের কাছে হলো সব থেকে বেশি একটা আবেগময় অনুভবের অনুভব।
মেয়ে: আচ্ছা সবকিছু ঠিক আছে অনুভবে অনুভব কিভাবে হতে পারে
এটা একটু খুলে বলো না আর তুমি তো জানো আমি বর্তমানে একটু প্রশ্ন করতে বেশি পছন্দ করি বিরক্ত হয়ো না আচ্ছা।
ছেলে: না, না তা কেন বিরক্ত হবো তুমি যে আজকে আমাকে চাকরি দিয়ে এই ভাবে হেল্প করবে তা আমি কখনো কল্পনা করতে পারিনি গো।
মেয়ে; দেখো প্রথমত তোমার সঙ্গে আমার আগের সম্পর্ক নেই তাই আমাকে শুধু জাস্ট তুমি করে বলবে আর কোন কিছুই না আর হ্যাঁ ছেলেদের কিভাবে প্রেম মানে অনুভবের অনুভব বোঝাও একটু বোঝা লা না তো এখনো।
ছেলে: ছেলেদের কাছে প্রেম মানেই হলো অনুভবের অনুভব কিভাবে জানো কারণ ছেলেরা একটি মেয়েকে ভালবাসে তার সমস্ত অনুভব সমস্ত আবেগের দ্বারা কিন্তু কিছু কিছু মেয়েরা বোঝে এবং কিছু কিছু মেয়ে তা একদমই বোঝেনা যার ফলে ছেলেদের অনুভবগুলো অনুভব এর মাঝেই থেকে যায় আজীবন এর জন্য।
মেয়ে: আচ্ছা, আমি বুঝতে পারলাম তাহলে মেয়েদের কাছে প্রেম মানে কি তোমার মনে হয় বলতো।
ছেলে: মেয়েদের কাছে প্রেম মানে হলো শুধু সময়ের প্রয়োজন ছাড়া আমার কাছে আর কিছু মনে হয় না রিয়া কারন মেয়েরা একটা ছেলেকে ভালোবাসে সময়ের প্রয়োজন এর জন্য যখনি সময় শেষ হয় তবে তার আবেগগুলো ও ব্যর্থতা হিসেবে রয়ে যায়। তখন তো তার কাছে কোন ব্যর্থতা কাজ করে না কারণ
মেয়ে: আমি বুঝতে পেরেছি সবকিছু তুমি শুধু মেয়েদেরকে দোষারোপ করবে আর এটা হল ছেলেদের একটা লক্ষণ যা তারা কখনো ঠিক হতে পারবে না।তারা ভাববে মেয়েরা অনেক নিশ্চুপ মেয়েরা কোন কিছুই করতে পারে না আসলে মেয়েদের কাছে তো একটা আবেগ আছে তা আমি বুঝিয়ে বলতো রাকিব?
ছেলে: শোনো রিয়া প্রেম নিয়ে আমাকে আর ওত প্রশ্ন করোনা কারণ বর্তমান আমি প্রেম থেকে অনেক দূরে আছি আর আমি স্বভাবত ভাবেই এখন প্রেম থেকে অনেক দূরে থাকতে চাই একজনকে তো অনেক বেশি ভালোবেসে ছিলাম কিন্তু সেতো জীবন থেকে চলে গেল একেবারে।
মেয়ে: একেবারে চলে গেল মানে কি কি বলো তুমি এসব আজেবাজে কথা এসব কথা আমাকে আর কখনোই বলবে না আমি আবার পুরাতন সমস্ত স্মৃতি ভুলে গিয়েছি ভুলে গিয়ে বর্তমানে অনেক রিলাক্সে আছি যাইহোক ওইসব কথা মেয়াদ বাড়াতে চাইনা প্রেম করে কি তুমি এখন অন্য কারো সাথে।
ছেলে: না, প্রেম করতে কেন যাব কাকে আবার নতুনভাবে আমায় ভাসাবো যাই হোক আমি তো প্রেম করি না কিন্তু তুমি কি প্রেম করো এখন অন্য কারো সাথে।
মেয়ে: তুমি কি তোমার মত ভাবে আমাকে কিছু মনে করো আমি কিন্তু ঐরকম মোটেও না? আরে আমি কিভাবে আবার প্রেমে যাব তুমি যেতে পারো কারন ছেলেরা তো ঐরকমই মেয়েদের দেখলেই প্রেমে পরতে পারে কিন্তু মেয়েরা তো তা কখনো পারে না।
ছেলে: আচ্ছা, আমি বুঝতে পেরেছি তুমি আমার জন্য এখনো রাগ করে আছো এবং এর জন্য কারো সাথে এখনো প্রেম করো না তাইনা।
মেয়ে: সেটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার এটা সম্পর্কে তোমায় আর কোন কিছু বলতে হবে না বুঝলে আমি এমনই।
ছেলে: তা কি আমি জানিনা তুমি কেমন আমি তো স্পষ্ট ভাবে জানি তুমি কেমন
তুমি অনেক একটা রাগী মেয়ে?
