সিনিয়র খালাতো বোন যখন পুলিশ অফিসার
অভ্র আহমেদ লিমন
পর্বঃ ০৯
এই দিকে আমি পরেরদিন কুমিল্লা পৌছে গেলাম। সেখানে বাবা আগেই সব ঠিক করে রেখেছে৷ গাড়ি থেকে নামতেই একজন লোক আমার কাছে আসলো
আপনি লিমন স্যার (লোকটি)
জ্বি আমি লিমন কিন্তু আপনি কে (আমি)
আমি আপনাদের বাড়ি দেখাশুনা করি। আপনার আব্বু আমাকে পাঠিয়েছে আপনাকে নিতে (লোকটি)
ওহ আচ্ছা চলুন (আমি)
তারপর গাড়িতে উঠে চলে আসলাম আমাদের বাসায়। শহরটা আমার কাছে একদম নতুন। ভালোই হয়েছে এখানে একটু শান্তিতে থাকতে পারবো। যাই হোক ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে দিলাম। বিকেলবেলা ঘুম থেকে উঠে ঘুরতে বের হলাম। একটা চায়ের দোকানে গিয়ে সিগারেট নিলাম। তারপর খুঁজতে খুঁজতে একটা নিরব পরিবেশ পেলাম। নদীর পাশে জায়গাটা খুব পছন্দ হয়েছে। সেখানে বসে সিগারেট ধরিয়ে প্রকৃতি দেখতে লাগলাম।
তখনই বাবা ফোন করলো
হ্যা বাবা বলুন (আমি)
শোনো তোমার ১ মাসের ভিতর কাজে জয়েন করতে হবে নাহ। তুমি ঐ এলাকাটা সুন্দরভাবে ঘুরে দেখো আগে (বাবা)
আচ্ছা বাবা (আমি)
হুম তোমার আম্মু রাতে কল দিবে আনে এখন একটু বিজি (বাবা)
আচ্ছা বাবা (আমি)
তারপর আমি আবার বসে বসে সিগারেট টানতে লাগলাম। দেখতে দেখতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো। তারপর ওখান থেকে উঠে আস্তে আস্তে হাটতে বাসায় এসে রুমে গেলাম।
স্যার আপনি কয়টার সময় খাবার খাবেন (লোকটি)
আংকেল ভিতরে আসুন (আমি)
লোকটি ভিতরে আসলো
কাকা আপনার সাথে তো পরিচিত হওয়া হলো নাহ (আমি)
আমি আব্দুর রহমান রহমান (রহমান কাকা)
আচ্ছা শুনুন কাকা আমি আপনার ছেলের মতো আমাকে স্যার বলতে হবে নাহ (আমি)
তাহলে কি বলবো (কাকা)
শোনেন আমার নাম ধরে ডাকবেন (আমি)
তুমি অনেক ভালো বাবা (কাকা)
আচ্ছা কাকা আমি খাবার একটু পর খাবো (আমি)
আচ্ছা বাবা তোমার যেসময় লাগবে আমাকে বলবা ঠিকাছে (কাকা)
আচ্ছা কাকা (আমি)
তারপর কাকা চলে গেলো। আমি শিফার কথা ভাবতে লাগলাম। ও কি এভাবেই ওর ক্যারিয়ার নিয়ে থাকবে। এসব চিন্তা করতে করতে চোখ থেকে কয়েক ফোটা পানি পড়লো। আমি চোখ মুছে একটা গল্পের বই নিয়ে বসলাম। কারণ আমার কষ্ট মুক্তির জন্য এটাও একটা নেশা বলতে পারেন। এভাবে কিছুক্ষন পড়ে খাবার খেয়ে নিলাম। তারপর ১ টা ঘুমের ঔষধ খেয়ে দিলাম ঘুম। পরেরদিনও এভাবে ঘুরে কাটালাম। তারপরের দিন ঘুম থেকে উঠতে দেরি হলো কিন্তু আমি অনুভব করলাম কেউ আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। চোখ খুলে দেখে আমি অবাক হলাম। কারণ এটা শিফা। আমি উঠে বসলাম
একি তুমি এখান কেন (আমি)
কেন আমি আমার স্বামীর কাছে আসবো না (শিফা)
তুমি এখানে আসলে কেন তোমার ডিউটি নেই (আমি)
আমার আর কোনো ডিউটি নেই। শুধু একটাই ডিউটি তোমার খেয়াল রাখা (শিফা)
হাহাহা তুমি মজা করছো নাকি (আমি)
মজা কেন করবো আমি চাকরি ছেড়ে দিয়েছি (শিফা)
হাহা এটাও আমাকে বিশ্বাস করতে বলছো। যে চাকরির জন্য আমাকে ছেড়ে দিয়েছো সেটা তুমি এখন ছেড়ে দিয়েছো (আমি)
এভাবে বলছো কেন আমি কাজের নেশায় পড়েছিলাম তাই এমন হয়েছে। প্লিজ আমি তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছি তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও (শিফা)
তুমি নিশ্চয়ই পাগল হয়ে গিয়েছো। আমি আর সংসার করবো নাহ আগে ক্যারিয়ার গড়বো তারপর ভেবে দেখবো (আমি)
আমার ভুল হয়ে গেছে। আর কখনও এমন হবে নাহ প্লিজ তুমিও আমার মতো ভুল করিও না (শিফা)
আমার লাইফ আমি যেভাবে ইচ্ছে সেভাবে চলবো। আমি তোমার কোনো কথা শুনতে চাই নাহ (আমি)
ঐ চুপ কোন কথা বলবি নাহ ২ দিন অনেক কষ্ট পেয়েছি আমি বলেই আমার কলার ধরলো (শিফা)
আমি কলার ছাড়িয়ে ঠাস করে একটা থাপ্পড় দিলাম। আমার থাপ্পড় খেয়ে শিফা ছলছল নয়নে আমার দিকে তাকালো। ও বিশ্বাসই করতে পারছে না যে আমি ওকে থাপ্পড় দিয়েছি।
নেক্সট টাইম আর আমার সামনে আসবা নাহ পারলে আজকেই এখান থেকে চলে যাও বলেই ফ্রেশ হতে গেলাম (আমি)
এদিকে শিফা ভাবতেছে" তুমি এমন হয়ে গেছো কষ্ট পেয়ে? আজ আমায় থাপ্পড় মারলে? তুমি এতো কষ্ট পেয়েছো? যেভাবেই হোক তোমার রাগ ভাঙাতে হবে আমার। আমার তোমার এই রূপ ভালো লাগছে নাহ। কতো সুন্দর ছিলো আমাদের ভালোবাসা? আমি তোমাকে আবার আগের মতো করবো তাতে আমার যত কষ্টই হোক "
আমি ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে দেখি শিফা খাবার হাতে নিয়ে বিছানায় বসে আছে।
তুমি এসে গেছো? আসো তোমায় খাইয়ে দেই (শিফা)
আমি কিছু নাহ বলে রুম থেকে বের হয়ে গেলাম। তারপর নিচে এসে বাসার বাইরে বের হলাম। খাবার খেয়ে ঘুরাঘুরি করে দুপুরের খাবার খেয়ে বাসায় আসলাম। রুমে প্রবেশ করে দেখি খাবার এখনো সেখানে আর শিফা পাশে খাবার রেখে পাশে ঘুমিয়েছে। আমি ওর মুখের দিকে তাকালাম। চোখের নিচে কালো দাগ হয়েছে একটু। আমি দুটো কাশি দিলাম। শিফা চোখ খুললো।
একি তুমি এখানে শুয়ে আছো কেন (আমি)
আমি এখানে থাকবো নাতো কোথায় থাকবো (শিফা)
তুমি অন্য একটা রুমে যাও আর আমি খাবার খেয়ে এসেছি তুমি খাবার খেয়ে নাও (আমি)
কিছু বাজার এনে দিও রান্না করার জন্য (শিফা)
কেনো রহমান কাকা আছে আমার রান্না সেই করতে পারবে। আর তুমি আজকেই চলে যাও (আমি)
রহমান কাকা আর আসবে নাহ সে বাড়িতে গেছে বাবা আসতে বারণ করেছে। আর আমি তো যাবো না (শিফা)
কেনো যাবে নাহ (আমি)
কারণ আমি তোমায় ছাড়া থাকতে পারবো নাহ (শিফা)
পাগল তুমি (আমি)
হুম তোমার পাগল (শিফা)
আমি ফ্রেশ হয়ে বিছানায় শুয়ে ফোন টিপতে লাগলাম। শিফা খাবার খেয়ে রুমে আসলো।
কি করছো (শিফা)
আমি কোনো কথা না বলে ফোন টিপতে লাগলাম। শিফা আমার পাশে শুয়ে পড়লো।
এমন করছো কেন (শিফা)