যাইহোক আমার কি তুমি ইন্টারভিউ নিবে না নাকি আমি এমনিতেই কি চলে যাবো।
মেয়ে; হ্যালো তুমি আমার এক্স bf ছিল তাই তোমাকে আমি ু জানি তুমি ইন্টারভিউ অবশ্যই দিতে পারবে আর
এই জনা আমার মূল্যবান সময় তোমার ইন্টারভিউ এর পেছনে খরচ না করে অন্য দিকে মনোযোগী হবো।
ছেলে: অন্যদিকে মানে কোন দিকে মনোযোগী হবে আমাকে তো আগে চাকরিটা বুঝিয়ে দিবে
মেয়ে: ও আচ্ছা আমি তো তোমাকে চাকরিতেই বুঝিয়ে দিলাম না এখনো তোমার চাকরিটা হল সব সময় আমার পাশে পাশে থাকা।
ছেলে: মানে তোমার পার্সোনাল পিএস তাই না আমার কোন সমস্যা নেই কিন্তু তোমার কোন সমস্যা নেই তো।
মেয়ে: হ্যাঁ, অন্য কাউকে যদি রাখতাম তাহলে একটু সমস্যা হতো কিন্তু তোমাকে আমি জীবনে প্রাইভেসি দিয়েছিলাম আর তোমাকে আমি চিনি তুমি কি রকম? তুমি তোমার নিজের কাজকে আমি বেশি মনযোগি মনে করো না আমার মনে হয় আরকি কারণ তোমার সঙ্গে আমি কাটিয়েছিলাম তো তিনটি বছর সেজন্য বললাম। আর তোমাকে প্রথমে বলেছিলাম আমি।
ছেলে: আচ্ছা, একটা কথা বলতো তুমি কি এখন আমাকে ভালোবাসো দেখো সত্যি করে বলবে তুমি যদি বলে হ্যা তাহলে আমি সব ক্ষেত্রে রাজি।
মেয়ে: এখন আর আমি হ্যা বলে কি করবো এখন আমাকে আর হ্যাঁ বলতেও বাধা আছে প্রচুর বাঁধা আমার। তবে এটা সত্য যে আমি তোমাকে অনেক বেশি ভালবাসতাম আর এখন একটু হলেও তোমার প্রতি আমার আবেগ চলে আসে।
ছেলে: জানো রিয়া আমারও তাই মনে হয় আমার
তোমাকে দেখলে একটু আবেগে আমি হারিয়ে যাই আমি জানি না তা কি করে আবার সম্ভব তুমি কি আবার পূর্ণভাবে আমার হতে পারবে আই লাভ ইউ রিয়া আই লাভ ইউ সো মাচ।
মেয়ে: আমি তোমাকে কিভাবে হ্যাঁ বলব তা আমি নিজে জানি না কারণ আমার মাঝে অনেক অভিমান আছে তুমি আগে আমারেই অভিমানগুলো দূর করিয়া দাও তারপর না হয় তোমাকে নিয়ে ভাববো।
ছেলে: তোমার কোন প্রবলেম হবে আবারও আমাকে ভালোবাসলে।
মেয়ে:: সেটা তো পরের কথা কিন্তু এখনকার কথা হলো তুমি তোমার জীবন ঠিক করিয়ে নাও তুমি জীবনে যা করবে তাই একটাই করবে
একই পজিশনে থাকবে ভিন্ন কোন অবস্থানে তুমি চলে যাবে না তাহলে দেখবে তোমার জীবনটা অনেক শান্তিময় হয়ে উঠেছে তুমি একটা সফল ব্যক্তি বান মানুষ হতে পেরেছো রাকিব।
ছেলে: তুমি এতদিন আমাকে সব ঠিকই বলেছিলে কিন্তু আমিতো তা কখনও বুঝতেই পারিনি আমি বুঝতে পেরেছিলাম আমাকে এক সময়ে লেখালেখিটা অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।
মেয়ে: না, আমি তোমাকে এমনটা বলিনি যে তুমি লেখালেখি টা বন্ধ করে দাও তোমার লেখা অনেক সুন্দর তোমার লেখা অবশ্যই প্রকাশ পাবে তা আমাকে ভালো লাগবে কিন্তু ক্যারিয়ার হিসেবে তোমাকে তো কিছু করা উচিত রাকিব।
ছেলে: রিয়া আমি তোমাকে বুঝতে পারব না এই কয়দিন তুমি যখন আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলে তখন কেমন টা ডিপ্রেশনে ছিলাম আমি তা আমার কল্পনাও ছিল না আমি অনেক বেশি ডিপ্রেশনের মাঝে পড়ে যায় তখন যখন তুমি আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলে।
মেয়ে: একটা কথা বলে রাকিব আমি কিন্তু তোমাকে ছেড়ে কখনো চলে যেতে চাইনি কিন্তু গিয়েছিলাম তোমাকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য। যাতে তুমি বুঝতে পারো যে তোমার ক্যারিয়ার শুধু লেখালেখি না তোমার ক্যারিয়ারের একটা ভিন্ন আলাদা যত তুমি বসবাস করতে পারব তোমার প্রতিভার সবথেকে ছড়িয়ে যাক আমি এটা চেয়েছিলাম।
ছেলে: তবে আমি একটা কথা বলি তোমাকে তুমি কি এখনো আমাকে ভালোবাসো ভালবাসতে পারবে আমাকে?