কি করছি (আমি)
আমাকে এভাবে ইগনোর করতেছো কেন (শিফা)
তোমাকে ইগনোর করবো কেন তুমিতো আমার চিন্তা ভাবনার ভিতরই থাকো নাহ (আমি)
শিফা একদম চুপ হয়ে গেলো। হয়তো কষ্ট পেয়েছে তাতে আমার কি।
আমি ফোন রেখে দিলাম ঘুম। ঘুম ভাঙলো বিকেল বেলা। দেখি শিফা আমাকে জড়িয়ে দরে ঘুমিয়ে আছে। আমি হাত সরিয়ে উঠে বসলাম। শিফারও ঘুম ভাঙলো
তুমি এভাবে আমাকে জড়িয়ে ধরছো কেন (আমি)
আমি তোমাকে জড়িয়ে ধরবো তাতে কি হয়েছে (শিফা)
সকালের থাপ্পড়ের কথা মনে আছে পরবর্তী তে আর এরকম করবা না তুমি তোমার মতো চলবা আমি আমার মতো (আমি)
তা হবে নাহ জানু তুমি আমার ছোট বেলার ভালোবাসা। যার জন্য আমি আমার জীবনটা দিতেও রাজি। হ্যা আমি মধ্যে একটু ভুল করেছি তবে তার জন্য ভালোই হয়েছে তুমি ১ বছর ভালো করে পড়ালেখা করে পরীক্ষা দিয়েছো আর আমি চাকরি করেছি (শিফা)
আমি এতোকথা শুনতে চেয়েছি তোমার কাছে? আমার আর তোমাকে ভালো লাগে নাহ (আমি)
ওকে সমস্যা নেই আমি তো তোমায় ভালোবাসি (শিফা)
কথা বলতে বলতে একটা সিগারেট ধরলাম। শিফা এটা দেখে রাগে ফুসছে।
তুমি আবার সিগারেট খাচ্ছো (শিফা)
এটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার (আমি)
তোর ব্যাপার বললেই হলো ফেলে দে সিগারেট বলছি (শিফা রেগে)
আমি এটা খাবো বলেই বলেই একটা টান দিলাম (আমি)
সাথে সাথে কাশি শুরু হলো। একটু জোরেই টান মারছিলাম। শিফা সাথে সাথে আমার হাত থেকে সিগারেট নিয়ে ফেলে দিলো।
তুমি প্লিজ এটা খেয়ো নাহ এটা তোমার শরীরের অনেক ক্ষতি করে বলেই জড়িয়ে ধরলো (শিফা)
আমি শিফাকে ছাড়িয়ে নিলাম। তারপর বের হলাম বাসা থেকে। কারণ বাজার আনতে হবে নাহলে শিফা খাবে কি? বাজার নিয়ে বাসায় আসলাম। শিফা আমার হাতে বাজার দেখে কোনো প্রশ্ন করলো নাহ। বাজার নিয়ে রান্না ঘরে চলে গেলো। তারপর ও রান্না করতে লাগলো আর আমি রুমে বসে ফোন টিপতে লাগলাম। রাতে আমি বাইরে গিয়ে খেয়ে আসলাম।
কোথায় গেছিলে তুমি (শিফা)
খাবার খেয়ে এসেছি (আমি)
আমি তো রান্না করেছি বাইরে খেতে গেলে কেন (শিফা)
আমার তোমার রান্না খেতে ইচ্ছে করে নাহ বলেই চলে আসলাম (আমি)
শিফাও কিছুক্ষণ পর রুমে আসলো।
একি তুমি এই রুমে কেন যাও অন্য রুমে যাও (আমি)
নাহ আমি তোমার সাথেই ঘুমাবো (শিফা)
আমাকে কি মনে হয় আমি তোমার সাথে ঘুমাবো (আমি)
প্লিজ আমি তোমার সাথে ঘুমাবো (শিফা)
আমি ঘুমাবো নাহ তোমার সাথে। তুমি যাবে নাকি আমি নিজেই এই রুম থেকে চলে যাবো (আমি)
প্লিজ যেওনা আমি দরকার হলে নিচে ঘুমাবো তবুও অন্য রুমে যেওনা (শিফা)
আচ্ছা ঠিকাছে (আমি)
তারপর শিফা নিচে বিছানা করে ঘুমালো। রাতে শিফার কান্নার শব্দ স্পষ্ট কানে এসেছে কিন্তু কিছু করিনি আমি।কারণ ও যা করেছে তা এর কাছে কিছুই নাহ। আমি এভাবে ১ বছর ঘুমাতে পারিনি ঠিকমতো।
যাই হোক এভাবে চলে গেলো ১ মাস......
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি শিফা ঘুমাচ্ছে এখনো। চোখের নিচে কালো দাগটা গাঢ় হয়ে গেছে। আজকে শিফা শরীরের অবস্থা দেখে একটু মায়া হলো। শিফাকে কোলে তুলে নিয়ে বিছানায় শুয়ে দিলাম। এই ১ মাসে শিফাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি এবং ইগনোর করেছি। যাতে শিফা হারে হারে বুঝতে পেরেছে কষ্ট কি। যাই হোক আমি ফ্রেশ হতে গেলাম।এসে দেখে শিফা বিছনায় বসা। আমাকে দেখেই জড়িয়ে ধরলো শিফা। আজ কেনো জানি ছাড়াতে ইচ্ছে করলো নাহ
আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না যে তুমি আমাকে বিছানায় শুয়ে দিয়েছো( শিফা)
ছাড়ো আমাকে (আমি)
উহু আজ ছাড়বো নাহ তোমায় আমি জানি তুমি আমায় এখনো ভালোবাসো( শিফা)
নাহ তুমি মিথ্যে ভাবছো (আমি)
শিফা এবার আমার পায়ে পড়ে গেলো।
আমি আর পারছি নাহ নিতে, তোমার ভালোবাসা ছাড়া আমি বাঁচবো না। তুমি আজ আমাকে ভালোবাসবে নয়তো নিজের হাতে মেরে ফেলবে (শিফা)
উঠো তুমি আমি কোনটাই পারবো নাহ (আমি)
শিফা উঠে একটা চাকু হাতে নিলো
তুমি পারবে নাতো কি হয়েছে আমি নিজেও আমার জীবন দিতে পারি বলেই চাকু নিয়ে পেটে ঢুকাতে চাইলো (শিফা)
তার আগেই আমি গিয়ে ধরলাম।
ছাড়ো আমাকে আমি আর বাঁচতে চাই না বলেই জোরাজোরি করতে লাগলো (শিফা)
আমার শিফাকে ছাড়ানো অবস্থায় হঠাৎ শিফা অজ্ঞান হয়ে গেলো। আমি শিফাকে তাড়াতাড়ি কোলে নিয়ে নিচে নামলাম একটা গাড়ি নিয়ে হাসপাতালে চলে গেলাম। আমি ডাক্তার ডাক্তার বলে চিৎকার করতে করতে হাসপাতালের ভিতরে গেলাম। ডাক্তার বের হয়ে তাড়াতাড়ি ওকে একটা কেবিনে নিয়ে গেলাম। আজ সত্যি অনেক খারাপ লাগতেছে শিফার জন্য। যতই হোক শিফা আমার ১ম ভালোবাসা। ওকে ছাড়া আমার বাচাও ইম্পসিবল। আমি যতই ওকে কষ্ট দেই কিনা ও আমার ভালোবাসা পাওয়ার জন্য অনেক কষ্ট পেয়েছে আমার জন্য। এসব ভাবছিলাম তখনই ডাক্তার বের হলো
ডাক্তার ওর কি অবস্থা (আমি)
আপনি রোগীর কি হন (ডাক্তার)
আমি ওর হাসবেন্ড (আমি)
আপনি কি রোগির খেয়াল রাখেন নাহ রোগী অনেক টেনশন করে। রোগী টিকমতো খাওয়া দাওয়া করে না। ওর ঠিকমতো খেয়াল রাখতে হবে (ডাক্তার)
আচ্ছা ডাক্তার আমি কি ওর সাথে দেখা করতে পারবো (আমি)
এখন রোগীকে ঘুমের ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে কয়েক ঘন্টা পর ঘুম ভাঙার পর দেখা করতে পারবেন বলেই চলে গেল (ডাক্তার)