মেয়ে: তোমাকে ভালবাসতে পারব না এমনটা না তোমাকে আমি ভালবাসতে এখনো পারব কিন্তু সময় চেয়ে একেবারে চলে গিয়েছে রাকিব আমি এখন চাইলেও আর কিছু ঠিক করতে পারব না।
ছেলে:: কেন পারবে না তুমি কেন আবার আগের মতো হতে পারবে না? তার মানে কি তুমি আমাকে কখনো ভালবাসনি।
মেয়ে: এমনটা না আমি তোমাকে অনেক বেশি ভালবাসতাম কিন্তু আমার এখন বর্তমানে বিয়ে হয়ে গিয়েছে ।আমি অনেকদিন ধরে তোমার অপেক্ষায় ছিলাম কিন্তু তুমি না আসায় শেষ পর্যন্ত আমার পরিবার আমাকে বিয়ে দিয়ে দিল।
ছেলে: কি বলছো তুমি এসব তবে কি? আমি তোমার হাসবেন্ডের অফিসে চাকরি করবো এখন এইটা তো আমি জীবনে কখনো ভাবতে পারিনি
সরি রিয়া আমাকে ক্ষমা করবে আমার পক্ষে চাকরিটা করা আর সম্ভব হচ্ছে না ভালো থেকো।
একথা বলে আমি চলে যেতে লাগলাম রিয়া তখন আমাকে বলল।
মেয়ে: এই পাগল তুমি কি এখনো কোনো কিছু বোঝ না আমি তো এমনি থেকে ফাজলামি করলাম আর এইটা আমার বাবার অফিস তুমি কি মনে করেছিলে তুমি শুধু আমাকে ভালোবাসো আমি তোমাকে ভালোবাসি না? আই লাভ ইউ আই লাভ ইউ আই লাভ ইউ টু সরি আই লাভ ইউ টু না আই লাভ ইউ 10 বলতে লাগবে।
ছেলে:: আই লাভ ইউ টেন মানে কি আমাদের 10 মাস পর দেখা হল এর জন্য
নাকি আমি যেটা ভাবতেছি ওইটার জন্য।
মেয়ে: তোমার প্রথম কারণটি ঠিক 10 মাস পর দেখা হওয়ার জন্য আই লাভ ইউ জান আর তুমি কি ভাবতেছ ওইটা বলো কিন্তু।
ছেলে: ভেবেছিলাম যে বিয়ের পরপরই দশ মাস আবার দশটা বাচ্চা নিব
আর এজন্য হয়তোবা তুমি বলেছিলে আই লাভ ইউ টেন।
মেয়ে: তুমি একটা গাধার বাচ্চা সবকিছুই একটু বেশি বেশি বোঝো যাইহোক এই দশ মাস পর দেখা হয়ে বুঝলাম একটু তো রোমান্টিকতা অর্জন করেছ।
ছেলে: কেন এতদিন বুঝি আমার মাঝে রোমান্টিকতা ছিলনা?
মেয়ে: হ্যাঁ, তোমার রোমান্টিকতা কেমন তা কি আমি জানতাম না ওই জীবনানন্দ দাশের বনলতা সেন এর মত শুধুমাত্র আমাকে তুমি ছন্দ দিয়ে একটু প্রকাশ করতে তোমার লেখায় তাছাড়া এমনি থেকে তো কোন প্রেমই করতে না।
ছেলে: তা ঠিক তা তো আমি একটু তোমাকে ছন্দে প্রকাশ করতাম কিন্তু এখন থেকে তোমাকে আমি আমার মনের মাঝে প্রকাশ করব।
মেয়ে: ও আচ্ছা তাহলে তুমি আমার আজ থেকে প্রেমের কবি হবে আচ্ছা দেখা যাবে কি হয়?
ছেলে; রিয়ার সাথে এভাবে দুষ্টু মিষ্টি প্রেম করে আমার সময়টা তখন কাটিয়ে গেল
এবং রিয়া যেহেতু আমার অফিসের বস ছিল সেহেতু তো আমার অনেক ফায়দা হয়েছিল এমনকি অফিসের অনেক কর্মচারীরাও আমাকে বলেছিলে যে আমাক তাদের ম্যাডামের হাসবেন্ড হিসাবে। এবং পরবর্তীতে আমাদের পরিবারের সবাইকে নিয়ে একটা ছোটখাটো অনুষ্ঠান করার মাধ্যমে রিয়াকে আমি আমার ঘরের বউ করে নিলাম।
ধন্যবাদ
Post a Comment