আমি বেঞ্চে বসলাম। নাহ শিফাকে আর কষ্ট দেওয়া যাবে নাহ। আমাদের সম্পর্ক আবার আগের মতো করতে হবে। কারণ ও ওর ভুল বুঝতে পেরেছে। এসব ভাবতে ভাবতে বসে রইলাম। কয়েক ঘন্টা পর একজন নার্স আমার সামনে আসলো
আপনি কি লিমন? (নার্স)
জ্বি আমি লিমন (আমি)
আপনাকে রোগী ডাকছে (নার্স)
আমি তাড়াতাড়ি উঠে শিফা যেখানে সেখানে চলে গেলাম। গিয়ে দেখি হাতে স্যালাইন লাগানো। মুখটা দেখে খুব মায়া হলো।
তুমি ভিতরে ছিলে না কেন (শিফা)
ডাক্তার আসতে দেয়নি (আমি)
আমাকে প্লিজ ক্ষমা করো আমি থামিয়ে দিলাম (শিফাকে)
গিয়ে ওর পাশে বসে। ওর কপালে একটা ভালোবাসার পরশ একে দিলাম।
আর কোনো কথা বলবে নাহ, খাওয়া দাওয়া করোনা কেন ঠিকমতো (আমি)
তোমার কথা ভেবে খাওয়ার ইচ্ছে থাকে না মরে গেলেই ভালো আমি আবারও থামিয়ে দিলাম (শিফা)
এসব কি বলতেছে তোমার কিছু হলে আমি বাঁচবো কি করে (আমি)
তুমি কি সত্যিই আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছো নাকি এটা স্বপ্ন (শিফা)
তোমাকে আর কোনো কষ্ট পেতে দেবো নাহ (আমি)
আচ্ছা আমার এখানে ভালো লাগতেছে নাহ তুমি আমাকে বাসায় নিয়ে চলো (শিফা)
তারপর ডাক্তারকে বলে বিকালে শিফাকে নিয়ে বাসায় আসলাম।
বিছানায় দুজনে বসলাম।
চলো বাসায় চলে যাই তোমার পরিবার তুমি না থাকায় অনেক কষ্ট পাচ্ছে (শিফা)
হুম যাবো তুমি সুস্থ হও আমারো এখানে ভালো লাগছে না (আমি)
হুম এখান থেকে বাসর করে তারপর যাবো (শিফা)
তুমি আগে সুস্থ হও তারপর সব হবে (আমি)
আজকেই করবো আমি আর সহ্য করবো নাহ বলেই জড়িয়ে ধরলো (শিফা)
তুমি একটু সুস্থ হও বাসর বাসায় গিয়েই করবো। তারপর ২ দিন পর শিফা পুরোপুরি সুস্থ। আমরা এখন গাড়িতে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে।পৌছাতে রাত ৮ টা বাজলো। আমাদের দেখে সবাই অনেক খুশি। সবাই খাবার খেতে বসলো। অনেকদিন পর সবার সাথে খাবার খেয়ে ভালো লাগলো। তারপর সেখান থেকে উঠে আড্ডা দিতে লাগলাম ফেমিলির সাথে। শিফাকে দেখলাম নাহ। রাতে রুমে ঢুকলাম। রুমে ঢুকে দেখি রুমটা খুব সুন্দর করে সাজানো।খাটে শিফা বসে আছে। শিফা এসে আমাকে সালাম করলো। আমি ওকে বুকে টেনে নিলাম।
চলো আমরা নামায পড়ে নতুন ভাবে আমাদের জীবন শুরু করি।
সমাপ্ত
Post a Comment